সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
এমবাপ্পের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পিএসজিকে আদালতের নির্দেশ

ফরাসি ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মানের সাবেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন প্যারিসের একটি শ্রম আদালত।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দেওয়া এই রায়ে আদালত জানান, পিএসজির সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এমবাপ্পে তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং সাইনিং বোনাস পাওয়ার অধিকারী।   আদালত উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ফরাসি পেশাদার ফুটবল লিগ—এলএফপি—এই পাওনাগুলোর দাবি স্বীকৃতি দিয়েছিলো। পাশাপাশি, এমবাপ্পে বকেয়া বেতনের অর্থ পাওয়ার যোগ্য নয়—এমন কোনো চুক্তির প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি পিএসজি। এছাড়াও এমবাপ্পের বিরুদ্ধে ‘সম্মানহানি’র পাল্টা অভিযোগও করেছিলো ফরাসি ক্লাবটি।   এ কারণে ক্লাবটির সেই যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারকরা। ফ্রান্সের শ্রম আদালত গতকাল নির্দেশ দিয়েছেন, ডিএসজি যেন এমবাপ্পের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে।   রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমবাপ্পের আইনজীবী ফ্রেদেরিক ক্যাসেরো। তিনি বলেন, বেতন পরিশোধ না করার  কারণে এমন রায়ই প্রত্যাশিত ছিল।   এক বিবৃতিতে এমবাপ্পের আইনজীবী দল জানায়, এই রায় প্রমাণ করে—চুক্তির মাধ্যমে নেওয়া অঙ্গীকার অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। পেশাদার ফুটবল অঙ্গনেও শ্রম আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

২ মিনিট আগে
একই জিনিস বারবার করাই সফল হওয়ার মন্ত্র, কোনও শর্টকাট নেই: সৌরভ

ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। আর ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেশটিতে বহুদিন ধরেই সবার পছন্দের তালিকায় হার্শা ভোগলে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে হাজির হন দু'জন। যেখানে সঞ্চালকের ভূমিকাতে দেখা যায় প্রিন্স অব ক্যালকাটাকে। আবার অতিথি হলেও নানা প্রশ্ন হার্শা করেছেন সৌরভকে। আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটের নানা দিক, নানা উত্থান-পতনের গল্প। 'দ্য ক্যাপ্টেনস কাম' নামের ওই শো-টিতে দু'জনের কথোপকথনের খানিকটা জেনেই নেই।    সৌরভ গাঙ্গুলি: হারশা আমার সাথে আছেন এবং তাকে ধন্যবাদ। আমি এই আড্ডার জন্য মুখিয়ে আছি।   হার্শা ভোগলে: আমি এখানে আসতে পেরে খুব খুশি এবং একই সাথে বেশ উচ্ছ্বসিতও। কারণ, সৌরভের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। আর আরেকটা বিষয়ে মজা পাচ্ছি কারণ, আমরা এটা এর আগেও অনেকবার করেছি। কিন্তু প্রতিবার আমি থাকতাম ওই দিকে (সঞ্চালকের ভূমিকায়) আর তুমি থাকতে এই দিকে (অতিথি হিসেবে)।    আমার জীবনের অন্যতম আনন্দের সময় ছিল ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের ওই সময়টা, যখন ভারত খুব অসাধারণ কিছু করছিল। আমার বিশেষভাবে মনে আছে, তুমি এমন এক সময়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলে যখন খুব অস্থির পরিস্থিতি ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট ঘিরে নানা সমস্যা ছিল, বিশ্বাসের অভাব ছিল। হঠাৎ শচিন টেন্ডুলকার নিজে বললেন, আমি আর ক্যাপ্টেন থাকতে চাই না।    আচ্ছা, তুমি কি অধিনায়ক হওয়ার আশা করছিলে?   সৌরভ গাঙ্গুলি: বছরের পর বছর আমার অভিজ্ঞতা এবং তোমার অভিজ্ঞতা থেকে তুমি জানো যে, পরিস্থিতি কেবল অস্থিরতার মধ্যেই বদলায়। যখন সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, যথাযথ থাকে, শান্ত থাকে, তখন তুমি পরিবর্তন দেখতে পাও না। আমার অধিনায়কত্ব এসেছিল এক অস্থির সময়ে। শচিন এটা করতে চায়নি। হয়তো সে যদি করতে চাইত, আমি হয়তো কোনোদিনই ভারতের ক্যাপ্টেন হতাম না। আমি কখনও ভাবিনি আমি ভারতকে নেতৃত্ব দেব। ৯৬ সালে আমি ডেবিউ (অভিষেক) করি, তুমি তখন সেখানে ছিলে। তখন সময়টা খুব আলাদা ছিল। ভারতকে তখন অন্যভাবে দেখা হতো। গত ২৯ বছরে অনেক কিছু বদলেছে।   হার্শা ভোগলে: আমি একটা তরুণ ছেলেকে ব্যাট করতে নামতে দেখেছিলাম। এরও ৫ বছর আগে কেউ একজন আমাকে বলেছিল, এই ছেলেটার দিকে নজর রেখো। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে সে ১২২ রান করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেখান থেকে সেই ছেলেটা, মানে তুমি ভাইস-ক্যাপ্টেন হলে। ভাইস-ক্যাপ্টেন হলে সাধারণত ক্যাপ্টেন্সির লাইনেই থাকা হয়। কিন্তু দূর থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমার যেটা মনে হয়েছিল, ভারতের মানুষ আবার বিশ্বাস ফিরে পেতে চাইছিল। তারা খেলা দেখতে চাইত এবং ভাবতে চাইত যে, 'আমার সব খেলোয়াড় আমার জন্যই খেলছে।'   সৌরভ গাঙ্গুলি: বিশেষ করে ভারতে ক্রিকেট... এটা প্রায় ধর্মের মতো। বর্তমান প্রজন্মে হয়তো অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়েছে, কিন্তু আমার প্রজন্মে বা তারও আগে গাভাস্কার-কপিলদের সময়েও এই খেলাটা কেবল একটা খেলার চেয়ে অনেক বড় কিছু ছিল।    যখন ২০০০ সালে আমি ক্যাপ্টেন হলাম, তখন অনেক কিছু ঘটছিল। আমার সাথে সবচেয়ে ভালো যেটা হয়েছিল তা হলো, আমি তখন ল্যাঙ্কাশায়ারে ছিলাম ৬ মাসের জন্য। ভারতে যখন এসব হচ্ছিল, আমি, রাহুল (দ্রাবিড়) কেন্টে, অনিল (কুম্বলে) লেস্টারশায়ারে—আমরা সবাই বাইরে ছিলাম। আমার মনে হয় এটা ২০০০ সালের গ্রীষ্মকাল ছিল। তখন মিডিয়া এখনকার মতো এত দ্রুত ছিল না। কিছু খবর আসত যে তদন্ত হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে। কিন্তু এটা আমাকে বিচলিত করেনি। আমি ক্যাপ্টেন্সি আশা করিনি, কারণ শচিন ক্যাপ্টেন ছিল এবং সে-ই সবসময়ই খুব স্বচ্ছ ইমেজের ছিল। আমি ভাইস-ক্যাপ্টেন হিসেবেই খুশি ছিলাম। কিন্তু যখন আমি প্রথম ক্যাপ্টেন হলাম, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটা জরুরি ছিল। আর আমি সবচেয়ে ভালো যেটা করেছিলাম, তা হলো আমি পেছন ফিরে তাকাইনি। আমি সামনে তাকাতে চেয়েছিলাম। আমার কাছে বিশ্বাস অর্জনের প্রথম ও প্রধান শর্ত ছিল ম্যাচ জেতা। এমন একটা দল তৈরি করা যারা জিতবে। আমরা একদল দারুণ খেলোয়াড় পেয়েছিলাম। আমি সবসময় বলি, আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আমি টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, কুম্বলে, লক্ষ্মণ, সেহওয়াগদের নেতৃত্ব দিয়েছি। ধোনি পরে এসেছিল যখন আমি প্রতিষ্ঠিত ক্যাপ্টেন। এরা সবাই অবিশ্বাস্য খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু ভালো খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তারা খুব ভালো মানুষ ছিল। যাদের সততা ছিল প্রশ্নাতীত। ভারত তাদের কাছে সবার আগে ছিল, তারপর তাদের প্রতিভা। তাই এটা আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছিল।    হার্শা ভোগলে: ইয়ান চ্যাপেল আমাকে একটা খুব মজার কথা বলেছিলেন। তিনিও অস্থির সময়ে ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমি প্রথমে একটা তালিকা করেছিলাম যে, খেলোয়াড় হিসেবে আমার সাথে কী কী আচরণ করা হলে আমার খারাপ লাগত। এবং আমি ঠিক করেছিলাম, আমি যখন ক্যাপ্টেন হব, তখন অন্যদের সাথে সেই আচরণগুলো করব না।' আমি ৯২ থেকে ৯৬ সালের কথা এইজন্যই আনলাম কারণ ওটা তোমার জন্য খুব সুখকর সময় ছিল না। দলে সুযোগ পাওয়ার পরেও তুমি ৪-৫ বছর বাইরে ছিলে। তোমার মনে কি সেই চিন্তাটা ছিল?   সৌরভ গাঙ্গুলি: ১০০% ছিল। আমি চাইনি কোনো তরুণ খেলোয়াড় সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাক। কারণ এটা তোমার ক্ষমতাকে ৫০% কমিয়ে দেয়। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যখন আমি কাউকে বেছে নিই, আমি তাকে সফল হওয়ার জন্যই বেছে নিই, ব্যর্থ হওয়ার আশা করি না।   হার্শা ভোগলে: এখানেই একজন নেতার গুরুত্ব বোঝা যায়।    সৌরভ গাঙ্গুলি: আমার কাছে প্রতিযোগিতা মানে হলো আরও ভালো হয়ে ওঠা। এ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিযোগিতা নেই। প্রতিযোগিতা মানে কাউকে নিচে নামানো নয়।   হার্শা ভোগলে: তুমি কি কখনও ভুল করার ভয় পেতে? কারণ লিডাররা তো ভুল করবেই।    সৌরভ গাঙ্গুলি: তুমি যেমন বললে, ৯৯-এর আগে ক্যাপ্টেনরা আসত আর যেত। অনেকে ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনসি হারাত। সিরিজ খেলে ফেরার পথে প্লেনে থাকত আর নেমে দেখত তারা আর ক্যাপ্টেন নেই। তো, আমি কি ভুল করার ভয় পেতাম? হ্যাঁ, পেতাম। আমি মানুষ। সবাই মানুষ। সেরা মানুষটিও হয়তো সেটা দেখাবে না, কিন্তু মনে মনে সে জানে যে সে ভুল করতে পারে। কিন্তু আমি ভুল যাতে কম হয়, তার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতাম। এটা একটা ভারসাম্য। টেস্ট ম্যাচে ব্যাট করতে নামার সময় তুমি নার্ভাস থাকো। ৫ নম্বরে ব্যাট করা সবচেয়ে কঠিন, কারণ তুমি জানো ৩ আর ৪ নম্বর ব্যাট করছে আর এরপর তুমি। কিন্তু যখন তুমি মাঠে নামো, গার্ড নাও, প্রথম বলটা যখন তোমার পাশ দিয়ে যায়, তখন জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তুমি নিজেকে এভাবেই তৈরি করো। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, কর্পোরেট হোক বা ক্রিকেট, তোমাকে সফল হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়। তুমি এমনি এমনি মাঠে বা কর্পোরেট অফিসে গিয়ে সফল হতে পারো না।   হার্শা ভোগলে: কেউ কীভাবে সফল হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে পারে?   সৌরভ গাঙ্গুলি: সফল হওয়ার একটাই উপায়, একই জিনিস বারবার করা। এর কোনো শর্টকাট নেই।    হার্শা ভোগলে: মাঠে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ভুল হলে তার দায়ভারও নিতে হয়। তুমি শান্ত থেকে সিদ্ধান্ত নিতে কীভাবে?    সৌরভ গাঙ্গুলি: তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তুমি শান্ত থাকো বা রাগী। মাঠে আমাকে জার্সি ওড়াতে বা ঝগড়া করতে দেখেছ, কিন্তু ভেতর থেকে আমি খুব শান্ত মানুষ। আমাকে তুমি কোনো ঘরের কোণে বসে নিজের কাজ করতে দেখবে, কোনো আওয়াজ নেই। এটাই আমার স্বভাব। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে জরুরি হলো সিদ্ধান্ত নিতে ভয় না পাওয়া। এবং সেই সিদ্ধান্ত সবসময় প্রগতিশীল হতে হবে, সমর্থনের হতে হবে। এমন সময় আসে যখন কাউকে বাদ দিতে হয়। যেমন ২০০১ সালে মোহালিতে আমি সেহওয়াগকে বলেছিলাম, 'তুমি ফাস্ট বোলিং খেলার জন্য এখনও তৈরি নও। তুমি ফিরে যাও, খেলো এবং ফিরে এসো।' সে ফিরে এসেছিল একজন অন্য খেলোয়াড় হিসেবে। সততা খুব জরুরি। নেতৃত্ব মানে শুধু কাউকে ছেড়ে দেওয়া নয়, বরং কাউকে তৈরি করা। এটাই একজন নেতার সবচেয়ে বড় ভূমিকা। জীবন বা খেলার যেকোনো পর্যায়ে, সৃষ্টি করাটাই আসল। ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে জরুরি হলো, পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে না চলে যায়।    হার্শা ভোগলে: এটা কি সত্য যে যখন তুমি শান্ত থাকো তখন তোমার মন ভালো কাজ করে? আর রেগে গেলে মন কাজ করে না?   সৌরভ গাঙ্গুলি: হ্যাঁ, কারণ রেগে গেলে ভুলভাল চিন্তা আসে। আর শান্ত থাকলে তুমি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাও।

৩ মিনিট আগে
নতুন ফরম্যাটে মাঠে গড়াবে পিএসএল

নতুন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১১তম আসর। ২০২৬ সালের ২৬ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্টটি। মোট সময় ধরা হয়েছে ৩৯ দিন। এবারের আসরে দল সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে আটটি। খবর জিও নিউজ'র।   অনুমোদিত সূচি অনুযায়ী, পিএসএল ১১ হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে হবে সিঙ্গেল লিগ পর্ব। এই পর্বে আটটি দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ফলে প্রতিটি দল প্রথম ধাপেই সব দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবে।   দ্বিতীয় ধাপে টুর্নামেন্ট যাবে ‘সুপার ফোর’ কাঠামোতে। আটটি দলকে ভাগ করা হবে দুইটি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল। এই ধাপে প্রতিটি দল খেলবে তিনটি ম্যাচ। ফলে দ্বিতীয় ধাপে মোট ম্যাচ হবে ১২টি।   সুপার ফোর পর্ব শেষে সেরা দুটি দল জায়গা করে নেবে প্লে-অফে। প্লে-অফে হবে মোট চারটি ম্যাচ। এর মধ্যেই থাকবে ফাইনাল। এই পর্বের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে পিএসএল ২০২৬-এর চ্যাম্পিয়ন।   দল সংখ্যা ছয় থেকে আটে উন্নীত হলেও ম্যাচসংখ্যায় বড় পরিবর্তন আসছে না। নতুন ফরম্যাটেও প্রতিটি দল ন্যূনতম ১০টি ম্যাচ খেলবে। আগের আসরগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   পিএসএল ২০২৬-এর ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের পাঁচটি শহরে। এগুলো হলো করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান এবং ফয়সালাবাদ। এই প্রথমবারের মতো পিএসএলের ভেন্যু তালিকায় যুক্ত হলো ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম।   উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান সুপার লিগ। ২০১৮ সালে দল সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ছয়টি। আগামী ১১তম আসরে আরও দুইটি নতুন দল যুক্ত হওয়ায় পিএসএল নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

৬ মিনিট আগে
গাজায় ঝড়-বন্যা, তীব্র ঠাণ্ডা ও ভবন ধসে আরও ১১ প্রাণহানি

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্যোগ কবলিত গাজায় তীব্র ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর। উপত্যকায় গত কয়েকদিনের ঝড়-বন্যা, ঠাণ্ডা ও ভবন ধসে এ পর্যন্ত প্রাণহানির শিকার ১১ জন।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ সপ্তাহ বয়সী এক নবজাতক। ইসরায়েলের বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি বাড়ি ধসে পড়েছে এক সপ্তাহে। ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ হাজার তাবু।   উত্তরে বেইত লাহিয়ায় একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছে ৫ জন। গাজা সিটির পশ্চিমে এবং উত্তর গাজায় আল শাতি শরণার্থী শিবিরে তাবুর ওপর দেয়াল ধসে আরও প্রাণহানির শিকার তিনজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েও আছে অনেকে।   বন্যা, বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে আড়াই লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ। গাজায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস এখন তাবুতে। বাকি ৭ লাখ ফিলিস্তিনির ঠাঁই বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে। এরইমধ্যে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

৮ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের উপদেশ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীরা নছিহত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে তাদের উপদেশ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।   বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।   পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের ঘটনা স্বাভাবিক। আগে থেকেই ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সেখানে নতুন মাত্রা যোগ হলো কি না তা বলা কঠিন। ভারতে বাংলাদেশ মিশন ছোট করার কোন কথা এখনো ভাবছে না সরকার। তবে প্রয়োজনে মিশন ছোট করা হবে।   তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান গতকাল রাত পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার জন‍্য কোন ট্রাভেল পাস বা ডকুমেন্ট চান নি বলেও জানান তিনি। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ পদত্যাগের যে দাবি তুলেছেন তা কোনোভাবেই সরকারের অবস্থান নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন

পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।   বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে। বর্তমানে লালবাগের ২টি, হাজারীবাগের ২টি এবং পলাশীর ২টি ইউনিটসহ মোট ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে। তবে আগুন লাগার তাৎক্ষণিক কারণ এখনো জানা যায়নি।

ছবি: সংগৃহীত
‘সেভেন সিস্টার্স’ মন্তব্যে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব করল ভারত

বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক নেতার বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ডেকে পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ভারতের দাবি, বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) এক নেতা প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ওই নেতা হুমকি দিয়ে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো—যেগুলো ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত; সেগুলো ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এ মন্তব্যকে উসকানিমূলক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ঢাকায় ভারতীয় মিশনের চারপাশে নিরাপত্তা সংকট তৈরির ঘোষণাসহ কিছু চরমপন্থি তৎপরতার বিষয়টি বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ স্পষ্ট করা হয়। ভারত আরও অভিযোগ করেছে, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো যথাযথ তদন্ত করেনি কিংবা ভারতকে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বহু উন্নয়ন ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। ভারত বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। এদিকে ‘সেভেন সিস্টার্স’ মন্তব্যকারী এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ এক সমাবেশে ওই বক্তব্য দেন। বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনের সময়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।  ভারত এসব অভিযোগ ও বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।   এ পরিস্থিতিতে ভারতের আসাম রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।    তথ্যসূত্র : এনডিটিভি


ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালে বিশ্বে কয়লার চাহিদা রেকর্ডে পৌঁছাতে পারে : আইইএ

২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী কয়লার ব্যবহার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। বুধবার প্রকাশিত আইইএর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর কয়লার চাহিদা ০.৫ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৮.৮৫ বিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। শিল্প খাত চাঙ্গা করতে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগত সহায়তাও এ বৃদ্ধির একটি কারণ। আইইএ জানায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্পায়নের ফলে চীন ও ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তবে চীনে চাহিদা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কয়লা মানবসৃষ্ট কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উৎস হলেও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ায় দশকের শেষ দিকে এর চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে পারে। আইইএ আরও জানায়, ভারতে ভালো বর্ষার কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার কমেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও সরকারি নীতিগত সহায়তার কারণে কয়লার চাহিদা আবারও বাড়ছে।

ছবি: সংগৃহীত
প্রার্থীদের কাছে অস্ত্র রাখার সঙ্গে আচরণবিধির কোনও বিরোধ নেই: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে অস্ত্র রাখার সঙ্গে আচরণবিধির কোনও বিরোধ নেই। প্রয়োজনে নির্বাচনী আচরণবিধি সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।   বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা বলেন তিনি।   তিনি বলেন, ইইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইসির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসবে। দলটির নেতৃত্বে থাকবে আইভার্স ইজাবস। মোট ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক আসবেন।   ইসি সচিব আরও বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী পর্যবেক্ষক দলটিকে সুবিধা দেয়া হবে। তবে তাদের প্রটোকল মানতে হবে। এ সময়  কিছু ইকুইপমেন্ট তারা নিয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।   প্রসঙ্গত, ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনার পর গত সোমবার রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের নীতিমালা জারি করে সরকার।   লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে এতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা ব্যক্তি, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে যাচাইকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান শিথিল করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলের বিরুদ্ধে ৫ শতাধিক গুম-হত্যার তথ্য প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ৫০০ শতাধিক ব্যক্তিকে বিচারবর্হিভূতভাবে গুম ও হত্যার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। এর মধ্যে থেকে শতাধিক মানুষকে গুম ও হত্যার তিনটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।   আগামী রোববার (২১ ডিসেম্বর) এই অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।    অভিযোগ তিনটি হলো, গাজীপুরে ৩ জনকে হত্যা, বরগুনার পাথরঘাটার চর দুয়ানিতে ৫০ জনকে হত্যা, বনদস্যু দমনের নামে সুন্দরবনে বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা। শুনানিতে কীভাবে গুম করে হত্যা করা হতো, সেই নৃশংস বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।   গ্রাফিক্স: এআই জেনারেটেড     তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল হক সুমন, সালাহউদ্দিন আহমদসহ বহু ব্যক্তিকে গুম ও হত্যার তথ্য মিলেছে। এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। গুম ও হত্যায় অসাধারণ দক্ষতার কারণে আওয়ামী লীগের আমলে তাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেয়া হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট নিবন্ধন ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৬ জন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯ জন এবং মহিলা ভোটার ২৭ হাজার ৬৬৫ জন।   নিবন্ধিতদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৮ জনের নিবন্ধন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, আর ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৮ জনের নিবন্ধন ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো ভোট গ্রহণে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতরা ভোট দিতে পারবেন। ভোট দিতে হলে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিবন্ধনকারীদের ঠিকানায় ভোটের ব্যালট ডাকযোগে পাঠানো হবে। ভোটাররা ভোট পূরণ করে ফিরতি খামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। নিবন্ধন বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশে চলছে, যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ব্রাজিল, হংকং, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, উগান্ডা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, পেরু, গাম্বিয়া সহ অন্যান্য দেশগুলো রয়েছে। ইসি জানিয়েছে, পূর্ববর্তী পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। তাই এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীরা ইতিমধ্যেই ভালো সাড়া দিয়েছেন। আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের অংশগ্রহণের আগ্রহ নিবন্ধনের সময় বোঝা যাবে।   আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি। প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ প্রবাসীর ভোট টানার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ঝড়-বন্যা, তীব্র ঠাণ্ডা ও ভবন ধসে আরও ১১ প্রাণহানি
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্যোগ কবলিত গাজায় তীব্র ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর। উপত্যকায় গত কয়েকদিনের ঝড়-বন্যা, ঠাণ্ডা ও ভবন ধসে এ পর্যন্ত প্রাণহানির শিকার ১১ জন।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ সপ্তাহ বয়সী এক নবজাতক। ইসরায়েলের বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি বাড়ি ধসে পড়েছে এক সপ্তাহে। ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ হাজার তাবু।   উত্তরে বেইত লাহিয়ায় একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছে ৫ জন। গাজা সিটির পশ্চিমে এবং উত্তর গাজায় আল শাতি শরণার্থী শিবিরে তাবুর ওপর দেয়াল ধসে আরও প্রাণহানির শিকার তিনজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েও আছে অনেকে।   বন্যা, বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে আড়াই লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ। গাজায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস এখন তাবুতে। বাকি ৭ লাখ ফিলিস্তিনির ঠাঁই বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে। এরইমধ্যে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার জলসীমায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ট্যাংকারের ওপর ট্রাম্পের পূর্ণাঙ্গ অবরোধ ঘোষণা
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

ভেনেজুয়েলার জলসীমায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সব ট্যাংকারের ওপর পূর্ণাঙ্গ অবরোধ আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।   নিকোলাস মাদুরো প্রশাসনকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের অংশ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প। তার দাবি, মার্কিন সম্পদ চুরি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক ও মানবপাচারসহ অনেক কারণে ভেনেজুয়েলার বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।   দেশটির উপকূল থেকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত একটি তেল ট্যাংকার জব্দের এক সপ্তাহের মাথায় এমন ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। এদিকে সম্প্রতি বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা।   মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে গত কয়েক মাস ধরে ভেনেজুয়েলার বেশ কয়েকটি নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ছে মার্কিন সেনারা। পুনরায় চালু করেছে পুয়ের্তো রিকোর পরিত্যাক্ত সামরিক ঘাঁটি। ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

ছবি: সংগৃহীত
সিডনির বিচে হামলাকারীদের একজন ভারতীয়, জানালো কর্তৃপক্ষ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলাকারীদের একজন ভারতের নাগরিক। ১৯৯৮ সালে তিনি হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ।আততায়ী সাজিদ আকরামের পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন।   জানা গেছে, স্টুডেন্ট ভিসায় তিনি প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান। হায়দরাবাদে তার ব্যবসা শিক্ষায় ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, ২০২২ সালে সর্বশেষ ভারত সফর করেন সাজিদ আকরাম। তার সন্তানেরাও সব অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।   উল্লেখ্য, গত রোববার সিডনির বন্ডাই সৈকতে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে নাভিদ আকরাম। যাতে প্রাণ যায় ১৫ জনের।   নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা সাজিদ আকরামের। অন্যদিকে, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছেলে নাভিদ আকরাম।

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে হামলায় সন্দেহভাজনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে বন্দুক হামলায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির পরিচয় জানলে অতিদ্রুত পুলিশে খবর দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।   সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা গেছে, হামলার দিন দুপুর থেকে আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এক মুখোশধারী ব্যক্তিকে। আর হামলা হয় বিকাল ৪টা নাগাদ।   ঘটনাস্থল থেকে পাশের ব্লকেই এমন গতিবিধি নজরে আসায় ওই ব্যাক্তিকে সন্দেহ করছে পুলিশ।   এর আগে রোববার, ২০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে, জড়িত নন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। গেল শনিবার, ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা চলাকালে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো শুরু করেছিলো কালো পোশাক ও মুখোশ পরিহিত বন্দুকধারী। হামলায় দু'জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ৯ জন আহত হয়।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী