দুই দশকের বেশি সময় ডব্লিউডব্লিউই-র ‘পোস্টার বয়’ জন সিনা। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে রেসলিং দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করা এই মার্কিন সুপারস্টার এবার নামছেন ক্যারিয়ারের শেষ লড়াইয়ে।
‘দ্য লাস্ট টাইম ইজ নাউ’—নামের আসন্ন এই টুর্নামেন্টে সিনার সাথে লড়াই করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন ১৬ জন শীর্ষ রেসলার। আর সেই চূড়ান্ত লড়াই শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসিতে।
২০০২ সালে অভিষেকের পর ৮ হাজার ৫৭০ দিনে জন সিনা জিতেছেন রেকর্ড ১৭টি শিরোপা। ‘ইউ ক্যান্ট সি মি’—এই ক্যাচফ্রেজ তাকে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী আলাদা পরিচিতি।
রেসলিং বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডব্লিউডব্লিউই–এর সবচেয়ে বড় উপার্জনের মাধ্যম ছিলেন জন সিনা। টিভি রেটিং, ভিউ রাইটস বিক্রি এবং মার্চেন্ডাইজ—সবখানেই শীর্ষে ছিলেন তিনি।
অবসর নেয়ার প্রসঙ্গে সিনা বলেন, ‘এত বছর যখন একটা খেলার মধ্যে থাকবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার শরীর ছেড়ে দিচ্ছে। তখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করবেন, এটার সঙ্গে ঠিক কত দিন লড়ব? আমার কাছে মনে হয়, তরুণদের জন্য মঞ্চটা ছেড়ে দেয়া উচিত।’
ভক্তদের কাছে সিনা শুধু একজন রেসলার নন—তিনি একজন অনুপ্রেরণা'র নামও বটে। দীর্ঘদিন ধরে কঠিন শারীরিক ও মানুষিক চাপ সহ্য করে রিংয়ে টিকে থাকাই তাকে করে তুলেছে ব্যতিক্রম।
রিংয়ের বাইরেও জন সিনা অনন্য। মেক-এ-উইশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৬৫০টির বেশি শিশুর স্বপ্ন পূরণ করে সিনা গড়েছেন গিনেস রেকর্ড। চলচ্চিত্র, সংগীত ও শিশুতোষ বইয়েও রেখেছেন সরব উপস্থিতি।
বারবার অস্ত্রোপচার ও শারীরিক সমস্যার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জন সিনা ঘোষণা দিয়েছেন—২০২৫ সালই রেসলার হিসেবে তার শেষ বছর।
শেষ ম্যাচে সিনার প্রতিপক্ষ—সাবেক বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন গান্থার। এই ম্যাচে কোনো সময়সীমা না থাকার কথাও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
‘ইউ ক্যান্ট সি মি’—এই ক্যাচফ্রেজ হয়তো আবার শোনা যাবে। তবে, জন সিনার শেষ লড়াই শুধু দেখা নয়, স্মরণীয় হয়ে থাকবে রেসলিং ইতিহাসে বলে আশা করছেন তার অগণিত ভক্তরা।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসর শুরু হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ৬ দলের অংশগ্রহণে দ্বাদশ আসরটি অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মালিকানা ও নামে এবারের বিপিএলে অংশ নেবে সিলেট টাইটান্স। অন্য দলগুলোর মতো নিলামে তারাও পছন্দসই দল সাজিয়েছে। তবে এর বাইরেও শক্তি বাড়ানোর সুযোগ আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। সেটিকে কাজে লাগিয়ে এবার ইংলিশ তারকা মঈন আলিকে দলে ভেড়াল সিলেট। নিলামের পর একে একে বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে যুক্ত করেছে তারা। সেই তালিকায় সর্বশেষ নাম মঈন আলি। এর আগে সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার বিপিএলে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে চার আসরে খেলেছেন। ২০২৪ পর্যন্ত সর্বশেষ তিন আসরে মঈন খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। এর মধ্যে দু’বার শিরোপাও জিতেছেন। প্রথমবার সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা যাবে মঈন আলিকে। তার আগে ইংল্যান্ডের আনক্যাপড খেলোয়াড় ইথান ব্রুকসকে দলে নেয় সিলেট। সম্প্রতি আলো কেড়েছেন ভাইটালিটি ব্লাস্টে ১৪ ম্যাচ খেলে। বিশেষ করে ব্যাটিং দিয়ে। এই ‘নবীন’ খেলোয়াড়কে এবার বিপিএলেও দেখা যাবে। সিলেট টাইটান্সে নাম লেখানো ব্রুকস সর্বশেষ ভাইটালিটি ব্লাস্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। ২৪ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে সিলেটের শক্তি। ইংলিশ টি-টোয়েন্টি সার্কিটে নিজের ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতার জন্য পরিচিত ইথান ব্রুকস। সিলেট টাইটান্সের মিডল অর্ডারে ব্যাটিং গভীরতা, পাওয়ার-হিটিং সক্ষমতা এবং বোলিং ভারসাম্যের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যোগ করতে পারেন। ২০২৫ সালের ভাইটালিটি ব্লাস্টে প্রায় ১৬৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন ব্রুকস। ৫৭ বাউন্ডারিতে টুর্নামেন্টে করেছেন মোট ৩৮০ রান। অর্ধশতক হাঁকান তিনটি। সবমিলিয়ে ২৮ টি-টোয়েন্টি খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। ব্যাটিংয়ে তিন ফিফটিতে ৬৯৫ রান, বাউন্ডারি মেরেছেন ৯৯টি। একনজরে সিলেট টাইটান্সের স্কোয়াড : পারভেজ হোসেন ইমন (৩৫ লাখ), খালেদ আহমেদ (৪৭ লাখ), আফিফ হোসেন (২২ লাখ), এবাদত হোসেন (২২ লাখ), রনি তালুকদার (২২ লাখ), জাকির হাসান (২২ লাখ), রুয়েল মিয়া (২২ লাখ), আরিফুল ইসলাম (২৬ লাখ), শহিদুল ইসলাম (১৪ লাখ), রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ (১৪ লাখ), তৌফিক খান তুষার (১৪ লাখ), মুমিনুল হক (২২ লাখ), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (৩৫ হাজার ডলার), অ্যারন জোন্স (২০ হাজার ডলার), ইথান ব্রুকস, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ আমির ও সাইম আইয়ুব, মঈন আলি।
দুই দশকের বেশি সময় ডব্লিউডব্লিউই-র ‘পোস্টার বয়’ জন সিনা। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে রেসলিং দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করা এই মার্কিন সুপারস্টার এবার নামছেন ক্যারিয়ারের শেষ লড়াইয়ে। ‘দ্য লাস্ট টাইম ইজ নাউ’—নামের আসন্ন এই টুর্নামেন্টে সিনার সাথে লড়াই করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন ১৬ জন শীর্ষ রেসলার। আর সেই চূড়ান্ত লড়াই শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসিতে। ২০০২ সালে অভিষেকের পর ৮ হাজার ৫৭০ দিনে জন সিনা জিতেছেন রেকর্ড ১৭টি শিরোপা। ‘ইউ ক্যান্ট সি মি’—এই ক্যাচফ্রেজ তাকে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী আলাদা পরিচিতি। রেসলিং বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডব্লিউডব্লিউই–এর সবচেয়ে বড় উপার্জনের মাধ্যম ছিলেন জন সিনা। টিভি রেটিং, ভিউ রাইটস বিক্রি এবং মার্চেন্ডাইজ—সবখানেই শীর্ষে ছিলেন তিনি। অবসর নেয়ার প্রসঙ্গে সিনা বলেন, ‘এত বছর যখন একটা খেলার মধ্যে থাকবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার শরীর ছেড়ে দিচ্ছে। তখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করবেন, এটার সঙ্গে ঠিক কত দিন লড়ব? আমার কাছে মনে হয়, তরুণদের জন্য মঞ্চটা ছেড়ে দেয়া উচিত।’ ভক্তদের কাছে সিনা শুধু একজন রেসলার নন—তিনি একজন অনুপ্রেরণা'র নামও বটে। দীর্ঘদিন ধরে কঠিন শারীরিক ও মানুষিক চাপ সহ্য করে রিংয়ে টিকে থাকাই তাকে করে তুলেছে ব্যতিক্রম। রিংয়ের বাইরেও জন সিনা অনন্য। মেক-এ-উইশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৬৫০টির বেশি শিশুর স্বপ্ন পূরণ করে সিনা গড়েছেন গিনেস রেকর্ড। চলচ্চিত্র, সংগীত ও শিশুতোষ বইয়েও রেখেছেন সরব উপস্থিতি। বারবার অস্ত্রোপচার ও শারীরিক সমস্যার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জন সিনা ঘোষণা দিয়েছেন—২০২৫ সালই রেসলার হিসেবে তার শেষ বছর। শেষ ম্যাচে সিনার প্রতিপক্ষ—সাবেক বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন গান্থার। এই ম্যাচে কোনো সময়সীমা না থাকার কথাও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। ‘ইউ ক্যান্ট সি মি’—এই ক্যাচফ্রেজ হয়তো আবার শোনা যাবে। তবে, জন সিনার শেষ লড়াই শুধু দেখা নয়, স্মরণীয় হয়ে থাকবে রেসলিং ইতিহাসে বলে আশা করছেন তার অগণিত ভক্তরা।
৫ রানের মধ্যেই শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫১ রানে হেরেছে ভারত। এতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো সফরকারীরা। ১৮ বলে ভারতের দরকার ছিল ৭২ রান। অসম্ভব প্রায় এই সমীকরণেও তিলক বর্মা ও জিতেশ শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষদিকে কিছুটা আশার আলো দেখে ভারত। কিন্তু পরের দৃশ্যপটে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ভারত থেমে যায় ১৬২ রানে। এর আগে, নিউ চন্ডীগড়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রান। ওপেনার কুইন্টন ডি কক খেলেন বিধ্বংসী এক ইনিংস। তার উইলো থেকে আসে ৪৬ বলে ৯০ রান। শেষ দিকে ডোনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) এবং ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। ভারতের পক্ষে দুটি উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী। ২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতকে লড়াইয়ে রাখতে পেরেছেন কেবল তিলক বর্মা। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩৪ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিলেও জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে। তিনি করেন ১৭ বলে ২৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বার্টম্যানের ঝুলিতে ওঠে ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান এনগিদি, ইয়ানসেন ও সিপামলা। ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১৩/৪ (ডি কক ৯০, ফেরেইরা ৩০*; বরুণ ২/২৯) ভারত: ১৬২ (তিলক ৬২, জিতেশ ২৭; বার্টমান ৪/২৪) ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১ রানে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক