অর্থনীতি

ছবি: সংগৃহীত
কৃষকের ঘাম আর ভোক্তার পকেট- দু’দিক থেকেই লুটছে বাজারের সিন্ডিকেট

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শীতের সবজি এখন ভরপুর শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, লাউ, মুলাসহ নানা ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবুও দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কৃষক ন্যায্য দাম পান না, ভোক্তাও ন্যায্য দামে কিনতে পারেন না; লাভের বড় অংশটি হাতিয়ে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট। এদের নিয়ন্ত্রণে আনার মতো উদ্যোগ কোথাও দেখা যায় না। ফলে কৃষকের ঘাম আর ভোক্তার কষ্ট দুই দিক থেকেই লাভবান হচ্ছে এই চক্রটি। প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন, আর কবে স্বস্তি ফিরবে সাধারণ মানুষের জীবনে।   শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, গত অক্টোবরে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে সারা দেশে শীতকালীন সবজির উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক জায়গায় সবজির ক্ষেতও নষ্ট হয়েছে, ফলে স্থানীয় পর্যায়ে দাম বেড়েছে। এক ক্রেতা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, শীতের সবজি বাজারে এসেছে প্রায় এক মাস হলো, কিন্তু দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। অন্য বছর এ সময়ে সবজির দাম অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যেত। বর্তমানে ভালো মানের বেগুন এক কেজি ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণত গরমকালে হয়ে থাকে। মাঝারি ফুলকপি বা বাঁধাকপি ৪০–৬০ টাকা, আর নতুন শিম ৮০–১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের বছর এ সময় এসব সবজি পাওয়া যেত প্রায় অর্ধেক দামে। নতুন আলু সবসময়ই একটু বেশি দামে আসে  এবারও কেজিপ্রতি ১০০–১২০ টাকায় মিলছে। অন্যান্য সবজির মধ্যেও রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। বরবটি ৭০–৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও পটোল ৬০–৮০ টাকা, আর একটি মিষ্টি কুমড়া ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের দামও চড়া—এক আঁটি ২০ টাকার নিচে খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সবজি দাম কমেনি, পেঁয়াজের বাজারে সামান্য স্বস্তির দেখা মিলেছে। অনেক জায়গায় দেশি পেঁয়াজ ১১০–১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে ফার্মের ডিমের দাম সহনীয় প্রতি ডজন ১২৫–১৩০ টাকা। তবে মুরগির বাজারে বেড়েছে চাপ। এক সপ্তাহেই ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ব্রয়লার ১৯০ টাকা, সোনালি ৩০০–৩৩০ টাকা, দেশি ৫৫০–৬৫০ টাকা এবং লেয়ার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের মতে, ফিডের দাম বৃদ্ধিসহ খামারের অন্যান্য ব্যয় বাড়ায় এ পরিস্থিতি। মাছের বাজারেও বড় পরিবর্তন নেই। ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি; মাঝারি ইলিশ ১৫০০ টাকা এবং বড় ইলিশ ২০০০–৩০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতল, মৃগেল ৩০০–৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া ১৯০–২৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য মাছের মধ্যেও একই প্রবণতা মাগুর ৫০০, কৈ ২০০–২৫০, সিলভার কার্প ২৫০–৩০০, বোয়াল ৫০০–৭০০, কালিবাউশ ৪৫০, আইড় ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের দামও বেশি কাঁচকি ৪৫০, মলা ৩০০, পাবদা ৩০০–৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৬৫০–১০০০ টাকা পর্যন্ত। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীতে সবজির নিয়মিত সরবরাহ এখনো শুরু হয়নি। আরও ৭–১০ দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে এবং তখন দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।   তবে বাজার পরিস্থিতি বছর বছর একই থাকে সরবরাহ থাকে স্বাভাবিক, তবুও দাম কমে না। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরা থাকলেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে। কে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী, কারা দাম বাড়িয়ে লাভ লুটছে সে প্রশ্নের উত্তর আজও অস্পষ্ট। কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পান না, আর ক্রেতাও স্বস্তি পান না। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
২৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৪১ মিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছরের নভেম্বরের প্রথম ২৫ দিনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২ হাজার ৪৪১ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮.৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৯৭ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১২ হাজার ৫৯০ মিলিয়ন ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাহ ছিল ১০ হাজার ৮৩৫ মিলিয়ন ডলার। সামগ্রিকভাবে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহে স্পষ্ট ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ফের বাড়ল

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারে এমন প্রত্যাশার ভিত্তিতে স্বর্ণের দাম প্রায় এক শতাংশ বৃদ্ধি পায়।   স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে স্পট স্বর্ণের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪,১১১.৮৬ ডলার এ পৌঁছায়। ডিসেম্বর মাসের জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার দামও ০.৪ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪,০৯৪.২ ডলার এ স্থির হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে ধারণা জোরালো হচ্ছে যে ডিসেম্বরে ফেড সুদের হার কমানোর পথে থাকতে পারে। এতে মুদ্রানীতির নরম অবস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা স্বর্ণের দামের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সম্প্রতি জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো সম্ভব, যা মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং কর্মসংস্থানের বাজারও স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। এদিকে বাজার পর্যবেক্ষণকারী সূচকে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদের হার কমার সম্ভাবনা প্রায় ৭৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, সামনের ডেটাগুলো মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমার ইঙ্গিত দিতে পারে, এবং এতে স্বর্ণের দামে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে ইউক্রেন পরিস্থিতি স্বর্ণের বাজারকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দাম আপাতত ৪,০০০ থেকে ৪,১০০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। স্বর্ণের পাশাপাশি অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামও বেড়েছে। স্পট রুপার দাম বেড়েছে ১.৭ শতাংশ, প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে ৫০.৮৪ ডলার। প্লাটিনাম বেড়েছে ২.৩ শতাংশ, প্রতি আউন্স ১,৫৪৫.৯১ ডলারে পৌঁছেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ভারতে মাতৃদুগ্ধে মিলল ইউরেনিয়াম, বিজ্ঞানীরা বলছেন ঝুঁকি নেই

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের এক গবেষণায় স্তন্যদানকারী মায়েদের দুধে ইউরেনিয়াম পাওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই উদ্বেগের বিষয়ে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) এক জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেছেন, গবেষণার ফলাফল জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক কিছু নয়। বিহারে মাতৃদুগ্ধের নমুনায় পাওয়া ইউরেনিয়ামের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে রয়েছে।   রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির পারমাণবিক বিজ্ঞানী, এনডিএমএর সদস্য ও ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক ড. দীনেশ কে অসওয়াল এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গবেষণার ফল নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।   তিনি বলেন, যে মাত্রা শনাক্ত হয়েছে, তা নিরাপদ সীমার মধ্যেই আছে। আসলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানীয়জলে যে অনুমোদিত সীমা নির্ধারণ করেছে, তা এই গবেষণায় পাওয়া মাত্রার তুলনায় প্রায় ছয় গুণ।   বিহারের পাটনার মহাবীর ক্যানসার সংস্থান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, নয়াদিল্লির এআইআইএমএসের কয়েকজন বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে ওই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।   ব্রিটিশ জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারের স্তন্যদুগ্ধে সর্বোচ্চ ৫ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন) ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। গবেষণার সহ-লেখক দিল্লির এআইআইএমএসের বিজ্ঞানী ড. অশোক শর্মা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, গবেষণায় ৪০ জন স্তন্যদানকারী মায়ের দুধ বিশ্লেষণ করা হয় এবং সব নমুনাতেই ইউরেনিয়াম (ইউ-২৩৮) পাওয়া গেছে।   ‘‘যদিও এই গবেষণায় ৭০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নন-কার্সিনোজেনিক ঝুঁকি দেখা গেছে। তবে সামগ্রিক ইউরেনিয়ামের মাত্রা অনুমোদিত সীমার নিচে এবং মা ও শিশুর ওপর প্রকৃত স্বাস্থ্যঝুঁকি খুবই কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।’’   দীর্ঘমেয়াদে ইউরেনিয়ামের সংস্পর্শ পেলে তা শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। ড. শর্মা বলেন, এই গবেষণায় যে ফল পাওয়া গেছে, তাতে প্রকৃত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং মায়েরা অবশ্যই শিশুদের দুধপান করানো অব্যাহত রাখবেন।   ড. অসওয়াল বলেন, ‘‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। মায়েরা নির্দ্বিধায় শিশুদের বুকের দুধ পান করানো চালিয়ে যাবেন। পানীয়জলে ইউরেনিয়ামের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমা ৩০ পিপিবি; যা বিহারের নমুনায় পাওয়া মাত্রার তুলনায় ছয় গুণ বেশি। অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিমাণের ইউরেনিয়াম পৃথিবীর স্থলভাগে স্বাভাবিকভাবেই মিশে থাকে। এছাড়া স্তন্যদানকারী মায়েদের গ্রহণ করা ইউরেনিয়ামের বেশিরভাগই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়; একেবারে সামান্য অংশ দুধে যায়।   • গবেষণায় কী মিলছে? মহাবীর ক্যানসার সংস্থান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তা ড. অরুণ কুমার নেতৃত্বাধীন ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানিতে ইউরেনিয়ামের দূষণ মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ভারতে ১৮টি রাজ্যের ১৫১টি জেলায় ভূগর্ভস্থ পানিতে ইউরেনিয়াম দূষণ শনাক্ত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো স্তন্যদানকারী মায়েদের স্তন্যদুগ্ধে ইউরেনিয়াম দূষণ এবং তাদের দুধপানকারী শিশুদের ওপর এর প্রভাব মূল্যায়ন করা। শিশুরা মায়ের দুধের মাধ্যমে যে ইউরেনিয়ামের সংস্পর্শে আসে তা পরিমাপের জন্য বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ৪০ জন স্তন্যদানকারী নারী নির্বাচন করা হয়। তাদের লিখিত সম্মতি নিয়ে দুধ সংগ্রহ এবং ইউ-২৩৮ পরিমাপ করা হয়। ‘‘শিশু এবং মায়েদের কার্সিনোজেনিক ঝুঁকি (সিআর) ও হ্যাজার্ড কোটিয়েন্ট (এইচকিউ) হিসেব করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের মায়ের দুধের মাধ্যমে ইউরেনিয়াম-সংস্পর্শ ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। গবেষণার জন্য সংগৃহীত সব স্তন্যদুগ্ধের নমুনায় ইউ-২৩৮ পাওয়া গেছে, যা শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দেহ থেকে ইউরেনিয়াম বের হওয়ার সময়ভেদে মায়েদের তুলনায় শিশুরা নন-কার্সিনোজেনিক ঝুঁকির জন্য বেশি সংবেদনশীল। গবেষণা বলছে, স্তন্যদুগ্ধে ইউরেনিয়ামের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।’’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় ইউরেনিয়াম-সংস্পর্শের ওপর বৃহত্তর মাত্রায় বায়োমনিটরিং প্রয়োজন।   • গবেষণার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি স্তন্যদুগ্ধকে শিশুর পুষ্টির ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে শিশুদের বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য জরুরি পুষ্টি, অ্যান্টিবডি এবং বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ ছয় মাস কেবল মাতৃদুগ্ধ পান এবং দুই বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত দুধপান চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।   • কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপিত কিংবা প্রসঙ্গ ছাড়া প্রকাশিত হলে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। ড. অসওয়াল বলেছেন, এই বিষয়ে ভুল তথ্যের বিস্তার এবং মায়েদের সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব ঠেকানোই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, দুধপান শুধু পুষ্টির বিষয় নয়; এটি একটি জনস্বাস্থ্যগত অগ্রাধিকার। ভিত্তিহীন আশঙ্কায় দুধপান বন্ধ করা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, পরিবেশগত ঝুঁকির তুলনায় দুধপানের উপকারিতা অনেক বেশি। দুধপান করা শিশুদের সংক্রমণ, স্থূলতা ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কম থাকে। মায়েদের ক্ষেত্রেও স্তন ও ডিম্বাশয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।   • বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গবেষণায় পাওয়া ইউরেনিয়ামের মাত্রার তুলনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমা ছয় গুণ বেশি। এই বিশাল ব্যবধান একটি শক্তিশালী সুরক্ষাবিধান দেয়। আন্তর্জাতিক গবেষণায়ও দেখা যায়, ইউরেনিয়ামের শনাক্ত হওয়া এমন স্তর স্বাভাবিক এবং সাধারণত পরিবেশে প্রাকৃতিকভাবে থাকা মাত্রার প্রতিফলন। ড. অসওয়াল বলেন, জনস্বাস্থ্য সিদ্ধান্তে বিজ্ঞানকেই পথ দেখাতে হবে, ভয়কে নয়। আমাদের অনুসন্ধান প্রমাণ করে যে দুধপান সম্পূর্ণ নিরাপদ।   সূত্র: এনডিটিভি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দি

ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলের কারাগারে প্রয়োগ করা নির্যাতন, যৌন ও শারীরিক অত্যাচার এবং প্রাণহানির ঘটনা নিয়মিত হয়েছে—এটি কেবল ব্যতিক্রম নয়, বরং একটি নীতি হিসেবে চলেছে। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস।    সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু নিশ্চিতভাবে নির্যাতন, শারীরিক হামলা, চিকিৎসার প্রতি অবহেলা বা অপুষ্টির কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন।   পিএইচআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর অনেক ঘটনাই ইসরায়েলের সামরিক ও সিভিলিয়ান কনসেনট্রেশন সুবিধায় ঘটেছে।   প্রতিবেদনের একজন লেখক ওনেগ বেন ডরোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, 'এটি শুধু চরম-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের নীতি নয়, এটি ইসরায়েলের নীতি, যা ইসরায়েলি হেফাজতে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে।'    প্রতিবেদনটিতে নির্যাতনের কয়েকটি জ্বলন্ত উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, পশ্চিম তীরের ৩৩ বছর বয়সী বাসিন্দা আব্দ আল-রাহমান মারি। তিনি নভেম্বর ২০২৩-এ মেগিডো কারাগারে মারা যাওয়ার পর তার দেহে অসংখ্য চিহ্ন, আঘাত এবং হাড় ভাঙার প্রমাণ পাওয়া যায়।   ওয়ালিদ খালেদ আব্দুল্লাহ আহমাদ, ১৭ বছর বয়সী নাবলুসের বাসিন্দা। সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ আটক হওয়ার ছয় মাস পর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর দেহে প্রায় কোনো পেশী বা চর্বি অবশিষ্ট ছিল না, যদিও তার পরিবার বলেছিল সে একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন।   আরাফাত হামদান, ২৫ বছর বয়সী, বেইত সিরার বাসিন্দা। শুধুমাত্র দুই দিন সামরিক হেফাজতে থাকার পর মারা যায়। 'টাইপ-১' ডায়াবেটিসের রোগী আরাফাতকে বাঁচতে নিয়মিত ইনসুলিন প্রয়োজন ছিল। মৃত্যুর সময় তাকে মারধর করা হয় এবং ওষুধ দেয়া হয়নি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সোনার দাম কমল, প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১,৩৫৩ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন হিসেবে প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১,৩৫৩ টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। এতে ২২ ক্যারেটের ভালো মানের সোনার দাম দুই লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকায় নেমে এসেছে। এই নতুন দাম শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।   বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম কমে যাওয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪,১০০ ডলারের নিচে নেমেছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা।   সোনার দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৪,২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪,০৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩,৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২,৬০১ টাকা।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি ১৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতের আমানত ৯.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের মাস আগস্টে এই বৃদ্ধি ছিল ১০.০২ শতাংশ, যা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের এই ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দীর্ঘ সময় স্থবির থাকার পর ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়।   বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের আগে টানা ১৩ মাস আমানতের বৃদ্ধি ৯ শতাংশের নিচে ছিল। জুন ২০২৪ এ এটি ৯.২৫ শতাংশে উঠেছিল। ব্যাংকাররা জানান, বর্তমানে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার ৮.৫ থেকে ৯.৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি ৮.৩৬ শতাংশ হওয়ায় প্রকৃত সুদের হার ইতিবাচক। তাছাড়া সেপ্টেম্বরে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার কমতে শুরু করার কারণে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংকে আমানত রাখছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট আমানত ১৯ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের ১৭ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকের বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা নগদ অর্থও কমে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকায় এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থ ৮ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা কমেছে।   বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাংকে আস্থা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে আছে। ব্যাংক আমানতের ধারাবাহিক বৃদ্ধি এবং নগদ অর্থের ব্যালান্স কমার বিষয়টি দেশের আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতার সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজ–সবজির দাম বেড়েছে

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।   ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং মজুতকৃত পেঁয়াজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে। তাদের মতে, ডিসেম্বরের আগে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার সুযোগ নেই। তবে সরকার আমদানির অনুমতি দিলে দাম কমতে পারে। সবজির বাজারেও হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ও ঝিঙে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১৪০ টাকা এবং টম্যাটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শিমের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেশি। ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।   সবজি বিক্রেতাদের মতে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুদিন আগে দাম কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক ট্রাক রাজধানীতে সবজি নিয়ে আসতে চাইছে না। ফলে সাময়িকভাবে সরবরাহ কমে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ধারণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী সপ্তাহেই বাজার স্থিতিশীল হবে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
উৎপাদন বেশি, তবু পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী

দেশের কৃষিপণ্যের বাজারে স্বাভাবিক বাজার সূত্র কিছুটা ব্যর্থ হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও পণ্যের দাম কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার ঘটনা দেখা গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত মৌসুমে প্রায় ৪ লাখ টন বেশি পিঁয়াজ উৎপাদন হলেও আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি।   ফলে হঠাৎ পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার এখন বিশেষ টাস্কফোর্স মাঠে নামিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু পিঁয়াজ নয়, মসলাজাতীয় আরও দুটি পণ্যের—আদা ও রসুনের—দামও ঊর্ধ্বমুখী। টিসিবি তথ্যানুসারে, ২৯ অক্টোবরের তুলনায় ৫ নভেম্বরের মধ্যে কেজিপ্রতি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা, আদার ১০ টাকা এবং রসুনের ১৫ টাকা। ২৯ অক্টোবর পিঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ টাকা কেজি, যা বেড়ে ১১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আদার দাম ১৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা এবং রসুনের দাম ১৬৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২,৯৩৪ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪৪ লাখ টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আগের অর্থবছরে ২,৭৩৫ হেক্টরে ৪০ লাখ টন উৎপাদন হয়েছিল। এর পরও নভেম্বরে পিঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতি বছরই নভেম্বরে কিছু কৃষিপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা সাধারণত সাময়িক। তবে এবার বৃষ্টির কারণে দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। শিগগিরই মুড়িকাটা পিঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্সের কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে পিঁয়াজের খুচরা মূল্য ৪০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও মূল্য বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সচিবালয়ে পিঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও বর্তমান বাজারদর নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, আমদানি বাড়িয়ে সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন ইতিমধ্যেই আমদানির সুপারিশ দিয়েছে।   সাবেক সচিব ও কৃষিপণ্যের বাজার বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, উৎপাদন ও চাহিদার তথ্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে দাম নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হয়েছে। উৎপাদন বেশি থাকলেও পণ্যটি এখন কৃষকের হাতে নেই এবং ফড়িয়ার দখলে চলে গেছে। তাদের মতে, যথাসময়ে আমদানির অনুমতি না দেওয়া ছিল চরম ভুল।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
টানা দরপতনে বিপর্যস্ত শেয়ারবাজার, আস্থাহীনতায় দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

টানা দরপতনে বিপর্যস্ত দেশের শেয়ারবাজার। সোমবারও (১০ নভেম্বর) মূল্যসূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা সাত কার্যদিবসে সূচক কমেছে ২৬১ পয়েন্ট। অব্যাহত পতনে মূল্যসূচক চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও কমে দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারের এ দুরবস্থায় দিশেহারা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।   বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। এই ব্যাংকগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে। এখন তাদের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণা করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার দায় বিনিয়োগকারীদের নয়, তবু কেন তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে? বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুনর্গঠনের পরও বাজারে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এতটাই গভীর যে ভালো-মন্দ সব ধরনের শেয়ারেরই ঢালাও দরপতন হচ্ছে। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, সোমবার মোট ৩৮৬টি কোম্পানির মধ্যে ৭০টির দর বেড়েছে, ২৭৫টির দর কমেছে এবং ৪১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ, লেনদেনকৃত ৭১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির (১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ প্রদানকারী) ৪৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে, ১৪৪টির কমেছে এবং ২৪টির অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরির (১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ প্রদানকারী) ১৬টির দর বেড়েছে, ৫২টির কমেছে এবং ১১টির অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ‘জেড’ গ্রুপের (লভ্যাংশ না দেওয়া) ১১টির দর বেড়েছে, ৭৯টির কমেছে এবং ৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৬০ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১,০১০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে ১,৯১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। একীভূত পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার ‘শূন্য’ ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের প্রতি অন্যায় আচরণ। ব্যাংকগুলোর ধসের জন্য দায়ী দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, অডিটর, বানোয়াট রেটিং সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতা। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লেনদেনের পরিমাণও প্রতিদিন কমছে। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা কম। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনকৃত ১৭৩টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির দর বেড়েছে, ১২৭টির কমেছে এবং ৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪০ পয়েন্ট।   বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণার নেতিবাচক প্রভাবও বাজারে গভীর প্রভাব ফেলছে। তাদের মতে, এ পরিস্থিতির দায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষ কেউই এড়াতে পারে না, কারণ ব্যাংকগুলোর দুরবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই জানা ছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং বিনিয়োগকারীদের আগাম সতর্কও করা হয়নি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
৮ বছর পর ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় আট বছর পর ভারত থেকে আবার আপেল আমদানি শুরু করা হয়েছে।    হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বাসস।   তিনি বলেন, প্রায় ৮ বছর ধরে ভারত থেকে বৈধপথে আপেল আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দেশের বাজারে আপেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি উভয় দেশের আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সমঝোতা বৈঠকের পর রোববার বিকেল থেকে হিলি দিয়ে ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু করা হয়েছে। কাশ্মির থেকে এসব আপেল আমদানি করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খাজা আজমির ট্রেডিং।   সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, রোববার বিকেল ৫টায় ভারত থেকে আপেল বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। প্রথম দিন এক ট্রাকে ৩০ টন আপেল আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় পর এসব আপেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।   আমদানিকারক আলহাজ্ব এম এ আবছার আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রাইম এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফের মাধ্যমে ভারতের মালদার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ট্রের্ডাস কাশ্মির থেকে এসব আপেল রপ্তানি করেছে।    হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন বলেন, দীর্ঘদিন পর এই বন্দর দিয়ে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতি টন আপেল ৭০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আপেল যেহেতু কাঁচাপণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।   সূত্র :  বাসস।  

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ডিএসইতে টানা দরপতন, ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও (১০ নভেম্বর) দরপতন হয়েছে। এই নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দরপতন হলো। এই ৭ কার্যদিবসের দরপতনে এক্সচেঞ্জটির প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬১ পয়েন্টের বেশি। এর মধ্যে আজ ৩৯ পয়েন্ট কমেছে। অন্য দুই সূচকেও পতন হয়েছে। এক্সচেঞ্জটির লেনদেনেও গতি কমেছে। আজ ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।   বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানত তিনটি কারণে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো- আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা। এছাড়া, সম্প্রতি গেজেট আকারে প্রকাশিত মার্জিন ঋণ বিধিমালা প্রক্রিয়া জটিল হওয়া এবং পাঁচ ব্যাংক একীভূত হলে বিনিয়োগকারী শেয়ার শূন্য হবেন কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা না পাওয়া।   বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে আজ মোট ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির। বিপরীতে কমেছে ২৭৫টির। এই দরপতন দরবৃদ্ধির চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ গুণ। আজ লেনদেন শেষে ৪১টি সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৪৪টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫২টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৭৯টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।   অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৯ পয়েন্টে বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে নেমেছে। গত ৩০ অক্টোবরের পর থেকে এই সূচকটি টানা পয়েন্ট হারাচ্ছে। ওইদিন সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অর্থাৎ মাত্র ৭ কার্যদিবসে সূচকটি কমেছে ২৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট। গতকাল (রোববার) লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিলো ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টে।   অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিনের ব্যবধানে ১২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ১১ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গতকাল সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে। আর ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯১০ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৯২৯ পয়েন্টে।   ডিএসইতে আজ আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এদিন মোট ৩৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন ১৩ কার্যদিবস বা গত ২২ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন, ওইদিন ৩৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।   দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক পয়েন্ট হারিয়েছে। পাশাপাশি এদিন সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।   সিএসইতে আজ মোট ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১২৭টির। আর ৯টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল।   অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই আজ ১৪০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৪৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ৭৫ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৫০৫ পয়েন্টে নেমেছে। এছাড়া, সিএসই ৫০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬০ পয়েন্টে, সিএসই ৩০ সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ৮৬২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।   এদিকে আজ এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গতকাল সিএসইতে ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছিল।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
স্থিতিশীল চালের দাম পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী

রাজধানীর বাজারে গত এক মাস ধরেই চালের দাম উচ্চ পর্যায়ে স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারি বাজারে এখন কোনো চালই ৫৮ টাকার নিচে নেই খুচরা বাজারে ক্রেতাদের ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দামও বেড়ে কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় পৌঁছেছে।   গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাইকারিতে প্রতি কেজি পাইজাম ও আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে এসব চালের দাম আরও ৫ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন দেড়-দুই মাস আগে যে দাম বেড়েছিল এখনো তা অপরিবর্তিত আছে। পেঁয়াজের দামেও লাগাম নেই। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও পাড়া-মহল্লায় ১৩০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এক ক্রেতা হোসেন আলী বলেন ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু এত দ্রুত ১২০ টাকা হয়ে যাবে ভাবিনি। বিক্রেতা আল আমিন বলেন সরবরাহ কম সামনে আরও বাড়তে পারে আমদানি ছাড়া উপায় নেই।   অন্যদিকে কিছু পণ্যে স্বস্তি মিলছে। আলু কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন ১৬০ টাকা দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা থাইল্যান্ডের আদা ২০০ টাকা ও চায়না আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। বাজারে পাঙাশ ও তেলাপিয়া ১৯০ থেকে ২০০ টাকা চাষের কৈ ২০০ টাকা পাবদা ৪০০ টাকা এবং এক কেজি রুই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের রুইয়ের দাম ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।   সবজির বাজারেও ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। পটোল চিচিঙ্গা ধুন্দল ও ঢ্যাঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম কিছুটা কমে এসেছে—লম্বা বেগুন ৫০ টাকা সবুজ গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা আর তাল বেগুন বেড়ে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা মরিচ ১২০ টাকা শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে উচ্ছের দাম কমে ৭০ টাকায় এসেছে। কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।   ডিম মুরগি ও মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন হয়নি। প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা হালি লাল ডিম ৪৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা সোনালি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হাইব্রিড সোনালি ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ খাসির মাংস ১২০০ এবং ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।   সব মিলিয়ে বাজারে চাল পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ পর্যায়েই রয়ে গেছে। ক্রেতারা বলছেন মাসের পর মাস দাম না কমায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় ভারত

বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সয়াবিন রপ্তানি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের তিনটি শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান আগামী এক বছরের মধ্যে এসব সয়াবিন আনবে।   মার্কিনিদের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বিলিয়ন ডলারের চুক্তির কারণে ভারতের সয়ামিল খাত ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে।   গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।   সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ২০২৪-২৫ তেল বছরে এমনিতেই রপ্তানি কম ছিল। এখন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনায় সয়ামিল রপ্তানিকারকরা আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বাংলাদেশ ভারতের সয়ামিলের অন্যতম বড় বাজার। তবে গত বছর বাংলাদেশে তাদের সয়ামিল রপ্তানি কমে ১ দশমিক ৬৩ লাখ টনে নেমে আসে। যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ শতাংশ কম ছিল।   ভারতের সয়াবিন প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ডিএন পাঠক বলেছেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমদামে প্রচুর সয়াবিন কিনছে। এ কারণে ২০২৪-২৫ তেলবছরে আমাদের রপ্তানি অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশ মাত্রই সয়াবিন কেনার ১ বিলিয়ন ডলারের বিশাল একটি চুক্তি করেছে। যার অর্থ বাংলাদেশ আর ভারত থেকে এ পণ্য কিনবে না। আর এটি একটি চিন্তার বিষয়।”   গত মঙ্গলবার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের তিনটি শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ১২ মাসে ১ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কিনবে।   বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাণিজ্য উত্তেজনার জেরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল চীন। তখন দেশটি বিকল্প ক্রেতা খুঁজছিল। এরমধ্যেই বাংলাদেশে বিপুল সয়াবিন রপ্তানি করতে যাচ্ছে দেশটি।   সূত্র: দ্য হিন্দু

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
তিন দেশ থেকে এক লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের

সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে মোট এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ টাকা।   বুধবার (২২ অক্টোবর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার একটি বাফার গোডাউন নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়।   বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সার্বিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ টাকা, যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার।   এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস কোম্পানি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি ০১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা, প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।   কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়ার জেএসসি প্রোডিন্টর্গ কোম্পানি থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।   এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার একটি নতুন গোডাউন নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গোডাউন নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করবে এম/এস এমবিএল আরএফএল প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৫ টাকা।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অনুমোদনহীন সিবিএ নেতাদের উপস্থিতি ও ফুলেল শুভেচ্ছা ঘিরে সমালোচনা উঠেছে। গত ১৬ অক্টোবর ‘কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ উত্তরণে রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব। এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের নিবন্ধিত ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন (বি-৯৮৫) দাবিকৃত অননুমোদিত সভাপতি ফয়েজ আহমেদ (সাবেক পিয়ন) ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সচিব নাজমা মোবারেককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ দুইজনের কোনো বৈধ অনুমোদন না থাকলেও তারা নিজেদের সিবিএ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। এ কারণে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে।  ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, তারা দুজনই কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) বৈধ সভাপতি আব্দুল হালিম হত্যা মামলার আসামি, যারা বর্তমানে অস্থায়ী জামিনে মুক্ত আছেন।  নিহত আব্দুল হালিম ছিলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বাসিন্দা ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মচারী। মতিঝিল থানার এসআই সজীব কুমার সিংয়ের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সিবিএর সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহামেদ জানান, হালিম ভাই ২০১৪ সালে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন, আমি সাধারণ সম্পাদক। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফয়েজ ও মিরাজ নিজেদের সভাপতি-সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে জোরপূর্বক অফিস দখল করে নেয়। তিনি আরও বলেন, আমরা শ্রম আদালত ও থানায় মামলা করেছি, আদালত ইতিমধ্যে তাদের নোটিশ দিয়েছে। হালিম ভাইকে আগেও তারা হুমকি দিয়েছিল। নাসিমের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছেন কৃষি ব্যাংকের এইচআরএমডি বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন, ডিজিএম লিয়াকত আলী, এবং পর্ষদ সচিবালয়ের ডিজিএম হাবিব উন নবী। তারা নাকি সিন্ডিকেট গড়ে বদলি, পদোন্নতি ও টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক বলেন, সিবিএ কোনোভাবেই এমন সেমিনারে যোগ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত ও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুশাসন, পেশাদারত্ব ও সিন্ডিকেটমুক্ত পরিবেশ উপহার দেবেন। 

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য শুল্কমুক্ত থাকবে

২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। যুক্তরাজ্যের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) কর্মসূচির আওতায় এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।   বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।   বাণিজ্য দূত উইন্টারটন বলেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়েও যেন বাংলাদেশ তার রপ্তানি প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বহাল থাকবে।”   তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের অবকাঠামো, সবুজ জ্বালানি, প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে যুক্তরাজ্য নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।   বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে, যা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার নতুন অধ্যায়। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” বৈঠকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনালটি চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে।   এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১০, ২০২৫ 0
সোনার ভরি দুই লাখ টাকা ছাড়াল

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভরিপ্রতি সোনার দাম দুই লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দামের ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের ঊর্ধ্বগতি এবং স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২,০০,২৪৫ টাকা। ২১ ক্যারেট সোনার দাম হবে ১,৯১,০৭৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৬৩,৮৫৭ টাকা। এছাড়া, প্রতি ভরি সাধারণ (তামা মিশ্রিত) সোনার দাম ধরা হয়েছে ১,৩৯,৯৭৩ টাকা। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সোনার দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে সোনা, আবার ব্যবসায়ীরা বলছেন—বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই সমন্বয় করা হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ০৭, ২০২৫ 0
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২৬৮ কোটি ডলার

বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। গত বছরের ওই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর আগে, গত আগস্টে দেশে আসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এবং জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয়প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের উচ্চ দামও বৈধপথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত করছে। এসব কারণে কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স আয় বেড়েছে। এর ব্যতিক্রম হয়নি চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও।

Admin অক্টোবর ০৬, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0