জাতীয়

ওসমান হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, উন্নতি হলে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির অবস্থা অপরিবির্তত রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হতে পারে।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির পাশে রয়েছেন তিনি।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওসমান হাদি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসক ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেই সময় আগামীকাল সোমবার রাতে শেষ হবে।

আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ওসমান হাদি এখনো ডিপ কোমায় আগের অবস্থায় আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে ইন্টারনাল রেসপন্স আছে।’

ওসমান হাদিকে তাঁর পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো উন্নতি হলেই নেওয়া হবে।

গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই ওসমান হাদিকে নেওয়া হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তখন বলেছিলেন, একটি গুলি ওসমান হাদির কানের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে মাথার বাঁ পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাথমিক অস্ত্রোপচার করেন।

সেদিন সন্ধ্যায় ওসমান হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন সেখানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খালেদা জিয়া ও ওসমান হাদির খবরাখবর নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে অনেকে যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ কেউ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন।
লন্ডন প্রবাসী ভাইকে নিতে ঢাকায় আসা সিলেটের সোহেল আহমেদকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের খোঁজ নিতে এসেছি। আর বেগম খালেদা জিয়াও এই হাসপাতালে আছেন।’

দুজনকে নিয়ে উৎকণ্ঠিত সোহেল আহমেদ বলেন, ‘ওসমান হাদি একজন প্রতিবাদী মানুষ। যারা দেশের ভালো চায় না, তারা তাঁকে মেরে ফেলতে চাইছে। একটা নিরীহ মানুষকে এভাবে মেরে ফেলতে চাওয়াটা খুব নৃশংসতা। এই ঘটনাকে মেনে নিতে পারছি না। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মানসকন্যা। দেশে তাঁর প্রয়োজন এখনো অনেক। দুজনই এখন এই এভারকেয়ার হাসপাতালে। আমরা তাঁদের জন্য দোয়া করি, তাঁরা যাতে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’

জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় হাদি গত বছরের আগস্টে ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিরুদ্ধে সরব। কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়ে তিনি ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিনই তাঁকে গুলি করা হয়।

ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের জন্য পতিত আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন তাঁর সমর্থকেরা। এই হামলাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ওসমান হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামে একজনকে চিহ্নিত করা কথা জানিয়েছে পুলিশ। হামলাকারীর বিষয়ে তথ্য দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। যে মোটরসাইকেল হামলাকারীরা ব্যবহার করেছিল, তা শনাক্ত করে এর মালিককে আটকের কথাও পুলিশ জানিয়েছে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লির বিবৃতি

এবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার উদ্বেগের জবাব দিলো নয়াদিল্লি। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে ভারত তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।    সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত প্রেস নোটে যে বক্তব্য দিয়েছে, ভারত তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে ভারতের অবস্থান আমরা ধারাবাহিকভাবে পুনর্ব্যক্ত করে আসছি।   সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত কখনোই তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশের বন্ধুসুলভ জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের সুযোগ দেয়নি।   ভারত আশা করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।   এর আগে, আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য ও আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।   এতে বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগের সদস্যরা বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভারত সরকারকে এসব ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।    এছাড়া, শরীফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সেইসাথে, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বানও জানানো হয়। বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই প্রত্যাশিত। 

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

'নির্বাচিত সরকারের প্রথম দায়িত্ব হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ'

ছবি: সংগৃহীত

আজ সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে ওসমান হাদিকে: ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আটক ৩

ছবি: সংগৃহীত
হাদিকে হত্যাচেষ্টা: যেভাবে ভারতে পালাল ২ শুটার

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে রিকশায় চলন্ত অবস্থায় গুলি করে পালিয়ে যাওয়া দুজন শুটার ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।   সূত্র জানায়, শুটার ফয়সাল ও আলমগীর শুক্রবারই ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ভারতে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তারা একটি প্রাইভেট কারে করে মিরপুর থেকে আশুলিয়া, এরপর গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহে প্রবেশ করে। সেখানে পৌঁছে তারা ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি পরিবর্তন করে।   পরে তারা আরেকটি প্রাইভেট কারে করে উপজেলার ধারাবাজার পেট্রোল পাম্পে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় মোটরসাইকেলযোগে ভুটিয়াপাড়া সীমান্তে যায় তারা। ওই স্থানীয় ব্যক্তিকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করা আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।   ওই দুই শুটারকে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে তাদের গ্রহণ করার জন্য আরেকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিল।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

ডেটলের নামে ভয়ংকর প্রতারণা, গোপন কারখানার সন্ধান

রাজাকারের ঘৃণাস্তম্ভে জুতা নিক্ষেপ, লক্ষ্যভেদে মিলছে পুরস্কার

ওসমান হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, উন্নতি হলে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা

চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ নকল সাবান জব্দ, কারখানা সিলগালা

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক শিকলবাহা এলাকায় অবৈধভাবে নকল সাবান উৎপাদনের একটি কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে র‌্যাব-৭।অভিযানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ নকল সাবান ও সাবান তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে জব্দ করা অধিকাংশই যুক্তরাজ্যের রেকিট বেনকিজার কোম্পানির ডেটল ব্রান্ডের সাবান। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)- এর পরিদর্শক আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রিকশার গ্যারেজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় ব্যক্তি এখানে নকল সাবান তৈরি করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৭। অভিযানকালে অবৈধভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল সাবান ও সাবান তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে নকল সাবান উৎপাদনে ব্যবহৃত কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এসব নকল সাবানে বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করে আসছিলো তারা। জব্দকৃত নকল সাবানে যেসব কেমিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব মানুষের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এ. আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, জনস্বাস্থ্য ও ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন করে এমন ভেজাল ও নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার করা পণ্য ও সরঞ্জামাদির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার

নোবিপ্রবির সঙ্গে ক্যাপসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

0 Comments