সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
ভারতে ৩৬ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় ওড়িশা রাজ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব নতুন নাগরিকের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক। তিনি জানান, এই আইনের মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার মানুষদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণের মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরও প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওড়িশার জনশুমারি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৫ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কার্যকর হওয়া বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিধান অনুসারেই এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানান, ওই নারী পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় শ্রীভূমি জেলার এক যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর গত বছর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ধর্মানন্দ দেব আরও জানান, সিএএর আওতায় আসামে তিনিই প্রথম নারী যিনি নাগরিকত্ব পেলেন। পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে এই প্রথম কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ধারা ও ৬বি ধারার অধীনে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হন।

২৯ সেকেন্ড আগে
লাল বেনারসিতে ঝলমলে সাদিয়া আয়মান

অভিনয়গুণ তার পরিচয়ের বড় অংশ- এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। রূপেও যে তিনি অনায়াসে নজর কাড়েন, তাও অনস্বীকার্য। আর সেই রূপে যখন রাজকীয় সৌন্দর্যের ছোঁয়া পড়ে তখন কার না চোখ জুড়াবে? এভাবেই লাল শাড়িতে রানির বেশে নিজের দ্যুতি ছড়ালেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। এমনিতে ফটোশুট বা ছবি তুলতে বেশ পছন্দ করেন সাদিয়া আয়মান। কোথাও ঘুরতে গেলেও নিজেকে ফ্রেমবন্দি করেন। যদিও মেকওভার ফটোশুটে খুব একটা দেখা মেলে না এই অভিনেত্রীকে; তবে এক ব্রাইডাল মেকওভারে রীতিমতো নজর কাড়লেন অভিনেত্রী।    রোববার একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ করতেই ভক্তদের চোখ আটকে দিলেন সাদিয়া। যেখানে উঠে আসে তার রাজকীয় সৌন্দর্য। ছবিতে দেখা যায় এক ক্লাসিক অন্দরমহলের আবহে ঘন লাল বেনারসিতে সাদিয়া। শাড়িতে সোনালি জরির সূক্ষ্ম কারুকাজ, নিখুঁত এমব্রয়ডারি; সব মিলিয়ে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক রুচির অপূর্ব মেলবন্ধন। সাদিয়া আয়মান। ছবি- সংগৃহীত    সাদিয়ার স্নিগ্ধ মুখাবয়বে লাল টিপ, গাঢ় কাজল আর চোখের গভীর সাজ; সবশেষে ঠোঁটে লালের উষ্ণ আভা। খোলা চুলে হালকা কার্ল, যা তার এই নতুন ফ্যাশনকে নিয়ে গেছে অনন্য মাত্রায়।   অলঙ্কারেও ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া। মাথায় টিকলি ও ঝাপটা-সহ মানানসই মাঙ্গটিকা, গলায় কুন্দন-পাথর বসানো ভারী নেকলেস, হাতে চওড়া সোনালি চুড়ি ও বালা- প্রতিটি অনুষঙ্গেই ফুটে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য। এই সাজ শুধু ফ্যাশনের গল্প নয়, আত্মপরিচয়েরও। নিজের পরিশ্রমে অর্জিত সাফল্য আর সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা থেকেই নিজেকে ‘রানি’ ভাবতে ভালোবাসেন— এমন মন্তব্য আগেই করেছিলেন সাদিয়া। এই ছবিতে তার দৃপ্ত ভঙ্গিমা আর আত্মবিশ্বাস যেন সেই কথারই দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি।   এই ব্রাইডাল মেকওভার নিয়ে মন্তব্যঘরে দেখা গেছে সাদিয়া আয়মান ভক্তদের অগণিত প্রশংসা। একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের রানি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বধূ সাজে অতুলনীয় তুমি।’ কেউ কেউ আবার সাদিয়া আয়মানের চেহারার মাঝে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকেও খুঁজে পেয়েছেন।      ঈদুল আজহা ২০২৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উৎসব’ সিনেমার পর নতুন করে আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী চলতি বছর ‘দেরি করে আসবেন’, ‘খুঁজি তোকে’, ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর’ ও ‘প্লিজ গো’ নাটকেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যাশন স্টেটমেন্টেও যে তিনি সমান সাবলীল তার প্রমাণ দিলেন এবার।

১৪ মিনিট আগে
মেয়ের জন্য দোয়া চাইলেন ইমরান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। নিজের সুর দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে বাবা হওয়ার সুখবর ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন।    এবার আরেক পোস্টে মেয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। পোস্ট দিয়ে ইমরান লিখেছেন, ‘গতকাল আমাদের জীবনের এক সুন্দর অধ্যায় পূর্ণ হলো। আমার মেয়ের আকিকা সম্পন্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ।’   মেয়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আমাদের রাজকন্যা মাহনূর মাহমুদুল ইনায়াকে। দোয়া রাখবেন সবাই।’     এদিকে কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা ইমরানের মেয়ের জন্য দোয়া করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘দোয়া ও শুভকামনা সব সময়ের জন্য।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক অনেক দোয়া রইলো মামনিটার জন্য। দোয়া করি আপনার মতোই একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র হোক সোনামণিটা।’   উল্লেখ্য, সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল ২০০৩ সালে 'নতুন কুঁড়ি' প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরপর ২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন। একই বছর 'ভালোবাসার লাল গোলাপ' সিনেমায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়।    পরবর্তীতে ২০১১ সালে আরফিন রুমির হাত ধরে তার প্রথম একক অ্যালবাম 'স্বপ্নলোক' প্রকাশ পায়। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এই শিল্পী গানকেই তার আয়ের মূল পথ হিসেবে বেছে নেন। 

১৭ মিনিট আগে
গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার

গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমস্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি রেসার অভিক আনোয়ার। মোট ২ ঘণ্টার রেসিংয়ে প্রায় ৩শ' কিলোমিটার দূরত্বের এই রেসে সফলভাবে সম্পন্ন করেন ৪৭টি ল্যাপ।   চলতি বছর রেসিং ট্র্যাকে দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ার পর বড় অর্জন এসেছে অভিকের হাত ধরে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, জর্ডান ও মিশরের রেসাররা।    উল্লেখ্য, অধিকাংশ রেসারদের গাড়িতে ডাবল রেসারের টিম থাকলেও অভিক একা হাতেই পাড়ি দেন রেসিং ট্র্যাক।

১৯ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
খেলাধুলা
গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার

গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমস্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি রেসার অভিক আনোয়ার। মোট ২ ঘণ্টার রেসিংয়ে প্রায় ৩শ' কিলোমিটার দূরত্বের এই রেসে সফলভাবে সম্পন্ন করেন ৪৭টি ল্যাপ।   চলতি বছর রেসিং ট্র্যাকে দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ার পর বড় অর্জন এসেছে অভিকের হাত ধরে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, জর্ডান ও মিশরের রেসাররা।    উল্লেখ্য, অধিকাংশ রেসারদের গাড়িতে ডাবল রেসারের টিম থাকলেও অভিক একা হাতেই পাড়ি দেন রেসিং ট্র্যাক।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
নিরাপত্তার কারণে ১৬ ডিসেম্বর ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাট্রুপারদের প্যারা জাম্প কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির সময় প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এ সময় কোনো ট্রেন চলাচল করবে না। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সাময়িক এই বিরতির কারণে যাত্রীদের যে অসুবিধা হতে পারে, সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মেট্রোরেল ব্যবহারে সময়সূচি বিবেচনা করে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ৩৬ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় ওড়িশা রাজ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব নতুন নাগরিকের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক। তিনি জানান, এই আইনের মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার মানুষদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণের মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরও প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওড়িশার জনশুমারি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৫ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কার্যকর হওয়া বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিধান অনুসারেই এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানান, ওই নারী পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় শ্রীভূমি জেলার এক যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর গত বছর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ধর্মানন্দ দেব আরও জানান, সিএএর আওতায় আসামে তিনিই প্রথম নারী যিনি নাগরিকত্ব পেলেন। পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে এই প্রথম কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ধারা ও ৬বি ধারার অধীনে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হন।


ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোনের দাম কমতে পারে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, মোবাইলের দাম কমিয়ে আনতে দেশে উৎপাদন ও আমদানির উভয় ক্ষেত্রেই কর ছাড় দিতে রাজি আছেন।   সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘পরবর্তী সরকারের আর্থ-সামাজিক অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন তিনি।   এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই ট্রেড থেকে এত ট্যাক্স নেয় না, যত পরিমাণ আমরা ট্যাক্স ইম্পোজ করি। এটা যে ট্যাক্সের জন্য করা হয় তা কিন্তু না।   আবদুর রহমান খান বলেন, মোস্ট অব দ্য কেইসে আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রি... (সুরক্ষা দিতে)। যেমন আজ সকালবেলাও আমাদের মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারাররা দলবেঁধে এসছেন। তারা বলেন, আপনারা যে ট্যাক্স কমাবেন (মোবাইল) ইম্পোর্টের, আমাদের ইনভেস্টমেন্টের কী হবে? কারণ আপনারা জানেন যে, আগামীকাল থেকে এনইআইআর চালু হবে এবং সে কারণে আমরা, সরকার চিন্তাভাবনা করছে, এটাকে কিভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায়।   তিনি বলেন, আমরা এনবিআর থেকে যেটা বুঝি, সেটা হলো উভয় গ্রুপের স্বার্থ রক্ষা করে এবং কনজিউমার ইন্টারেস্ট প্রোটেক্ট করার জন্য আমরা চাই মোবাইল ফোন, স্মার্টফোনের দাম বাংলাদেশে কমুক এবং এটা করতে গেলে আমরা দুই জায়গাতেই ছাড় দিতে রাজি আছি।   ‘যেহেতু এখন গ্রে মার্কেটে বেশির ভাগ হাই অ্যান্ড ফোন আসে, ফলে আসলে আমরা সত্যিকার্র অর্থে কোনো রেভিনিউ পাই না’ উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, এটা যদি আমরা ফরমাল করতে পারি, এনইআইআর ইমপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমে, ইভেন রেভিনিউ যদি আমরা ছেড়েও দেই; তার পরেও কিন্তু ফরমাল চ্যানেলে আসার কারণে আমাদের রেভিনিউ বাড়বে।   তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে অনেক সময় যে সংশ্লিষ্ট পণ্যে উচ্চ আমদানি শুল্ক বসানো হয়। আমরা লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে প্রোটেক্ট করার জন্যই কিন্তু অনেক সময় বেশি বেশি রেট ধরি। তার পরও আমরা এটা (আমদানি শুল্ক) কমাব। আগামীকাল বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) থেকে দেশে কার্যকর হচ্ছে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন বা এনইআইআর। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আনা ফোনগুলো ২০২৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে; এই সময়ের পরে আর কোনো অবৈধ ফোনকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে দেওয়া হবে না।

ছবি: সংগৃহীত
১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে না ‘এনইআইআর’, নতুন ডেডলাইন ১ জানুয়ারি

দেশে মোবাইল ফোন চুরি ও অবৈধ আমদানি রোধে নির্ধারিত ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’ সিস্টেম চালুর তারিখ পুনরায় পেছানো হয়েছে। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এনইআইআর কার্যকর হবে।   সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিটিআরসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।    সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের সব মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীর কাছে যেসব আমদানিকৃত হ্যান্ডসেট অবিক্রিত বা মজুদ আছে, সেগুলোর আইএমইআই ও অন্যান্য তথ্য এনইআইআর সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আগে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী এখনো তাদের হ্যান্ডসেটের তথ্য জমা দিতে পারেননি। তাদের সুবিধার জন্য ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এখন ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এনইআইআর সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   একই সঙ্গে এসব হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি এনইআইআর সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে neir@btrc.gov.bd ই-মেইল ঠিকানায় নির্ধারিত মাইক্রোসফট এক্সেল ফরম্যাট অনুযায়ী তথ্য দেওয়ার জন্য সব মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি: সংগৃহীত
জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি কর্তৃপক্ষের, আটক ৫

জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। তারা সবাই মরক্কো, সিরিয়া ও মিসরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বড়দিনের উৎসবে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এলোপাতাড়ি গাড়িচাপা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। উগ্র ইসলাম পন্থার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আটকের ঘটনাটির পর বড়দিন ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। বড়দিনের শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি।    এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির মাগডেবুর্গ শহরে একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় ৬ জনের প্রাণ যায়।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় হামলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলন আহমেদ, পেলেন 'হিরো' উপাধি
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

একের পর এক গুলির শব্দ সিডনির এই সমুদ্র সৈকত জুড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটছে মানুষ। এরইমাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আততায়ীর হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয় এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয় এই ভিডিওটি।   অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির বন্ডাই বিচে ধর্মীয় উৎসব পালন করছিলেন দেশটির অন্তত হাজারখানিক ইহুদী নাগরিক। তবে হঠাৎই কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায় সেখানে। আনুমানিক ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে অস্ত্রধারীরা। তাতে হতাহত হয়েছেন অনেকেই। গুলি, হট্টগোল আর চিৎকারের শব্দে সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হয় বনডি সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ।   এ পরিস্থিতিতেও অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। তার নাম আহমেদ আল আহমেদ। স্থানীয় এক ফলের দোকানের মালিক সে। একজন মুসলিম হয়েও ইহুদীদের জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ায় স্থানীয়দের কাছে বাস্তব জীবনের হিরো হয়ে ওঠেন তিনি।   অনেকের জীবন বাঁচালেও আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেয়ার পর তার শরীরে অস্ত্রোপচার চালানো হয় বলে সেভেন নিউজকে জানান আহমেদের চাচাতো ভাই মুস্তোফা।   মুস্তফা জানান, আগে কখনও অস্ত্র চালানোর অভিজ্ঞতা ছিলো না আহমেদের। তবুও, দুই সন্তানের জনক আহমেদ কিভাবে এতো সাহসী হয়ে উঠলেন জানেন না তিনি।

ছবি: সংগৃহীত
জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি কর্তৃপক্ষের, আটক ৫
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

জার্মানিতে বড়দিনের উৎসবে হামলার চক্রান্ত নস্যাতের দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। তারা সবাই মরক্কো, সিরিয়া ও মিসরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বড়দিনের উৎসবে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এলোপাতাড়ি গাড়িচাপা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। উগ্র ইসলাম পন্থার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আটকের ঘটনাটির পর বড়দিন ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। বড়দিনের শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি।    এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির মাগডেবুর্গ শহরে একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় ৬ জনের প্রাণ যায়।

ছবি: সংগৃহীত
কৃষ্ণসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন প্রস্তাব তুরস্কের
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

কৃষ্ণসাগরে জাহাজে হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজও এসব হামলার শিকার হওয়ায় সমুদ্রপথের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছে আঙ্কারা। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি নতুন কিন্তু সীমিত চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে জ্বালানি অবকাঠামো ও জাহাজে হামলা বন্ধ করা যায়।   গত শুক্রবার ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রুশ বাহিনীর হামলায় একটি তুর্কি মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটির অপারেটরের তথ্য অনুযায়ী, চর্নোমোর্স্ক বন্দরে সন্দেহভাজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এ ছাড়া গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে অন্তত তিনটি জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। এসব হামলার কিছু ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী ট্যাংকারগুলোকে লক্ষ্য করেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, তুরস্ক শুরু থেকেই যুদ্ধ বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে চাপ বেড়েছে এবং একাধিক দিক থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি জানান, উভয় পক্ষই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা করছে, যার ফলে কৃষ্ণসাগরের বাণিজ্যিক নৌ চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তুর্কি কোম্পানির মালিকানাধীন হলেও বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এবং তুর্কি নাবিকরা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তুর্কি নাগরিক হতাহত না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। ফিদান আরও বলেন, সম্প্রতি তুর্কমেনিস্তানে এক বৈঠকের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তার মতে, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি সম্ভব না হলেও অন্তত জ্বালানি অবকাঠামো ও কৃষ্ণসাগরের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সীমিত চুক্তি হওয়া জরুরি। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আগের ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ কার্যকর থাকাকালে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্য প্রায় নির্বিঘ্ন ছিল এবং জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেনি। আবারও এ ধরনের হামলা স্থগিতের ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় তুরস্ক মধ্যস্থতা করে ওই শস্যচুক্তি সম্পাদন করলেও পরে রাশিয়া তা নবায়নে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকেই ইউক্রেনের কৃষি ও বন্দর অবকাঠামোতে হামলা বাড়তে থাকে।   এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি খুব দূরে নয়। তিনি কৃষ্ণসাগরকে সংঘাতের ক্ষেত্র না বানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিরাপদ নৌ চলাচল রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষেরই প্রয়োজন।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী