ফোনে অশ্লীল বা আপত্তিকর বার্তা পাঠানো এখন থেকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
ডিজিটাল যোগাযোগ ও তথ্যের অপব্যবহার রোধে প্রণীত এই আইন অনুযায়ী, মোবাইল ফোন, মেসেজিং অ্যাপ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা যেকোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অশালীন, মানহানিকর বা হুমকিসূচক বার্তা পাঠানো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে যদি অন্য কারও মানসম্মান বা সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, কেবল বার্তা পাঠানো নয়— এমন কোনো অডিও, ভিডিও বা ছবি পাঠানো বা শেয়ার করলেও একই ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সংস্থা প্রয়োজনে ডিজিটাল প্রমাণ জব্দ করতে পারবে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার ঠেকাতে ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এ আইনটি যুগোপযোগীভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন ও ফোনে যোগাযোগ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় এ ধরনের কঠোর বিধান সময়োপযোগী হলেও এর প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ভিডিও টুল ফায়ারফ্লাইয়ে বড় ধরনের আপডেট এনেছে অ্যাডোবি। নতুন এই আপডেটের মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা শুধু টেক্সট লিখে ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশে পরিবর্তন আনতে পারবেন। পুরো ভিডিও নতুন করে তৈরি করার দরকার হবে না। টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের সংস্করণে কোনো পরিবর্তন করতে হলে ভিডিও আবার শুরু থেকে তৈরি করতে হতো। নতুন এডিটরে সেই সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে। এখন রং পরিবর্তন, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ঠিক করা কিংবা ভিডিওর ভেতরের কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বদলানোর মতো কাজ সহজেই করা যাবে। নতুন এডিটরে একটি টাইমলাইন সুবিধাও যোগ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ফ্রেম, অডিওসহ ভিডিওর বিভিন্ন কারিগরি দিক আলাদা করে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে (প্রাইভেট বেটা) চালু হওয়া এই এডিটর এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে অ্যাডোবি। একই সঙ্গে ফায়ারফ্লাইয়ে যুক্ত করা হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানের কিছু এআই মডেলও। এর মধ্যে রয়েছে ছবি তৈরির জন্য ফ্লাক্স.২ এবং ভিডিওর মান বাড়িয়ে ১০৮০পি ও ৪কে করার জন্য অ্যাস্ট্রা। এছাড়া ফায়ারফ্লাই ভিডিওতে আরও উন্নত ক্যামেরা মুভমেন্টের সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। নতুন এই আপডেট ভিডিও নির্মাতাদের কাজ আরও সহজ ও দ্রুত করবে বলে মনে করছে অ্যাডোবি।
মানুষ এখন শুধু কাজের জন্য নয়, অনুভূতির জন্যও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভর করছে। কেউ বন্ধুর মতো সঙ্গ হিসেবে, কেউ কাজের সহায়ক হিসেবে, আবার কেউ প্রেমের বিকল্প হিসেবেও এআই চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আধুনিক একাকীত্বের নতুন রূপ, যা দ্রুত সামাজিক বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টোরো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট জেমি সান্দভাল জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এআই সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপের ৩০ শতাংশ ব্যবহার দখল করতে পারে। তিনি আরও বলেন, “এআইয়ের উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি এর নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি। কারণ বড় ভাষা মডেল ব্যবহার করেও আত্মহত্যা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।” মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অনেকেই একাকীত্ব কাটাতে এআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। কেউ সামাজিক দক্ষতা অনুশীলন করেন, কেউ মানসিক সান্ত্বনার জন্য এ পথ বেছে নেন। তবে এতে ঝুঁকিও আছে। বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের জন্য, কারণ এআই কখনও কখনও ভুল তথ্য দেয়, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ দেখায় বা বিপজ্জনক প্রবণতা বাড়াতে পারে। এর ফলে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এমন সমস্যাকে “এআই সাইকোসিস” আখ্যা দিয়েছেন, যেখানে ব্যবহারকারীরা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কল্পিত সম্পর্কের মধ্যে আটকে পড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সবাই নেতিবাচকভাবে দেখছেন না। ডিজিটাল কনসালট্যান্ট ডোয়াইট জারিঞ্জার মনে করেন, যদি নৈতিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার নিয়ম ঠিকভাবে মেনে চলা হয়, তবে এআই চ্যাটবট মানসিক সহায়তার বিকল্প হতে পারে। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ টেসা গিটলম্যান বলেছেন, মানুষ কেন এআইয়ের সঙ্গে আবেগ গড়ে তোলে, তার মূল কারণ একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। অনেকেই এমন সঙ্গ চায় যা বিচার করবে না। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, এআই সম্পর্ক কখনো মানবিক সংযোগের বিকল্প হতে পারে না, কারণ এতে থাকে না সেই উষ্ণতা, বাস্তব অনুভূতি ও সহমর্মিতা যা মানুষকে মানুষ করে।
আমাদের অনেকেরই এমন একটি ফেসবুক আইডি আছে, যা একসময় নিয়মিত ব্যবহার করা হতো কিন্তু এখন ভুলে যাওয়া স্মৃতির অংশ হয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আইডির পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর বা ইমেইল হারিয়ে যায়, ফলে প্রিয় অ্যাকাউন্টটি চিরতরে হারিয়ে গেছে মনে হয়। কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই—ফোন নম্বর, ইমেইল বা পাসওয়ার্ড ছাড়াই হারানো ফেসবুক আইডি ফিরে পাওয়া সম্ভব। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হলো। ধাপ ১: ব্রাউজার প্রস্তুত করুন মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকেই কাজটি শুরু করুন, কারণ ফেসবুক অ্যাপের চেয়ে ব্রাউজারে বেশি অপশন পাওয়া যায়। মোবাইলে Chrome খুলুন। অ্যাড্রেস বারে m.facebook.com লিখে প্রবেশ করুন। এরপর ব্রাউজারের থ্রি-ডট মেনু (⋮) থেকে ‘Desktop Site’ চালু করুন। এতে ফেসবুকের ডেস্কটপ ভার্সন দেখা যাবে, যা আইডি খুঁজতে সহজ করে। ধাপ ২: ‘Forgotten Password’ অপশন ব্যবহার করুন লগইন পেজে গিয়ে ‘Forgotten Password?’ বা ‘পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?’ লিঙ্কে ক্লিক করুন। যদি ফোন নম্বর বা ইমেইল মনে না থাকে, তবে ‘Search by your email address or name instead’ বেছে নিন। এরপর নির্দিষ্ট বক্সে আপনার ফেসবুক আইডির পুরোনো নামটি লিখে সার্চ করুন—প্রোফাইলে যেভাবে নামটি লেখা ছিল, ঠিক সেভাবেই লিখুন। ধাপ ৩: নিজের আইডি শনাক্ত করুন সার্চের পর একই রকম নামের একাধিক প্রোফাইল দেখা যেতে পারে। তালিকা থেকে আপনার প্রোফাইল ছবি ও তথ্য দেখে সঠিক আইডিটি শনাক্ত করুন। পাওয়া গেলে ‘This is my account’ বাটনে ক্লিক করুন। ধাপ ৪: পুনরুদ্ধারের উপায় নির্বাচন করুন ফেসবুক এখন আপনার পরিচয় যাচাই করবে। এ সময় নিচের এক বা একাধিক বিকল্প আসতে পারে— কোড পাঠানো: পূর্বের ফোন নম্বর বা ইমেইলে OTP পাঠানো হবে। যেটিতে অ্যাক্সেস আছে সেটি বেছে নিন। ভিডিও ভেরিফিকেশন: পূর্বে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র বা সরকারি আইডি দিয়ে ফেসবুক ভেরিফাই করা থাকে, তাহলে মুখের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও আপলোড করে যাচাই করতে হতে পারে। পুরোনো ডিভাইস ব্যবহার: যদি কোনো পুরোনো ডিভাইসে আগে লগইন করা থাকে, ফেসবুক সেই ডিভাইসে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে লগইনের সুযোগ দিতে পারে। ধাপ ৫: নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। সঠিক কোড ইনপুট করে ‘Continue’ চাপুন এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করুন। লগইন করার সময় ‘Trust this device’ অপশনটি চালু রাখলে ভবিষ্যতে সহজে প্রবেশ করা যাবে। এভাবেই আপনি আবার ফিরে পাবেন আপনার হারানো ফেসবুক আইডি। বিশেষ সতর্কতা ও পরামর্শ ধৈর্য ধরুন: একাধিক ভুল প্রচেষ্টায় ফেসবুক আপনার আইপি সাময়িকভাবে ব্লক করতে পারে। নামের ভিন্নতা: ইংরেজি বা বাংলা বানানের ভিন্নতা চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সহায়তা নিন: বন্ধুর প্রোফাইল থেকে আপনার পুরোনো আইডি লিংক বা ইউজারনেম দেখে নিতে পারেন। ইন্টারফেস পরিবর্তন: ফেসবুক নিয়মিত আপডেট দেয়, ফলে অপশনগুলো কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। ভিডিও ভেরিফিকেশন: এই ফিচারটি মূলত আগে ভেরিফাই করা আইডির জন্যই প্রযোজ্য। সতর্কভাবে ধাপগুলো অনুসরণ করলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই আপনার পুরোনো ফেসবুক আইডি ফিরে পাওয়া সম্ভব।