সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও এমপি প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা প্রকাশ

রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এতে স্বাক্ষর করেন। নীতিমালায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে। নির্ধারিত মেয়াদ শেষে রিটেইনারের নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।   লাইসেন্সপ্রাপ্তির যোগ্যতা ক) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে। খ) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। গ) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক যাচাইকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে হবে। ঘ) শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম হতে হবে। ঙ) আগ্নেয়াস্ত্র সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে। চ) এই নীতিমালার অধীনে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অন্যান্য নীতিমালা ও বিধান প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের শর্ত শিথিলযোগ্য থাকবে।   লাইসেন্সের মেয়াদ ক) এই নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। উক্ত সময় অতিক্রান্ত হলে লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে। খ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বা লাইসেন্স বাতিল হলেও কোনো ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিজ দখলে রাখলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   রিটেইনার নিয়োগের শর্ত ১) কেবল প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলে রিটেইনার নিয়োগ অনুমোদনযোগ্য হবে। ২) রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রিটেইনার নিয়োগ বা অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ৩) কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থী লাইসেন্সপ্রাপ্তির যোগ্য হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ে অসমর্থ বা অনিচ্ছুক হলে, বৈধ লাইসেন্সধারী ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং রিটেইনার হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিটেইনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক হবে।

৫৭ মিনিট আগে
তাইওয়ান যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে পরাজয়ের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র - পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে—এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেন্টাগনের এক অতি গোপন মূল্যায়নে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণভিত্তিক। সাম্প্রতিক এক যুদ্ধ মহড়ায় দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কও অচল করে দিতে সক্ষম। এই অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ নথির নাম ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’। পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিপরীতে, চীন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সুবিধা অর্জন করেছে। নথিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন মার্কিন সামরিক সম্পদ অকার্যকর করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর আগেই চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম বিচক্ষণতার’ সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে এই নথির সারসংক্ষেপ যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক কর্মকর্তা জানান, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সামরিক কৌশলের বিপরীতে একাধিক বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পরিবর্তন মানতে রাজি নয়। যদিও চীন এখনো আক্রমণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৭ সালের আশপাশে তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে, যা চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দশকে চীন বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, যা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরীসহ উন্নত সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যুদ্ধ মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রণতরীগুলোর অনেকটাই চীনা হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরীটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও চীনা হামলার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলা হয়েছে—আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বড় যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের শিল্প সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আর আগের মতো নেই। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বেইজিং ও মস্কোর তুলনায় ওয়াশিংটন দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয়বহুল ও সীমিতসংখ্যক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা। বর্তমানে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সব বিভাগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে, যদিও উভয় দেশের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রায় সমান। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

১ ঘন্টা আগে
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখা হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে। এর আগে এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে নেওয়া এই পুরো প্রক্রিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।

১ ঘন্টা আগে
ঢাকাসহ এশিয়ার মেগাসিটিগুলো কেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে

এশিয়ার শহরগুলো যত বড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে জঞ্জাল, দূষণ আর অসহনীয় যানজট। দ্রুত নগরায়ণের সুফল যেখানে জীবনমান উন্নত করার কথা, সেখানে অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ ও দুর্বল নগর শাসনের কারণে অনেক মেগাসিটিই এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।   ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শেষ দিক থেকে তৃতীয়। ঢাকার নিচে আছে কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক ও লিবিয়ার ত্রিপোলি। একই তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১৩২তম এবং দিল্লির ১৪৫তম।   জনসংখ্যার নতুন হিসাব ও নগর বিস্তার টানা সাত দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল টোকিও। তবে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সেই হিসাব বদলে গেছে। এবার শহরের প্রশাসনিক সীমানার বদলে বাস্তব বিস্তৃতি বা আরবান স্প্রল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।   এই নতুন মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর এখন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা—জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা, প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়ে। টোকিও নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে, জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুটি শহর হলো ভারতের দিল্লি ও চীনের সাংহাই।   জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শহরে বসবাস করে। এই নগরায়ণের বড় অংশ ঘটছে এশিয়ার মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে মাত্র একটি এশিয়ার বাইরে, আর ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে মাত্র ৭টি ধনী দেশগুলোতে অবস্থিত।   প্রতিবেদন বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জাকার্তা ও ঢাকায় আরও আড়াই কোটি মানুষ যুক্ত হবে—যা অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জনসংখ্যার কাছাকাছি।   নগরায়ণের সুফল, কিন্তু ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে—কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ বাড়ে। তবে নগর ব্যবস্থাপনা দুর্বল হলে সেই সুফল দ্রুতই ম্লান হয়ে যায়। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অর্থনীতিবিদ আলাঁ বার্তো বলেন, “মানুষ শ্রমবাজারের অংশ হতে শহরে আসে। কিন্তু যদি সেই শ্রমবাজার ও নগর ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ না করে, তবে শহর শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের ফাঁদে পরিণত হয়।”   এশিয়ার মেগাসিটিগুলোতে ঠিক সেটাই ঘটছে। অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ, দুর্বল গণপরিবহন, দূষণ ও যানজট নগর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।   জাকার্তা ও ঢাকার বাস্তবতা জাকার্তার আশপাশের বোগর, দেপোক, তাংগেরাং ও বেকাসির মতো শহরগুলো একে একে মূল শহরের সঙ্গে মিশে গেছে। অথচ এই বিশাল জনপদের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রশাসনিক কাঠামো। ফলে যানজট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে যানজটপূর্ণ শহরের তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১২তম—ঢাকা তৃতীয় এবং দিল্লি সপ্তম।   জাকার্তা সরকারের হিসাব অনুযায়ী, শুধু যানজটের কারণেই প্রতিবছর প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু হলেও তা শহরের সীমানা ছাড়িয়ে উপশহরগুলো পর্যন্ত পৌঁছায়নি—যেখানে যাতায়াতের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি।   ঢাকাও একই সমস্যায় জর্জরিত। শহরের বিস্তার হলেও প্রশাসনিক সমন্বয় নেই। দুই সিটি করপোরেশন, একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, একাধিক মন্ত্রণালয় ও অসংখ্য সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব বিভক্ত। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ঢাকার ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাই তার হাতে নেই।   সফল মডেল কোথায়? চীনের সাংহাই ও জাপানের টোকিও তুলনামূলক সফল উদাহরণ। সাংহাই পরিচালিত হয় একক ও শক্তিশালী কর্তৃপক্ষের অধীনে। আর টোকিওতে রয়েছে ‘টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট’, যা বড় সেবাগুলোর দায়িত্ব পালন করে এবং নিচের স্তরের পৌরসভাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে।   বিশেষ করে টোকিওতে শক্তিশালী গণপরিবহন নেটওয়ার্ক পুরো অঞ্চলকে যুক্ত করে রেখেছে। বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ রেলস্টেশন থেকে ২০ মিনিটের হাঁটা-দূরত্বে বসবাস করে।   সমাধান কোথায়? ঢাকা, জাকার্তা বা দিল্লিকে বাসযোগ্য করতে শুধু হাজার হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো প্রকল্প যথেষ্ট নয়। সবচেয়ে জরুরি হলো নগর শাসন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মৌলিক সংস্কার।   চমক দেখানো প্রকল্প সহজ, কিন্তু ক্ষমতা ও দায়িত্বের কাঠামো বদলানো কঠিন। তবু ভবিষ্যতের কথা ভাবলে এশিয়ার মেগাসিটিগুলোর জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্তই এখন সবচেয়ে জরুরি—এবং এর সুফল হবে দীর্ঘমেয়াদি।

২ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখা হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে। এর আগে এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে নেওয়া এই পুরো প্রক্রিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও এমপি প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নীতিমালা প্রকাশ

রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এতে স্বাক্ষর করেন। নীতিমালায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, একজন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগ করা যাবে। নির্ধারিত মেয়াদ শেষে রিটেইনারের নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।   লাইসেন্সপ্রাপ্তির যোগ্যতা ক) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে হবে। খ) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। গ) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক যাচাইকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে হবে। ঘ) শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম হতে হবে। ঙ) আগ্নেয়াস্ত্র সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা থাকতে হবে। চ) এই নীতিমালার অধীনে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অন্যান্য নীতিমালা ও বিধান প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের শর্ত শিথিলযোগ্য থাকবে।   লাইসেন্সের মেয়াদ ক) এই নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। উক্ত সময় অতিক্রান্ত হলে লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাময়িক লাইসেন্সকে সাধারণ লাইসেন্সে রূপান্তর করতে পারবে। খ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বা লাইসেন্স বাতিল হলেও কোনো ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিজ দখলে রাখলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   রিটেইনার নিয়োগের শর্ত ১) কেবল প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলে রিটেইনার নিয়োগ অনুমোদনযোগ্য হবে। ২) রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে রিটেইনার নিয়োগ বা অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ৩) কোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থী লাইসেন্সপ্রাপ্তির যোগ্য হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ে অসমর্থ বা অনিচ্ছুক হলে, বৈধ লাইসেন্সধারী ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং রিটেইনার হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিটেইনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক হবে।

ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ৩৬ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় ওড়িশা রাজ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব নতুন নাগরিকের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক। তিনি জানান, এই আইনের মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার মানুষদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণের মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরও প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওড়িশার জনশুমারি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৫ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কার্যকর হওয়া বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিধান অনুসারেই এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানান, ওই নারী পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় শ্রীভূমি জেলার এক যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর গত বছর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ধর্মানন্দ দেব আরও জানান, সিএএর আওতায় আসামে তিনিই প্রথম নারী যিনি নাগরিকত্ব পেলেন। পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে এই প্রথম কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ধারা ও ৬বি ধারার অধীনে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হন।


ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে পরাজয়ের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র - পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে—এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেন্টাগনের এক অতি গোপন মূল্যায়নে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণভিত্তিক। সাম্প্রতিক এক যুদ্ধ মহড়ায় দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কও অচল করে দিতে সক্ষম। এই অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ নথির নাম ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’। পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিপরীতে, চীন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সুবিধা অর্জন করেছে। নথিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন মার্কিন সামরিক সম্পদ অকার্যকর করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর আগেই চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম বিচক্ষণতার’ সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে এই নথির সারসংক্ষেপ যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক কর্মকর্তা জানান, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সামরিক কৌশলের বিপরীতে একাধিক বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পরিবর্তন মানতে রাজি নয়। যদিও চীন এখনো আক্রমণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৭ সালের আশপাশে তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে, যা চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দশকে চীন বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, যা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরীসহ উন্নত সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যুদ্ধ মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রণতরীগুলোর অনেকটাই চীনা হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরীটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও চীনা হামলার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলা হয়েছে—আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বড় যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের শিল্প সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আর আগের মতো নেই। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বেইজিং ও মস্কোর তুলনায় ওয়াশিংটন দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয়বহুল ও সীমিতসংখ্যক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা। বর্তমানে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সব বিভাগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে, যদিও উভয় দেশের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রায় সমান। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাসহ এশিয়ার মেগাসিটিগুলো কেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে

এশিয়ার শহরগুলো যত বড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে জঞ্জাল, দূষণ আর অসহনীয় যানজট। দ্রুত নগরায়ণের সুফল যেখানে জীবনমান উন্নত করার কথা, সেখানে অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ ও দুর্বল নগর শাসনের কারণে অনেক মেগাসিটিই এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।   ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শেষ দিক থেকে তৃতীয়। ঢাকার নিচে আছে কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক ও লিবিয়ার ত্রিপোলি। একই তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১৩২তম এবং দিল্লির ১৪৫তম।   জনসংখ্যার নতুন হিসাব ও নগর বিস্তার টানা সাত দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল টোকিও। তবে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সেই হিসাব বদলে গেছে। এবার শহরের প্রশাসনিক সীমানার বদলে বাস্তব বিস্তৃতি বা আরবান স্প্রল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।   এই নতুন মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর এখন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা—জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা, প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়ে। টোকিও নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে, জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুটি শহর হলো ভারতের দিল্লি ও চীনের সাংহাই।   জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শহরে বসবাস করে। এই নগরায়ণের বড় অংশ ঘটছে এশিয়ার মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে মাত্র একটি এশিয়ার বাইরে, আর ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে মাত্র ৭টি ধনী দেশগুলোতে অবস্থিত।   প্রতিবেদন বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জাকার্তা ও ঢাকায় আরও আড়াই কোটি মানুষ যুক্ত হবে—যা অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জনসংখ্যার কাছাকাছি।   নগরায়ণের সুফল, কিন্তু ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে—কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ বাড়ে। তবে নগর ব্যবস্থাপনা দুর্বল হলে সেই সুফল দ্রুতই ম্লান হয়ে যায়। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অর্থনীতিবিদ আলাঁ বার্তো বলেন, “মানুষ শ্রমবাজারের অংশ হতে শহরে আসে। কিন্তু যদি সেই শ্রমবাজার ও নগর ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ না করে, তবে শহর শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের ফাঁদে পরিণত হয়।”   এশিয়ার মেগাসিটিগুলোতে ঠিক সেটাই ঘটছে। অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ, দুর্বল গণপরিবহন, দূষণ ও যানজট নগর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।   জাকার্তা ও ঢাকার বাস্তবতা জাকার্তার আশপাশের বোগর, দেপোক, তাংগেরাং ও বেকাসির মতো শহরগুলো একে একে মূল শহরের সঙ্গে মিশে গেছে। অথচ এই বিশাল জনপদের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রশাসনিক কাঠামো। ফলে যানজট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে যানজটপূর্ণ শহরের তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১২তম—ঢাকা তৃতীয় এবং দিল্লি সপ্তম।   জাকার্তা সরকারের হিসাব অনুযায়ী, শুধু যানজটের কারণেই প্রতিবছর প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু হলেও তা শহরের সীমানা ছাড়িয়ে উপশহরগুলো পর্যন্ত পৌঁছায়নি—যেখানে যাতায়াতের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি।   ঢাকাও একই সমস্যায় জর্জরিত। শহরের বিস্তার হলেও প্রশাসনিক সমন্বয় নেই। দুই সিটি করপোরেশন, একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, একাধিক মন্ত্রণালয় ও অসংখ্য সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব বিভক্ত। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ঢাকার ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাই তার হাতে নেই।   সফল মডেল কোথায়? চীনের সাংহাই ও জাপানের টোকিও তুলনামূলক সফল উদাহরণ। সাংহাই পরিচালিত হয় একক ও শক্তিশালী কর্তৃপক্ষের অধীনে। আর টোকিওতে রয়েছে ‘টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট’, যা বড় সেবাগুলোর দায়িত্ব পালন করে এবং নিচের স্তরের পৌরসভাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে।   বিশেষ করে টোকিওতে শক্তিশালী গণপরিবহন নেটওয়ার্ক পুরো অঞ্চলকে যুক্ত করে রেখেছে। বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ রেলস্টেশন থেকে ২০ মিনিটের হাঁটা-দূরত্বে বসবাস করে।   সমাধান কোথায়? ঢাকা, জাকার্তা বা দিল্লিকে বাসযোগ্য করতে শুধু হাজার হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো প্রকল্প যথেষ্ট নয়। সবচেয়ে জরুরি হলো নগর শাসন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মৌলিক সংস্কার।   চমক দেখানো প্রকল্প সহজ, কিন্তু ক্ষমতা ও দায়িত্বের কাঠামো বদলানো কঠিন। তবু ভবিষ্যতের কথা ভাবলে এশিয়ার মেগাসিটিগুলোর জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্তই এখন সবচেয়ে জরুরি—এবং এর সুফল হবে দীর্ঘমেয়াদি।

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি: সংগৃহীত
জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি কর্তৃপক্ষের, আটক ৫

জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। তারা সবাই মরক্কো, সিরিয়া ও মিসরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বড়দিনের উৎসবে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এলোপাতাড়ি গাড়িচাপা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। উগ্র ইসলাম পন্থার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আটকের ঘটনাটির পর বড়দিন ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। বড়দিনের শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি।    এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির মাগডেবুর্গ শহরে একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় ৬ জনের প্রাণ যায়।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে পরাজয়ের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র - পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে—এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেন্টাগনের এক অতি গোপন মূল্যায়নে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণভিত্তিক। সাম্প্রতিক এক যুদ্ধ মহড়ায় দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কও অচল করে দিতে সক্ষম। এই অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ নথির নাম ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’। পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিপরীতে, চীন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সুবিধা অর্জন করেছে। নথিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন মার্কিন সামরিক সম্পদ অকার্যকর করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর আগেই চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম বিচক্ষণতার’ সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে এই নথির সারসংক্ষেপ যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক কর্মকর্তা জানান, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সামরিক কৌশলের বিপরীতে একাধিক বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পরিবর্তন মানতে রাজি নয়। যদিও চীন এখনো আক্রমণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৭ সালের আশপাশে তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে, যা চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দশকে চীন বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, যা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরীসহ উন্নত সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যুদ্ধ মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রণতরীগুলোর অনেকটাই চীনা হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরীটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও চীনা হামলার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলা হয়েছে—আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বড় যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের শিল্প সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আর আগের মতো নেই। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বেইজিং ও মস্কোর তুলনায় ওয়াশিংটন দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয়বহুল ও সীমিতসংখ্যক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা। বর্তমানে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সব বিভাগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে, যদিও উভয় দেশের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রায় সমান। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় হামলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলন আহমেদ, পেলেন 'হিরো' উপাধি
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

একের পর এক গুলির শব্দ সিডনির এই সমুদ্র সৈকত জুড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটছে মানুষ। এরইমাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আততায়ীর হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয় এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয় এই ভিডিওটি।   অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির বন্ডাই বিচে ধর্মীয় উৎসব পালন করছিলেন দেশটির অন্তত হাজারখানিক ইহুদী নাগরিক। তবে হঠাৎই কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায় সেখানে। আনুমানিক ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে অস্ত্রধারীরা। তাতে হতাহত হয়েছেন অনেকেই। গুলি, হট্টগোল আর চিৎকারের শব্দে সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হয় বনডি সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ।   এ পরিস্থিতিতেও অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। তার নাম আহমেদ আল আহমেদ। স্থানীয় এক ফলের দোকানের মালিক সে। একজন মুসলিম হয়েও ইহুদীদের জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ায় স্থানীয়দের কাছে বাস্তব জীবনের হিরো হয়ে ওঠেন তিনি।   অনেকের জীবন বাঁচালেও আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেয়ার পর তার শরীরে অস্ত্রোপচার চালানো হয় বলে সেভেন নিউজকে জানান আহমেদের চাচাতো ভাই মুস্তোফা।   মুস্তফা জানান, আগে কখনও অস্ত্র চালানোর অভিজ্ঞতা ছিলো না আহমেদের। তবুও, দুই সন্তানের জনক আহমেদ কিভাবে এতো সাহসী হয়ে উঠলেন জানেন না তিনি।

ছবি: সংগৃহীত
জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি কর্তৃপক্ষের, আটক ৫
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। তারা সবাই মরক্কো, সিরিয়া ও মিসরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বড়দিনের উৎসবে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এলোপাতাড়ি গাড়িচাপা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। উগ্র ইসলাম পন্থার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আটকের ঘটনাটির পর বড়দিন ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। বড়দিনের শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি।    এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির মাগডেবুর্গ শহরে একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় ৬ জনের প্রাণ যায়।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী