সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির আর ফেরার সুযোগ নেই : প্রধান উপদেষ্টা

এই দেশের মাটিতে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই— এমন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী শক্তির যেকোনো অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস জানান, আজকের এই আনন্দঘন দিনে তিনি জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছেন গভীর বেদনা নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলাটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়— এটি বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। এ সময় দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন— কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভাষণের শেষাংশে অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাদের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া হবে না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির এ দেশের মাটিতে আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশে ও বিশ্বজুড়ে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর এই দিনে আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। অসংখ্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ ও লাল-সবুজের পতাকা। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার জন্য যুগ যুগ ধরে আত্মত্যাগ করা সব বীর যোদ্ধা ও শহীদদের। তাদের ত্যাগ আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা জোগায় এবং সংকটকালে মুক্তির পথ দেখায়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে নতুন সূর্য উদিত হয়েছিল, তা বিগত বছরগুলোতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কারণে ম্লান হয়ে পড়েছিল। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতি আবারও একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত ও সুশাসিত বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে যে বিস্তৃত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, দেশের আপামর জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা সফল পরিসমাপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

১০ মিনিট আগে
আইপিএল নিলামে ঝড় ক্যামেরন গ্রিনের, ২৫.২০ কোটিতে ইতিহাস গড়লেন

আইপিএল ২০২৬ মিনি নিলামে যেন ঝড় তুলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন! মাত্র ২ কোটি বেস প্রাইস থেকে শুরু হওয়া নিলাম যুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) তাকে কিনে নিল ২৫.২০ কোটি রুপিতে — মিচেল স্টার্কের ২৪.৭৫ কোটির রেকর্ড ভেঙে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড় হয়ে গেলেন গ্রিন। কিন্তু চমক এখানেই শেষ নয় — নিয়ম অনুযায়ী তিনি পাবেন মাত্র ১৮ কোটি!   এতিয়াদ অ্যারেনায় নিলাম শুরু হতেই গ্রিনের জন্য ছিল অগ্নিমূল্যের লড়াই। প্রথমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দিয়ে শুরু, তারপর রাজস্থান রয়্যালস ঢোকে। কেকেআর এবং রয়্যালসের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলার পর ১৩.৬০ কোটিতে রয়্যালস পিছিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল কেকেআরই পেয়ে যাবে — কিন্তু হঠাৎ ঢুকে পড়ল চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)! পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে এবং তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআরের মধ্যে যুদ্ধ তুঙ্গে উঠল। ১৮ কোটি পার হয়ে যাওয়ার পরও দুই দল ছাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ২৫.২০ কোটিতে কেকেআর জিতে নিল গ্রিনকে, সিএসকে পিছিয়ে গেল। এই দাম শুধু রেকর্ডই নয় — গ্রিন এক নিলামে সবচেয়ে বেশি বার (১১৭ বার) বোলি পাওয়ার রেকর্ডও গড়লেন, শ্রেয়স আইয়ারের ১০৩-এর রেকর্ড ভেঙে। কেন পুরো টাকা পাবেন না গ্রিন? বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, মিনি নিলামে বিদেশি খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ বেতন ১৮ কোটি রুপি। এই ক্যাপ গত মেগা নিলামের সর্বোচ্চ রিটেনশন স্ল্যাবের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে। ১৮ কোটির বেশি যা উঠবে, তা যাবে বিসিসিআইয়ের প্লেয়ার ওয়েলফেয়ার ফান্ডে। ফ্র্যাঞ্চাইজি অবশ্য পুরো ২৫.২০ কোটি খরচ করবে তাদের পার্স থেকে। এই নিয়ম শুধু বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য, ভারতীয়দের নয়। ২৬ বছরের গ্রিন আগে খেলেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। IPL-এ ২৯ ম্যাচে ৭০৭ রান (সর্বোচ্চ ১০০*) এবং ১৬ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। নিলামে ব্যাটার হিসেবে লিস্টেড হলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন, IPL-এ বোলিং করবেনই। নিলামের শুরুতেই ডেভিড মিলার ২ কোটি বেস প্রাইসে দিল্লি ক্যাপিটালসে গেছেন। আরও অনেক তারকা অপেক্ষায় — লড়াই জমে উঠবে আরও!

১০ মিনিট আগে
পাথিরানাকেও দলে ভেড়াল কলকাতা

আইপিএল ২০২৬ মিনি নিলামে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি হয়ে উঠেছিলেন মাথিশা পাথিরানা। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কান এই গতিতারকাকে ১৮ কোটি রুপিতে দলে টেনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তবে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলে নিজের পরিচিতি গড়েছিলেন, সেই চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) নিলামে একবারের জন্যও প্যাডেল তোলে না—যা ভক্তদের মধ্যে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।   ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য নিয়ে নিলামে ওঠা ২২ বছর বয়সী পাথিরানাকে শুরুতে লড়াইয়ে টানে দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। দর ১৫ কোটিতে পৌঁছালে দিল্লি সরে দাঁড়ায়। এরপর কেকেআর বিডে ঢুকে লখনউকে টপকে ১৮ কোটিতে নিশ্চিত করে এই পেসারকে। এতে ভিত্তিমূল্যের তুলনায় নয় গুণ দামে বিক্রি হলেন তিনি। নিলামের আগে আইপিএল ২০২৫ আসরে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে পাথিরানাকে ছেড়ে দেয় চেন্নাই। সেই মৌসুমে ১৩ উইকেট নিলেও তার ইকোনমি ছিল ১০.১৪—যা টি-টোয়েন্টি মানদণ্ডে বেশ ব্যয়বহুল। একই মৌসুমে ইতিহাসে প্রথমবার পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে শেষ করে সিএসকে। সব মিলিয়ে আইপিএলে ৩২ ম্যাচ খেলে পাথিরানার উইকেট সংখ্যা ৪৭। চেন্নাইয়ের হয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্সই তাকে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত মুখ করে তুলেছিল। তবে বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত জটিলতায় আর্ম রোটেশন বদলানোর পর থেকে আগের ধারাবাহিকতা হারিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে একই নিলামে কেকেআর আরও বড় বাজির খেলোয়াড় হিসেবে ক্যামেরন গ্রিনকে দলে ভিড়িয়েছে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে। এতে আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার হয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার, ভেঙেছেন মিচেল স্টার্কের আগের রেকর্ড। অন্যদিকে, রবি বিষ্ণুইকে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ডেভিড মিলার ও বেন ডাকেটকে ভিত্তিমূল্যে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চেন্নাই সুপার কিংস দলে টেনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার আকিল হোসেন, আর কুইন্টন ডি কক এক কোটি রুপিতে যোগ দিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। সবচেয়ে আলোচনায় থাকলেও, পাথিরানাকে নিয়ে সিএসকের সম্পূর্ণ অনাগ্রহই নিলামের অন্যতম চমক হয়ে থাকল।

২০ মিনিট আগে
বিপিএলে ভালো করেই টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার লক্ষ্য স্থির করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। নিয়মিত টি-টোয়েন্টি দলে না থাকা এই ব্যাটার মনে করেন, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে ম্যাচে প্রভাব রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'   বিপিএলে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন শান্ত। আসন্ন আসরকে নিজের জন্য ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, “আমি যদি বিপিএলে ভালো করি, তাহলে কেন নয়? বিপিএল আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পারফর্ম করতে পারলে একটা শক্ত বার্তা দেওয়া সম্ভব। তিনি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচক ও কোচিং স্টাফদের হাতে থাকলেও নিজের দায়িত্ব পরিষ্কারভাবে জানেন তিনি। “আমার কাজ ভালো ক্রিকেট খেলা। সেটা করতে পারলে এবং তারা যদি মনে করেন আমি সক্ষম, তাহলে আমাকে দলে নেবেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কত রান করলাম সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচে কতটা প্রভাব ফেলতে পারলাম। প্রতিবার ব্যাট করতে নামলেই আমার লক্ষ্য থাকে ইনিংসে প্রভাব রাখা। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন শান্ত। তার নেতৃত্বে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ছয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে—যার মধ্যে চারটি জয়, একটি ড্র ও একটি হার। আগামী বছর ব্যস্ত সূচি অপেক্ষা করছে টাইগারদের। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ অন্তত ১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শান্ত বলেন, “এ বছরটা মোটামুটি ভালোই গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম। তবে সামনে অনেক ম্যাচ আছে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। আমরা সব সময় বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে চাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া আনন্দের বিষয়। পরিকল্পনা ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। বিপিএল শেষ হওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা আরও পরিষ্কার হবে।” বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রিকেটারদের কল্যাণ সমিতি অব বাংলাদেশের (কোয়াব) অল-স্টার ম্যাচের প্রচারণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

২৭ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির আর ফেরার সুযোগ নেই : প্রধান উপদেষ্টা

এই দেশের মাটিতে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই— এমন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী শক্তির যেকোনো অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস জানান, আজকের এই আনন্দঘন দিনে তিনি জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছেন গভীর বেদনা নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলাটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়— এটি বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। এ সময় দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন— কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভাষণের শেষাংশে অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাদের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া হবে না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির এ দেশের মাটিতে আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশে ও বিশ্বজুড়ে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর এই দিনে আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। অসংখ্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ ও লাল-সবুজের পতাকা। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার জন্য যুগ যুগ ধরে আত্মত্যাগ করা সব বীর যোদ্ধা ও শহীদদের। তাদের ত্যাগ আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা জোগায় এবং সংকটকালে মুক্তির পথ দেখায়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে নতুন সূর্য উদিত হয়েছিল, তা বিগত বছরগুলোতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কারণে ম্লান হয়ে পড়েছিল। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতি আবারও একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত ও সুশাসিত বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে যে বিস্তৃত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, দেশের আপামর জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা সফল পরিসমাপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত।
হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।   সেখানে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর ওসমান হাদির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর হাদির অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে। ফেসবুক পোস্টে সর্বশেষ আপডেট হিসেবে বলা হয়েছে, ‘আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সিঙ্গাপুর থেকে তার (হাদির) ভাইয়ের তরফ থেকে জানা যায়, শরিফ ওসমান হাদির প্রাইমারি টেস্টের পর অবস্থার কিছুটা অবনতি দেখা গেলেও বর্তমানে তা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। আরেকটি অপারেশনের প্রয়োজন তবে সেটি করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।’ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অবতরণের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিরাপদে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।  গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

ছবি : সংগৃহীত
মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধায় সিক্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

রক্তক্ষয়ী নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সূর্যসন্তানদের স্মরণে মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। যাদের আত্মত্যাগে বাংলার বুকে জন্ম নিয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র—সেই বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই মানুষের স্রোত এসে মিলেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষের শ্রদ্ধা আর ফুলের ভালোবাসায় বীর শহীদদের বেদী ভরে উঠেছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ স্লোগান ও দেশপ্রেমের গান। তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর ও আবেগঘন। কুমিল্লার গৌরিপুর থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী কায়ছার বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে বইয়ে পড়েছি। আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।’ গাজীপুর থেকে আগত শরিফ ইসলাম বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরই জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি। এবারও ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করেছি।’ এ সময় জিনজিরা থেকে আসা তরুণ শহিদুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই দিনটি আমাদের গৌরবের দিন। দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি গর্বিত।’ দিনভর মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এর আগে, ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।


ছবি : সংগৃহীত
ভয়-সন্ত্রাসে গণতন্ত্র থামবে না : প্রধান উপদেষ্টা

ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে কিংবা রক্ত ঝরিয়ে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না— এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— পরাজিত শক্তি ও ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের সব অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি— জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি সংঘটিত হামলাটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়; এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি জানান, শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তিনি তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহতালার দরবারে আন্তরিক দোয়া চাওয়ার আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন— কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   ভাষণের শেষাংশে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীর প্রতি সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টরা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইলেও জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করবে। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কখনো ফিরে আসতে পারবে না।

রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবসে রাহুল গান্ধীর পোস্টে বাদ পড়ল বাংলাদেশের

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে তার বক্তব্যেও বাংলাদেশের নাম বা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উল্লেখ নেই। এর আগে একই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন, সেখানেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত ছিল।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’ কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’ একই দিন সকালে এক্সে দেওয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’  তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’ এর আগে ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে মোদি একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময়ও তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের ভূমিকার কোনো উল্লেখ ছিল না। ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তী প্রায় ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালান। ৩ ডিসেম্বর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় স্বাক্ষরিত ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার দলিলে পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ও পুলিশ বাহিনীর বহু সদস্যও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নয় মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। তুলনায় কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা ছিল সীমিত।   বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের শীর্ষ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের ভূমিকাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি : সংগৃহীত
বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা ও সেনাবাহিনীর বিশেষ অনুষ্ঠান

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করেছে। সকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের ৬টি গান থেকে এই বিশেষ তোপধ্বনি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল অর্পণ করে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বাজে করুণ সুর। শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সেনা কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে সর্বোচ্চসংখ্যক জাতীয় পতাকা নিয়ে প্যারাশুটিং প্রদর্শন করে একটি বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সকাল ১১টা থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শন করবে এবং একটি বিশেষ বিজয় দিবস ব্যান্ড শো আয়োজন করা হবে। এছাড়া ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার দেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতাকাবাহী স্কাইডাইভ প্রদর্শন করবে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পতাকা-প্যারাশুটিং প্রদর্শনী হিসেবে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করবে।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবসে রাহুল গান্ধীর পোস্টে বাদ পড়ল বাংলাদেশের
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে তার বক্তব্যেও বাংলাদেশের নাম বা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উল্লেখ নেই। এর আগে একই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন, সেখানেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত ছিল।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’ কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’ একই দিন সকালে এক্সে দেওয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’  তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’ এর আগে ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে মোদি একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময়ও তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের ভূমিকার কোনো উল্লেখ ছিল না। ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তী প্রায় ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালান। ৩ ডিসেম্বর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় স্বাক্ষরিত ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার দলিলে পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ও পুলিশ বাহিনীর বহু সদস্যও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নয় মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। তুলনায় কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা ছিল সীমিত।   বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের শীর্ষ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের ভূমিকাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।

ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় হামলায় অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া সেই ‘নায়ক’ কে?
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে সংঘটিত ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার যে ভিডিও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে দেখা যাওয়া সাহসী পথচারীর পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। তার নাম আহমেদ আল আহমেদ, বয়স ৪৩ বছর। এই দুঃসাহসিকতার জন্য তিনি ইতোমধ্যে ‘নায়ক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার সময় আহমেদ সরাসরি হামলাকারীর দিকে ছুটে যান এবং তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। পরে সেই অস্ত্র হামলাকারীর দিকেই তাক করে তাকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি অস্ত্র নিচু করে এক হাত উঁচু করেন, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুঝতে পারে তিনি হামলাকারী নন। দুই সন্তানের জনক এবং পেশায় ফলের দোকানের মালিক আহমেদ বর্তমানে সিডনির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পরিবার জানিয়েছে, হাতে ও বাহুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাকে চার থেকে পাঁচবার গুলি করা হয়েছে। রোববার রাতে বন্ডাই বিচে এ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। হামলার সময় সেখানে হানুকাহ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এটিকে ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আহমেদের এক চাচাতো ভাই জানান, তিনি শতভাগ একজন নায়ক। তার হাতে ও বাহুতে দুটি গুলির আঘাত রয়েছে এবং বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। পরিবার আশা প্রকাশ করেছে, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আহমেদের সাহসিকতায় গর্বিত তার বাবা মোহামেদ ফাতাহ ও মা মালাকেহ হাসান। তারা বলেন, মানুষজনের ওপর হামলা হতে দেখে তাদের ছেলে এক মুহূর্তও দ্বিধা করেননি। তার কাছে কোনো জাতিগত বা ধর্মীয় বিভেদ নেই—অস্ট্রেলিয়ায় সবাই সমান নাগরিক বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। জানা গেছে, আহমেদ ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তার পরিবার সম্প্রতি সিরিয়া থেকে সিডনিতে এসে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার ইদলিবে বড় হয়েছেন। তার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, আহমেদের এই সাহসিকতা শুধু তার পরিবার নয়, পুরো গ্রাম ও সম্প্রদায়কে গর্বিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত দুই হামলাকারী ছিলেন বাবা ও ছেলে, যাদের বয়স যথাক্রমে ৫০ ও ২৪ বছর। ৫০ বছর বয়সি হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আর ২৪ বছর বয়সি হামলাকারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, হামলাকারীরা একটি ছোট পদচারী সেতুর কাছ থেকে গুলি চালাচ্ছিল। আহমেদ প্রথমে একটি পার্ক করা গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নেন, এরপর হঠাৎ বেরিয়ে এসে এক হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার পর তাকে মাটিতে ফেলে দেন। পরে ওই হামলাকারী আবার সেতুর দিকে পালিয়ে গিয়ে আরেকটি অস্ত্র তুলে নেয় এবং গুলি চালাতে থাকে। আহমেদের এই সাহসী ভূমিকার কারণে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলেও তার সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে। সবাই একবাক্যে তাকে একজন সত্যিকারের নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে পরাজয়ের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র - পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে—এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেন্টাগনের এক অতি গোপন মূল্যায়নে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণভিত্তিক। সাম্প্রতিক এক যুদ্ধ মহড়ায় দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কও অচল করে দিতে সক্ষম। এই অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ নথির নাম ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’। পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিপরীতে, চীন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সুবিধা অর্জন করেছে। নথিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন মার্কিন সামরিক সম্পদ অকার্যকর করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর আগেই চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম বিচক্ষণতার’ সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে এই নথির সারসংক্ষেপ যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক কর্মকর্তা জানান, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সামরিক কৌশলের বিপরীতে একাধিক বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পরিবর্তন মানতে রাজি নয়। যদিও চীন এখনো আক্রমণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৭ সালের আশপাশে তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে, যা চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দশকে চীন বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, যা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরীসহ উন্নত সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যুদ্ধ মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রণতরীগুলোর অনেকটাই চীনা হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরীটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও চীনা হামলার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলা হয়েছে—আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বড় যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের শিল্প সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আর আগের মতো নেই। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বেইজিং ও মস্কোর তুলনায় ওয়াশিংটন দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয়বহুল ও সীমিতসংখ্যক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা। বর্তমানে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সব বিভাগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে, যদিও উভয় দেশের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রায় সমান। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী