সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
কলকাতায় মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু দত্ত

কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার জেরে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ও প্রোমোটার শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।    আয়োজক শতদ্রু দত্তের জামিন আবেদন এরইমধ্যে নামঞ্জুর হয়েছে। কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।   এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মতে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকেও ব্যর্থ করেছে। তার মন্তব্য, ক্রীড়াপ্রেমী কলকাতাবাসীর কাছে এই দিনটি একটি ‘অন্ধকার দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। \ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে রাজ্য সরকারকে একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার নির্দেশের মধ্যে রয়েছে—অনুষ্ঠান আয়োজক ও স্পনসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার, টিকিট কেটে প্রতারিত দর্শকদের টাকা ফেরত, স্টেডিয়াম ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির জন্য আয়োজকদের উপর জরিমানা আরোপ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতি করা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেনশনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।   উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে দেখতে না পেরে ব্যাপক ভাঙচুর করে দর্শকরা। অভিযোগ, মাঠে মেসির সঙ্গে প্রচুর ভিড় থাকায়, মেসিকে দেখতেই পাননি দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা আসন থেকে ছোড়েন পানির বোতল। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন মেসি।   মেসি সফরের এই কাণ্ড সামাজিক ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

১০ মিনিট আগে
হায়দরাবাদ মাতালেন মেসি, পরের গন্তব্য মুম্বাই

ভারত সফরের প্রথম পর্বে কলকাতায় চরম বিশৃঙ্খলার পর এবার হায়দরাবাদে বিপরীত চিত্র দেখা গেল মেসিকে ঘিরে। রাজীব গান্ধি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দারুণ আয়োজনে মুগ্ধ মেসি-ডি পলরা। দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। অনুষ্ঠানে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও। এরপর মেসির গন্তব্য মুম্বাই ও দিল্লি।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হায়দরাবাদে পৌঁছান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। কলকাতার ঘটনার ঠিক বিপরীত ছবি ধরা পড়ে হায়দরাবাদে, যেখানে মেসির উপস্থিতিতে রূপ নেয় অন্যরকম এক প্রশান্তির বিনোদনে।   হায়দরাবাদের স্টেডিয়ামে সংক্ষিপ্ত উপস্থিতিতেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন লিও। বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে একের পর এক বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতান আর্জেন্টাইন তারকা। দর্শকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।   মূলত ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে ইন্টার মায়ামির সতীর্থ লুইস সুয়ারেস ও রদ্রিগো ডি পলকে নিয়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছান মেসি। সে সময় সেখানে চলছিল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ, যেখানে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডিও কিছুক্ষণ খেলেন। ভিআইপি বক্স থেকে খেলা দেখেন মেসি-সুয়ারেসরা। পরে মাঠে নেমে দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করেন মেসি, দেন অটোগ্রাফ এবং সবার সঙ্গে ছবি তোলেন। রেভান্ত রেড্ডি, দে পল ও সুয়ারেসের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করেন তিনি। দুবার বল জালেও পাঠান মেসি। খুদে ফুটবলারদের সঙ্গেও সময় কাটান এই তারকা।   ডি পল ও মেসি দুজনই গ্যালারিতে বল পাঠান। ম্যাচ শেষে জয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন মেসি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মেসি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, হায়দরাবাদে থাকতে পেরে তিনি ভীষণ আনন্দিত। ডি পল বলেন, 'এটি বিশেষ এক সন্ধ্যা। আপনাদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আমরা আবার বিশ্বকাপ জিততে পারব।'   পরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তেলেঙ্গানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডি ও রাহুল গান্ধিকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সি উপহার দেন মেসি। এরপর স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন আর্জেন্টিনার ফুটবল জদুকর।   এর আগে, কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মেসির উপস্থিতি ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, মাত্র ২০ মিনিট স্টেডিয়ামে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক নেতা ও অভিনেতাদের ভিড়ে অনেক দর্শক মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় তার চলে যাওয়ার পর ভাঙচুর শুরু হয়।   এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুঃখ প্রকাশ করে তদন্তের ঘোষণা দেন। উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ।   কলকাতা ও হায়দরাবাদের পর মুম্বাই হয়ে দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে মেসির ভারত সফর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

১৪ মিনিট আগে
লিগ ওয়ানে কষ্টার্জিত জয়ে টেবিলের শীর্ষে পিএসজি

লিগ ওয়ানে নিম্ন সারির দল মেসের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে টেবিল টপার এখন পিএসজি। চোটে জর্জরিত দল নিয়েও ম্যাচের ৩১তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গন্সালো রামোস।    এরপর ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ১৮ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড কতাঁ। তবে তিন মিনিটের ব্যবধানে একটি গোল শোধ করে মেসের দেমিনগেত।    বিরতির পর আবারও লিড পায় পিএসজি। কিন্তু ৮১ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন মেসের জিওর্জি। তবে, ম্যাচের শেষ দিকে চাপ সৃষ্টি করলেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচ হারের হতাশা কাটিয়ে ঘরোয়া লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল।     

১৬ মিনিট আগে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালকে জয় উপহার দিয়েছে উলভস

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালকে জয় উপহার দিয়েছে উলভস। ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে খেই হারাচ্ছিল আর্সেনাল। প্রথমার্ধে ছয়টি শট নিলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।   বিরতির পর আর্সেনাল আক্রমণের গতি বাড়ালেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ৫৭ মিনিটে মার্তিনেল্লির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ৬৮ মিনিটে ডেক্লান রাইসের দূরপাল্লার শট প্রতিহত হয় স্যাম জনস্টেনের কাছে।    ঠিক দুই মিনিট পরই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল।ম্যাচের শেষ দিকে হেডে গোল করে উলভসকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার তোলু। তবে ইনজুরি সময়ে আবারও সেই আত্মঘাতী গোলে গানারদের জয় উপহার দেয় উলভস।  

১৯ মিনিট আগে
ছবি : সংগৃহীত
অন্যান্য
মেডিকেল–ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

সারা দেশে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ।   শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।   উল্লিখিত শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৫৬৪৫ টি; যার মধ্যে এমবিবিএস ৫১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫। বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৭৩৬১ টি; যার মধ্যে এমবিসিএস ৬০০১ এবং বিডিএস ১৩৬০। এমবিবিএস কোর্সে ১১১০১টি এবং বিডিএস কোর্স ১৯০৫টি, অর্থাৎ সর্বমোট ১৩০০৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। তাদের মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।   ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।   এবার ভর্তি পরীক্ষায় বসেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন (৯৮.২১ শতাংশ), অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ১৯২ (১.৭৯ শতাংশ) জন, বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২। ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ (৬৬.৫৭ শতাংশ) জন, যাদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন (৩৮.১৩ শতাংশ) এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন (৬১.৮৭ শতাংশ)।   সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের মধ্যে নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন (৬৩.৮০ শতাংশ) এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন (৩৬.২০ শতাংশ)। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১.২৫।   বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটসমূহে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৬ অনুযায়ী পরবর্তীতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।   ফল দেখবেন যেভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলেই ফলাফল দেখা যাবে। ভর্তিচ্ছুরা এটি ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নিতে পারবেন। মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
প্রশাসনিক শৈথিল্যে টালমাটাল জনপ্রশাসন, নির্বাচনের আগে বাড়ছে উদ্বেগ

রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্দোলন, দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এবং শীর্ষ পর্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ—সব মিলিয়ে দেশের জনপ্রশাসনে এক ধরনের অস্থির ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনায় প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সরকারের নমনীয় নীতির প্রতিফলন স্পষ্ট, যার প্রভাব আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশেও পড়তে পারে।   বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামছেন। কিন্তু দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত প্রশাসনিক ও বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানেও সরকারকে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলার পরিবর্তে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের আগে যদি এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে তা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তাই সামনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রয়োজন বলে মত তাদের। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপাতত মনোযোগ দিতে চাইছি না। কোনো কথাও বলতে চাই না।’ এর আগে তফসিল ঘোষণার আগের দিন ১০ ডিসেম্বর ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার দাবিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা পুরো সচিবালয় প্রদক্ষিণ করে অর্থ বিভাগের নিচে অবস্থান নেন এবং পরে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে গিয়ে জড়ো হন। এ সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় অর্থ উপদেষ্টা সচিবালয় ত্যাগ করেন। অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। উপদেষ্টা প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লাগবে জানালেও তারা তা মানতে রাজি হননি। একপর্যায়ে আলোচনা ভেঙে যায় এবং পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সচিবালয়ের বাদামতলা এলাকায় কর্মচারীরা সমবেত হয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে আদালত গ্রেফতার হওয়া ১৪ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সচিবালয়ে বর্তমানে অন্তত ছয় হাজার কর্মচারী কর্মরত। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাতা প্রদান করতে হলে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।সচিবালয়ের বাইরেও একই চিত্র দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার নবম পে-স্কেল ও সচিবালয় ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে পরিকল্পনা কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি কাজ ব্যাহত করলে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কর্মবিরতি বা অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি বা বরখাস্তের মতো শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক সচিব ও বিপিএটিসির সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনেকেই সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তার মতে, সরকারের বর্তমান অগ্রাধিকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন। রাজনৈতিক সরকার এলে দাবিদাওয়া তোলাই যুক্তিযুক্ত হবে। তিনি মনে করেন, সরকারের সহনশীল অবস্থানকে দুর্বলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।তবে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের আন্দোলন মোটেই কাম্য নয়। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কর্মবিরতি, অবরোধ বা কাউকে অবরুদ্ধ করা চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে এবং নির্বাচনী পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সরকারের এখন কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।তিনি আরও বলেন, সচিবালয় একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা, যেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুরু থেকেই যদি প্রশাসন শক্ত অবস্থানে থাকত এবং শীর্ষ পর্যায়ে দক্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত করা যেত, তবে আজকের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতো না।   সার্বিকভাবে বিশ্লেষকদের মত, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নির্বাচনের স্বার্থে জনপ্রশাসনে দ্রুত দৃঢ়তা ও কার্যকর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।

ছবি : সংগৃহীত
তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে, যা অতীতে কখনো কোনো নেতা পাননি এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় ১৮ বছর পর তারেক রহমানের নির্বাসিত জীবনের অবসান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি দলের এই প্রস্তুতির কথা জানান। বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করি আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণার বিষয়। তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা ২৫ ডিসেম্বর তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যা অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো নেতা পাননি। আমরা সবাই সেই প্রস্তুতি নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সংবাদ আমাদের জন্য একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে আবেগের। একদিকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন, অন্যদিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে যিনি আমাদের পথ দেখাচ্ছেন, যিনি আমাদের আশার আলো সেই নেতা আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসছেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নু।


ছবি : সংগৃহীত
হাদিকে গুলি : ভারতের হাইকমিশনারকে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করা হয়। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কেউ যদি ইতোমধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়, বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে তার সমর্থকদের উসকানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সরকার পলাতক শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে তারা বাংলাদেশের আদালতের দেওয়া সাজা কার্যকরের মুখোমুখি হতে পারেন। এ ছাড়া ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিষয়টিও হাইকমিশনারের নজরে আনা হয়। অভিযোগ করা হয়, এসব ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিকল্পনা, সংগঠিত ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছেন। এ ধরনের অপরাধমূলক ও ফ্যাসিবাদী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই ভারতের প্রত্যাশা। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে ইরানের তৈরি ভয়ংকর ড্রোন

শাহেদ-১৩৬ ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ড্রোন, যা নীরবে ড্রোন যুদ্ধের প্রচলিত নিয়মকানুন নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। এই ড্রোনের আবির্ভাব বিশ্বজুড়ে সামরিক শক্তিগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য, কৌশল ও ব্যয়ের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।   দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক অস্ত্রবাজারে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিরা সামরিক উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। তবে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ লয়টারিং মিউনিশন সেই প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আকারে ছোট, তুলনামূলকভাবে কম খরচের এবং প্রযুক্তির প্রদর্শনের চেয়ে বাস্তব কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মিত এই ড্রোন আধুনিক যুদ্ধের অর্থনীতি ও কৌশলগত বাস্তবতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। স্থানীয়ভাবে নির্মিত একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিণত হওয়ার এই দ্রুত উত্থান বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শিল্পগুলোকে সরাসরি অনুকরণ ও বিপরীত-প্রকৌশলের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। এটি বৈশ্বিক কৌশলগত হিসাবের এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শাহেদ-১৩৬ এর নকশাগত দর্শন। মাত্র ৫০ হর্সপাওয়ারের একটি সাধারণ পিস্টন ইঞ্জিন, প্রায় ৪০ কেজি ওয়ারহেড বহনের সক্ষমতা এবং আনুমানিক দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লা সবকিছু মিলিয়ে এটি এমন এক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যেখানে জটিলতার বদলে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও পুনরাবৃত্তিযোগ্য কার্যকারিতাই মুখ্য। প্রতি ইউনিট ড্রোনের আনুমানিক মূল্য মাত্র ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার হওয়ায় এটি একটি বড় অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, তুলনামূলকভাবে বহু গুণ বেশি দামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে এমন ড্রোন প্রতিহত করতে হয়। উৎপাদনের কম খরচ ও প্রতিরোধের বেশি খরচ এই অসম সমীকরণ ইরানকে বৈশ্বিক ড্রোন যুদ্ধে একটি অনন্য অবস্থানে তুলে এনেছে। শাহেদ ড্রোনের প্রভাবের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো যেসব পরাশক্তি একসময় ইরানকে গৌণ বা প্রান্তিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করত, তারাই এখন এই ড্রোন গ্রহণ, অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য হচ্ছে। ইরানি মডেলের কাছাকাছি দামে তৈরি, ঝাঁকবদ্ধ হামলার উপযোগী নতুন ড্রোন ব্যবস্থার উদ্ভব খরচ-সাশ্রয়ী যুদ্ধ ধারণার প্রতি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্বের অন্যতম উন্নত ড্রোন উন্নয়নকারী শক্তিগুলোর একটি রাশিয়া তার নিজস্ব সংস্করণে শাহেদের ধারণা অন্তর্ভুক্ত করেছে। উন্নত ইঞ্জিন, রাডার এড়িয়ে যাওয়ার উপকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষমতা ও অ্যান্টি-জ্যামিং প্রযুক্তির সংযোজন এই ড্রোনকে বহু স্তরবিশিষ্ট বিমান-প্রতিরক্ষা পরিবেশে কার্যকর করে তুলেছে। নিজস্ব বিস্তৃত ইউএভি কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও, শাহেদ-ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্ম রাশিয়ার অস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থান পূরণ করেছে। চীনও এই প্রবণতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেনি। ডেল্টা-উইং কাঠামো এবং মিশন প্রোফাইলে শাহেদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ড্রোনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার এই ধারণার প্রতি আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। শাহেদ-১৩৬ এর উদ্ভাবন এবং একে ঘিরে চীন ও রাশিয়ার ড্রোন উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি গভীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। একদিকে রয়েছে বিপুল সামরিক বাজেট, দীর্ঘ ক্রয়চক্র ও প্রাতিষ্ঠানিক জড়তা; অন্যদিকে রয়েছে কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য, যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান। নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য ইরান এমন একটি ড্রোন মডেল তৈরি করেছে, যা কার্যকারিতা, স্কেলেবিলিটি ও বাস্তব যুদ্ধ-ব্যবহারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এই অর্থে শাহেদ-১৩৬ কেবল একটি ড্রোন নয়; এটি দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারে। এই ড্রোনের ব্যাপক প্রতিলিপি আধুনিক যুদ্ধে একটি বৃহত্তর বিবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যস্ত করে রাখা, প্রতিপক্ষকে ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করতে বাধ্য করা এসব ক্ষমতা প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রতিরোধ সক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।   শাহেদ-১৩৬ এর উত্থান একটি মৌলিক সত্য স্পষ্ট করে দেয় উদ্ভাবন কেবল ধনী রাষ্ট্রগুলোর একচেটিয়া ক্ষেত্র নয়। বরং এই ক্ষেত্রে ইরান সীমাবদ্ধ সম্পদকেই কৌশলগত সুবিধায় রূপান্তর করেছে এবং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যা আজ বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীগুলোকে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও অনুকরণে বাধ্য করছে।

ছবি: সংগৃহীত
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একেবারে প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।   পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী নিধনের ছক কষা হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একাত্তরে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।   এ ছাড়া সকাল থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ

৭ কোটি জনসংখ্যা যুক্তরাজ্যে ৯০ লাখ মানুষই রয়েছে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে। অর্থাৎ নিজের ব্রিটিশ পরিচয় হারাতে পারেন দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের দুই মানবাধিকার ও নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রানিমেড ট্রাস্ট ও রিপ্রিভের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।   ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, সরকার যদি মনে করে কোনো ব্যক্তি অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্য তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে। এমনকি সেই ব্যক্তি ওই দেশে কখনও না গেলেও পরতে পারেন এই সিদ্ধান্তের আওতায়। বিতর্কিত এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।    গবেষণা প্রতিষ্ঠান দু'টির প্রতিবেদন বলছে, বৈষম্যের শিকার অশেতাঙ্গরা। শেতাঙ্গদের তুলনায় তারা রয়েছেন ১২ গুণ বেশি নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে। আদমশুমারির তথ্য, বার্ষিক জনসংখ্যা জরিপ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন। বলা হয়েছে, ১৬ লাখ কৃষ্ণাঙ্গ, ৩৩ লাখ এশিয়ান ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হতে পারে। একই ঝুঁকিতে থাকা শ্বেতাঙ্গ নাগরিকের সংখ্যা ২৪ লাখ হলেও তা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ ভাগ।   নিজের ব্রিটিশ পরিচয় হারানোর ঝুঁকিতে থাকাদের মধ্যে বড় অংশই মুসলিম। যারা মূলত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি প্রায় ১০ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে পরিচয় হারানোর শঙ্কায়। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান আর তৃতীয় অবস্থান রোমানিয়া। সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত ২ লাখের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক হারাতে পারেন নাগরিকত্ব।   নাগরিকত্ব বাতিলের এই আইনকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিচ্ছে রানিমেড ও রিপ্রিভ। মুসলিম ও অশেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য এটি পদ্ধতিগত হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে বলেও মত তাদের।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু দত্ত
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার জেরে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ও প্রোমোটার শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।    আয়োজক শতদ্রু দত্তের জামিন আবেদন এরইমধ্যে নামঞ্জুর হয়েছে। কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।   এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মতে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকেও ব্যর্থ করেছে। তার মন্তব্য, ক্রীড়াপ্রেমী কলকাতাবাসীর কাছে এই দিনটি একটি ‘অন্ধকার দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। \ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে রাজ্য সরকারকে একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার নির্দেশের মধ্যে রয়েছে—অনুষ্ঠান আয়োজক ও স্পনসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার, টিকিট কেটে প্রতারিত দর্শকদের টাকা ফেরত, স্টেডিয়াম ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির জন্য আয়োজকদের উপর জরিমানা আরোপ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতি করা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেনশনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।   উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে দেখতে না পেরে ব্যাপক ভাঙচুর করে দর্শকরা। অভিযোগ, মাঠে মেসির সঙ্গে প্রচুর ভিড় থাকায়, মেসিকে দেখতেই পাননি দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা আসন থেকে ছোড়েন পানির বোতল। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন মেসি।   মেসি সফরের এই কাণ্ড সামাজিক ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর মিনস্কের পটাশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় অন্তত ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।    মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এলেস বিয়ালিয়াটস্কি, বেলারুশের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ মারিয়া কোলেসনিকোভা, ম্যাক্সিম জ্যাঙ্কসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মীদের।    মুক্তি পেয়েছে ইউক্রেনের অন্তত ১১৪ বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।    বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) লুকাশেঙ্কোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।   ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়ালে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত
হামাসের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

গাজা সিটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে এ দাবি করে আইডিএফ। খবর আল-জাজিরা।   তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। সাদের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আইডিএফের হাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের হামাস নেতা নিহতের ঘটনা হবে এটি।   এদিকে, শনিবার গাজা সিটির নাবলুসি জংশনে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এই অভিযানে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আর গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনাসহ নিহত ৩
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হামলায় ২ মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ৫ মার্কিন সেনা ও সিরিয়ান সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।   শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির পামিরা শহরে এই ঘটনা ঘটে।    পেন্টাগন জানায়, শনিবার পামিরা শহরে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্য হামলা চালায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় সেনাসদস্যদের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন।   এদিকে এ ঘটনায় আইএসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী