সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
পরপর দুই বছর কেন বন্ধ থাকছে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এই উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গত বছর পাঁচ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আট আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের চার মাসের মাথায় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর এবারও একই অন্তর্বর্তী সরকার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের অস্থিরতার আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে, বরং আগের তুলনায় কর্মসূচির পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। তবে এবারও প্যারেড কর্মসূচি রাখা হয়নি। শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হবে না বলে জানানো হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ও শৃঙ্খলার প্রতীক এবং এটি দীর্ঘদিনের একটি ঐতিহাসিক রেওয়াজ। কুচকাওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব ও সামরিক সক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলে প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী সামরিক বাহিনীকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সালাম দিতে হতো, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি এটিকেও কুচকাওয়াজ না হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

৩৩ মিনিট আগে
বিজয় দিবসে এবারও হচ্ছে না কুচকাওয়াজ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহান বিজয় দিবসে এবারও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা–সংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়নি। সে সময় এর পরিবর্তে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজয় দিবসের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন করা হবে এবং এ নিয়ে কোনো ধরনের অস্থিরতার আশঙ্কা নেই। আগের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে, বরং কর্মসূচির পরিধি আরও বাড়ানো হবে। তবে এবারও প্যারেড কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর দেশে অস্থিরতা বেড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতিতে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি।

৩৬ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিবসটির সূচনা হবে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা, ব্যানার ও রঙিন নিশান টানানো হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার জাতীয় পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং প্রদর্শন করবেন। এই আয়োজন বিশ্বে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং প্রদর্শনের মাধ্যমে গিনেস রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রাখছে। বিজয় দিবসে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় বেলা ১১টা থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাইপাস্ট মহড়া প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের বিশেষ ব্যান্ড শো। সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও বিএনসিসির বাদক দল বাদ্যবাজনা পরিবেশন করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় তিন দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনের আয়োজন থাকবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় অ্যাক্রোবেটিক শো এবং সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’ মঞ্চস্থ হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বিজয় দিবসের বিশেষ গান পরিবেশন করা হবে। সারাদেশের ৬৪ জেলায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলা ও উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। এদিন দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ ঢাকার সদরঘাট, পাগলা ও বরিশালে বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সারাদেশের মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

৪২ মিনিট আগে
নিরাপত্তার কারণে ১৬ ডিসেম্বর ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাট্রুপারদের প্যারা জাম্প কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির সময় প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এ সময় কোনো ট্রেন চলাচল করবে না। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সাময়িক এই বিরতির কারণে যাত্রীদের যে অসুবিধা হতে পারে, সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মেট্রোরেল ব্যবহারে সময়সূচি বিবেচনা করে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

৪৪ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
অন্যান্য
হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে ‘সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ’। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশ শুরুর আগেই শহীদ মিনার এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুরের পর থেকেই মঞ্চ প্রস্তুত, চেয়ার সাজানো ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। ধীরে ধীরে শহীদ মিনার চত্বর রূপ নেয় এক প্রতিবাদী জমায়েতে। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর করে তোলেন এলাকা। ‘আমরা সবাই হাদি হবো, অন্যায়ের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদির জন্ম নেবে’—এমন স্লোগানের পাশাপাশি ‘নারায়ে তাকবির—আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিত হতে থাকে। হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। সমাবেশ শুরুর আগে মঞ্চে গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। এসব পরিবেশনায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরা হয়। বক্তারা গান ও কবিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার আহ্বান জানান। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। তারা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি তোলেন। আয়োজকদের বক্তব্যে বলা হয়, এই সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদী অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। তারা বলেন, রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তা কখনোই সহিংসতায় রূপ নিতে পারে না। শান্তিপূর্ণভাবে চলমান এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী কণ্ঠে ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসানের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি অভ্যুত্থান-অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে নিয়মিত গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোড এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা চালানো হয়। মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
নিরাপত্তার কারণে ১৬ ডিসেম্বর ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাট্রুপারদের প্যারা জাম্প কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির সময় প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এ সময় কোনো ট্রেন চলাচল করবে না। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সাময়িক এই বিরতির কারণে যাত্রীদের যে অসুবিধা হতে পারে, সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মেট্রোরেল ব্যবহারে সময়সূচি বিবেচনা করে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবসে এবারও হচ্ছে না কুচকাওয়াজ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহান বিজয় দিবসে এবারও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা–সংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়নি। সে সময় এর পরিবর্তে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজয় দিবসের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন করা হবে এবং এ নিয়ে কোনো ধরনের অস্থিরতার আশঙ্কা নেই। আগের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে, বরং কর্মসূচির পরিধি আরও বাড়ানো হবে। তবে এবারও প্যারেড কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর দেশে অস্থিরতা বেড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতিতে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি।


ছবি: সংগৃহীত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিবসটির সূচনা হবে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা, ব্যানার ও রঙিন নিশান টানানো হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার জাতীয় পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং প্রদর্শন করবেন। এই আয়োজন বিশ্বে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং প্রদর্শনের মাধ্যমে গিনেস রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রাখছে। বিজয় দিবসে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় বেলা ১১টা থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাইপাস্ট মহড়া প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের বিশেষ ব্যান্ড শো। সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও বিএনসিসির বাদক দল বাদ্যবাজনা পরিবেশন করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় তিন দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনের আয়োজন থাকবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় অ্যাক্রোবেটিক শো এবং সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’ মঞ্চস্থ হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বিজয় দিবসের বিশেষ গান পরিবেশন করা হবে। সারাদেশের ৬৪ জেলায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলা ও উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। এদিন দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে টেলিভিশন ও বেতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ ঢাকার সদরঘাট, পাগলা ও বরিশালে বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সারাদেশের মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত
পরপর দুই বছর কেন বন্ধ থাকছে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এই উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গত বছর পাঁচ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আট আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের চার মাসের মাথায় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর এবারও একই অন্তর্বর্তী সরকার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের অস্থিরতার আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে, বরং আগের তুলনায় কর্মসূচির পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। তবে এবারও প্যারেড কর্মসূচি রাখা হয়নি। শুধু রাজধানী নয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হবে না বলে জানানো হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ও শৃঙ্খলার প্রতীক এবং এটি দীর্ঘদিনের একটি ঐতিহাসিক রেওয়াজ। কুচকাওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব ও সামরিক সক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলে প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী সামরিক বাহিনীকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সালাম দিতে হতো, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি এটিকেও কুচকাওয়াজ না হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ছবি: সংগৃহীত
ওসমান হাদির সিঙ্গাপুর যাত্রা নিয়ে জানা গেল নতুন তথ্য

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এ বিষয়ে একটি জরুরি কল–কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদি অংশ নেন। এদিন এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। গত দুই দিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং অপরিবর্তিত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার দুপুরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যাবেন তার ভাই ওমর হাদি এবং আরও একজন সহযাত্রী। ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। একই সঙ্গে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাসহ সারা দেশের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য এই পূর্বাভাস কার্যকর থাকবে।   পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টাতেও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।   বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
কৃষ্ণসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন প্রস্তাব তুরস্কের
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

কৃষ্ণসাগরে জাহাজে হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজও এসব হামলার শিকার হওয়ায় সমুদ্রপথের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছে আঙ্কারা। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি নতুন কিন্তু সীমিত চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে জ্বালানি অবকাঠামো ও জাহাজে হামলা বন্ধ করা যায়।   গত শুক্রবার ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রুশ বাহিনীর হামলায় একটি তুর্কি মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটির অপারেটরের তথ্য অনুযায়ী, চর্নোমোর্স্ক বন্দরে সন্দেহভাজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এ ছাড়া গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে অন্তত তিনটি জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। এসব হামলার কিছু ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী ট্যাংকারগুলোকে লক্ষ্য করেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, তুরস্ক শুরু থেকেই যুদ্ধ বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে চাপ বেড়েছে এবং একাধিক দিক থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি জানান, উভয় পক্ষই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা করছে, যার ফলে কৃষ্ণসাগরের বাণিজ্যিক নৌ চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তুর্কি কোম্পানির মালিকানাধীন হলেও বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এবং তুর্কি নাবিকরা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তুর্কি নাগরিক হতাহত না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। ফিদান আরও বলেন, সম্প্রতি তুর্কমেনিস্তানে এক বৈঠকের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তার মতে, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি সম্ভব না হলেও অন্তত জ্বালানি অবকাঠামো ও কৃষ্ণসাগরের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সীমিত চুক্তি হওয়া জরুরি। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আগের ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ কার্যকর থাকাকালে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্য প্রায় নির্বিঘ্ন ছিল এবং জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেনি। আবারও এ ধরনের হামলা স্থগিতের ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় তুরস্ক মধ্যস্থতা করে ওই শস্যচুক্তি সম্পাদন করলেও পরে রাশিয়া তা নবায়নে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকেই ইউক্রেনের কৃষি ও বন্দর অবকাঠামোতে হামলা বাড়তে থাকে।   এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি খুব দূরে নয়। তিনি কৃষ্ণসাগরকে সংঘাতের ক্ষেত্র না বানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিরাপদ নৌ চলাচল রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষেরই প্রয়োজন।

ছবি: সংগৃহীত
দাবানলে জ্বলছে নাগাল্যান্ডের মনোরম জুকো উপত্যকা
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের মনোরম জুকো উপত্যকায় ভয়াবহ দাবানল শুরু হয়েছে। আগুনে উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকা জ্বলছে, যা ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।   স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, গত শুক্রবার চারজন স্থানীয় ট্র্যাকার জুকো উপত্যকায় ট্রেকিংয়ে যান। তারা উপত্যকার একটি স্থানে তাঁবু স্থাপন করেন এবং তাঁবুর সামনে ক্যাম্পফায়ার জ্বালিয়ে পানির খোঁজে বের হন। পরে ফিরে এসে তারা দেখতে পান, সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এবং মুহূর্তের মধ্যেই তারা আগুনের মাঝখানে আটকা পড়েন। শনিবার তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগেই প্রায় ১ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধার শেষে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাঁবুর সামনে আগুন জ্বালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বর্তমানে দাবানল ঠিক কতটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে শুষ্ক আবহাওয়া ও জোরালো বাতাসের কারণে প্রতি মুহূর্তে আগুনের বিস্তার বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে। জুকো উপত্যকার নিকটবর্তী কোহিমা জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও দুর্গম ভূপ্রকৃতির কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। খাড়া ঢাল ও সড়কপথ না থাকায় দমকল ও উদ্ধারকারী যান সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে সড়কপথের সীমাবদ্ধতার কারণে আকাশপথে আগুন নেভানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দাবানল আক্রান্ত এলাকায় ওপর থেকে পানি ছিটানো হবে।   এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে জুকো উপত্যকার সংশ্লিষ্ট বনাঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দা, ট্র্যাকার ও পর্যটকদের প্রবেশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আয়োজক শতদ্রু দত্ত
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার জেরে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ও প্রোমোটার শতদ্রু দত্তকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাকে।    আয়োজক শতদ্রু দত্তের জামিন আবেদন এরইমধ্যে নামঞ্জুর হয়েছে। কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।   এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মতে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকেও ব্যর্থ করেছে। তার মন্তব্য, ক্রীড়াপ্রেমী কলকাতাবাসীর কাছে এই দিনটি একটি ‘অন্ধকার দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। \ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে রাজ্য সরকারকে একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার নির্দেশের মধ্যে রয়েছে—অনুষ্ঠান আয়োজক ও স্পনসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার, টিকিট কেটে প্রতারিত দর্শকদের টাকা ফেরত, স্টেডিয়াম ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির জন্য আয়োজকদের উপর জরিমানা আরোপ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দায়িত্বে গাফিলতি করা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেনশনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।   উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে দেখতে না পেরে ব্যাপক ভাঙচুর করে দর্শকরা। অভিযোগ, মাঠে মেসির সঙ্গে প্রচুর ভিড় থাকায়, মেসিকে দেখতেই পাননি দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা আসন থেকে ছোড়েন পানির বোতল। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন মেসি।   মেসি সফরের এই কাণ্ড সামাজিক ও মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর মিনস্কের পটাশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় অন্তত ১২৩ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো বেলারুশ। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।    মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এলেস বিয়ালিয়াটস্কি, বেলারুশের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ মারিয়া কোলেসনিকোভা, ম্যাক্সিম জ্যাঙ্কসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মীদের।    মুক্তি পেয়েছে ইউক্রেনের অন্তত ১১৪ বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।    বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) লুকাশেঙ্কোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।   ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়ালে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী