সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যু : ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

বরেন্দ্র অঞ্চলে পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপে পড়ে দুই বছরের শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ নোটিশ পাঠান। এতে অরক্ষিত নলকূপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশু সাজিদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ লিগ্যাল নোটিশটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব নলকূপ যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার স্পষ্ট প্রমাণ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ১৫ দিনের মধ্যে একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব পরিত্যক্ত নলকূপ চিহ্নিত করে জরিপ পরিচালনা, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে সেগুলো সিলগালা/ভরাট বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, অবৈধ নলকূপ খননে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপদ নলকূপ ব্যবস্থাপনায় মানসম্মত কার্যপ্রণালি (এসওপি) প্রণয়ন, অননুমোদিত নলকূপ স্থাপনা রোধে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা হবে বলেও লিগ্যাল নোটিশে জানানো হয়েছে।

৮ মিনিট আগে
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১১ ঘন্টা আগে
হাদিকে গুলি করল কারা? নেপথ্য রহস্য খুঁজছে গোয়েন্দারা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনী। দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনায় একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হলেও অপর জড়িত ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে নিবিড় ও চুলচেরা তদন্ত। এখনো মূল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হামলার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।   এ ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—কারা এবং কী উদ্দেশ্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়েছে? গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। জড়িতদের গ্রেপ্তার করা গেলে নেপথ্যের প্রকৃত কারণ এবং পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। ওই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং তথ্যদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুটার হিসেবে শনাক্ত যুবকের নাম ফয়সাল করিম মাসুদ, যিনি রাহুল ও দাউদ খান নামেও পরিচিত। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা। রাজধানীর আদাবর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালে ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আদাবর এলাকায় অস্ত্রের মুখে ডাকাতির একটি মামলায় ফয়সাল করিম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সে সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিনে মুক্ত হন। সাম্প্রতিক সময়ে শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে গণসংযোগ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতির ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই হাদিকে অনুসরণ করছিলেন। হামলায় অংশ নেওয়া অপর যুবককে এখনো নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তবে সম্ভাব্য কয়েকজনের ছবি নিয়ে টাওয়ার ডাম্পিংসহ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ চালানো হচ্ছে। ঘটনার সময় যেসব মোবাইল নম্বরের অবস্থান ঘটনাস্থলে পাওয়া যাবে, তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা হবে। এতে কিছুটা সময় লাগায় দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার পর শুটার ও মোটরসাইকেলচালক সীমান্ত এলাকার দিকে পালিয়ে যেতে পারেন। এ কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্তে কঠোর পর্যবেক্ষণ চলছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত এগোচ্ছে। একাধিক সন্দেহভাজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।   উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই যুবক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

১১ ঘন্টা আগে
স্বর্ণের দামে বড় লাফ, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর

দেশীয় বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা, যা আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দামে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা। বাজুস জানায়, নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এদিকে স্বর্ণের দামের পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।   এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছিল ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৪৭ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

১১ ঘন্টা আগে
শিশু সাজিদ। ছবি : সংগৃহীত
সর্বশেষ
নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যু : ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

বরেন্দ্র অঞ্চলে পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপে পড়ে দুই বছরের শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ নোটিশ পাঠান। এতে অরক্ষিত নলকূপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শিশু সাজিদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া এ লিগ্যাল নোটিশটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব নলকূপ যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার স্পষ্ট প্রমাণ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ১৫ দিনের মধ্যে একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব পরিত্যক্ত নলকূপ চিহ্নিত করে জরিপ পরিচালনা, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে সেগুলো সিলগালা/ভরাট বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, অবৈধ নলকূপ খননে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপদ নলকূপ ব্যবস্থাপনায় মানসম্মত কার্যপ্রণালি (এসওপি) প্রণয়ন, অননুমোদিত নলকূপ স্থাপনা রোধে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা হবে বলেও লিগ্যাল নোটিশে জানানো হয়েছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আহত শান্তিরক্ষীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানিয়েছে।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন এবং আটজন আহত হন।   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে নৃশংস আখ্যা দিয়ে নিহত শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে।   বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে সরকার ও দেশের জনগণ। তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।   এ ছাড়া নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্টকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানানো হয়।

ছবি: সংগৃহীত
সুদানে শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক : প্রধান উপদেষ্টা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ শোক জানান। বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনকালে ছয়জন বীর বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরও আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বীর শান্তিরক্ষীদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার। তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই কঠিন সময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।   এ ছাড়া নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।


ছবি: সংগৃহীত
হাদিকে গুলি করল কারা? নেপথ্য রহস্য খুঁজছে গোয়েন্দারা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনী। দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনায় একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হলেও অপর জড়িত ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে নিবিড় ও চুলচেরা তদন্ত। এখনো মূল আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় হামলার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।   এ ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—কারা এবং কী উদ্দেশ্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়েছে? গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। জড়িতদের গ্রেপ্তার করা গেলে নেপথ্যের প্রকৃত কারণ এবং পরিকল্পনাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। ওই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং তথ্যদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুটার হিসেবে শনাক্ত যুবকের নাম ফয়সাল করিম মাসুদ, যিনি রাহুল ও দাউদ খান নামেও পরিচিত। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা। রাজধানীর আদাবর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালে ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আদাবর এলাকায় অস্ত্রের মুখে ডাকাতির একটি মামলায় ফয়সাল করিম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সে সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিনে মুক্ত হন। সাম্প্রতিক সময়ে শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে গণসংযোগ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতির ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই হাদিকে অনুসরণ করছিলেন। হামলায় অংশ নেওয়া অপর যুবককে এখনো নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তবে সম্ভাব্য কয়েকজনের ছবি নিয়ে টাওয়ার ডাম্পিংসহ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ চালানো হচ্ছে। ঘটনার সময় যেসব মোবাইল নম্বরের অবস্থান ঘটনাস্থলে পাওয়া যাবে, তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা হবে। এতে কিছুটা সময় লাগায় দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার পর শুটার ও মোটরসাইকেলচালক সীমান্ত এলাকার দিকে পালিয়ে যেতে পারেন। এ কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্তে কঠোর পর্যবেক্ষণ চলছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত এগোচ্ছে। একাধিক সন্দেহভাজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।   উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই যুবক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, আহত একজন

রাজধানীর মিরপুর, মৌচাক ও শান্তিনগর এলাকায় পৃথক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মিরপুরে একজন আহত হয়েছেন।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ নম্বর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদের ওপর থেকে দুর্বৃত্তরা একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন। এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার একটি পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ জানায়, রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছেও একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায়ও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর পর রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিং এলাকায় আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কেউ আহত হয়নি।   পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ছবি: সংগৃহীত
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
স্বর্ণের দামে বড় লাফ, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর

দেশীয় বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা, যা আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দামে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা। বাজুস জানায়, নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এদিকে স্বর্ণের দামের পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।   এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছিল ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৪৭ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের ৫ জোট পরিকল্পনা: রাশিয়া-চীনকে কেন্দ্র করে নতুন 'সুপারক্লাব'
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও চীনকে কেন্দ্র করে নতুন ‘সুপারক্লাব’ বা কোর-৫ জোট গঠনের পরিকল্পনা করছেন। এতে ভারত ও জাপানও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে এই জোটের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, 'জি-৭' বা অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জোটকে এড়িয়ে গিয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।   প্রস্তাবিত কোর-৫ জোটের প্রথম বিষয় হবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা—বিশেষ করে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ। তবে হোয়াইট হাউস এই নথির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে।   যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কোর-৫ জোটের ধারণা ট্রাম্পের নিজস্ব আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা টরি টসিগ বলেন, এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিশালী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সহযোগিতার প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।   যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, আন্তর্জাতিক পর্যালোচকরা বলছেন—'কোর-৫' জোটের ধারণা ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক কৌশলের একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত বহন করছে।

ছবি: সংগৃহীত
শান্তি বেশি দূরে নয়: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে চান। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।    এরদোয়ান আশা প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন খুব দূরে নয়। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তুর্কমেনিস্তানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, 'শান্তি খুব দূরে নয়; আমরা তা দেখতে পাচ্ছি'।   তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ‘'ব্যাপক শান্তি প্রচেষ্টা’' মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এরদোয়ান ইউক্রেন শান্তি প্রচেষ্টায় তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।   বৈঠকে পুতিনকে এরদোয়ান বলেছেন, জ্বালানি স্থাপনা ও বন্দর কেন্দ্র করে সীমিত যুদ্ধবিরতি সব পক্ষের জন্য উপকারী হতে পারে। তিনি বলেন, কৃষ্ণসাগরকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখা উচিত নয়। নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি, যা রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চালু, ১ মিলিয়ন ডলারে দ্রুত নাগরিকত্ব
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

বছরের শুরুতে ঘোষিত এই গোল্ড কার্ড প্রকল্পে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গোল্ড কার্ড পেতে আবেদনকারীকে প্রথমে ১০ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থ প্রমাণ করবে যে, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে আসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করলেন নতুন ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রকল্প, যার মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার (প্রায় সাড়ে ৭ লাখ পাউন্ড) পরিশোধকারী বিদেশীরা দ্রুততম সময়ে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ পেতে পারেন। খবর রয়টার্স। ট্রাম্প বলেন, এই কার্ড ‘যোগ্য ও যাচাইকৃত’ আবেদনকারীদের জন্য সরাসরি নাগরিকত্বের পথ তৈরি করবে এবং এতে মার্কিন কোম্পানিগুলো ‘তাদের অমূল্য প্রতিভা’ ধরে রাখতে সক্ষম হবে।   বছরের শুরুতে ঘোষিত এই গোল্ড কার্ড প্রকল্পে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গোল্ড কার্ড পেতে আবেদনকারীকে প্রথমে ১০ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থ প্রমাণ করবে যে, আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে আসবেন। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশী কর্মীদের স্পনসর করবে তাদের ২০ লাখ ডলার দিতে হবে, এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য ফি প্রযোজ্য হবে। আরো বিশেষ কর সুবিধা সম্বলিত 'প্ল্যাটিনাম' কার্ডও শিগগিরই আসছে, যার মূল্য হবে ৫০ লাখ ডলার। আবেদন পর্যালোচনার আগেই সবাইকে ১৫ হাজার ডলার অফেরতযোগ্য প্রক্রিয়াকরণ ফি জমা দিতে হবে। ঘোষণার পর থেকেই প্রকল্পটি সমালোচিত হচ্ছে। ডেমোক্র্যাট নেতারা বলছেন, এই পরিকল্পনা ধনীদের পক্ষপাতী এবং সাধারণ অভিবাসীদের জন্য বৈষম্যমূলক। ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, গোল্ড কার্ড গ্রিন কার্ডের মতোই দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেয়, তবে এটি মূলত ‘উচ্চ দক্ষতা ও উৎপাদনশীল’ ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে তৈরি। তার বক্তব্য, ‘যারা ৫ মিলিয়ন ডলার দিতে পারে, তারা চাকরি তৈরি করবে। এটি দারুণ বিক্রি হবে, একেবারে সস্তা।   অন্যদিকে, প্রশাসন এরইমধ্যে ব্যাপক অভিবাসন দমন অভিযান চালাচ্ছে। কর্মক্ষেত্র ভিসার ফি বৃদ্ধি, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বহিষ্কার, ও বাইডেন আমলে মঞ্জুর হওয়া হাজারো আশ্রয় আবেদন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত তারই অংশ। এছাড়া ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলো মূলত আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের। গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প দক্ষ বিদেশী কর্মীদের জনপ্রিয় এইচ-১বি ভিসার আবেদনে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিদেশী শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, এই ফি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে বাংলাদেশীসহ লাখো মুসলিম
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

ব্রিটেনে বসবাসকারী প্রায় ৯০ লাখ মুসলিম নাগরিক নাগরিকত্ব হারানোর বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে পারিবারিক বা বংশগত সম্পর্ক থাকা নাগরিকদের ব্যাপারে এমন সতর্কতা দিয়েছে নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদন। খবর মিডল ইস্ট আই।   বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রানিমিড ট্রাস্ট ও মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান আইনের আওতায় যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। এর বড় অংশই মুসলিম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইচ্ছাধীন এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সঙ্গে পারিবারিক বা বংশগত সংযোগ থাকা নাগরিকদের ওপর অসম প্রভাব ফেলছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরা ছাড়াও সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে একটি ‘জাতিগতভাবে বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব ব্যবস্থা’ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গবেষকরা। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ক্ষমতাটি জাতিগত ভিত্তিতে বৈষম্য তৈরি করেছে। অ-শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে তিন-পঞ্চমাংশ (৬০ শতাংশ) ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। অন্যদিকে, শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মধ্যে প্রতি ২০ জনে মাত্র একজন (৫ শতাংশ) একই ঝুঁকির সম্মুখীন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সমকক্ষদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ৯ লাখ ৮৪ হাজার, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ৬ লাখ ৭৯ হাজার, বাংলাদেশীসহ ঝুঁকিতে থাকা ৩৩ লাখ এশীয় ব্রিটিশ সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন।   সংস্থাগুলোর দাবি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের নামে নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা গত দুই দশকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে এবং এর প্রভাব প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর পড়ছে। তারা নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা স্থগিত ও আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী