রাজনীতি

ছবি: সংগৃহীত
হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে ‘সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ’। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশ শুরুর আগেই শহীদ মিনার এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুরের পর থেকেই মঞ্চ প্রস্তুত, চেয়ার সাজানো ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। ধীরে ধীরে শহীদ মিনার চত্বর রূপ নেয় এক প্রতিবাদী জমায়েতে। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর করে তোলেন এলাকা। ‘আমরা সবাই হাদি হবো, অন্যায়ের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদির জন্ম নেবে’—এমন স্লোগানের পাশাপাশি ‘নারায়ে তাকবির—আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিত হতে থাকে। হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। সমাবেশ শুরুর আগে মঞ্চে গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। এসব পরিবেশনায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরা হয়। বক্তারা গান ও কবিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার আহ্বান জানান। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। তারা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি তোলেন। আয়োজকদের বক্তব্যে বলা হয়, এই সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদী অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। তারা বলেন, রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতায় রূপ নিতে পারে না। শান্তিপূর্ণভাবে চলমান এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী কণ্ঠে ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসানের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি অভ্যুত্থান-অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে নিয়মিত গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোড এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা চালানো হয়। মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
তিন বিষয়ে মহাব্যস্ত বিএনপি

দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একই সঙ্গে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বিঘ্ন দেশে প্রত্যাবর্তন এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করা এই তিনটি বিষয়ই বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি ও কর্মকৌশলের মূল কেন্দ্রবিন্দু। এসব ইস্যু ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ও সক্রিয় সময় পার করছেন।   এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি সাংগঠনিক শক্তি সুসংহত করা, জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং সময়োপযোগী রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ছয় দিনের টানা কর্মশালা সম্পন্ন করেছে। সেখানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার মধ্য থেকে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে সেগুলো কীভাবে কার্যকর করা হবে—সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। একদিকে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ, অন্যদিকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণায় দলের ভেতরে নতুন উদ্দীপনা ও আশাবাদ তৈরি হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দীর্ঘ নির্বাসন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন, ওই দিন তারেক রহমানকে এমনভাবে বরণ করে নিতে, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার বক্তব্যে উঠে আসে, যখন দলের চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন, ঠিক সেই অনিশ্চয়তার মধ্যেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর বিএনপির জন্য আশার আলো হিসেবে কাজ করছে। নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, তারেক রহমানের সরাসরি উপস্থিতি দলীয় সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে। বিএনপির আরেকটি বড় উদ্বেগের জায়গা হলো দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল রোগে ভুগছেন এবং বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড নিয়মিত তার চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভেতরে ও বাইরে এক ধরনের রাজনৈতিক সংহতি ও আবেগী ঐক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। তার আরোগ্য কামনায় দেশ-বিদেশে দোয়া মাহফিল, বিশেষ ইবাদত ও বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচি পালন করছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। এটি দলীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত লড়াই’ হিসেবে দেখছে। দলটি ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, জনসমর্থন এবং আন্তর্জাতিক মহলের ইতিবাচক মনোভাবকে সামনে রেখে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, এবারের নির্বাচন বিজয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। সাধারণ ভোটার, বিশেষ করে নতুন ভোটার ও তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি যুগোপযোগী ও জনকল্যাণমুখী নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করার কাজ চলছে, যেখানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সুশাসন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সবার জন্য সমান সুযোগের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কিছুটা টানাপোড়েনও তৈরি হয়েছে। শরিকদের ক্ষোভ ও মতপার্থক্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় সূত্রগুলোর প্রত্যাশা, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সন্তোষজনক সমঝোতা হবে এবং বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জোট গড়ে উঠবে।   বিএনপির নেতারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের ঐতিহ্য, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সৃষ্ট নতুন সাংগঠনিক শক্তি এবং জনগণের প্রত্যাশাকে একত্রিত করতে পারলে বিএনপি আগামী দিনে একটি কার্যকর ও শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। বর্তমান এই ত্রিমুখী ব্যস্ততা প্রমাণ করে, বিএনপি এখন আর কেবল একটি প্রতিবাদী দল নয়; বরং একটি সুসংগঠিত, ক্ষমতাপ্রত্যাশী এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে, যা অতীতে কখনো কোনো নেতা পাননি এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় ১৮ বছর পর তারেক রহমানের নির্বাসিত জীবনের অবসান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি দলের এই প্রস্তুতির কথা জানান। বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করি আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণার বিষয়। তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা ২৫ ডিসেম্বর তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যা অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নেতা পাননি। আমরা সবাই সেই প্রস্তুতি নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সংবাদ আমাদের জন্য একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে আবেগের। একদিকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন, অন্যদিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে যিনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন, যিনি আমাদের আশার আলো সেই নেতা আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসছেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নু।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আচরণবিধি লঙ্ঘনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এটিই প্রথম জরিমানার ঘটনা।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই জরিমানা আরোপ করা হয়। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, সাতকানিয়া থেকে শুরু হওয়া একটি শোভাযাত্রায় কয়েকশ মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি লোহাগাড়ার আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে কর্তৃপক্ষ তাকে জরিমানা করে। চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের ওই অংশটি অত্যন্ত ব্যস্ত হওয়ায় শোভাযাত্রার কারণে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, একই দিন অলি আহমদ বীর বিক্রম স্টেডিয়ামে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জরিমানার পর বিকেল ৫টার দিকে নাজমুল মোস্তফা আমিন ওই দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টার দিকে নাজমুল মোস্তফা আমিন সাতকানিয়া থেকে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িবহর নিয়ে লোহাগাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা করা হয়।   চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোভাযাত্রা করা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা–২০২৫-এর ৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের শামিল। বিধান অনুযায়ী এ কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে যা বললেন সালাহউদ্দিন আহমদ

দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই ঘোষণার মধ্যেই ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে নিরাপত্তা ইস্যুটি নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।   এ প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। তার ভাষায়, ১০ তারিখ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তার পরদিনই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপর হামলা চালানো হলো। হামলার ধরন দেখেই বোঝা যায়, এটি পেশাদার শ্যুটারের কাজ। তিনি আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখবো এবং আরও সুদৃঢ় করবো। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকবে, নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা মতভেদ হবে কিন্তু এমন কোনো পর্যায়ে আমরা যাব না, যাতে ঐক্য বিনষ্ট হয়। দীর্ঘদিন পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও তার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন, সে জন্য সরকারের প্রতি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি যোগ করেন, এ বিষয়টি আজকের বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়নি, তবে এটি আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। দলীয়ভাবেও আমরা চেষ্টা করবো এবং সরকারকেও আহ্বান জানাবো যেন তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তিনি বলেন, কোনো আশঙ্কাকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে, পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।” এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যৌথ বাহিনী, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, এই ধরনের সহিংস ঘটনা আমরা বন্ধ করতে পারবো। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, “আমাদের চেতনা হচ্ছে জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। জনআকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমরা সর্বাগ্রে রাখবো। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে আমাদের কোনো আপস নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই এ ধরনের হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় যাত্রাকালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত খুব কাছ থেকে গুলি করে শরীফ ওসমান হাদিকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাদির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া গুলি হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’।” তিনি বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।   তিনি আরও জানান, হাদি বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা আপাতত তার সুস্থতা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।   মির্জা ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার এই আগমনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে যে বাধাগুলো তৈরি হয়েছিল, তারেক রহমান দেশে ফিরলে সেগুলো দূর হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ২০০৭ সালে এক-এগারোর সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান এবং তখন থেকেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় তার সাজা বাতিল বা অব্যাহতি পাওয়া শুরু হয়। এরপর থেকেই তার দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়। গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির বিভিন্ন নেতা তার শিগগির দেশে ফেরার বিষয়টি ইঙ্গিত করলেও এবারই প্রথম নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হলো।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
আগামী নির্বাচন ভাবনার চেয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, বাস্তবে তা হবে না। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। তবেই তারা বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেবে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। বিএনপির বিভিন্ন বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিট থেকে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, এক বছর-সোয়া বছর আগেই বলেছিলাম—সামনের নির্বাচন এত সহজ হবে না। আজ ধীরে ধীরে তা প্রমাণিত হচ্ছে। আমরা যদি এখনো সিরিয়াস না হই, তাহলে দেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। গণতন্ত্রই এই দেশকে রক্ষা করতে পারে, আর সেই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারবেন আপনারাই—বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, মানুষের কাছে বিএনপির পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলীয়করণ নয়, বরং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। যে ভোট দিয়েছে কিংবা দেয়নি—সবাই দেশের নাগরিক, সবার জন্য কাজ করতে হবে,—যোগ করেন তিনি। তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি অলীক স্বপ্ন দেখাচ্ছে না; বরং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা উপস্থাপন করছে। নির্বাচন সামনে, তাই ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। প্রার্থী আসবে, পরিবর্তন হবে—কিন্তু দল ও আদর্শ একই থাকবে,—বলেন তিনি। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, কিছু দল মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু বিএনপির তা করার প্রয়োজন নেই। বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিলেই যথেষ্ট। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অনেকে মসজিদে গিয়ে তাদের কথা বলছেন। তারা যদি বলতে পারে, আপনারা কেন পারবেন না? বললে সবাই বলবে; না বললে কেউ বলবে না। নিয়ম যদি থাকে—তা হবে সবার জন্য সমানভাবে, বিশেষ কারও জন্য নয়।   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ অন্য নেতারা।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
এই নির্বাচনের লড়াই সবচেয়ে কঠিন : মির্জা ফখরুল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন লড়াই হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।   তফসিল ঘোষণাকে নতুন দেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে দেশের সামনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবারের নির্বাচন অতীতের মতো ‘আওয়ামী আমলের নির্বাচন’ হবে না। বরং নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট হবে এবং এই নির্বাচনে জয় পেতে হলে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আগামী নির্বাচন প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠনের সুযোগ তৈরি করবে, যা দেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে। তাঁর ভাষায়, এই নির্বাচনের লড়াই সবচেয়ে কঠিন। পেছনে টেনে ধরার শক্তির বিরুদ্ধে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তিকে জয়ী করার লড়াই। সংস্কারবিরোধী হিসেবে বিএনপিকে দাঁড় করানোর অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের যত বড় সংস্কার এসেছে, তা বিএনপির হাত ধরেই এসেছে। দেশের সব ইতিবাচক অর্জনেও বিএনপির অবদান আছে বলে তিনি দাবি করেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাসের আসন খালি, এনসিপির তালিকায় নেই আলোচিত রিকশাচালক সুজন

ঢাকা-৮ আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও প্রথম ধাপে মনোনয়ন পাননি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা সেই রিকশাচালক সুজন। আজ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় তরুণ ও নতুন মুখদের প্রাধান্য দেখা গেছে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—মো. সারজিস আলম (পঞ্চগড়–১), হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা–৪), মো. নাহিদ ইসলাম (ঢাকা–১১), আখতার হোসেন (রংপুর–৪), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা–৯) এবং নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ঢাকা–১৮)। ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের বেশিরভাগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে এনসিপি। তবে এখনও ফাঁকা রয়েছে ২, ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১৪ নম্বর আসন। এর মধ্যে ঢাকা–৮ (মতিঝিল–শাহজাহানপুর–রমনা) আসনটি নানা কারণে বিশেষভাবে আলোচনায়। এ আসনে বিএনপি ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে এনসিপি থেকে গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন নিয়েছিলেন রিকশাচালক সুজন। তবে প্রথম ধাপে এ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি দলটি। জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানান, প্রথম ধাপে ১২৫ জনের নাম ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী তালিকায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের সংস্কারপন্থী নেতাদের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অনুপাত অনুযায়ী প্রার্থী দেব। কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য কোনো আসন ফাঁকা রাখা হয়নি। প্রার্থীদের তালিকা জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা হলো। কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও জানান, ৩০০ আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। ২০ নভেম্বর মনোনয়ন নেওয়ার পর নির্বাচনে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন বলেছিলেন, ‘এতিমের টাকা মেরে যখন সংসদে দাঁড়ানো যায়, তখন আমি রিকশা চালক হয়ে কেন দাঁড়াতে পারব না? যাত্রাপালায় নেচে যদি সংসদে যাওয়া যায়, তখন রিকশাওয়ালা কেন যেতে পারবে না?’ তিনি বলেন, জনগণ, রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কথা বলতে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তিনি নির্বাচন করতে চান। উল্লেখ্য, একই আসনে আগে জামায়াতে ইসলাম ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বর্তমানে দলটির ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করছে : সালাউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, একটি দল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ধর্মকে ব্যবহার করছে। সেই দল বলছে—নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিলে জান্নাতে যাওয়া যাবে। কিন্তু ইহজাগতিক জীবনে মানুষের চলার পথ নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই। নীতি-আদর্শ বা উন্নয়ন পরিকল্পনাও নেই। ধর্মের নামে এমন ‘ট্যাবলেট বিক্রি’ করে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। জনগণ ইতোমধ্যে তাদের চিনে ফেলেছে, তাদের মুখোশও উন্মোচিত হয়েছে।   সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চায় না। বিএনপির লক্ষ্য মানুষের কল্যাণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা তুলে ধরা। সহজ ভাষায় দলের পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আগেভাগে পরিকল্পনা না করলে তা নিজেকেই ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দেয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জামায়াত ধর্মের নামে ব্যবসা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সাত দিনব্যাপী বিএনপির এই কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে মানুষের মতামত জানবে বিএনপি। সেই মতামতের ভিত্তিতেই দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করা হবে।   দ্বিতীয় সেশনের সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল উদ্বোধন হওয়া এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন এলে তসবিহ নিয়ে ঘোরা রাজনীতিকই ধর্মকে ব্যবহার করে : জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না এ কথা জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ দূতাবাসে আট দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।   তিনি বলেন, জামায়াত কখনো ধর্মের ব্যবহার করে না কিংবা ধর্মকে ব্যবসার উপকরণ বানায় না। নির্বাচনের সময় তসবিহ নিয়ে ঘোরাফেরা করা কিছু দলের আচরণই মূলত ধর্মকে ব্যবসার কাজে লাগানো। জামায়াত এ ধরনের পথ অনুসরণ করে না। জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে তিনি জানান, নির্বাচনের তারিখ পেছানো জামায়াতের কাম্য নয়। তার মতে, কোনো কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হতে পারে। ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে একটি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনটি শর্তের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন প্রথমত, দুর্নীতি পরিহার করতে হবে এবং কাউকে দুর্নীতি করতে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। যারা এসব নীতির সঙ্গে একমত হবেন, তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনে জামায়াত আগ্রহী। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সুস্থতা বা অসুস্থতা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছানির্ভর। তিনি দেশের মানুষের মতোই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র পরিচালনা থেমে থাকা উচিত নয়; সমাজের চাকা সবসময়ই চালু থাকা প্রয়োজন। রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায় একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই দিনে দুটি ভোট আয়োজন নিয়ে উদ্বেগ আছে। তিনি আলাদা দিনে নির্বাচন করার পরামর্শ দেন।   ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সামান্য পরিবর্তনও দেশে গভীর সংকট সৃষ্টি করতে পারে। দেশের স্বার্থে এবং ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি রোধে সবচেয়ে বেশি সক্ষম বিএনপি : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবি; তা না পারলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।   রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের চলমান সংকট—দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বিএনপিরই বেশি। এই সংকট কাটানো না গেলে নারী উন্নয়ন, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ যেকোনো খাতের পরিকল্পনাই বাধাগ্রস্ত হবে। তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, কিছু ব্যক্তি স্বৈরশাসকের মতো বিএনপির সমালোচনা করছেন। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে তাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন এবং মন্ত্রিসভায় থেকেই তারা দেখেছেন—দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থান ছিল অটল। বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়, তার কোনোটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জাতীয় সরকার গঠনের প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের দিন দলের মহাসচিব জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় সরকার করা হবে কি না। তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল—জনগণের কাছেই যাওয়া হবে; কারণ জনগণই বিএনপির শক্তির উৎস। দু-একটি রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, যারা দাবি করছে যে তারা বিএনপিকে দেখেনি তাদের কার্যক্রম জাতি ১৯৭১ সালেই দেখেছে। হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের ইতিহাস মানুষ ভুলে যায়নি; তাই নতুন করে তাদের দেখার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, দেশে সংকট দেখা দিলেই বিএনপি পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কাজ করেছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে উন্নত ও স্বনির্ভর করে গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।   তারেক রহমান জানান, বিএনপি দেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা বা আমেরিকার অনুলিপি বানাতে চায় না; তারা চায় স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। জনগণ ও গণতন্ত্রই দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির নেতৃত্বে নতুন তিনদলীয় রাজনৈতিক জোট ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গঠনের লক্ষ্যে তিনটি দল মিলে ‘রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ঐক্য’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।   ঘোষিত নতুন জোটে এনসিপি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) যুক্ত হয়েছে। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে জোটে আরও দল যুক্ত হতে পারে। যদিও আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের থাকার কথা ছিল, অনুষ্ঠানে তাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের মনোনীত প্রার্থীরা একটি অভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন— এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব সাঈদ মুস্তাফিজ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিব উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা।   এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশের মানুষ যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রত্যাশা করছে, তাদের এই জোট সেই পরিবর্তনের সূচনা করছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া–সাতকানিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দলের মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে মিঠাদিঘী এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।   প্রতিবাদকারীরা ‘অবৈধ নমিনেশন মানি না’, ‘টাকার বিনিময়ে নমিনেশন মানি না’—এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বিক্ষোভের ফলে রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঠাকুরদিঘী থেকে কেরানিহাট পর্যন্ত মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে জনপ্রিয় প্রার্থী মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তারা দাবি জানান, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব যেন দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করে মুজিবুর রহমানকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) একই দাবিতে সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
আরও ৩৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনের পাশাপাশি আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আসনের প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ডা. আব্দুস সালাম, দিনাজপুর-৫ আসনে এ কে এম কামরুজ্জামান, নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং নাটোর-৩ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সেলিম রেজা, যশোর-৫ আসনে এম ইকবাল হোসেন, নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম, খুলনা-১ আসনে আমির এজাজ খান, পটুয়াখালী-১ আসনে মোহাম্মদ শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-৩ আসনে জয়নাল আবেদীন এবং ঝালকাঠি-১ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওহাব আখন্দ ওয়ালিদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ জিন্নাহ কবির এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. কামরুজ্জামান বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।   ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিরুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এম এম জাহাঙ্গীর হোসেন, গাজীপুর-১ আসনে মজিবুর রহমান, রাজবাড়ী-২ আসনে হারুন অর রশিদ, ফরিদপুর-১ আসনে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার, মাদারীপুর-২ আসনে জাহান্দার আলী খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাসির হোসেন চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নুরুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে দলটি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির সদয় বার্তা ও শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।   বিএনপি জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মোদির সৌজন্যমূলক বার্তা দলটির কাছে গভীরভাবে প্রশংসনীয়। তাদের মতে, এই শুভেচ্ছা ও সমর্থনের প্রকাশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রতিফলন। এর আগে সোমবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। মোদি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনজীবনে দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খালেদা জিয়া সম্মানিত, এবং প্রয়োজনে ভারত সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ১ ডিসেম্বর রাতে দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়েও কথা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের আপডেট চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ শিগগিরই জানাবেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই এবং প্রয়োজনে অল্প সময়েই ট্রাভেল পাস প্রদান করা সম্ভব।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
খালেদা জিয়ার অক্সিজেন লাগছে , প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসিইউ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। টানা পাঁচ দিন তিনি সিসিইউতেই আছেন। তবে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।   চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে ৮-১০লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসিইউর কিছু সাপোর্ট সিসিইউতেই সরবরাহ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থার হালকা অবনতি হয়েছে। আইসিইউতে নেওয়া হয়নি। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই আইসিইউ সাধারণ আইসিইউর মতো নয়। এখানে সব ধরনের সাপোর্ট রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ম্যাডামকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনফেকশনের (সংক্রমণ) শঙ্কায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়৷ উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কন্ডিশন ট্রাভেল করার মতো হলে সিদ্ধান্ত হবে। সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।   এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডে নতুন করে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও যুক্ত হয়েছেন। যেখানে তিনি গত জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন আলোচনা করে নতুন করণীয় ঠিক করছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনস হপকিনস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের বৈঠকে অংশ নেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতসহ সমমনা জোটের সমাবেশে সরকারের প্রতি কড়া সতর্কবার্তা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন সমমনা আটটি রাজনৈতিক দলের প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানান এবং একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের মতে, একই দিনে দুটি নির্বাচন হলে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা জনগণের ম্যান্ডেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তারা সতর্ক করে বলেন, গণভোট অবশ্যই নির্বাচনের আগে আলাদা দিনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।   বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনে অযৌক্তিক বদলি, নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা এবং একাধিক দলের গোপন তৎপরতা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন। তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ভিন্নমতের দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাই ভবিষ্যতে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করা হয় যেখানে দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। সমাবেশে জোট সম্প্রসারণের কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, নতুন রাজনৈতিক দলগুলো এই আটদলীয় জোটে যোগদানের আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং জোটের পরিধি ক্রমেই বাড়বে। বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু দল সংস্কারবিরোধী অবস্থান নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। অনেক বক্তা ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, ভবিষ্যতের সরকার হবে তৌহিদি জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী, যেখানে প্রশাসন, সংসদ ও বিচারব্যবস্থা ন্যায় ও সুশাসনের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। শহীদদের আদর্শ বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তারা বলেন, আলাদা দিনে গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।

মোঃ ইমরান হোসেন নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আদালতে তলব বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের করা আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তলব করেছে। আদালত তাকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।   এর আগে, ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, একটি টকশোতে ফজলুর রহমান বলেছেন যে তিনি ট্রাইব্যুনালকে মানেন না এবং দাবি করেন, এটি শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছে, অন্য কোনো বিচার এখানে হতে পারে না। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধসহ ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট পিস এর বিচার করতে সক্ষম। তিনি বলেন, বর্তমানে ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করছে, যেখানে ফজলুর রহমান কেবল যুদ্ধাপরাধের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিকোণ দেখাচ্ছেন।

মোঃ ইমরান হোসেন নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যাচ্ছেন না, প্রশ্ন তুললেন পদত্যাগকারী আরিফ

আসছে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।   ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভ্যুত্থানের দল এনসিপিতে তাদের যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে আগে জোর আলোচনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে। সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু আসিফ ও মাহফুজ দুজনেরই সেই দলে যোগদানের পথ এখন প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন সূত্র জানায়, তারা বিএনপি ত্যাগ করা আসনগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন। এদিকে অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়েও আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন না এই প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য পদত্যাগ করা এনসিপির এক সংগঠক, আরিফুল ইসলাম তালুকদার। এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যেতে পারছে না? পোস্টে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন এনসিপির নীতিনির্ধারণী পরিষদ প্রকৃত আদর্শ থেকে সরে গেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দলের নীতি নির্ধারণের মূল ক্ষেত্রটি এখন ধর্মবিদ্বেষী একটি চক্রের দখলে। তিনি জানান, ২৮ নভেম্বর তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার দাবি, তাকে ফোনে পরোক্ষভাবে দল বা ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি ধর্মকেই বেছে নিয়েছেন।   আরিফুল ইসলাম তালুকদার জানান, আগামীকাল ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার বিকাল ৩টায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন, যেখানে তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরবেন।

মোঃ ইমরান হোসেন নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক
সর্বশেষ

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0