হেদায়েত হোসাইন, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের বিসিক শিল্প নগরী জায়গার সল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দেশ বিদেশের ব্যাবসায়ী উদ্যোক্তরা এসে ফিরে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হলে বাগেরহাটসহ দক্ষিন হবে দেশের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইতিমধ্যে বাগেরহাট মংলাকে ঘিরে সরকার যে সকল বড় বড় মেঘা প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাতে বাগেরহাট জেলার প্রতি, দেশী বিদেশী শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। ১৯৯৬ সালে মাত্র কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে পথচলাা শুরু করে বাগেরহাট শিল্পনগরী। মাত্র ১৯.৩০ শতাংশ জায়গার উপর গডে উঠা এ শিল্প নগরীতে ৪৩ টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে চলিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে জানা যায়,শিল্প নগরীতে জায়গার সল্পতা, জলাবদ্ধতা,ভাল যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া,পল্লিবিদ্যুতের সংযোগ থাকায় ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সর্বারহ না থাকাসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয় ব্যাবসায়ীদের। যে জায়গা নিয়ে শিল্পনগরী গড়ে উঠেছিল প্রথম অবস্থাতেই সবগুলো প্লট বিক্রি হয়ে যায়। পরবর্তিতে আগ্রহী ব্যাবসায়ীদের ইচ্ছা থাকলেও কোন প্লট না পাওয়ায় শিল্পনগরিতে নতুন করে কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। শিল্প নগরীতে কর্মরত প্রধান কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ মল্লিক বলেন, জায়গা বাড়ানোর ব্যাপারে স্থানীয় এমপিসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু ফল পাওয়া জায়নি। এখনও প্রচেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। শিল্পনগরির পাশেই বাগেরহাট পিডিবি’র বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও শিল্পনগরীতে পল্লিবিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে।। পল্লিবিদ্যুতের লাইনটি অনেক দুর থেকে আনা হয়েছে। গ্রামের মধ্য দিয়ে দির্ঘ এই লাইন আসার কারনে অকর্ষিক ঝড়বৃষ্টি হলেই গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে পড়ে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। বডধরনের ঝড় বা তান্ডব হলে ২/৪ ঘন্টা নয় দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। এ সময় কলকারখানা সহ শিল্পপ্রষ্ঠিান গুলো বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাবসায়ীদের বড়অংকের ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হয়। শিল্প নগরিতে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র রাস্থা। প্রতিদিন ট্রাকসহ ভারী যানচলাচল করায় রাস্থাটি মাঝেমধ্যে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ভিতরেও ভাল ড্রেনেজ ব্যাবস্থা নেই। অতি সম্প্রতি শিল্পনগরী বাগেরহাট পৌরসভার আওতায় নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিসিকের আ লিক পরিচালক সুভাসচন্দ বিশ^াস এ প্রতিবেদককে জানান, বাগেরহাট শিল্প নগরী বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। জায়গার স্বল্পতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নতুন জায়গা বৃদ্ধির ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে পর্যায় ক্রমে সমাধান কর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বাগেরহাটের বিশিষ্ট শিল্পপতি এমদাদ আলি পাইক বলেন, বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্তেও বারেহাট শিল্প নগরী মোটামুটি ভাবে সামনের দিকে চলছে। তিনি বলেন শুধু বাগেরহাট নয় সারাদেশের ব্যাবসায়ীদের সামনে একটি সঠিক পরিসংখ্যান থাকা প্রায়োজন যা দেখ তার বুঝতে পারে দেশে কোন জিনিষের উৎপাদন কত এবং চহিদা কত?। তিনি বলেন, শিল্পউদ্যাক্তাদের আগ্রহ বাড়াতে হলে সরকারকে সহজ সর্তে লোন প্রদান করতে হবে।##