সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
ডেটলের নামে ভয়ংকর প্রতারণা, গোপন কারখানার সন্ধান

গায়ে লেখা ‘অরিজিনাল’ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই নকল। সাধারণ সাবানের মতোই লেখা, রঙ ও মোড়ক। বাহ্যিকভাবে নামকরা ব্র্যান্ড ডেটলের মতো মনে হলেও ভেতরে ছিল মানহীন ও ক্ষতিকর উপাদান। দীর্ঘদিন ধরে এমন নকল সাবান চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যা নীরবে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছিল। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানাধীন মজ্জারটেক শিকলবাহা এলাকায় এমনই একটি নকল সাবান তৈরির গোপন কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম, র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব-৭ সূত্র জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় অবৈধভাবে নকল সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হলে শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের একটি স্থাপনায় কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। বাইরে থেকে এটি অটোরিকশা গ্যারেজ মনে হলেও ভেতরে ঢুকে দেখা যায় আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নকল সাবান উৎপাদনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা। অভিযানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল নকল সাবান, কাঁচামাল ও সাবান তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে পরিচালিত কারখানাটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয় এবং উদ্ধারকৃত মালামাল জব্দ করা হয়। বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, কারখানাটি ‘সলিড করপোরেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছিল। তবে লাইসেন্সে সাধারণ সলিড সাবান উৎপাদনের অনুমোদন থাকলেও বাস্তবে এখানে ডেটল সাবান ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ‘লিফোর্ড’-এর আদলে নকল সাবান তৈরি করা হচ্ছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি বলেন, কারখানাটির কোনো বিএসটিআই অনুমোদন বা মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ছিল না। ব্যবহৃত কাঁচামাল ও উৎপাদন প্রক্রিয়া ছিল নিম্নমানের। এসব সাবানে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে, যা ত্বকের এলার্জি, চুলকানি, র‍্যাশ ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। শিশু ও সংবেদনশীল ত্বকের মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। র‌্যাব–৭, চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নামকরা ব্র্যান্ডের আদলে নকল সাবান তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। এটি শুধু অর্থনৈতিক অপরাধ নয়, জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধেও একটি গুরুতর অপরাধ। ভোক্তাদের সুরক্ষায় এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাব–৭-এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে কারখানায় কর্মরত দুজন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। উদ্ধারকৃত নকল সাবান ও উৎপাদন সরঞ্জামাদির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই স্থাপনায় রাতের বেলায় অস্বাভাবিক তৎপরতা দেখা যেত। এক স্থানীয় হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জানতাম এটা অটোরিকশা গ্যারেজ। কিন্তু গভীর রাতে ভেতরে কাজ চলত। বুঝতে পারিনি এখানে নকল সাবান তৈরি হচ্ছে।’ ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে এসব নকল সাবান ব্যবহারের ফলে অনেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। নকল ও আসল পণ্যের পার্থক্য সহজে বোঝার উপায় না থাকায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে তারা জানান। নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।

১৫ মিনিট আগে
ওসমান হাদিকে বিদেশ নেওয়ার তথ্য জানালেন জুমা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি জানান, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হবে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফাতিমা তাসনিম জুমা। এদিকে, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় মেডিকেল বোর্ড জানায়, সকালে পুনরায় করা সিটি স্ক্যানে হাদির মস্তিষ্কের ফোলা আরও বেড়েছে, যা গুরুতর ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের তথ্যমতে, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও অতিরিক্ত ব্রেন সুয়েলিংয়ের কারণে হাদির রক্তচাপের ওঠানামা বেড়েছে। পাশাপাশি তার হার্টবিটও স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। বোর্ড আরও জানায়, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাকে যদি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।   উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিকের কথা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে হাদির ফুসফুসের কার্যকারিতা ও মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া চেস্ট ড্রেইন টিউব সচল আছে এবং কিডনির কার্যক্ষমতাও বজায় রয়েছে। আগের তুলনায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমেছে বলেও জানানো হয়। তবে ব্রেন ইনজুরির কারণে শরীরের কিছু হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এ কারণে এসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেক্ট্রোলাইট অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড জানায়, হাদির রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতাও বর্তমানে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার ব্লাড সুগারও নিবিড়ভাবে মনিটর করা হচ্ছে। এ ধরনের জটিল ও সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থায় ব্লাড সুগারের ওঠানামা একটি পরিচিত ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ হলেও মেডিকেল টিম সতর্কতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।   এদিকে, অপ্রয়োজনে হাসপাতালে ভিড় না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

১৮ মিনিট আগে
রাজাকারের ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ, লক্ষ্যভেদে মিলছে পুরস্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি আয়োজন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় জনতাও অংশ নেয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থিত ঘৃণাস্তম্ভে এ কর্মসূচি শুরু হয়। জুতা নিক্ষেপ করতে আসা লোকজন লক্ষ্যভেদ করলে তাদের পুরস্কার দিতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ঘৃণাস্তম্ভের পেছনের দেয়ালে বেশ কিছু ছবি লাগানো হয়েছে। এতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদের ছবি, চৌধুরী মঈনুদ্দীন, অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারী খাদিম হোসেন রাজা, পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে গোলাম আজমের বৈঠকের ছবি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক রাজাকার বাহিনীর ছবি রয়েছে। কর্মসূচির আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে আমরা আজ এ আয়োজন করেছি। পাকিস্তানি বাহিনী যে বর্বরতা করেছে, আমরা তা জাতির কাছে তুলে ধরতেই এ আয়োজন করি; যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে না যায় পাকিস্তানিদের সেই কালো ইতিহাস।’ এর আগে ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’-এ তিনি লেখেন, ‘আলবদর, আলশামস, রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রদর্শন ও জুতা নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ‘ঘৃণা স্তম্ভ’। সবাই আজ দুপুর ১২টায় ডাকসু ক্যাফেটারিয়ার বিপরীত পাশে ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপের জন্য চলে আসুন। জুতা নিক্ষেপ করলেই রয়েছে বিশেষ 'গিফট হ্যাম্পার'।’ জুতা নিক্ষেপের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে ‘নিঃশব্দ ঘৃণা’ নামে একটি বোর্ড, যেখানে অনেকে ঘৃণাসূচক বিভিন্ন বাক্য লিখেছেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘একাত্তরের রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘গণহত্যার সমর্থকরা কীভাবে রাজনীতি করে’, ‘রাজাকারের বাচ্চারা এ যুগের কুলাঙ্গার’, ‘রাজাকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ নিকৃষ্ট ইতর প্রাণী’। জুতা নিক্ষেপ করতে আসা প্রবীণ সুফি হাশিম বলেন, ‘আমি চরম মাত্রায় ঘৃণা করি, যারা এ দেশের এই মূল্যবান সম্পদগুলোকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি মনে করি না তারা মুসলমান; তারা পাখির মতো মানুষ মারছে।’ প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ছাত্র ইউনিয়নের কলা ভবন শাখার সভাপতি সাদিকুর রহমান ও তৎ কালীন উর্দু ও ফারসি বিভাগের ছাত্র আবু তৈয়ব হাবিলদার স্তম্ভটি নির্মাণ করেন। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন। ২০০৮ সালে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হলে পরে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।

১৮ মিনিট আগে
পাঁচ বছরে ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন

গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে এই তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দেশটির মন্ত্রী জানায়, বিপুলসংখ্যক ভারতীয় নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব ত্যাগ অব্যাহত রেখেছেন, এবং গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯ লাখ মানুষ এই কাজ করেছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় একটি লিখিত বক্তব্যে এই তথ্য দেন। মন্ত্রী জানান, যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, সরকার তাদের বার্ষিক রেকর্ড রাখে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মোট ১১ লাখ ৮৯ হাজার ১৯৪ জন ভারতীয় তাদের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। সংসদে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ বছরে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। এই পরিসংখ্যানগুলো বলছে, বিদেশি নাগরিকত্ব বেছে নেওয়া ভারতীয়দের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতেই বার্ষিক সর্বোচ্চসংখ্যক লোক নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বছর অনুযায়ী এই সংখ্যাগুলো পেশ করেন। তালিকা অনুসারে, ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর যে সংখ্যক ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, তার সংখ্যাটি ওঠানামা করেছে। ২০১১ সালে ১,২২,৮১৯ জন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, যা পরের বছর সামান্য কমে ১,২০,৯২৩ জনে দাঁড়ায়। এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংখ্যাটি মূলত ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজারের মধ্যে ছিল। যেমন: ২০১৩ সালে ১,৩১,৪০৫ জন, ২০১৪ সালে ১,২৯,৩২৮ জন, এবং ২০১৫ সালে ১,৩১,৪৮৯ জন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ১,৪১,৬০৩ জন এবং ২০১৯ সালে ছিল ১,৪৪,০১৭ জন। তবে ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ৮৫,২৫৬ জনে দাঁড়ায়। এরপরের বছরগুলোতে এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ২০২১ সালে ১,৬৩,৩৭০ জন, ২০২২ সালে ২,২৫,৬২০ জন এবং ২০২৩ সালে ২,১৬,২১৯ জন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ২,০৬,৩৭৮ জন।

২৩ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়া এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এমন অভিযোগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তার অনুসারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানাচ্ছেন। এসব বক্তব্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। তলবকালে বাংলাদেশ সরকার এসব বিষয়ে ভারতের সরকারের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি আদালতের দেওয়া দণ্ড কার্যকরের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত দেশে প্রত্যর্পণের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনরা যাতে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় না নিতে পারে, সে বিষয়েও ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এর জবাবে রোববার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের উত্থাপিত অভিযোগগুলো দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১৪ ডিসেম্বর যে প্রেস নোট প্রকাশ করেছে, তাতে উত্থাপিত দাবির সঙ্গে ভারত একমত নয়। ভারত আরও জানায়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে তাদের অবস্থান বরাবরের মতোই অটুট রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ কখনোই দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করে ভারত।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ফাতিমা তাসনিম জুমা ও শরিফ ওসমান বিন হাদি। ছবি : সম্পাদিত
ওসমান হাদিকে বিদেশ নেওয়ার তথ্য জানালেন জুমা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি জানান, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানানো হবে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফাতিমা তাসনিম জুমা। এদিকে, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। রোববার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় মেডিকেল বোর্ড জানায়, সকালে পুনরায় করা সিটি স্ক্যানে হাদির মস্তিষ্কের ফোলা আরও বেড়েছে, যা গুরুতর ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের তথ্যমতে, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও অতিরিক্ত ব্রেন সুয়েলিংয়ের কারণে হাদির রক্তচাপের ওঠানামা বেড়েছে। পাশাপাশি তার হার্টবিটও স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। বোর্ড আরও জানায়, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাকে যদি বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।   উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিকের কথা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে হাদির ফুসফুসের কার্যকারিতা ও মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া চেস্ট ড্রেইন টিউব সচল আছে এবং কিডনির কার্যক্ষমতাও বজায় রয়েছে। আগের তুলনায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমেছে বলেও জানানো হয়। তবে ব্রেন ইনজুরির কারণে শরীরের কিছু হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এ কারণে এসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেক্ট্রোলাইট অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড জানায়, হাদির রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতাও বর্তমানে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার ব্লাড সুগারও নিবিড়ভাবে মনিটর করা হচ্ছে। এ ধরনের জটিল ও সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থায় ব্লাড সুগারের ওঠানামা একটি পরিচিত ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ হলেও মেডিকেল টিম সতর্কতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।   এদিকে, অপ্রয়োজনে হাসপাতালে ভিড় না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

ছবি : সংগৃহীত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তাঁর রোল নম্বর ২৪১৩৬৭১। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন এবং ৯১ দশমিক ২৫ নম্বর অর্জন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন, যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী (১ দশমিক ৭৯ শতাংশ)। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন ২ জন। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন (৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন (৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ)। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে ভর্তি হতে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা–২০২৬ অনুসরণ করে পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ফলাফল দেখার নিয়ম ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘MBBS Result 2025–2026’ লিংকে ক্লিক করে নিজের ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর প্রদান করতে পারবেন। এরপর ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলে ফলাফল দেখা যাবে। ফলাফল ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মেধাতালিকা পিডিএফ আকারেও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।


ছবি: সংগৃহীত
লা টোয়া জ্যাকসনের নতুন ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড

বিশ্বখ্যাত গায়িকা ও উদ্যোক্তা লা টোয়া জ্যাকসন বিলাসবহুল ফ্যাশন জগতে নতুন ব্র্যান্ড ‘লা টয়া জ্যাকসন বিলাসবহুল ফ্যাশন অ‌্যান্ড লাইফস্টাইল’ চালু করেছেন। এম‌ব্রেস ইউর ইউনিক‌নেস’ দর্শনকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা এই ব্র্যান্ডে আধুনিক বিলাসিতা ও সৃজনশীলতার সমন্বয় তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যান্ডটির বৈশ্বিক পরিচালনা ও কৌশলগত নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ–প্রতিষ্ঠাতা ড. কামরুল আহসান ও তান শ্রী সায়েদ ইউসুফ সায়েদ নাসির (জোজো)। তাদের নেতৃত্বে ব্র্যান্ডটি দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিতি পাচ্ছে। পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের বড় বোন লা টোয়া জ্যাকসন তার পারিবারিক শিল্প–ঐতিহ্য ও ব্যক্তিগত স্টাইলকে ফ্যাশনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় কারুশিল্প ও এশীয় নকশার প্রভাব নিয়ে তৈরি সংগ্রহগুলোতে রয়েছে পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, সানগ্লাস, সুগন্ধি ও বিভিন্ন আনুষঙ্গিক সামগ্রী। ড. কামরুল আহসানের তত্ত্বাবধানে ইউরোপ ও এশিয়ার শীর্ষ নির্মাতাদের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে প্রতিটি পণ্যে উচ্চমান ও আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে। পাশাপাশি টেকসই ও নৈতিক উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার এবং স্থানীয় কারিগরদের সহায়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।   ফ্যাশন বিক্রির পাশাপা‌শি ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস ও স্বকীয়তাকে তুলে ধরা। ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে সম্প্রসারণ, ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু এবং আন্তর্জা‌তিক অংশীদারত্ব ও সে‌লি‌ব্রেটি   সহযোগিতার পরিকল্পনা রয়েছে। লা টোয়া জ্যাকসন ও তার টিমের বিশ্বাস, আসল বিলাসিতা লুকিয়ে আছে ঐতিহ্য ও নিজস্বতায়।

ছবি: সংগৃহীত
সিডনির সমুদ্র সৈকতে গোলাগুলিতে নিহত ১০, ডজনখানেক আহত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গোলাগুলির ঘটনায় মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন বন্দুকধারীও রয়েছেন। অপর বন্দুকধারীকে আহত অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কমপক্ষে ১২ জন সাধারণ মানুষ এবং দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।     তবে অভিযান চলমান থাকায় জনসাধারণকে সমুদ্র সৈকতের আশপাশের এলাকায় না যাওয়া এবং নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।   স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আইসবার্গস রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন অনেকেই। হঠাৎই আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়। আতঙ্কে মানুষ ছুটে পালাতে থাকে। গুলির শব্দ রিপোর্ট করায় হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।    সিডনি মরনিং হেরাল্ড জানিয়েছে, 'একাধিক গুলি চালানো হয়েছে', তবে এখনও আহতের সংখ্যা নিশ্চিত নয়।   জানা যায় স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এ সময় ইহুদিদের ‘হানুক্কাহ’ উৎসব উপলক্ষে সৈকতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তবে, হামলার সাথে ওই উৎসবের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।   এর আগে, ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ায় একজন বন্দুকধারীর গুলিতে ৩৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পরে এটাই অস্ট্রেলিয়ায় সশস্ত্র হামলায় এতো হতাহতের ঘটনা ঘটলো।   এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যানথনি আলব্যানিজ বলেছেন, পরিস্থিতি 'শকিং' ও ভয়াবহ। পুলিশ ও জরুরি সেবা কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। সেই সাথে হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।   স্থানীয়দের মতে, পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।

ছবি: সংগৃহীত
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ

৭ কোটি জনসংখ্যা যুক্তরাজ্যে ৯০ লাখ মানুষই রয়েছে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে। অর্থাৎ নিজের ব্রিটিশ পরিচয় হারাতে পারেন দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের দুই মানবাধিকার ও নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রানিমেড ট্রাস্ট ও রিপ্রিভের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।   ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, সরকার যদি মনে করে কোনো ব্যক্তি অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্য তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে। এমনকি সেই ব্যক্তি ওই দেশে কখনও না গেলেও পরতে পারেন এই সিদ্ধান্তের আওতায়। বিতর্কিত এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।    গবেষণা প্রতিষ্ঠান দু'টির প্রতিবেদন বলছে, বৈষম্যের শিকার অশেতাঙ্গরা। শেতাঙ্গদের তুলনায় তারা রয়েছেন ১২ গুণ বেশি নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে। আদমশুমারির তথ্য, বার্ষিক জনসংখ্যা জরিপ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন। বলা হয়েছে, ১৬ লাখ কৃষ্ণাঙ্গ, ৩৩ লাখ এশিয়ান ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হতে পারে। একই ঝুঁকিতে থাকা শ্বেতাঙ্গ নাগরিকের সংখ্যা ২৪ লাখ হলেও তা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ ভাগ।   নিজের ব্রিটিশ পরিচয় হারানোর ঝুঁকিতে থাকাদের মধ্যে বড় অংশই মুসলিম। যারা মূলত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি প্রায় ১০ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে পরিচয় হারানোর শঙ্কায়। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান আর তৃতীয় অবস্থান রোমানিয়া। সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত ২ লাখের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক হারাতে পারেন নাগরিকত্ব।   নাগরিকত্ব বাতিলের এই আইনকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিচ্ছে রানিমেড ও রিপ্রিভ। মুসলিম ও অশেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য এটি পদ্ধতিগত হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে বলেও মত তাদের।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু দত্ত
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার জেরে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ও প্রোমোটার শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।    আয়োজক শতদ্রু দত্তের জামিন আবেদন এরইমধ্যে নামঞ্জুর হয়েছে। কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।   এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মতে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকেও ব্যর্থ করেছে। তার মন্তব্য, ক্রীড়াপ্রেমী কলকাতাবাসীর কাছে এই দিনটি একটি ‘অন্ধকার দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। \ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে রাজ্য সরকারকে একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার নির্দেশের মধ্যে রয়েছে—অনুষ্ঠান আয়োজক ও স্পনসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার, টিকিট কেটে প্রতারিত দর্শকদের টাকা ফেরত, স্টেডিয়াম ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির জন্য আয়োজকদের উপর জরিমানা আরোপ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতি করা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেনশনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।   উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে দেখতে না পেরে ব্যাপক ভাঙচুর করে দর্শকরা। অভিযোগ, মাঠে মেসির সঙ্গে প্রচুর ভিড় থাকায়, মেসিকে দেখতেই পাননি দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা আসন থেকে ছোড়েন পানির বোতল। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন মেসি।   মেসি সফরের এই কাণ্ড সামাজিক ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর মিনস্কের পটাশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় অন্তত ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।    মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এলেস বিয়ালিয়াটস্কি, বেলারুশের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ মারিয়া কোলেসনিকোভা, ম্যাক্সিম জ্যাঙ্কসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মীদের।    মুক্তি পেয়েছে ইউক্রেনের অন্তত ১১৪ বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।    বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) লুকাশেঙ্কোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।   ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়ালে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত
হামাসের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

গাজা সিটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে এ দাবি করে আইডিএফ। খবর আল-জাজিরা।   তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। সাদের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আইডিএফের হাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের হামাস নেতা নিহতের ঘটনা হবে এটি।   এদিকে, শনিবার গাজা সিটির নাবলুসি জংশনে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এই অভিযানে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আর গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনাসহ নিহত ৩
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হামলায় ২ মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ৫ মার্কিন সেনা ও সিরিয়ান সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির পামিরা শহরে এই ঘটনা ঘটে।    পেন্টাগন জানায়, শনিবার পামিরা শহরে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্য হামলা চালায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় সেনাসদস্যদের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন।   এদিকে এ ঘটনায় আইএসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী