জাতীয়

ঢাকাসহ এশিয়ার মেগাসিটিগুলো কেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ার শহরগুলো যত বড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে জঞ্জাল, দূষণ আর অসহনীয় যানজট। দ্রুত নগরায়ণের সুফল যেখানে জীবনমান উন্নত করার কথা, সেখানে অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ ও দুর্বল নগর শাসনের কারণে অনেক মেগাসিটিই এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।

 

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শেষ দিক থেকে তৃতীয়। ঢাকার নিচে আছে কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক ও লিবিয়ার ত্রিপোলি। একই তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১৩২তম এবং দিল্লির ১৪৫তম।

 

জনসংখ্যার নতুন হিসাব ও নগর বিস্তার

টানা সাত দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল টোকিও। তবে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সেই হিসাব বদলে গেছে। এবার শহরের প্রশাসনিক সীমানার বদলে বাস্তব বিস্তৃতি বা আরবান স্প্রল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

 

এই নতুন মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর এখন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা—জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা, প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়ে। টোকিও নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে, জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দুটি শহর হলো ভারতের দিল্লি ও চীনের সাংহাই।

 

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শহরে বসবাস করে। এই নগরায়ণের বড় অংশ ঘটছে এশিয়ার মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ জনবহুল শহরের মধ্যে মাত্র একটি এশিয়ার বাইরে, আর ৩৩টি মেগাসিটির মধ্যে মাত্র ৭টি ধনী দেশগুলোতে অবস্থিত।

 

প্রতিবেদন বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জাকার্তা ও ঢাকায় আরও আড়াই কোটি মানুষ যুক্ত হবে—যা অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জনসংখ্যার কাছাকাছি।

 

নগরায়ণের সুফল, কিন্তু ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা

গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে—কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ বাড়ে। তবে নগর ব্যবস্থাপনা দুর্বল হলে সেই সুফল দ্রুতই ম্লান হয়ে যায়। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অর্থনীতিবিদ আলাঁ বার্তো বলেন,

“মানুষ শ্রমবাজারের অংশ হতে শহরে আসে। কিন্তু যদি সেই শ্রমবাজার ও নগর ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ না করে, তবে শহর শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের ফাঁদে পরিণত হয়।”

 

এশিয়ার মেগাসিটিগুলোতে ঠিক সেটাই ঘটছে। অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ, দুর্বল গণপরিবহন, দূষণ ও যানজট নগর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

 

জাকার্তা ও ঢাকার বাস্তবতা

জাকার্তার আশপাশের বোগর, দেপোক, তাংগেরাং ও বেকাসির মতো শহরগুলো একে একে মূল শহরের সঙ্গে মিশে গেছে। অথচ এই বিশাল জনপদের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রশাসনিক কাঠামো। ফলে যানজট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে যানজটপূর্ণ শহরের তালিকায় জাকার্তার অবস্থান ১২তম—ঢাকা তৃতীয় এবং দিল্লি সপ্তম।

 

জাকার্তা সরকারের হিসাব অনুযায়ী, শুধু যানজটের কারণেই প্রতিবছর প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু হলেও তা শহরের সীমানা ছাড়িয়ে উপশহরগুলো পর্যন্ত পৌঁছায়নি—যেখানে যাতায়াতের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি।

 

ঢাকাও একই সমস্যায় জর্জরিত। শহরের বিস্তার হলেও প্রশাসনিক সমন্বয় নেই। দুই সিটি করপোরেশন, একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, একাধিক মন্ত্রণালয় ও অসংখ্য সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব বিভক্ত। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ঢাকার ৮০ শতাংশ সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাই তার হাতে নেই।

 

সফল মডেল কোথায়?

চীনের সাংহাই ও জাপানের টোকিও তুলনামূলক সফল উদাহরণ। সাংহাই পরিচালিত হয় একক ও শক্তিশালী কর্তৃপক্ষের অধীনে। আর টোকিওতে রয়েছে ‘টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট’, যা বড় সেবাগুলোর দায়িত্ব পালন করে এবং নিচের স্তরের পৌরসভাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে।

 

বিশেষ করে টোকিওতে শক্তিশালী গণপরিবহন নেটওয়ার্ক পুরো অঞ্চলকে যুক্ত করে রেখেছে। বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ রেলস্টেশন থেকে ২০ মিনিটের হাঁটা-দূরত্বে বসবাস করে।

 

সমাধান কোথায়?

ঢাকা, জাকার্তা বা দিল্লিকে বাসযোগ্য করতে শুধু হাজার হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো প্রকল্প যথেষ্ট নয়। সবচেয়ে জরুরি হলো নগর শাসন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মৌলিক সংস্কার

 

চমক দেখানো প্রকল্প সহজ, কিন্তু ক্ষমতা ও দায়িত্বের কাঠামো বদলানো কঠিন। তবু ভবিষ্যতের কথা ভাবলে এশিয়ার মেগাসিটিগুলোর জন্য এই কঠিন সিদ্ধান্তই এখন সবচেয়ে জরুরি—এবং এর সুফল হবে দীর্ঘমেয়াদি।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি : সংগৃহীত
ডিজিএফআই কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে জেআইসি সেল গুম মামলার বিচার শুরু

জেআইসি সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, শাইখ মাহদীসহ অন্যান্য সদস্যরা। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। অন্য আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর। তবে ওই দিন কোনো আদেশ না দিয়ে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তীতে আজকের দিন নির্ধারণ করেন। একই সময়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুম—এই চারটি কারণে অব্যাহতির আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানান। শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম ও মো. আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা শুনানিতে অংশ নেন। এ মামলায় প্রসিকিউশন পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৬ জনকে গুম করে অমানবিক নির্যাতনের শিকার করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। এর আগে, ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের জন্য স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ পেলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ৩ ডিসেম্বর দায়িত্ব প্রত্যাহার করেন। পরে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়।   এরও আগে, ৮ অক্টোবর মামলায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ

ছবি : সংগৃহীত

মনোনীত প্রার্থীদের সাথে আজও বিএনপির বৈঠক

ছবি : সংগৃহীত

ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর ছাত্রী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমী (৩০) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকায় অবস্থিত জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তারা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।   হাজারীবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।   রুমী পারিবারিকভাবে মানসিক চাপে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সংগৃহীত ছবি

উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আসিফ নজরুল

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন জামায়াত আমির, ফিরবেন ২১ ডিসেম্বর

ছবি: সংগৃহীত
লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন জামায়াত আমির, ফিরবেন ২১ ডিসেম্বর

পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।    বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।   জামায়াতের ইসলামী সূত্র জানায়, সেখানকার সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে তার এই লন্ডনযাত্রা।   বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, বৃটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের একটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় সকালে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আমিরে জামায়াত। সেখানে আরও কাজ শেষে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাবেন তিনি।   সবকিছু ঠিক থাকলে জামায়াত আমির আগামী ২১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে জানান জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই শীর্ষ নেতা।   লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াত আমিরের কোনো সাক্ষাৎ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্রই গ্রেপ্তারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুন নির্দেশনা ইসির

0 Comments