বিশ্ব

সিডনির সৈকতে হামলাকারী কে এই নাভিদ আকরাম?

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডি বিচে হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় নাভিদ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর এক বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় নাভিদের বাড়িতে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িটি তাঁর পরিবার গত এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।

সামাজিক মাধ্যমে নাভিদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি ও হামলার সময়ের তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এক্সে এক পোস্টে একজন লিখেছেন, ‘আমি নাভিদের সঙ্গে ব্রিক কারখানায় কাজ করেছি অনেকদিন। ও পাকিস্তানি।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘ও পাকিস্তানের লাহোর থেকে এসেছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবিতে ওকে পাকিস্তানের জার্সি পরা দেখা যাচ্ছে।’ তবে নাভিদ আকরামের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সময় আজ রোববার সন্ধ্যায় বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কাহর অনুষ্ঠান চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।

এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’ নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, আহত ও এই হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি : সংগৃহীত
মাথায় গুলি লাগার পরও যেভাবে মৃত্যুকে হারিয়েছিলেন মালালা

তপশিল ঘোষণার পরদিনই এক ভয়াবহ হামলার শিকার হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় যাত্রাকালে একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন।   ওসমান হাদির ওপর এই প্রাণঘাতী হামলা অনেকের মনে করিয়ে দিয়েছে প্রায় ১৩ বছর আগের পাকিস্তানের এক মর্মান্তিক ঘটনাকে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর একই ধরনের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছিলেন নারী শিক্ষার অধিকারের প্রতীক মালালা ইউসুফজাই। ঘটনাটি ঘটেছিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায়। সেদিন ১৫ বছর বয়সী মালালা বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তালেবানের এক বন্দুকধারী বাসে উঠে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি তার মাথার এক পাশ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আঘাত ছিল এতটাই গুরুতর যে, প্রথম কয়েক ঘণ্টায় চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই দেখেননি। মালালাকে দ্রুত পেশোয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করে তার অবস্থাকে চরম অস্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেন। চার ঘণ্টার মধ্যেই মস্তিষ্কে ফোলা বাড়তে থাকায় জীবনঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়েই জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে মালালার পরিবার অস্ত্রোপচারে সম্মতি না দিলেও কর্নেল জুনায়েদ খান তাদের বোঝান—অস্ত্রোপচার না হলে মালালার মৃত্যু হতে পারে কিংবা সে কথা বলার ক্ষমতাও হারাতে পারে। অবশেষে মধ্যরাতের পর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এ সময় খুলির একটি অংশ সাময়িকভাবে সরিয়ে মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে জীবন রক্ষা পেলেও সংক্রমণ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জটিলতার আশঙ্কায় তাকে মেডিক্যালি ইন্ডিউসড কোমায় রাখা হয়। এই সংকটময় সময়ে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালালাকে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানকার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, মালালার বেঁচে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাজ করেছে—গুলিটি মস্তিষ্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশে সরাসরি আঘাত করেনি, দ্রুত চিকিৎসা ও সময়মতো অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেছে। দীর্ঘ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি হাঁটা, লেখা ও পড়ার সক্ষমতা ফিরে পান। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মালালা। শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তার অদম্য মানসিক শক্তি ও বাঁচার প্রবল ইচ্ছাশক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি; বরং আরও দৃঢ় ও সাহসী করে তুলেছে। এরপর তিনি বিশ্বজুড়ে নারী শিক্ষার অধিকার ও সচেতনতার পক্ষে সোচ্চার আন্দোলন শুরু করেন।   পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর মর্যাদা অর্জন করেন। মালালা নিজেই বলেছেন, এই হামলাই তাকে ভেঙে দেয়নি—বরং আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

cর দাম হু হু করে কেন বাড়ছে, ভবিষ্যতে এটি কী কাজে লাগবে

পাঁচ বছরে ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন

সিডনির সৈকতে হামলাকারী কে এই নাভিদ আকরাম?

ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের এক দেশ

হাঙ্গেরিতে একের পর এক শিশু নির্যাতন কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবার রাজধানী বুদাপেস্টে আয়োজিত এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকরা।   শনিবার কুয়াশাচ্ছন্ন বুদাপেস্টের রাস্তায় ‘শিশুদের সুরক্ষা দাও’ লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভকারীরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। কয়েক বছর আগের নির্যাতনের শিকার শিশুদের প্রতি সংহতি জানাতে অনেকে নরম খেলনা ও মশাল বহন করেন। ২০১০ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর শিশুদের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন অরবান। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক ভয়াবহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসায় সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব কেলেঙ্কারিতে অরবান নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিরোধী দল টিসজা’র প্রধান পিটার মাগিয়ার। গত সেপ্টেম্বরে বুদাপেস্টের একটি কিশোর সংশোধনাগারে নির্যাতনের নতুন অভিযোগ প্রকাশের পর এই আন্দোলন আরও জোরালো হয়। নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সজোলো স্ট্রিট কিশোর সংশোধনাগারের পরিচালক এক কিশোরের মাথায় লাথি মারছেন—এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। ঘটনার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংশ্লিষ্ট সংশোধনাগারের চার কর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষণা দিয়েছে, শিশুদের জন্য পরিচালিত সব ধরনের প্রতিষ্ঠান এখন থেকে সরাসরি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে। গত শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদন, যেখানে বলা হয়, রাষ্ট্র পরিচালিত সেবাকেন্দ্রগুলোতে থাকা শিশুদের পঞ্চমাংশেরও বেশি কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।   বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৭৩ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক জুজসা সালাই এএফপিকে বলেন, ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সঙ্গে যা ঘটছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এ কারণেই আমরা রাস্তায় নেমেছি।’

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব, হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকলে গ্রেপ্তারের আহ্বান

কৃষ্ণ সাগরে তুর্কি পণ্যবাহী জাহাজে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে একাধিক নিহত

যুদ্ধ অবসানে ‘সংলাপে’ প্রস্তুত জেলেনস্কি

বার্লিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার বলেছেন, যুদ্ধ অবসানে তিনি ‘সংলাপের’ জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত শান্তি পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সংশোধনী নিয়ে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তিনি কোনো জবাব পাননি। তবে তিনি বলেন, আমি সব সংকেত গ্রহণ করছি এবং আজ যে সংলাপ শুরু হবে, এর জন্য প্রস্তুত আছি। তিনি আরো বলেন, বার্লিনের এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মার্কিনিদের সঙ্গে এবং ইউরোপীয়দের সঙ্গে বৈঠক করছি এবং আজ ও আগামীকাল এই বৈঠকগুলো বার্লিনে হচ্ছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

মেক্সিকো পানিসংক্রান্ত চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে সম্মত হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১ হাজার ছাড়াল

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের স্থাপনায় রাশিয়ার হামলা

0 Comments