সর্বশেষ

ছবি: সংগৃহীত
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখা হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে। এর আগে এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে নেওয়া এই পুরো প্রক্রিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ৩৬ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় ওড়িশা রাজ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব নতুন নাগরিকের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক। তিনি জানান, এই আইনের মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার মানুষদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণের মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরও প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওড়িশার জনশুমারি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৫ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কার্যকর হওয়া বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিধান অনুসারেই এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানান, ওই নারী পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় শ্রীভূমি জেলার এক যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর গত বছর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ধর্মানন্দ দেব আরও জানান, সিএএর আওতায় আসামে তিনিই প্রথম নারী যিনি নাগরিকত্ব পেলেন। পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে এই প্রথম কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ধারা ও ৬বি ধারার অধীনে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ওসমান হাদির সিঙ্গাপুর যাত্রা নিয়ে জানা গেল নতুন তথ্য

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এ বিষয়ে একটি জরুরি কল–কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদি অংশ নেন। এদিন এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। গত দুই দিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং অপরিবর্তিত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার দুপুরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যাবেন তার ভাই ওমর হাদি এবং আরও একজন সহযাত্রী। ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। একই সঙ্গে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
হাদিকে গুলি : ভারতে গিয়ে সেলফি তুললেন মাসুদ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির ঘটনায় জড়িত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের একটি সেলফি ছবি ও ব্যবহৃত ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।   রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ফয়সাল করিম মাসুদ একটি সেলফি তুলে তা কয়েকটি নম্বরে পাঠান। ওই ছবিটি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী মোটরবাইকচালক আলমগীর হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর ফয়সাল করিম মাসুদের জন্য একটি ভারতীয় মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়, যা তিনি যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করছিলেন। ওই নম্বর থেকেই সেলফিটি পাঠানো হয়। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, যেসব নম্বরে ছবিটি পাঠানো হয়েছিল, তার একটি ইন্টারসেপ্ট করার মাধ্যমে ছবিটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় রোববার রাত পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী এবং সন্দেহভাজন শুটার ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী, শ্যালক ও এক নারী সহযোগী।   ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান জোরদার করেছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ফাতিমা তাসনিম জুমা ও শরিফ ওসমান বিন হাদি। ছবি : সম্পাদিত
ওসমান হাদিকে বিদেশ নেওয়ার তথ্য জানালেন জুমা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি জানান, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হবে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফাতিমা তাসনিম জুমা। এদিকে, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় মেডিকেল বোর্ড জানায়, সকালে পুনরায় করা সিটি স্ক্যানে হাদির মস্তিষ্কের ফোলা আরও বেড়েছে, যা গুরুতর ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের তথ্যমতে, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও অতিরিক্ত ব্রেন সুয়েলিংয়ের কারণে হাদির রক্তচাপের ওঠানামা বেড়েছে। পাশাপাশি তার হার্টবিটও স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। বোর্ড আরও জানায়, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাকে যদি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।   উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিকের কথা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে হাদির ফুসফুসের কার্যকারিতা ও মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া চেস্ট ড্রেইন টিউব সচল আছে এবং কিডনির কার্যক্ষমতাও বজায় রয়েছে। আগের তুলনায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমেছে বলেও জানানো হয়। তবে ব্রেন ইনজুরির কারণে শরীরের কিছু হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এ কারণে এসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেক্ট্রোলাইট অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড জানায়, হাদির রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতাও বর্তমানে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার ব্লাড সুগারও নিবিড়ভাবে মনিটর করা হচ্ছে। এ ধরনের জটিল ও সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থায় ব্লাড সুগারের ওঠানামা একটি পরিচিত ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ হলেও মেডিকেল টিম সতর্কতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।   এদিকে, অপ্রয়োজনে হাসপাতালে ভিড় না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়ীদের যৌথ সভা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে যৌথ সভা করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের আমদানি-রপ্তানিকারকেরা।  আজ রোববার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আয়োজনে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সোনামসজিদ-মহদিপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি যেসব পণ্য আদান-প্রদান বন্ধ রয়েছে তা পুনরায় চালুর দাবি জানান।  ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এক সময় মসলা জাতীয় পণ্য এবং ফল আমদানি-রপ্তানি বেশি ছিল, যা এখন অনেকটা কমে গেছে। এসব পণ্যের আদান-প্রদান বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন।  সেমিনারে সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল হাসনাত দুরুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি, দপ্তর সম্পাদক এসবি মাসুম বিল্লাহ, সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্যসচিব রুহুল আমিন, মহদিপুর রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি জগন্নাথ ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় ঘোষ, মহদিপুর সিএন্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুণ্ডু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভূপ্রতি মণ্ডল প্রমুখ। এ সময় দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হাদির কিডনি ও ফুসফুসের সর্বশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক

দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক দিক হলো আগে কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়া তার দুই কিডনি আবার সচল হয়েছে। ফুসফুসের কার্যক্রমও আগের অবস্থাতেই রয়েছে।   রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল আহাদ। তিনি ওসমান হাদির অস্ত্রোপচার দলে যুক্ত ছিলেন। চিকিৎসক জানান, আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির পুনরায় সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। সর্বশেষ এই সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা বা পানি জমে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি ধরা পড়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাদির ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে এবং বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তির বিষয় হলো, তার কিডনির কার্যকারিতা বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় চার লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসিমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলেও জানান চিকিৎসক। তবে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ এখনো মস্তিষ্ক ঘিরেই। ব্রেন স্টেম ইনজুরি গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো যেদিক দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, তার বিপরীত পাশ দিয়ে মস্তিষ্ক সামান্য বাইরে দিকে চাপ দিচ্ছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক জানান, ওসমান হাদিকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণে সম্মত হলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।   তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বা অন্য কোনো দেশে নেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রোগীকে বিদেশে স্থানান্তরের মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা আছে কি না, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন হিসেবেই রয়ে গেছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে

দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তার চিকিৎসায় যুক্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের অস্ত্রোপচার দলের এক সদস্য এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় এবং চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার সময়সীমা আগামী সোমবার রাতে শেষ হবে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড রোগীর বিস্তারিত কেস সামারি প্রস্তুত করেছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণে সম্মত হলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে। চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসকরা জানান, রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির নতুন করে সিটি স্ক্যান করা হয়। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা বা পানি জমে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতির লক্ষণও দেখা গেছে, যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা এখনো জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা আরও জানান, হাদির ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে এবং বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় চার লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে তার শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। ওসমান হাদির পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর নির্ভর করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো স্থিতিশীল হলেই সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হাদির সিটি স্ক্যানের পর যে তথ্য জানালেন চিকিৎসক

সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তার নতুন করে সিটি স্ক্যান করা হয়। এতে তার মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে। হাদির চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের অস্ত্রোপচার দলের এক সদস্য জানান, হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, পুনরায় করা সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, মস্তিষ্কে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিডনির কার্যক্ষমতাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা ফিরে এসেছে। এছাড়া গুলিটি মস্তিষ্কের টেম্পোরাল ব্যারিয়ার ভেদ করে প্রবেশ করেছে। চিকিৎসক আরও জানান, খুব কাছ থেকে এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে হাদিকে গুলি করা হয়েছে। গুলিটি মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালীগুলোর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলির বড় অংশ অপসারণ করা সম্ভব হলেও স্প্লিন্টারের কিছু অংশ এখনো মস্তিষ্কে রয়ে গেছে। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি এবং রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার ফুসফুসের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে হাদিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করছে। মেডিকেল বোর্ড কোনো সিদ্ধান্ত দিলে বিদেশে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে পরিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এরই মধ্যে তার চিকিৎসাসংক্রান্ত কেস সামারি বিদেশে পাঠানো হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
শিশু সাজিদ। ছবি : সংগৃহীত
নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যু : ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

বরেন্দ্র অঞ্চলে পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপে পড়ে দুই বছরের শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ নোটিশ পাঠান। এতে অরক্ষিত নলকূপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশু সাজিদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ লিগ্যাল নোটিশটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব নলকূপ যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার স্পষ্ট প্রমাণ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ১৫ দিনের মধ্যে একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব পরিত্যক্ত নলকূপ চিহ্নিত করে জরিপ পরিচালনা, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে সেগুলো সিলগালা/ভরাট বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, অবৈধ নলকূপ খননে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপদ নলকূপ ব্যবস্থাপনায় মানসম্মত কার্যপ্রণালি (এসওপি) প্রণয়ন, অননুমোদিত নলকূপ স্থাপনা রোধে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা হবে বলেও লিগ্যাল নোটিশে জানানো হয়েছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
হাদির চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ মেডিকেল টিমের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ১৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ অ্যান্ড এইচডিইউ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. জাফর ইকবাল। এতে বলা হয়, ওসমান হাদিকে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপারেশনের পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসার জন্য। বিবৃতিতে ১১টি অবজারভেশন ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মেডিকেল টিম। সেগুলো হলো— ১. ওসমান হাদির ব্রেন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু এখন কনজার্ভেটিভভাবেই ম্যানেজ করতে হবে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রোটোকল ফলো করে অন্যান্য সব সাপোর্ট চালিয়ে যেতে হবে। যদি একটু স্টেবল হয় তাহলে ব্রেনের রিপিট সিটি স্ক্যান করানো যেতে পারে। ২. ফুসফুসে ইনজুরি আছে ও চেস্ট ড্রেইন টিউবে যেহেতু অল্প ব্লাড আসছে, সেহেতু সেটা কন্টিনিউ করতে হবে। ‘ফুসফুসে সংক্রমণ’ ও ‘এ আর ডি এস’ যাতে ডেভেলপ না করে, সেদিকে খেয়াল রেখে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট চালিয়ে যেতে হবে। ৩. কিডনির কার্যক্ষমতা ফেরত এসেছে, সেটাকে ধরে রাখার জন্য ফ্লুইড ব্যালেন্স যেভাবে ঠিক রাখা হচ্ছে, সেভাবেই কন্টিনিউ করতে হবে। ৪. শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণ হওয়ার মধ্যে যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিয়েছিল (ডিআইসি) সেটা অনেকটাই ঠিক হয়ে এসেছে। এটাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রানফিউস করতে হবে। ৫. ব্রেন স্টেমে ইনজুরির কারণে ব্লাড প্রেসার ও হার্ট বিট ওঠানামা করছে। ব্লাড প্রেসারের জন্য সাপোর্ট যেভাবে দেওয়া আছে, সেটা সেভাবেই চলবে। যদি হার্ট রেট কমে যায় তাহলে টেম্পোরারি পেস মেকার লাগানোর জন্য টিম সার্বক্ষণিক রেডি আছে, সেটা লাগানো হবে। ৬. ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে, রেডিওলজি, আইসিইউ, এনেসথেসিয়া, সমস্ত ইউরো সার্জারিসহ ও অন্যান্য ডিসিপ্লিনের চিকিৎসকরা ও সাপোর্টিভ স্টাফগণ যে হিরোইক কাজ করেছেন তার জন্য এই মেডিকেল বোর্ড সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। ৭. বর্তমানে তার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ৮. মেডিকেল বোর্ড এই সামারিটি রোগীর ভাই ও তার আপনজনকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা চাইলে মিডিয়ার মাধ্যমে তার আপডেট দেশবাসীকে জানাতে পারেন। মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে আমাদের সবার প্রিয় শরিফ ওসমান হাদির জন্য বিনীতভাবে দোয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ৯. অযথা কেউ হাসপাতালে এসে ভিড় করবেন না। কোনো ভিজিটির এখানে এলাউড না। ১০. আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, কোনো অনুমান বা ভুল তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখুন। রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাই সহযোগিতা করুন। ১১. আমাদের মেডিকেল টিম সর্বোচ্চ পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য মেডিকেল বোর্ড ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে দোয়া করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওসমান হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা আব্দুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশ তার জন্য দোয়া করছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজন হলে দেশের বাইরে যেখানেই চিকিৎসা সম্ভব হবে, সরকার সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। ওসমান হাদির বোন মাসুমা বলেন, ছোটবেলা থেকেই সে দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। সে ছিল বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত। বিদ্রোহী কবিতা তার খুব প্রিয় ছিল। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের পরিবারের মেরুদণ্ড। তিনি আরও বলেন, ওর সামনে অনেক কাজ বাকি। ওকে বাঁচতে হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই বাসায় ফিরে গিয়েছিল, কিন্তু ওসমান হাদি ফেরেনি। সে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করত এবং দিনরাত কাজ করত। যে ব্যক্তি গুলি করেছে, সে আগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল কীভাবে সে জামিন পেয়েছে, তা তদন্ত করা দরকার। এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ফাতিমা তাসনিম জুমা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের পুরো চক্র চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ঘটনার আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
প্রবাসীদের ভোট: ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হতে পারে আগামী সপ্তাহে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। এ লক্ষ্যে প্রবাসে নিবন্ধিতদের জন্য আগামী সপ্তাহে পোস্টাল ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রবাসী ভোটারদের জন্য দুটি করে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। ভোট দিয়ে কাছের কোনো পোস্টবাক্সে ফেরত খাম দিতে বলেছে ইসি। নিবন্ধনের মতো ফেরত খাম পোস্ট করারও একটা দিন নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন ইসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ভোটের আগের দিন সব সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাবে। এর আগেই নির্ধারিত একটা সময়ে দেশে পৌঁছাতেই হবে। কারণ, ভোটের পরে এলে তা আর গণনার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যালট ফেরত পাঠানোর সময় ধার্য হতে পারে। হয়ত দুই-একদিন বাড়তে পারে। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ২০ দিন সময় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৮ ডিসেম্বরের দিকে নিবন্ধিত প্রবাসীদের ব্যালট পেপার ডাকযোগে পাঠাতে হবে, এমন ধারণা দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। তফসিল ঘোষণাকালে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেছেন, “প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা তথা প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। “একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ। এছাড়াও নিজ নির্বাচনি এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এবার ভোট দিবেন।” শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নিবন্ধন করেছেন ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে। ‘আইটি সাপোর্টেড’ পোস্টাল ভোটিং চালু করায় প্রথমবারের মতো বিদেশে থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের এই সুযোগ তৈরি হয়েছে। ১৮ নভেম্বর অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ১৯ নভেম্বর ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা। এ ছাড়া দেশের ভেতরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং নিজ এলাকার বাইরে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-তিন ধরনের ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তারা ১৭ ডিসেম্বর থেকে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নিবন্ধন চলবে। এ সময়ে বাদ পড়া প্রবাসীরাও নিবন্ধন সারতে পারবেন। ব্যালট ধাপে ধাপে নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে যাবে। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পরই যার যার আসনের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন নিবন্ধিত ভোটারা। আর দ্রুত সময়ে ভোট দিয়ে ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে। সময়ের মধ্যে ব্যালট না পৌঁছালে গণনায় নেওয়া হবে না। ব্যালটে নৌকা ছাড়া নিবন্ধিত সব দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১১৮টি প্রতীক থাকবে। এছাড়া ‘না’ ভোটের চিহ্ন থাকবে ব্যালট পেপারে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা, নাম ও প্রতীক দেখে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন পোস্টাল ব্যালটে। ওসিভি–এসডিআই প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বরের দিকে প্রবাসে পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রক্রিয়া দেশে ও বিদেশ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব ধাপ পার হতে হচ্ছে, সেগুলো- >> পোস্টাল ভোট বিডির প্রচার ও নিবন্ধন। >> ব্যালট পেপার ও তিন ধরনের খাম মুদ্রণ, নির্বাচন কর্মকর্তার উপস্থিতি। >> পার্সোনালাইজেশন (ডাক বিভাগ), পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, ব্যালট ট্র্যাকিং, ভোট প্রদান, প্রবাসে কাছাকাছি ডাকবাক্সে খাম রাখা। >> পোস্টাল ব্যালট ফেরত ও ট্র্যাকিং, ডাক বিভাগ গ্রহণ, রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছানো, রিটার্নিং অফিসারের গ্রহণ, পোস্টাল ব্যালট ব্যালট বাক্সে রাখা। >> গণনা এবং শেষ ধাপে ফল ঘোষণা। ওসিভি: প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন যেভাবে অ্যাপ ডাইনলোড> লগইন ও রেজিস্ট্রেশন পেইজ> এনরুলমেন্ট এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি> মোবাইল নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, ওটিপি, ভেরিফিকেশন, পাসওয়ার্ড> লগইন উইথ ইউজারনেম (মোবাইল নম্বর) ও পাসওয়ার্ড>এনআইডি ভেরিফিকেশন>ফ্যাসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>সেলফি>প্রবাসের ঠিকানা, পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক তথ্য>তালিকাভুক্ত ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন। আইসিপিভি: সরকারি চাকরিজীবীর তালিকাভুক্তি ওপেন এনরুলমেন্ট প্রসেস>পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ লগইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফেসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন>আইবাস++ভেরিফিকেশন> ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে। ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তালিকাভুক্তি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের পোস্টাল ভোট অ্যাপ ব্যবহার> অ্যাপ লগইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফ্যাসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন>ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে ব্যালট। কারাবন্দিদের তালিকাভুক্তি তফসিল ঘোষণার পর কারা অধিদপ্তর তালিকা>বিভিন্ন কারাগারে পোস্টাল ভোট অ্যাপ লগ ইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফেসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন> ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে ব্যালট। পোস্টাল ব্যালটে যেভাবে ভোট পোস্টাল ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে ভোটদাতার অবগতির জন্য নির্দেশাবলী দেওয়া থাকবে খামে। “ব্যালট পেপারে সব প্রতীক মুদ্রিত হয়েছে। আপনি ভোট দিতে ইচ্ছুক হলে যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে চান, তার নাম ও প্রতীক নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ডিজিটাল প্যাটফর্ম (মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি)-এ দেখা যাবে। যা প্রতীক বরাদ্দের তারিখ হতে দৃশ্যমান হবে। “ব্যালট পেপারের প্রতীকের বিপরীতে চিহ্নের স্থানে কলমের সাহায্যে একটি টিক (✔) চিহ্ন অথবা ক্রস (X) চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন।” যেসব নির্দেশ মানতে হবে >> খামের ভেতরের ঘোষণাপত্রটি পড়ে স্বাক্ষর করতে হবে। >> নিরক্ষরতা বা অক্ষমতার কারণে ব্যালট পেপার চিহ্নিত ও ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করতে অক্ষম হলে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারী যে কোনো ব্যক্তি ভোটারের পক্ষে ভোট চিহ্নিত করতে ও ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভোটারের সম্মুখে ও তার ইচ্ছা অনুসারে ব্যালট পেপার চিহ্নিত করবেন। ভোটারের পক্ষে তাকে সত্যায়ন করতে হবে। >> ব্যালট পেপারে ভোট চিহ্নিত করার পর ব্যালট পেপারটি এর সঙ্গে পাঠানো পোস্টাল ব্যালট চিহ্নিত ক্ষুদ্রতর খামটিতে রেখে বন্ধ করতে হবে এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত থাকা খামটিতে রাখতে হবে। এরপর বৃহত্তর খামটি বন্ধ করার পর ডাকযোগে তা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। >> নির্বাচনের শেষ সময়সীমার আগেই রিটানিং অফিসারের কাছে (ফলাফল একত্রীকরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের পূর্বে) খামটি ডাকযোগে যেন পৌঁছে তা নিশ্চিত করতে হবে। >> ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ঘোষণাপত্র সত্যায়িত করাতে ব্যর্থ হলে ব্যালট পেপারটি নাকচ করা হবে। >> নির্বাচনের শেষ সময়সীমার পূর্বে এবং ফলাফল একত্রীকরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে খামটি রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছলে এ ভোট গণনা করা হবে না। পোস্টাল ভোটিংয়ে প্রতি ভোটের জন্য প্রায় ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অ্যাপে দেশের ভেতরে-বাইরে ১০ লাখের মতো ভোটার নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এনআইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্ভুল ঠিকানা দিয়ে অ্যাপে নিবন্ধনের পর ব্যালট পেপার ইস্যু থেকে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানো পযন্ত ‘ট্র্যাকিং’ করা যাবে। দেশে বর্তমানে পৌনে ১৩ কোটি ভোটার রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেখে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সিল মেরে ভোট দিতে হবে; গণভোটের ব্যালটেও ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ এর ঘরে সিল দিয়ে ভোট দেবেন। তবে পোস্টাল ব্যালটে শুধু প্রতীকের পাশে ‘টিক’ বা ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে হবে। গণভোটের ব্যালটেও ‘হ্যা’ বা ‘না’ চিহ্নে একই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন ভোটাররা। দেশের ভেতরে কারাবন্দি ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিবন্ধনের সুযোগ ১৭ থেকে ২৫ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, দেশের অভ্যন্তরে যে তিন শ্রেণি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন, তারা এখন নিবন্ধন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের তালিকা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। শেষ যে অংশটা, যারা নির্বাচনের সরাসরি দায়িত্বে থাকবেন তাদেরটা আরেকটু সময় লাগবে…এরমধ্যে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্টেন্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা নিবন্ধন করতে পারবেন।”

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ওসমান হাদি ও তাসনিম জারা। ছবি : সংগৃহীত
ওসমান হাদিকে নিয়ে সুখবর দিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।   শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। আশা করি আর অপারেশন করা লাগবে না উল্লেখ করে ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা বলেন, একটা অপারেশন হয়েছে। হাসপাতালের বোর্ড বিস্তারিত জানাবেন। উনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন, অবস্থা সংকটাপন্ন। এ সময় তিনি কাউকে হাসপাতালে ভীড় না করার আহ্বানও জানান। আজকের ঘটনায় প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাইয়ের যারা সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এটাও প্রশাসনের ব্যর্থতা। তাদেরকেই এর জাববদিহিতা করতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। এদিকে গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালে অন‍্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার উপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’ এর আগে হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় একটি স্ট্যাটাস দেন ডা. তাসনিম জারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পেজে এ স্ট্যাটাসে তাসনিম জারা লিখেন, ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই মুহূর্তে সবকিছুর আগে একটাই কামনা, তিনি বেঁচে থাকুন এবং দ্রুত ও নিরাপদ চিকিৎসা পান।   তিনি উল্লেখ করেন, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। তাই অনুমান বা রাজনৈতিক দোষারোপে যাওয়ার আগে সংযত থাকা জরুরি। তবে রাষ্ট্রের হাতে সময় নেই। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে নিয়মিত ও স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। তদন্তের নামে গড়িমসি বা বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সংকট মুহূর্তে ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন ডা. জুবাইদা রহমান

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছে তিনি হাদির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।   একই হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলায় ডা. জুবাইদা নিয়মিতই সেখানে যাতায়াত করছেন। ওসমান হাদিকে হাসপাতালে আনার পর তিনি সিসিইউর বাইরে হাদির ভাই ও বোনের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এ সময় হাদির পরিবারের পাশে কয়েকজন সহকারীও উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিজয়নগর কালভার্ট রোড এলাকায় প্রচারণার প্রস্তুতিকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার মাথায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
৭২ ঘণ্টা অতি ঝুঁকিপূর্ণ, হাদির ব্রেইন স্টেমে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত : বিশেষ সহকারী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, শরিফ ওসমান হাদির মাথায় বাম কানের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট তার মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেমে মারাত্মক ক্ষতি করেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে গণ্য হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টা তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো নতুন চিকিৎসাগত ইন্টারভেনশন করা হবে না।   শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির অবস্থান পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, হাদি বর্তমানে খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং সামনে থাকা ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে সংকটময়। তিনি জানান, হাদিকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনো নিশ্চিতভাবে কোনো আশার কথা বলতে পারছেন না। গুলিটি যেভাবে মাথায় প্রবেশ ও বাহির হয়েছে, সেই পথে মস্তিষ্কের জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী অংশ ব্রেন স্টেমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডা. সায়েদুর বলেন, এ অবস্থায় কোনো চিকিৎসাগত হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। রোগীকে লাইফ সাপোর্টেই ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে সামান্য আশার ইঙ্গিতও রয়েছে। তার শরীরে এখনো sign of life আছে এবং অস্ত্রোপচারের সময় নিজে থেকে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচারের আগে হাদি একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তার নাক ও গলা দিয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়, যদিও তা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।   অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, এখনই কোনো আশাবাদী গল্প শোনানোর মতো পরিস্থিতি নেই। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
গুলিবিদ্ধ হলে প্রথম ৩০ মিনিটের জরুরি করণীয়

গুলি লাগার ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে জীবন–মৃত্যুর ব্যবধান তৈরি করতে পারে। কোথায় গুলি লেগেছে, কী ধরনের গুলি, কত দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া গেছে এসবের ওপর নির্ভর করে আহত ব্যক্তির জীবন ঝুঁকি বাড়ে বা কমে। তবে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে গুলিবিদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রথম ৩০ মিনিট বা হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কী করা উচিত, কোন ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা লাগে সবই ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।   প্রথমেই যা করবেন যদি আপনি বা আশেপাশের কেউ গুলিবিদ্ধ হন, তবে প্রাথমিকভাবে তিনটি কাজ খুব জরুরি   ১. নিরাপদ স্থানে যান আহত ব্যক্তি হাঁটতে বা দৌড়াতে পারলে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সাহায্য করুন।   ২. অস্ত্র নিরাপদ করুন দুর্ঘটনাবশত গুলিবিদ্ধ হলে নিশ্চিত করুন অস্ত্র আর কারও ক্ষতি করতে না পারে।   ৩. ৯৯৯ এ ফোন করুন নিরাপদে পৌঁছানোর পর সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবায় ফোন দিন এবং অপারেটরের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোই জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বড় উপায়।   রক্তপাত বন্ধ করা গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে বাঁচাতে প্রথম কাজ হলো রক্তপাত থামানো। এজন্য রক্ত বের হচ্ছে এমন স্থানে শক্ত চাপ দিতে হবে। রক্তপাত বেশি হলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার মতো জোরালো চাপও প্রয়োজন হতে পারে।   ড্রেসিং ব্যবহার করুন ক্ষতস্থানে পরিষ্কার কাপড়, গজ, তোয়ালে বা যেকোনো কাপড় চেপে ধরুন। এতে রক্ত জমাট বাঁধতে সুবিধা হবে।   টুর্নিকেট (সতর্কভাবে) পেশাদার টুর্নিকেট থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে ভুলভাবে লাগালে বিপদ বাড়তে পারে। টুর্নিকেট না থাকলে চাপ দেওয়ার ওপরই জোর দিন।   মনে রাখবেন আহত ব্যক্তিকে কখনোই পানি, খাবার বা পানীয় দেবেন না। শকে গেলে বমি হতে পারে এবং খাবার-তরল শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে। পা বা মাথা উঁচু করবেন না অনেকেই আহত ব্যক্তির পা উঁচু করে দেন, এটি ভুল। এতে বুক বা পেটের গুরুতর রক্তপাত বেড়ে যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্টও তৈরি হতে পারে। ব্যক্তি সচেতন থাকলে তিনি যেভাবে আরাম পান সেভাবে বসতে বা শুতে দিন। অচেতন হলে রিকভারি পজিশন–এ (কাত হয়ে, এক পা ভাঁজ করে) রাখুন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগলে করণীয়   ১. বুকে গুলি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও প্রধান ধমনী গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সাকিং চেস্ট উন্ড হয়, এই ক্ষত দিয়ে বাতাস ঢুকে ফুসফুস বসে যেতে পারে। এই অবস্থায় ক্ষতটি প্লাস্টিক জাতীয় কিছু দিয়ে সিল করে দিন যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। শ্বাসকষ্ট বাড়লে সিলটি খুলে দিন।   ২. পেটে গুলি তীব্র রক্তপাত, অঙ্গ ক্ষতি এবং অন্ত্র বা পাকস্থলীর ফুটো হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। তাই ক্ষতস্থানে শক্ত চাপ দিন। যদি পেট দ্রুত ফুলে যায়, তবে ক্ষত ছোট মনে করে ভুলবেন না। সাধারণত এই ক্ষেত্রে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়।   ৩. হাত–পায়ে গুলি রক্তনালী কেটে যাওয়া, স্নায়ু ক্ষতি এবং হাড় ভেঙে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আহত অঙ্গ নাড়ানো উচিত নয়। শুধু রক্তপাত থামানোর ওপর জোর দিন।   ৪. ঘাড় বা মেরুদণ্ডে গুলি পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোগীকে কখনোই নড়াবেন না। এতে স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘাড়ের সামনে গুলি লাগলে রক্তপাত বন্ধে চাপ দিন। গুলি লাগলে কেন ক্ষতি ভয়াবহ হয়? বুলেট শুধু একটি ফুটোর মতো ক্ষত তৈরি করে না, শরীরের ভেতরে লাফিয়ে, ঘুরে আরও অনেক স্থানে আঘাত করতে পারে। ক্ষতি নির্ভর করে গুলির অবস্থান, বুলেটের আকার এবং বুলেটের গতির ওপর। চিকিৎসা ও সুস্থ হতে কত সময় লাগে? সহজ গুলিবিদ্ধ ক্ষত (যেখানে অঙ্গ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি) ১০ দিনের মধ্যেও সেরে উঠতে পারে। কিন্তু জটিল আঘাতে সময় অনেক বেশি লাগে। অন্যদিকে মানসিক ধাক্কা ভয়, দুঃস্বপ্ন, খিদে না পাওয়া, অস্থিরতা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। এসব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আলোচ্য বিষয়গুলো প্রাথমিক করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে। মূল চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হাদির মাথার ভেতরে গুলি, ওটিতে সার্জারি চলছে

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হাদীর সার্জারি চলছে। তার মাথার ভেতরে গুলি আছে।   শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানান ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।   তিনি বলেন, তার মাথার ভেতরে গুলি আছে। বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে সার্জারি চলছে।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক
ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদী গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন কোমাতে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. মোশকাত আহমেদ।   তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদীর অবস্থা খুবই গুরুতর। তার মাথায় গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তিনি এখন কোমায় আছেন। জানা গেছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি করে। তাকে উদ্ধার করে ২টা ৩৫ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনেছি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কোথায় তা আমরা জানি না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, দুপুর আড়াইটার পর পরইই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওসমান হাদী। তার মোবাইল নম্বরে বিদেশি নম্বর থেকে কল করে ও টেক্সট দিয়ে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ওসমান হাদী লেখেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। তিনি লেখেন, যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে। তিনি আরও লেখেন, ১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়ব না, ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র লেখেন, এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে এদেশে। এক হাদীকে হত্যা করা হলে তাওহিদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদী তৈরি করে দেবেন। স্বাধীনতার এই স্বরকে কোনোদিন রুদ্ধ করা যাবে না। লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহিদি মৃত্যু চাই।   পরিশেষে হাদী লেখেন, আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদের আল্লাহ তায়ালার কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ওসমান হাদী। ছবি : সংগৃহীত
ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।   শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে ফেসবুকে একটি পোস্টে করেন ওসমান হাদী। পোস্টে তিনি লিখেন, যেহেতু ঢাকা-৮ এ আমার পোস্টার-ফেস্টুন কিছুই নাই, তাই আমার এখন ছেঁড়া-ছিঁড়িরও চাপ নাই। দুদকের সামনে থেইকা জুম্মা মোবারক। এদিকে, এ ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।   পোস্টে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘ওসমান হাদীকে গুলি করা হলো। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক
সর্বশেষ

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0