সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে, যা অতীতে কখনো কোনো নেতা পাননি এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় ১৮ বছর পর তারেক রহমানের নির্বাসিত জীবনের অবসান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি দলের এই প্রস্তুতির কথা জানান। বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করি আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণার বিষয়। তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা ২৫ ডিসেম্বর তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যা অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নেতা পাননি। আমরা সবাই সেই প্রস্তুতি নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সংবাদ আমাদের জন্য একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে আবেগের। একদিকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন, অন্যদিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে যিনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন, যিনি আমাদের আশার আলো সেই নেতা আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসছেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নু।

১২ মিনিট আগে
প্রশাসনিক শৈথিল্যে টালমাটাল জনপ্রশাসন, নির্বাচনের আগে বাড়ছে উদ্বেগ

রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্দোলন, দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এবং শীর্ষ পর্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ—সব মিলিয়ে দেশের জনপ্রশাসনে এক ধরনের অস্থির ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনায় প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সরকারের নমনীয় নীতির প্রতিফলন স্পষ্ট, যার প্রভাব আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশেও পড়তে পারে।   বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামছেন। কিন্তু দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত প্রশাসনিক ও বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানেও সরকারকে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলার পরিবর্তে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের আগে যদি এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে তা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তাই সামনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রয়োজন বলে মত তাদের। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপাতত মনোযোগ দিতে চাইছি না। কোনো কথাও বলতে চাই না।’ এর আগে তফসিল ঘোষণার আগের দিন ১০ ডিসেম্বর ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার দাবিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা পুরো সচিবালয় প্রদক্ষিণ করে অর্থ বিভাগের নিচে অবস্থান নেন এবং পরে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে গিয়ে জড়ো হন। এ সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় অর্থ উপদেষ্টা সচিবালয় ত্যাগ করেন। অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। উপদেষ্টা প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লাগবে জানালেও তারা তা মানতে রাজি হননি। একপর্যায়ে আলোচনা ভেঙে যায় এবং পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সচিবালয়ের বাদামতলা এলাকায় কর্মচারীরা সমবেত হয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে আদালত গ্রেফতার হওয়া ১৪ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সচিবালয়ে বর্তমানে অন্তত ছয় হাজার কর্মচারী কর্মরত। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাতা প্রদান করতে হলে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।সচিবালয়ের বাইরেও একই চিত্র দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার নবম পে-স্কেল ও সচিবালয় ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে পরিকল্পনা কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি কাজ ব্যাহত করলে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কর্মবিরতি বা অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি বা বরখাস্তের মতো শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক সচিব ও বিপিএটিসির সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনেকেই সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তার মতে, সরকারের বর্তমান অগ্রাধিকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন। রাজনৈতিক সরকার এলে দাবিদাওয়া তোলাই যুক্তিযুক্ত হবে। তিনি মনে করেন, সরকারের সহনশীল অবস্থানকে দুর্বলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।তবে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের আন্দোলন মোটেই কাম্য নয়। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কর্মবিরতি, অবরোধ বা কাউকে অবরুদ্ধ করা চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে এবং নির্বাচনী পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সরকারের এখন কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।তিনি আরও বলেন, সচিবালয় একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা, যেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুরু থেকেই যদি প্রশাসন শক্ত অবস্থানে থাকত এবং শীর্ষ পর্যায়ে দক্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত করা যেত, তবে আজকের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতো না।   সার্বিকভাবে বিশ্লেষকদের মত, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নির্বাচনের স্বার্থে জনপ্রশাসনে দ্রুত দৃঢ়তা ও কার্যকর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।

২৩ মিনিট আগে
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়। তলবকালে জানানো হয়, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ভারতে অবস্থানরত পলাতক শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া নিয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিয়মিতভাবে দেওয়া এসব উসকানিমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সময় শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আদালতের দেওয়া দণ্ড কার্যকরের লক্ষ্যে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ। তলবকালে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও ভারতীয় হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিকল্পনা, সংগঠন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। এ ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধে ভারতের জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করা হয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ যদি ইতোমধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় ভারতের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয় বলেও জানানো হয়েছে। জবাবে ভারতের হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই ভারতের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যে তার দেশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

৫০ মিনিট আগে
ভারত থেকে হুমকি পাচ্ছেন ওসমান হাদির চিকিৎসকরা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে তার চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের ভারত থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বিভিন্ন পাবলিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিকিৎসক জানান, সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির পুনরায় সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। ওই স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা বা পানি জমে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি ধরা পড়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও দেখা গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর বলে জানান চিকিৎসক। এ সময় তিনি আরও বলেন, হাদির চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসকরাও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকির মুখে পড়ছেন। তাদের দাবি, ধারাবাহিকভাবে ভারত থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ব্যক্তিগত নম্বর প্রকাশ করে বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বাসার অবস্থানও ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। এতে চিকিৎসকদের জীবন নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। চিকিৎসক আরও জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করা হয়েছে।   তবে রোগীকে বিদেশে স্থানান্তরের মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা আছে কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

৫৮ মিনিট আগে
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়। তলবকালে জানানো হয়, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ভারতে অবস্থানরত পলাতক শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া নিয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিয়মিতভাবে দেওয়া এসব উসকানিমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সময় শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আদালতের দেওয়া দণ্ড কার্যকরের লক্ষ্যে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ। তলবকালে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও ভারতীয় হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিকল্পনা, সংগঠন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। এ ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধে ভারতের জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করা হয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ যদি ইতোমধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় ভারতের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয় বলেও জানানো হয়েছে। জবাবে ভারতের হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই ভারতের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যে তার দেশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
প্রশাসনিক শৈথিল্যে টালমাটাল জনপ্রশাসন, নির্বাচনের আগে বাড়ছে উদ্বেগ

রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্দোলন, দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এবং শীর্ষ পর্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ—সব মিলিয়ে দেশের জনপ্রশাসনে এক ধরনের অস্থির ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনায় প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সরকারের নমনীয় নীতির প্রতিফলন স্পষ্ট, যার প্রভাব আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশেও পড়তে পারে।   বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামছেন। কিন্তু দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত প্রশাসনিক ও বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানেও সরকারকে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলার পরিবর্তে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের আগে যদি এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে তা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তাই সামনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রয়োজন বলে মত তাদের। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপাতত মনোযোগ দিতে চাইছি না। কোনো কথাও বলতে চাই না।’ এর আগে তফসিল ঘোষণার আগের দিন ১০ ডিসেম্বর ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার দাবিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা পুরো সচিবালয় প্রদক্ষিণ করে অর্থ বিভাগের নিচে অবস্থান নেন এবং পরে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে গিয়ে জড়ো হন। এ সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় অর্থ উপদেষ্টা সচিবালয় ত্যাগ করেন। অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। উপদেষ্টা প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লাগবে জানালেও তারা তা মানতে রাজি হননি। একপর্যায়ে আলোচনা ভেঙে যায় এবং পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সচিবালয়ের বাদামতলা এলাকায় কর্মচারীরা সমবেত হয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে আদালত গ্রেফতার হওয়া ১৪ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সচিবালয়ে বর্তমানে অন্তত ছয় হাজার কর্মচারী কর্মরত। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাতা প্রদান করতে হলে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।সচিবালয়ের বাইরেও একই চিত্র দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার নবম পে-স্কেল ও সচিবালয় ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে পরিকল্পনা কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি কাজ ব্যাহত করলে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কর্মবিরতি বা অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি বা বরখাস্তের মতো শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক সচিব ও বিপিএটিসির সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনেকেই সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তার মতে, সরকারের বর্তমান অগ্রাধিকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন। রাজনৈতিক সরকার এলে দাবিদাওয়া তোলাই যুক্তিযুক্ত হবে। তিনি মনে করেন, সরকারের সহনশীল অবস্থানকে দুর্বলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।তবে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের আন্দোলন মোটেই কাম্য নয়। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কর্মবিরতি, অবরোধ বা কাউকে অবরুদ্ধ করা চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে এবং নির্বাচনী পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সরকারের এখন কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।তিনি আরও বলেন, সচিবালয় একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা, যেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুরু থেকেই যদি প্রশাসন শক্ত অবস্থানে থাকত এবং শীর্ষ পর্যায়ে দক্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত করা যেত, তবে আজকের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতো না।   সার্বিকভাবে বিশ্লেষকদের মত, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নির্বাচনের স্বার্থে জনপ্রশাসনে দ্রুত দৃঢ়তা ও কার্যকর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।

ছবি : সংগৃহীত
তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে, যা অতীতে কখনো কোনো নেতা পাননি এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় ১৮ বছর পর তারেক রহমানের নির্বাসিত জীবনের অবসান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি দলের এই প্রস্তুতির কথা জানান। বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করি আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণার বিষয়। তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা ২৫ ডিসেম্বর তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যা অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নেতা পাননি। আমরা সবাই সেই প্রস্তুতি নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সংবাদ আমাদের জন্য একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে আবেগের। একদিকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন, অন্যদিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে যিনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন, যিনি আমাদের আশার আলো সেই নেতা আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসছেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নু।


ছবি : সংগৃহীত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানা যাবে

এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। তিনি গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্যটি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বুয়েট ও ঢাবির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সমন্বয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ চলছে। অনেক খাতা দেখার কাজ করতে হচ্ছে। আগামীকাল রোববার দুপুরের পর ফল প্রকাশ করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।’ তবে এই ফলাফল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে দেওয়া হবে না। গেল বারও অবশ্য এই প্রক্রিয়ায় ফলাফল দেওয়া হয়নি। তাহলে কীভাবে ফলাফল জানা যাবে? ডা. নাজমুল বলেন, ‘গতবারও এভাবে হয়নি, এবারও না। যার যার ফল চলে যাবে। রেজাল্টের ওপর একটি সামারি দেওয়া হবে।’ অনলাইনে যেভাবে মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল দেখা যাবেস্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে আপনি আপনার MBBS ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পারবেন। ধাপ ১: প্রথমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (Directorate General of Health Services - DGHS) ভিজিট করুন।ধাপ ২: ওয়েবসাইটে ‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করুন।ধাপ ৩: নির্ধারিত স্থানে আপনার অ্যাডমিশন রোল নম্বর (Admission Roll Number) দিন।ধাপ ৪: ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখা যাবে।ধাপ ৫: সেখান থেকে আপনি আপনার ফলাফল ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।

ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে ইরানের তৈরি ভয়ংকর ড্রোন

শাহেদ-১৩৬ ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ড্রোন, যা নীরবে ড্রোন যুদ্ধের প্রচলিত নিয়মকানুন নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। এই ড্রোনের আবির্ভাব বিশ্বজুড়ে সামরিক শক্তিগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য, কৌশল ও ব্যয়ের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।   দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক অস্ত্রবাজারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিরা সামরিক উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। তবে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ লয়টারিং মিউনিশন সেই প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আকারে ছোট, তুলনামূলকভাবে কম খরচের এবং প্রযুক্তির প্রদর্শনের চেয়ে বাস্তব কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মিত এই ড্রোন আধুনিক যুদ্ধের অর্থনীতি ও কৌশলগত বাস্তবতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। স্থানীয়ভাবে নির্মিত একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিণত হওয়ার এই দ্রুত উত্থান বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শিল্পগুলোকে সরাসরি অনুকরণ ও বিপরীত-প্রকৌশলের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। এটি বৈশ্বিক কৌশলগত হিসাবের এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শাহেদ-১৩৬ এর নকশাগত দর্শন। মাত্র ৫০ হর্সপাওয়ারের একটি সাধারণ পিস্টন ইঞ্জিন, প্রায় ৪০ কেজি ওয়ারহেড বহনের সক্ষমতা এবং আনুমানিক দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লা সবকিছু মিলিয়ে এটি এমন এক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যেখানে জটিলতার বদলে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও পুনরাবৃত্তিযোগ্য কার্যকারিতাই মুখ্য। প্রতি ইউনিট ড্রোনের আনুমানিক মূল্য মাত্র ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার হওয়ায় এটি একটি বড় অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, তুলনামূলকভাবে বহু গুণ বেশি দামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে এমন ড্রোন প্রতিহত করতে হয়। উৎপাদনের কম খরচ ও প্রতিরোধের বেশি খরচ এই অসম সমীকরণ ইরানকে বৈশ্বিক ড্রোন যুদ্ধে একটি অনন্য অবস্থানে তুলে এনেছে। শাহেদ ড্রোনের প্রভাবের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো যেসব পরাশক্তি একসময় ইরানকে গৌণ বা প্রান্তিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করত, তারাই এখন এই ড্রোন গ্রহণ, অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য হচ্ছে। ইরানি মডেলের কাছাকাছি দামে তৈরি, ঝাঁকবদ্ধ হামলার উপযোগী নতুন ড্রোন ব্যবস্থার উদ্ভব খরচ-সাশ্রয়ী যুদ্ধ ধারণার প্রতি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্বের অন্যতম উন্নত ড্রোন উন্নয়নকারী শক্তিগুলোর একটি রাশিয়া তার নিজস্ব সংস্করণে শাহেদের ধারণা অন্তর্ভুক্ত করেছে। উন্নত ইঞ্জিন, রাডার এড়িয়ে যাওয়ার উপকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষমতা ও অ্যান্টি-জ্যামিং প্রযুক্তির সংযোজন এই ড্রোনকে বহু স্তরবিশিষ্ট বিমান-প্রতিরক্ষা পরিবেশে কার্যকর করে তুলেছে। নিজস্ব বিস্তৃত ইউএভি কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও, শাহেদ-ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্ম রাশিয়ার অস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থান পূরণ করেছে। চীনও এই প্রবণতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেনি। ডেল্টা-উইং কাঠামো এবং মিশন প্রোফাইলে শাহেদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ড্রোনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার এই ধারণার প্রতি আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। শাহেদ-১৩৬ এর উদ্ভাবন এবং একে ঘিরে চীন ও রাশিয়ার ড্রোন উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি গভীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। একদিকে রয়েছে বিপুল সামরিক বাজেট, দীর্ঘ ক্রয়চক্র ও প্রাতিষ্ঠানিক জড়তা; অন্যদিকে রয়েছে কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য, যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান। নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য ইরান এমন একটি ড্রোন মডেল তৈরি করেছে, যা কার্যকারিতা, স্কেলেবিলিটি ও বাস্তব যুদ্ধ-ব্যবহারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এই অর্থে শাহেদ-১৩৬ কেবল একটি ড্রোন নয়; এটি দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারে। এই ড্রোনের ব্যাপক প্রতিলিপি আধুনিক যুদ্ধে একটি বৃহত্তর বিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যস্ত করে রাখা, প্রতিপক্ষকে ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করতে বাধ্য করা এসব ক্ষমতা প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রতিরোধ সক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।   শাহেদ-১৩৬ এর উত্থান একটি মৌলিক সত্য স্পষ্ট করে দেয় উদ্ভাবন কেবল ধনী রাষ্ট্রগুলোর একচেটিয়া ক্ষেত্র নয়। বরং এই ক্ষেত্রে ইরান সীমাবদ্ধ সম্পদকেই কৌশলগত সুবিধায় রূপান্তর করেছে এবং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যা আজ বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীগুলোকে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য করছে।

ছবি: সংগৃহীত
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ছবি : সংগৃহীত
শীত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসের প্রভাবে সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ওঠানামা করছে। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও এখনো ঘন কুয়াশার তেমন দেখা মেলেনি। সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আকাশে ঝলমলে রোদ উঠলেও শীতের দাপট কমছে না।   এ অবস্থায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসেও একই ধরনের আবহাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এ দিনও ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে এবং রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে দেশের আবহাওয়ায় তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে ইরানের তৈরি ভয়ংকর ড্রোন
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

শাহেদ-১৩৬ ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ড্রোন, যা নীরবে ড্রোন যুদ্ধের প্রচলিত নিয়মকানুন নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। এই ড্রোনের আবির্ভাব বিশ্বজুড়ে সামরিক শক্তিগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য, কৌশল ও ব্যয়ের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।   দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক অস্ত্রবাজারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিরা সামরিক উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। তবে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ লয়টারিং মিউনিশন সেই প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আকারে ছোট, তুলনামূলকভাবে কম খরচের এবং প্রযুক্তির প্রদর্শনের চেয়ে বাস্তব কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মিত এই ড্রোন আধুনিক যুদ্ধের অর্থনীতি ও কৌশলগত বাস্তবতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। স্থানীয়ভাবে নির্মিত একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিণত হওয়ার এই দ্রুত উত্থান বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শিল্পগুলোকে সরাসরি অনুকরণ ও বিপরীত-প্রকৌশলের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। এটি বৈশ্বিক কৌশলগত হিসাবের এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শাহেদ-১৩৬ এর নকশাগত দর্শন। মাত্র ৫০ হর্সপাওয়ারের একটি সাধারণ পিস্টন ইঞ্জিন, প্রায় ৪০ কেজি ওয়ারহেড বহনের সক্ষমতা এবং আনুমানিক দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লা সবকিছু মিলিয়ে এটি এমন এক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যেখানে জটিলতার বদলে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও পুনরাবৃত্তিযোগ্য কার্যকারিতাই মুখ্য। প্রতি ইউনিট ড্রোনের আনুমানিক মূল্য মাত্র ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার হওয়ায় এটি একটি বড় অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, তুলনামূলকভাবে বহু গুণ বেশি দামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে এমন ড্রোন প্রতিহত করতে হয়। উৎপাদনের কম খরচ ও প্রতিরোধের বেশি খরচ এই অসম সমীকরণ ইরানকে বৈশ্বিক ড্রোন যুদ্ধে একটি অনন্য অবস্থানে তুলে এনেছে। শাহেদ ড্রোনের প্রভাবের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো যেসব পরাশক্তি একসময় ইরানকে গৌণ বা প্রান্তিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করত, তারাই এখন এই ড্রোন গ্রহণ, অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য হচ্ছে। ইরানি মডেলের কাছাকাছি দামে তৈরি, ঝাঁকবদ্ধ হামলার উপযোগী নতুন ড্রোন ব্যবস্থার উদ্ভব খরচ-সাশ্রয়ী যুদ্ধ ধারণার প্রতি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্বের অন্যতম উন্নত ড্রোন উন্নয়নকারী শক্তিগুলোর একটি রাশিয়া তার নিজস্ব সংস্করণে শাহেদের ধারণা অন্তর্ভুক্ত করেছে। উন্নত ইঞ্জিন, রাডার এড়িয়ে যাওয়ার উপকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষমতা ও অ্যান্টি-জ্যামিং প্রযুক্তির সংযোজন এই ড্রোনকে বহু স্তরবিশিষ্ট বিমান-প্রতিরক্ষা পরিবেশে কার্যকর করে তুলেছে। নিজস্ব বিস্তৃত ইউএভি কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও, শাহেদ-ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্ম রাশিয়ার অস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থান পূরণ করেছে। চীনও এই প্রবণতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেনি। ডেল্টা-উইং কাঠামো এবং মিশন প্রোফাইলে শাহেদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ড্রোনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার এই ধারণার প্রতি আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। শাহেদ-১৩৬ এর উদ্ভাবন এবং একে ঘিরে চীন ও রাশিয়ার ড্রোন উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি গভীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। একদিকে রয়েছে বিপুল সামরিক বাজেট, দীর্ঘ ক্রয়চক্র ও প্রাতিষ্ঠানিক জড়তা; অন্যদিকে রয়েছে কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য, যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান। নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য ইরান এমন একটি ড্রোন মডেল তৈরি করেছে, যা কার্যকারিতা, স্কেলেবিলিটি ও বাস্তব যুদ্ধ-ব্যবহারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এই অর্থে শাহেদ-১৩৬ কেবল একটি ড্রোন নয়; এটি দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারে। এই ড্রোনের ব্যাপক প্রতিলিপি আধুনিক যুদ্ধে একটি বৃহত্তর বিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যস্ত করে রাখা, প্রতিপক্ষকে ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করতে বাধ্য করা এসব ক্ষমতা প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রতিরোধ সক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।   শাহেদ-১৩৬ এর উত্থান একটি মৌলিক সত্য স্পষ্ট করে দেয় উদ্ভাবন কেবল ধনী রাষ্ট্রগুলোর একচেটিয়া ক্ষেত্র নয়। বরং এই ক্ষেত্রে ইরান সীমাবদ্ধ সম্পদকেই কৌশলগত সুবিধায় রূপান্তর করেছে এবং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যা আজ বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীগুলোকে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য করছে।

ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের ৫ জোট পরিকল্পনা: রাশিয়া-চীনকে কেন্দ্র করে নতুন 'সুপারক্লাব'
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও চীনকে কেন্দ্র করে নতুন ‘সুপারক্লাব’ বা কোর-৫ জোট গঠনের পরিকল্পনা করছেন। এতে ভারত ও জাপানও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে এই জোটের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, 'জি-৭' বা অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জোটকে এড়িয়ে গিয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।   প্রস্তাবিত কোর-৫ জোটের প্রথম বিষয় হবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা—বিশেষ করে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ। তবে হোয়াইট হাউস এই নথির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে।   যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কোর-৫ জোটের ধারণা ট্রাম্পের নিজস্ব আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা টরি টসিগ বলেন, এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিশালী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সহযোগিতার প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।   যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, আন্তর্জাতিক পর্যালোচকরা বলছেন—'কোর-৫' জোটের ধারণা ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক কৌশলের একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত বহন করছে।

ছবি: সংগৃহীত
শান্তি বেশি দূরে নয়: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে চান। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।    এরদোয়ান আশা প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন খুব দূরে নয়। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তুর্কমেনিস্তানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, 'শান্তি খুব দূরে নয়; আমরা তা দেখতে পাচ্ছি'।   তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ‘'ব্যাপক শান্তি প্রচেষ্টা’' মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এরদোয়ান ইউক্রেন শান্তি প্রচেষ্টায় তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।   বৈঠকে পুতিনকে এরদোয়ান বলেছেন, জ্বালানি স্থাপনা ও বন্দর কেন্দ্র করে সীমিত যুদ্ধবিরতি সব পক্ষের জন্য উপকারী হতে পারে। তিনি বলেন, কৃষ্ণসাগরকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখা উচিত নয়। নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি, যা রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চালু, ১ মিলিয়ন ডলারে দ্রুত নাগরিকত্ব
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

বছরের শুরুতে ঘোষিত এই গোল্ড কার্ড প্রকল্পে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গোল্ড কার্ড পেতে আবেদনকারীকে প্রথমে ১০ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থ প্রমাণ করবে যে, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে আসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করলেন নতুন ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রকল্প, যার মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার (প্রায় সাড়ে ৭ লাখ পাউন্ড) পরিশোধকারী বিদেশীরা দ্রুততম সময়ে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ পেতে পারেন। খবর রয়টার্স। ট্রাম্প বলেন, এই কার্ড ‘যোগ্য ও যাচাইকৃত’ আবেদনকারীদের জন্য সরাসরি নাগরিকত্বের পথ তৈরি করবে এবং এতে মার্কিন কোম্পানিগুলো ‘তাদের অমূল্য প্রতিভা’ ধরে রাখতে সক্ষম হবে।   বছরের শুরুতে ঘোষিত এই গোল্ড কার্ড প্রকল্পে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গোল্ড কার্ড পেতে আবেদনকারীকে প্রথমে ১০ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থ প্রমাণ করবে যে, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে আসবেন। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশী কর্মীদের স্পনসর করবে তাদের ২০ লাখ ডলার দিতে হবে, এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য ফি প্রযোজ্য হবে। আরো বিশেষ কর সুবিধা সম্বলিত 'প্ল্যাটিনাম' কার্ডও শিগগিরই আসছে, যার মূল্য হবে ৫০ লাখ ডলার। আবেদন পর্যালোচনার আগেই সবাইকে ১৫ হাজার ডলার অফেরতযোগ্য প্রক্রিয়াকরণ ফি জমা দিতে হবে। ঘোষণার পর থেকেই প্রকল্পটি সমালোচিত হচ্ছে। ডেমোক্র্যাট নেতারা বলছেন, এই পরিকল্পনা ধনীদের পক্ষপাতী এবং সাধারণ অভিবাসীদের জন্য বৈষম্যমূলক। ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, গোল্ড কার্ড গ্রিন কার্ডের মতোই দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেয়, তবে এটি মূলত ‘উচ্চ দক্ষতা ও উৎপাদনশীল’ ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে তৈরি। তার বক্তব্য, ‘যারা ৫ মিলিয়ন ডলার দিতে পারে, তারা চাকরি তৈরি করবে। এটি দারুণ বিক্রি হবে, একেবারে সস্তা।   অন্যদিকে, প্রশাসন এরইমধ্যে ব্যাপক অভিবাসন দমন অভিযান চালাচ্ছে। কর্মক্ষেত্র ভিসার ফি বৃদ্ধি, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বহিষ্কার, ও বাইডেন আমলে মঞ্জুর হওয়া হাজারো আশ্রয় আবেদন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত তারই অংশ। এছাড়া ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলো মূলত আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের। গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প দক্ষ বিদেশী কর্মীদের জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসার আবেদনে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিদেশী শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, এই ফি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী