অর্থনীতি

ছবি: সংগৃহীত
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা শক্তিশালী হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দাম বেড়েছে। জিএমটি সময় সকাল ১০টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ডের মূল্য শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি ৪,২২৫.১১ ডলারে দাঁড়ায়। তবে সাপ্তাহিক হিসেবে এটি এখনো শূন্য দশমিক ১ শতাংশ নিম্নমুখী।   ফেব্রুয়ারির ফিউচার্স গোল্ডের দামও বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪,২৫৫.৯০ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সভার আগে বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতিসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অপেক্ষায় আছেন। ডলার সূচক বড় মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী অবস্থানে থাকায় অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ কেনা আরও সাশ্রয়ী হয়েছে। ফেডের সম্ভাব্য সুদ কমানোর আশাবাদও স্বর্ণবাজারকে সহায়তা করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এদিকে দেশের বাজারে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছিল।   তেজাবি স্বর্ণের দাম কমায় সার্বিক বিবেচনায় নতুন মূল্য ধার্য হয়েছে। দেশে ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
সরবরাহ উদ্বেগে দাম বেড়েছে তামার

সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে গতকাল বেড়েছে তামার দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে গতকাল বেড়েছে তামার দাম। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহারসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। সুদহার কমানো হলে শিল্প খাতে তামার চাহিদা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার। সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে গতকাল তামার দাম দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৮৯ হাজার ২১০ ইউয়ানে (১২ হাজার ৬৩০ ডলার ৭৯ সেন্ট)। টানা আটদিন ধরে দাম বেড়েছে ধাতুটির। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তিন মাসের সরবরাহ চুক্তিতে তামার দাম গতকাল পৌঁছেছে টনপ্রতি ১১ হাজার ২৪৯ ডলারে। এটি আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান সাকডেন ফাইন্যান্সিয়ালের বিশ্লেষকরা বলেন, বিনিয়োগকারীরা এখন ফেডের সুদহার কমানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের এ প্রত্যাশার বিপরীত ঘটলে ধাতুর বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবে। সাংহাই ও লন্ডনের বাজারে গতকাল অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, সিসা, নিকেল ও টিনের বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহী
আগামী সপ্তাহেই টাকা তুলতে পারবেন পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকরা

একীভূতকরণ প্রক্রিয়াধীন শরিয়াভিত্তিক পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন নামে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ পরিচয়ে গ্রাহকদের টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে দেশজুড়ে পাঁচ ব্যাংকের সব সাইনবোর্ড পরিবর্তন করা হবে।   বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, একীভূত ব্যাংকের প্রাথমিক কার্যক্রম দ্রুত এগোচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়েই গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ কর্মসূচি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আমানত বিমা তহবিলের আওতায় প্রতি আমানতকারী সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাবেন। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি হিসাব থেকেই আপাতত এই টাকা উত্তোলন করা যাবে। এই সুবিধা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আমানতকারীরা পাবেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এই ব্যাংকটি সমস্যাগ্রস্ত পাঁচ ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংককে একীভূত করবে। এ জন্য মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে নতুন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। একীভূত ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি আসবে আমানতকারীদের শেয়ার থেকে। অনুমোদিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ ইতোমধ্যে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে স্বতন্ত্র পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। একই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক হিসাব বা পরিচয়পত্র ছাড়া হিসাব পরিচালনার ঘটনা পাওয়া যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে পরিচয়পত্রযুক্ত একটি হিসাব থেকেই দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করা যাবে।   বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সব শাখায় একসঙ্গে টাকা বিতরণ শুরু হবে না; ধাপে ধাপে ভিন্ন ভিন্ন শাখা থেকে টাকা প্রদান করা হবে, যাতে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়। তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে নেই আইনগত ভিত্তি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন, তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।   তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা মাত্র আধা ঘণ্টা আগে বিষয়টি জেনেছি। ব্যবসায়ীরা একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়ে দাম বাড়িয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আলোচনা করে কর্মপদ্ধতি ঠিক করব। কারণ, এই দাম বাড়ানোর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তিনি আরও জানান, আগের দিনই টিসিবির জন্য ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাজারে যে দামে তেল বিক্রি করছেন, টিসিবিকে তার চেয়ে লিটারপ্রতি প্রায় ২০ টাকা কমে সরবরাহ করেছেন। সেক্ষেত্রে বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই, বলেন উপদেষ্টা। ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কি না, সেটি পদক্ষেপের মাধ্যমেই বুঝতে পারবেন। আমরা আলোচনা করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এটা বাজারে গিয়ে লড়াই করার বিষয় নয়। আইন লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। আইন যা অনুমতি দেয়, সবই প্রয়োগ করা হবে। ব্যবসায়ীরা সরকার থেকে বেশি ক্ষমতাধর হয়ে পড়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ধরনের উত্তেজক ও অনুমানভিত্তিক প্রশ্নের জবাব নেই। ভোজ্যতেলের যৌক্তিক কারণ থাকলে সরকার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখাই সরকারের লক্ষ্য। কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।   রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে উপদেষ্টা জানান, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে আগের বছরের চেয়ে বেশি ঋণপত্র খোলা হয়েছে, ফলে সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, বাজারে ইতোমধ্যে চিনির দাম কমেছে, ডাল, ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের দাম কমছে। ছোলার দামও শিগগিরই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশ্ববাজারের সাথে যুক্ত করতে শীঘ্রই দেশে আসছে পেপ্যাল: গভর্নর

  পেপ্যাল একটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা, যা ব্যবহারকারীরা অনলাইনে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা, বিল পরিশোধ করা এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।   আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে 'পেপ্যাল' শীঘ্রই বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে চাইছে এবং এর ফলে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।   মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আই আয়োজিত 'অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৫' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এই তথ্য জানান।   গভর্নর বলেন, 'পেপ্যাল বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী। ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার মাধ্যমে ছোট চালানে পণ্য রপ্তানি করা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম চালু হলে তারা সহজেই ইউরোপ, আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে পণ্য পাঠাতে পারবেন এবং দ্রুত পণ্যের দাম দেশে আনা সম্ভব হবে।'   তিনি আরও করেন, 'বর্তমানে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত অনেকে বিদেশ থেকে টাকা আনার সময় বিড়ম্বনায় পড়েন। অনেক সময় তারা তাদের পারিশ্রমিকও পান না। পেপ্যাল চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।'   মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আই আয়োজিত ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এই তথ্য জানান।    পেপ্যাল একটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা, যা ব্যবহারকারীরা অনলাইনে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা, বিল পরিশোধ করা এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর ব্যাংক বা কার্ডের সঙ্গে নিরাপদভাবে সংযুক্ত হয়ে দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন করে।   পেপ্যাল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য সুরক্ষা এবং রিফান্ডের সুবিধাও দেয়। বিশ্বের ২০০-এর বেশি দেশে ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন ব্যবসা এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।   নগদ লেনদেন কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'দেশের দুর্নীতির মূলেই রয়েছে নগদ টাকার লেনদেন। যেখানে যেখানে দুর্নীতি আছে, সেখানে সেখানে নগদ লেনদেন জড়িত।' তিনি জানান, টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনায় বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধাপে ধাপে নগদ লেনদেন কমানোর পরিকল্পনা করছে।   কৃষি খাতের উন্নয়নে ঋণের প্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেন, 'বর্তমানে মোট ঋণের মাত্র ২ শতাংশ কৃষি খাতে দেওয়া হয়। এটি বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। এছাড়া এসএমই ঋণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থাকলেও ব্যাংকগুলোর সক্ষমতার অভাবে তা যথাযথভাবে বিতরণ করা যাচ্ছে না।'   খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশের সাফল্যের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টন। এখন তা প্রায় ৪ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও উৎপাদন তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে, যা একটি বিশাল অর্জন।'   অনুষ্ঠানে কৃষিখাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৮ জন ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পাঁচ শতাধিক আবেদন যাচাই-বাছাই করে এই বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ভোক্তা পর্যায়ে আবারও বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

ডিসেম্বর মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫৩ টাকা। নতুন দাম আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হচ্ছে।   একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও সমন্বয় করেছে বিইআরসি। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা করা হয়েছে। এর আগে ২ নভেম্বর এলপি গ্যাসের দাম সমন্বয় করে বিইআরসি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল। একই সময়ে অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছিল—৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে কমে দাঁড়িয়েছিল ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হস্তশিল্পের বৈশ্বিক বাজার বিলিয়ন ডলার, কৌশলগত পদক্ষেপ দাবি

শত শত কোটি টাকার দেশীয় বাজার ও বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজার থাকা সত্ত্বেও সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা, গবেষণা, ডিজাইন উন্নয়ন এবং নীতিগত সহায়তার অভাবে বাংলাদেশের হস্তশিল্পের বিকাশ হচ্ছে না।   সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের হস্তশিল্পের বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মতামত দেন।   কর্মশালায় বলা হয়, স্থানীয়ভাবে ১০–১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার এবং বৈশ্বিকভাবে ১,১০৭.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখনো ১ শতাংশেরও কম। ফলে বাজার সম্প্রসারণ, ডিজাইনে উদ্ভাবন, রপ্তানি সহজীকরণ ও বিশেষ নীতিগত সহায়তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয়।   পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। হস্তশিল্প খাতের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান।   উপস্থাপনায় জানানো হয়—দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার কারিগর হস্তশিল্প উৎপাদনে যুক্ত, যার ৫৬ শতাংশই নারী। উৎপাদনের ৯৫.৮ শতাংশ গৃহভিত্তিক, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে হস্তশিল্প রপ্তানি হয়েছে ২৯.৭৫ মিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক বাজার প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে এবং ২০৩২ সালে পৌঁছাবে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে।   বক্তারা উল্লেখ করেন, নকশিকাঁথা, জামদানি, পাটপণ্য, বাঁশ-বেত, মাটির সামগ্রীসহ দেশীয় হস্তশিল্পের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার। দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের ফলে এসব পণ্যে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন সম্ভব হয়।   হস্তশিল্প শিল্পকে শক্তিশালী করতে বক্তারা যেসব পদক্ষেপের সুপারিশ করেন। যার মধ্যে রয়েছে-সহজ শর্তে অর্থায়ন, সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণ। কারুকেন্দ্র/ডিজাইন সেন্টার স্থাপন, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস ও ই-কমার্স সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক মান ও সার্টিফিকেশন জোরদার, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ এবং রপ্তানি প্রচারণা ও নীতিগত প্রণোদনা।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
২৯ দিনে ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স

২৯ দিনে এল ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স চলতি মাসের (নভেম্বর) প্রথম ২৯ দিনে দেশে ২৬৮ কোটি ১১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। রোববার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এর আগে, বিদায়ী অক্টোবরজুড়ে দেশে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে ১০১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বৈদেশিক অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা।  

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আজকের স্বর্ণের দাম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে তার প্রভাব এখনো দেখা যায়নি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সর্বশেষ ২০ নভেম্বর স্বর্ণের দাম কমায়, এবং সেই সমন্বিত দামই ২৯ নভেম্বর থেকে বাজারে কার্যকর রয়েছে। বর্তমানে ভালো মানের এক ভরি (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ কিনতে লাগছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা।   বাজুস জানায়, দেশে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমার কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন দেশের বাজারে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা। স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত হবে। গহনার নকশা ও মান অনুযায়ী মজুরির পার্থক্য হতে পারে। এর আগে ১৯ নভেম্বর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলে ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। একই সময় ২১ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও সমন্বয় করা হয়।   স্বর্ণের নতুন দামে পরিবর্তন এলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে দেশে ২২ ক্যারেট রুপার এক ভরি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। ২১ ক্যারেট রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
যমুনা ব্যাংকের উদ্যোগে আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

সম্প্রতি যমুনা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ছাত্রীদের নিয়ে একটি শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।   অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– যমুনা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যাংকিং অপারেশন ডিভিশনের প্রধান জনাব মো. আব্দুস সোবহান।   তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনাই ভবিষ্যৎ জীবনে অনিবার্য সাফল্য।’   বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যমুনা ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান ও সিলেট শাখার ব্যবস্থাপক জনাব শামসুল আলম চৌধুরী এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মো. কামাল উদ্দিন।   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যমুনা ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল শাখার ব্যবস্থাপক জনাব মো. মোশারফ হোসেন। এতে ওই স্কুলের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই–অক্টোবরে রাজস্ব আদায়ে ১৫.৫৪% প্রবৃদ্ধি

চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই–অক্টোবর সময়ে জাতীয় রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫.৫৪ শতাংশ বেড়েছে। চার মাসে আদায় হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে অস্থির পরিস্থিতির কারণে আদায়ের পরিমাণ ছিল এক লাখ তিন হাজার ৪০৯ কোটি টাকা।   এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭.৭ কোটি টাকা সেই হিসেবে লক্ষ্য থেকে এখনো প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক বা মূল্য সংযোজন কর খাতে। এই খাতে আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা, যা প্রবৃদ্ধি ২৪.৭৮ শতাংশ। আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা; প্রবৃদ্ধি ১৬.১১ শতাংশ। আমদানি–রপ্তানি শুল্ক খাতে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৪.৫৩ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ২.২৩ শতাংশ বেশি ছিল।   চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআর লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শওকতের নথিপত্র তলব দুদকের

ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত এবং ব্যাংক হিসাবে নথিপত্র তলব করে ইস্টার্ন ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।   সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এ সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করেছে।  বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।   শওকত আলীর বিরুদ্ধে ১৪৬ ব্যাংক হিসাবে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি সন্দেহভাজন লেনদেনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। যেসব রেকর্ডপত্র তলব করা হয়েছে—   চিঠিতে শওকত আলী চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খোলার ফর্মসহ রেকর্ডপত্র, লেনদেন বিবরণী, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন, পাসপোর্ট ইত্যাদির কপি। আর নিজ ও তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ঋণের আবেদন, শাখার প্রস্তাব এবং অনুমোদন সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র ও ঋণ হিসাব বিবরণী চেয়েছে দুদক। রেকর্ডপত্র আগামী ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। দাখিল করা অভিযোগ ও বিএফআইইউ’র গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান তাসমিয়া আম্বারীন, মেয়ে জারা নামরীন ও ছেলে জারান আলী চৌধুরী চারজনের এখন পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংকে ১৮৭টি হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইবিএল চেয়ারম্যানের নামে ১৪টি হিসাব, তার স্ত্রীর নামে ১৫টি হিসাব, জারা নামরীনের নামে ৯টি হিসাব ও মো. জারান আলী চৌধুরীর নামে ৩টি হিসাব এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৪৬টি হিসাব পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৫ জুন পর্যন্ত আসা হিসাব অনুযায়ী এসব ব্যাংক হিসাবে ৮ হাজার ৪০৭ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮২.২২ টাকা জমা করা হয়। যার মধ্যে ৮ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০.৩১ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ওই সময়ে ব্যাংকগুলোতে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ১৫৮ টাকা। উল্লিখিত হিসাবগুলোর কেওয়াইসি, হিসাব বিবরণী এবং অন্যান্য দলিল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হিসাবগুলোর মধ্যে শওকত আলী চৌধুরীর ঢাকা ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখায় পরিচালিত ঢাকা ব্যাংক প্লাটিনাম হিসাবটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি হিসাবটি ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি খোলেন এবং ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বন্ধ করেন। এই ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ টাকা। মোট উত্তোলনের পরিমাণ মোট ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ৮৩৫ টাকা। তবে বন্ধকালীন স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৯ টাকা। এ হিসাব ব্যবহার করে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসএন কর্পোরেশনের লেনদেন করেছেন, যা পরোক্ষভাবে ট্যাক্স ফাঁকির উদ্দেশে করা হয়ে থাকতে পারে বলে বিএফআইইউ মনে করছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যের নামে সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাজ্যে সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে দুটি বাড়ি ও অন্য দুই দেশের সম্পদের তথ্যগুলো বিএফআইইউ তদন্ত করছে বলে জনা গেছে। গত ৩০ জুন শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ। এখন পর্যন্ত সেগুলো জব্দ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।   শওকত আলী চৌধুরীর সঙ্গে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেনে ভাটা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৯ নভেম্বর) অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। আজ শেষ ঘণ্টার লেনদেনে দরবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ সিকিউরিটিজ।   লেনদেন শেষে যে কয়টি শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে, তার চেয়ে সাড়ে ৮ গুণ বেশি সংখ্যকের দর বেড়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচকে উত্থান হয়েছে। তবে ডিএসইর লেনদেন কিছুটা কমেছে।   দেশের অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরবৃদ্ধির পাশাপাশি সবগুলো মূল্যসূচকের উত্থান দেখা গেছে। তবে, সিএসইতেও আজ লেনদেন কিছুটা কমেছে।   বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৩১০টির। বিপরীতে কমেছে ৩৬টির। এই হিসেবে দরপতনের তুলনায় দরবৃদ্ধি হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের সংখ্যা ৮ দশমিক ৬১ গুণ বেশি। তবে লেনদেন শেষে আজ ৩০টি সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরবৃদ্ধি হওয়া সিকিউরিটিগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৫৮টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৬৬টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৮৬টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।   অধিকাংশ সিকিউরিটিজে দরবৃদ্ধি হওয়ায় আজ ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৮৪৭ পয়েন্টে পয়েন্টে। আর শরীয়াহ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ ছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৩ পয়েন্ট হয়েছে।   ডিএসইতে মোট ৪২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে দিনের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন বেড়েছে ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।   বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।   দেশের অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪১ পয়েন্টে উঠেছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে উঠেছে। সিএসইতে মোট ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৫টি, আর ১০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।   আজ এক্সচেঞ্জটিতে ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গতকাল ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের জন্য ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য হবে।   রোববার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।   নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিনটি হবে শবে-বরাতের। এ উপলক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগের দুদিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দুদিন ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে। এর মধ্যে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।   এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ বন্ধ থাকবে। চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাতি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রয়োজ্য) ১৩ এপ্রিল। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ২৬ থেকে ৩১ মে এ পাঁচ দিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।   আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন এবং ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।   বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।   প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, গত বছর ২০২৪ সালে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন এবং এ বছর (২০২৫ সালে) ছুটি ২৭ দিন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সোনার দাম কমলো, ভরিতে ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা

টানা কয়েক দফা বাড়ার পর এবার দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এতে ভালো মানের সোনার দাম নেমে এসেছে দুই লাখ ৮ হাজার টাকায়। শনিবার বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এ দাম রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।   সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দর কমেছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ৮০ ডলারে নেমে এসেছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেট সোনার ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।   তবে সোনার দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২২ ক্যারেট রুপার ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার ভরি ২ হাজার ৬০১ টাকাই বহাল রয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছুটির দিনে চড়া মাছের বাজার, বাড়েনি ডিম ও মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারে নদীর মাছের দাম ছাড়েনি এখনও। সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের বাজারও বেশ চড়া। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।   বিক্রেতাদের দাবি, ছুটির দিন তাই দাম একটু বাড়তিই থাকে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে, যোগানের সংকট। রাতে দুরপাল্লার পরিবহন কিছুটা কম এসেছে বলেও দাবি তাদের। তবে, ডিম ও মুরগির দর রয়েছে আগের মতোই।   মাছে ভাতে বাঙালির মাছের জন্য হাপিত্যেস অনুযায়ী প্রথমেই এই প্রতিবেদক ঢুঁ মারেন মাছের বাজারে। দেখা যায়, আকারভেদে কেজিপ্রতি রুই কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী। আর ইলিশ তো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেই।    তবে, স্বস্তি রয়েছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী পুষ্টির উৎস-ডিমের বাজারে। লাল ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ টাকাতে। আর সাদা ডিমের ডজন ১২০ টাকা। হাঁসের ডিম ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা করে।   ব্রয়লারের দাম সেই ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজিই রয়েছে। তবে, ছুটির দিন উপলক্ষ্যে কোথাও কোথাও চাওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। সোনালি জাত ৩০০ আর দেশি মুরগি খরিদে কেজিপ্রতি সেই ৬০০ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।   অন্যদিকে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ আর খাসির মাংসের কেজি ১১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি, তবুও ৩ মাসে তিতাস গ্যাসের লোকসান ২৪৯ কোটি

দেশের সবচেয়ে বড়ো গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পিএলসির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও বড়ো লোকসান হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্র মালিকানাধীন এ কোম্পানিটির আয় হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। তা সত্ত্বেও উৎপাদন খরচের চাপে আলোচিত সময়ে কোম্পানির ২৪৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।   প্রতিবেদন দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তিতাস গ্যাসের আয় হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৮ হাজার ২৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচিত তিন মাসে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১ হাজার ৩৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।   আলোচ্য সময়ে তিতাসের গ্যাস উত্তোলন ও সঞ্চালন বাবদ খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৮২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা, যা কোম্পানির মোট আয়ের চেয়েও ১৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি। এই বড়ো উৎপাদন ব্যয়ের ভারে কোম্পানিটি সার্বিকভাবে বড়ো লোকসান করেছে।   চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তিতাস গ্যাসের কর পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২৪৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এই লোকসান হয়েছিল ১৮৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচিত তিন মাসে কোম্পানির লোকসান বেড়েছে ৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ৩২ দশমিক ১৩ শতাংশ।   তিতাস গ্যাস ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে লোকসানে রয়েছে। ওই বছর কোম্পানির নিট লোকসান হয়েছিল ১৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। পরের বছরে এই লোকসান আরো বেড়ে ৭৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা হয়েছিল। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যা আরো বেড়ে ৭৭২ কোটি ৪ লাখ টাকা নিট লোকসান হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
লোকসান থেকে মুনাফায় রানার অটোমোবাইলস

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের সামান্য মুনাফা হয়েছে। যদিও আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি বড় লোকসান করেছিল। সেই অর্থে লোকসান থেকে কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে অনুমোদন করা হয়েছে।   সার সংক্ষেপ অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৭২ পয়সা।   আলোচ্য সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ৮ পয়সা।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশ বাড়ায়নি বিএসসি, শেয়ারে বড় দরপতন

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভালো মুনাফা করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। আলোচিত অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটি আগের অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। মুনাফা বাড়ার পরও লভ্যাংশ না বাড়ানোয় কোম্পানির শেয়ারে আজ বড়ো দরপতন দেখা গেছে।   বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আলোচিত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি এই লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়। বুধবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়।   আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা বা ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।   আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৯৬৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ৩১ টাকা ৮ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৮৪ পয়সায়। আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।   এদিকে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, আজ লভ্যাংশ ঘোষণা পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সার্কিট ব্রেকারের আওতামুক্ত থাকছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারদর ৮ টাকা ৪০ পয়সা বা প্রায় ৮ শতাংশ কমে ৯৯ টাকা ৭০ পয়সায় নামতে দেখা যায়।   ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচিত অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজিএমের স্থান পরে জানাবে কোম্পানিটি। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
রেকর্ড মুনাফায় রেকর্ড লভ্যাংশের ঘোষণা মেঘনা পেট্রোলিয়ামের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। কোম্পানিটি এর আগে কোন একক বছরে ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা করতে পারেনি। এই রেকর্ড মুনাফা অর্জন হওয়ায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।   আজ (সোমবার) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি আলোচিত বছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপও প্রকাশ করা হয়েছে।   নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৫৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১২২ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।   কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বড় এই মুনাফা অর্জনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অপরিচালন খাতের আয়। আরো সহজ করে বলা যায়, কোম্পানির বড় অংকের অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট করে রেখেছে, যা থেকে বড় পরিমাণ সুদ আয় হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ি নির্মাণ ও জমি ক্রয় অর্থায়ন প্রকল্প থেকে আয় হয়েছে এবং জেটি বা টার্মিনালের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের পণ্য পরিবহন থেকেও বড় একটি অংক আয় হয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য খাত থেকে আরো কিছু আয় করেছে কোম্পানি, যা তাদের মূল্য ব্যবসার অংশ ছিল না।   মুনাফা বাড়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের পরিমাণও বাড়িয়েছে। আলোচিত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা হারে বিনিয়োগকারীদের মোট ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে। অর্থাৎ মুনাফার এক তৃতীয়াংশ লভ্যাংশ হিসেবে বন্টন করা হবে। মুনাফার বাকি অংশ কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে যুক্ত হবে।   আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফার অর্থ বাঁচিয়ে এখন পর্যন্ত কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে ৮০৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা জমেছে। তবে, কোম্পানির রিজার্ভে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা সংরক্ষিত রয়েছে।   কোম্পানিটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের বছরে দেওয়া হযেছিল ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। তার আগের ৪ অর্থবছরে ১৫০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।   ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত এই লভ্যাংশ ও আলোচিত অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর।   এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই মুনাফা বাড়ার পেছনেও কোম্পানির অপরিচালন খাতের আয় বড় ভূমিকা রেখেছে। আলোচ্য সময়ে অপরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে ১৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নভেম্বরের ৫ দিনে রেমিট্যান্স ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার

নভেম্বর মাসের প্রথম পাঁচ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে মোট ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে প্রবেশ করেছে।   অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসী কর্মীদের আয় ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে নভেম্বর মাসের শুরুতে এই প্রবেশ অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।   তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই অর্থ সরাসরি পরিবারের জীবনযাত্রা ও খরচ সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ধরে রাখতে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ চালাচ্ছেন, যাতে প্রবাসীরা সহজ ও নিরাপদভাবে টাকা পাঠাতে পারেন।

খবর৭১ ডেস্ক নভেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0