সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
নতুন ঝামেলায় শিল্পা শেঠি

মাথার ওপর ঝুলছে ৬০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগ। তার মধ্যেই ফের বিপদের ঘণ্টা বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তার স্বামী রাজ কুন্দ্রার জন্য। তারকাদম্পতির নামে ইতোমধ্যে জারি হয়েছে ‘লুক আউট সার্কুলার’। একের পর এক আইনি জটিলতায় এমনিতেই চাপে তারা, তার ওপর নতুন করে ধাক্কা দিল মুম্বাইয়ের পর বেঙ্গালুরুতেও তাদের মালিকানাধীন জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ‘ব্যাস্টিয়ন পাব’-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের ঘটনা।   ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দিনকয়েক আগেই ‘ব্যাস্টিয়ন পাবে’ বিল মেটানো নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন ‘বিগ বস্’ জয়ী সত্য নাইড়ু। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নতুন করে অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরু শাখাকে ঘিরে। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করেও রেস্তোরাঁ খোলা রাখার অভিযোগে শুরু হয় জটিলতা। কর্ণাটক রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পাব ও রেস্তোরাঁগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সেই নিয়ম অমান্য করেই ১১ ডিসেম্বর গভীর রাত পর্যন্ত অতিথিদের পার্টির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত খোলা ছিল রেস্তোরাঁটি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কর্ণাটক পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। বেঙ্গালুরুর কিউবান পার্ক থানায় ‘ব্যাস্টিয়ন’ রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি শিল্পা শেঠি।

২৯ মিনিট আগে
মাথায় গুলি লাগার পরও যেভাবে মৃত্যুকে হারিয়েছিলেন মালালা

তপশিল ঘোষণার পরদিনই এক ভয়াবহ হামলার শিকার হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় যাত্রাকালে একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন।   ওসমান হাদির ওপর এই প্রাণঘাতী হামলা অনেকের মনে করিয়ে দিয়েছে প্রায় ১৩ বছর আগের পাকিস্তানের এক মর্মান্তিক ঘটনাকে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর একই ধরনের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছিলেন নারী শিক্ষার অধিকারের প্রতীক মালালা ইউসুফজাই। ঘটনাটি ঘটেছিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায়। সেদিন ১৫ বছর বয়সী মালালা বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তালেবানের এক বন্দুকধারী বাসে উঠে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি তার মাথার এক পাশ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আঘাত ছিল এতটাই গুরুতর যে, প্রথম কয়েক ঘণ্টায় চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই দেখেননি। মালালাকে দ্রুত পেশোয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করে তার অবস্থাকে চরম অস্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেন। চার ঘণ্টার মধ্যেই মস্তিষ্কে ফোলা বাড়তে থাকায় জীবনঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়েই জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে মালালার পরিবার অস্ত্রোপচারে সম্মতি না দিলেও কর্নেল জুনায়েদ খান তাদের বোঝান—অস্ত্রোপচার না হলে মালালার মৃত্যু হতে পারে কিংবা সে কথা বলার ক্ষমতাও হারাতে পারে। অবশেষে মধ্যরাতের পর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এ সময় খুলির একটি অংশ সাময়িকভাবে সরিয়ে মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে জীবন রক্ষা পেলেও সংক্রমণ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জটিলতার আশঙ্কায় তাকে মেডিক্যালি ইন্ডিউসড কোমায় রাখা হয়। এই সংকটময় সময়ে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালালাকে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানকার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, মালালার বেঁচে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাজ করেছে—গুলিটি মস্তিষ্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশে সরাসরি আঘাত করেনি, দ্রুত চিকিৎসা ও সময়মতো অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেছে। দীর্ঘ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি হাঁটা, লেখা ও পড়ার সক্ষমতা ফিরে পান। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মালালা। শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তার অদম্য মানসিক শক্তি ও বাঁচার প্রবল ইচ্ছাশক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি; বরং আরও দৃঢ় ও সাহসী করে তুলেছে। এরপর তিনি বিশ্বজুড়ে নারী শিক্ষার অধিকার ও সচেতনতার পক্ষে সোচ্চার আন্দোলন শুরু করেন।   পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর মর্যাদা অর্জন করেন। মালালা নিজেই বলেছেন, এই হামলাই তাকে ভেঙে দেয়নি—বরং আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

৪৪ মিনিট আগে
আখাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।   এর আগে, গত সোমবার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল ভূইয়া (৪৫) ও রাব্বী খান (২৬), নয়াদিলের নান্নু মিয়া (৫১), দূর্গাপুর মধ্যপাড়ার বাহাউদ্দিন বাবুল (৫২) এবং ধর্মনগর গ্রামের মামুন চৌধুরী (৪০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।    আখাউড়া থানার ওসি মো. জাবেদ উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

১ ঘন্টা আগে
বলিউডের স্পাই সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ কেন ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিল

বলিউডের নতুন স্পাই থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’ ভারত ও পাকিস্তানে একযোগে প্রশংসা ও তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবিটির কাহিনী, উপস্থাপন ও রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে দুই দেশেই প্রশ্ন উঠেছে।   গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ৩ ঘণ্টা ৩২ মিনিটের এই সিনেমায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী এক গুপ্তচর জগতের গল্প দেখানো হয়েছে। এতে রয়েছে সহিংসতা, গ্যাংস্টার ও গোয়েন্দা সংস্থার দ্বন্দ্ব।   ছবিটি মুক্তির সময়টাও আলোচনায় এসেছে। কারণ, চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে এক পর্যটন কেন্দ্রে হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।   ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তান চারটি যুদ্ধে জড়িয়েছে। এরমধ্যে তিনটি যুদ্ধই হয়েছে 'কাশ্মির'কে ঘিরে।   সিনেমার গল্প কী? আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার 'র' এর এক গোপন অভিযানের গল্প তুলে ধরে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন রণবীর সিং। তিনি একজন ভারতীয় স্পাই। তাকে পাকিস্তানের করাচিতে ঢুকে গ্যাং নেটওয়ার্ক ভাঙার দায়িত্ব দেওয়া হয়।   সিনেমাতে রণবীর সিংয়ের বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা গেছে সঞ্জয় দত্তকে। তাকে পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের 'প্রতীকী চরিত্র' হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও গ্যাংস্টারের ভূমিকায় আছেন অক্ষয় খান্না; সিনেমায় তার চরিত্রের নাম 'রহমান ডাকাত'। আর দিল্লিতে বসে কৌশল নির্ধারণ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর মাধবন।   গল্পের গঠন ক্লাসিক ক্যাট-অ্যান্ড-মাউস ধাঁচের। একদিকে মাঠ পর্যায়ের অপারেশন। অন্যদিকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল।   পাকিস্তানে কেন বিতর্ক? দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বৈরিতার পরও পাকিস্তানে বলিউড সিনেমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে পাকিস্তানকে চূড়ান্ত শত্রু হিসেবে দেখানো বলিউড স্পাই ছবিতে নতুন নয়।   এই ছবিতে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে করাচি শহর ও বিশেষ করে লিয়ারি এলাকার উপস্থাপন নিয়ে। লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের সমাজবিজ্ঞানী নিদা কিরমানি বলেন, সিনেমাতে দেখানো 'করাচি' শহর পুরোপুরি কল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি ।   তার ভাষায়, করাচি কখনই এমন ছিল না। শহরের অবকাঠামো, সংস্কৃতি ও ভাষা সবকিছুই ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। সহিংসতাকে শহরের একমাত্র পরিচয় বানানো হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।   এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) এক নেতা করাচির আদালতে মামলা করেছেন। অভিযোগ, সিনেমাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পিপিপির নেতাদের 'সন্ত্রাসীদের মদদদাতা' হিসেবে দেখানো হয়েছে।   সমালোচকরা বলছেন, লিয়ারির স্থানীয় গ্যাংগুলোকে ভারত-পাকিস্তান ভূরাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে দেখানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বাস্তবে এসব গ্যাং কেবল স্থানীয় পর্যায়েই সক্রিয় ছিল।   মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র সমালোচক ময়াঙ্ক শেখর বলেন, ছবিটির নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা করাচিতে কখনোই যাননি। তাই শহরটিকে ধ্বংসস্তূপের মতো দেখানো হয়েছে। তিনি একে হলিউডের সেপিয়া টোনে 'তৃতীয় বিশ্বের শহর' দেখানোর প্রবণতার সঙ্গে তুলনা করেন।   ভারতে প্রতিক্রিয়া কেমন? ভারতে ‘ধুরন্ধর’ বাণিজ্যিকভাবে বড় সাফল্য পেয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও সিনেমাটি জনপ্রিয়।   তবে সমালোচনা এখানেও আছে। শহীদ ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর মোহিত শর্মার পরিবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া তার জীবন কাহিনী ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাতারা অবশ্য বলছেন, সিনেমাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।   তবুও ছবিতে বাস্তব হামলার অডিও ক্লিপ ও সংবাদ ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বাস্তব ও কল্পনার সীমারেখা ঝাপসা হয়েছে বলে মত সমালোচকদের।   বলিউডে কি নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে? সমালোচকদের মতে, অতিরঞ্জিত পুরুষতান্ত্রিক নায়কভিত্তিক গল্প বলিউডে নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মূলধারার ছবিতে সংখ্যালঘুদের নেতিবাচকভাবে দেখানোর প্রবণতা বেড়েছে।   নিদা কিরমানির মতে, এতে মুসলমানদের প্রায়শই 'সন্ত্রাসী' হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এতে ভারতের ভেতর মুসলমানরা আরও প্রান্তিক হয়ে পড়ছেন।   এর আগে ‘আর্টিকেল ৩৭০’ ও ‘কেরালা স্টোরি’ নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেসব ছবির প্রশংসা করলেও সমালোচকরা সেগুলোকে 'প্রচারমূলক' বলেছিলেন।   ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে সমালোচনা করায় কিছু সমালোচক অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ভারতের ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড এই সংগঠিত আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।   সব মিলিয়ে, ‘ধুরন্ধর’ শুধু একটি স্পাই থ্রিলার নয়। এটি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, ইতিহাস ও রাজনীতিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

১ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
যোগ্য লোককে ভোট দিন, জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।   যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বললেন, যোগ্য লোককে ভোট দিন, জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার-আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার-আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ।   মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।   প্রদান উপদেষ্টা বলেছেন, মনে রাখবেন, ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষা করার সমান দায়িত্ব। ভোট রক্ষা করুন। দেশকে রক্ষা করুন। ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির চাকা। এই চাকা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।   ত্রয়োদশ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এই নির্বাচন হোক সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।   প্রধান উপদেষ্টার মতে, ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখলেই হবে না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান।   তিনি এ সময় স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই— দেশের প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায়। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আরও কোনও পদক্ষেপ প্রয়োজন— তা কমিশন অবশ্যই গ্রহণ করবে।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত।
হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।   সেখানে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর ওসমান হাদির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর হাদির অবস্থার কিছুটা অবনতি হলেও এখন স্থিতিশীল রয়েছে। ফেসবুক পোস্টে সর্বশেষ আপডেট হিসেবে বলা হয়েছে, ‘আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সিঙ্গাপুর থেকে তার (হাদির) ভাইয়ের তরফ থেকে জানা যায়, শরিফ ওসমান হাদির প্রাইমারি টেস্টের পর অবস্থার কিছুটা অবনতি দেখা গেলেও বর্তমানে তা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। আরেকটি অপারেশনের প্রয়োজন তবে সেটি করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।’ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অবতরণের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিরাপদে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।  গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

ছবি : সংগৃহীত
মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধায় সিক্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

রক্তক্ষয়ী নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সূর্যসন্তানদের স্মরণে মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। যাদের আত্মত্যাগে বাংলার বুকে জন্ম নিয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র—সেই বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই মানুষের স্রোত এসে মিলেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষের শ্রদ্ধা আর ফুলের ভালোবাসায় বীর শহীদদের বেদী ভরে উঠেছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ স্লোগান ও দেশপ্রেমের গান। তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর ও আবেগঘন। কুমিল্লার গৌরিপুর থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী কায়ছার বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে বইয়ে পড়েছি। আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।’ গাজীপুর থেকে আগত শরিফ ইসলাম বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরই জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি। এবারও ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করেছি।’ এ সময় জিনজিরা থেকে আসা তরুণ শহিদুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই দিনটি আমাদের গৌরবের দিন। দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি গর্বিত।’ দিনভর মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এর আগে, ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।


ছবি : সংগৃহীত
ভয়-সন্ত্রাসে গণতন্ত্র থামবে না : প্রধান উপদেষ্টা

ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে কিংবা রক্ত ঝরিয়ে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না— এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— পরাজিত শক্তি ও ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের সব অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি— জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি সংঘটিত হামলাটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়; এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি জানান, শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তিনি তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহতালার দরবারে আন্তরিক দোয়া চাওয়ার আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন— কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   ভাষণের শেষাংশে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীর প্রতি সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার ও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টরা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইলেও জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করবে। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কখনো ফিরে আসতে পারবে না।

রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবসে রাহুল গান্ধীর পোস্টে বাদ পড়ল বাংলাদেশের

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে তার বক্তব্যেও বাংলাদেশের নাম বা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উল্লেখ নেই। এর আগে একই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন, সেখানেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত ছিল।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’ কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’ একই দিন সকালে এক্সে দেওয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’  তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’ এর আগে ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে মোদি একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময়ও তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে বাংলাদেশের ভূমিকার কোনো উল্লেখ ছিল না। ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তী প্রায় ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালান। ৩ ডিসেম্বর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় স্বাক্ষরিত ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার দলিলে পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ও পুলিশ বাহিনীর বহু সদস্যও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নয় মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারান। তুলনায় কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা ছিল সীমিত।   বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের শীর্ষ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের ভূমিকাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।

ছবি : সংগৃহীত
মাথায় গুলি লাগার পরও যেভাবে মৃত্যুকে হারিয়েছিলেন মালালা

তপশিল ঘোষণার পরদিনই এক ভয়াবহ হামলার শিকার হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় যাত্রাকালে একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। গুলিটি সরাসরি তার মাথায় আঘাত হানে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন।   ওসমান হাদির ওপর এই প্রাণঘাতী হামলা অনেকের মনে করিয়ে দিয়েছে প্রায় ১৩ বছর আগের পাকিস্তানের এক মর্মান্তিক ঘটনাকে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর একই ধরনের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছিলেন নারী শিক্ষার অধিকারের প্রতীক মালালা ইউসুফজাই। ঘটনাটি ঘটেছিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায়। সেদিন ১৫ বছর বয়সী মালালা বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তালেবানের এক বন্দুকধারী বাসে উঠে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি তার মাথার এক পাশ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আঘাত ছিল এতটাই গুরুতর যে, প্রথম কয়েক ঘণ্টায় চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই দেখেননি। মালালাকে দ্রুত পেশোয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করে তার অবস্থাকে চরম অস্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেন। চার ঘণ্টার মধ্যেই মস্তিষ্কে ফোলা বাড়তে থাকায় জীবনঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বাধ্য হয়েই জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে মালালার পরিবার অস্ত্রোপচারে সম্মতি না দিলেও কর্নেল জুনায়েদ খান তাদের বোঝান—অস্ত্রোপচার না হলে মালালার মৃত্যু হতে পারে কিংবা সে কথা বলার ক্ষমতাও হারাতে পারে। অবশেষে মধ্যরাতের পর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এ সময় খুলির একটি অংশ সাময়িকভাবে সরিয়ে মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে জীবন রক্ষা পেলেও সংক্রমণ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জটিলতার আশঙ্কায় তাকে মেডিক্যালি ইন্ডিউসড কোমায় রাখা হয়। এই সংকটময় সময়ে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালালাকে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানকার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, মালালার বেঁচে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাজ করেছে—গুলিটি মস্তিষ্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশে সরাসরি আঘাত করেনি, দ্রুত চিকিৎসা ও সময়মতো অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেছে। দীর্ঘ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি হাঁটা, লেখা ও পড়ার সক্ষমতা ফিরে পান। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মালালা। শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তার অদম্য মানসিক শক্তি ও বাঁচার প্রবল ইচ্ছাশক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি; বরং আরও দৃঢ় ও সাহসী করে তুলেছে। এরপর তিনি বিশ্বজুড়ে নারী শিক্ষার অধিকার ও সচেতনতার পক্ষে সোচ্চার আন্দোলন শুরু করেন।   পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর মর্যাদা অর্জন করেন। মালালা নিজেই বলেছেন, এই হামলাই তাকে ভেঙে দেয়নি—বরং আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

ছবি: সংগৃহীত
আখাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।   এর আগে, গত সোমবার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল ভূইয়া (৪৫) ও রাব্বী খান (২৬), নয়াদিলের নান্নু মিয়া (৫১), দূর্গাপুর মধ্যপাড়ার বাহাউদ্দিন বাবুল (৫২) এবং ধর্মনগর গ্রামের মামুন চৌধুরী (৪০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।    আখাউড়া থানার ওসি মো. জাবেদ উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
মেক্সিকোয় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৬
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

মেক্সিকোয় ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশটির আকাপুলকো থেকে রওয়ানা দিয়েছিলো বিমানটি। গন্তব্য ছিল মধ্যাঞ্চলীয় টলুকা। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।    মেক্সিকো স্টেট সিভিল প্রোটেকশন কোঅর্ডিনেটর আদ্রিয়ান হার্নান্দেজ জানান, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সান মাতেও আতেনকো অঞ্চলে, যা টলুকা বিমানবন্দর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে।   বিমানটি আকাপুলকো থেকে উড্ডয়ন করেছিল। মোট আটজন যাত্রী এবং দুইজন ক্রু অবস্থান করছিলেন বিমানটিতে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি একটি ফুটবল মাঠে জরুরি অবতরণ চেষ্টা করছিল, কিন্তু পাশের একটি কারখানার ছাদে আঘাত লাগায় আগুন ধরে যায় বিমানটিতে।    স্থানীয় মেয়র আনা মুনিজ জানান, দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ১৩০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সাধারণ নাগরিকদের ঘটনাস্থলের আশপাশের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

২০২৪ সালের ‘প্যানোরামা’ প্রামাণ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির বক্তব্য বিকৃত করার অভিযোগে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।    মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ট্রাম্পের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির একটি ভাষণ। ওই ভাষণে তিনি ওয়াশিংটনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'আমরা ক্যাপিটলের দিকে হেঁটে যাব এবং আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান-উইমেনদের উৎসাহ দেব।' প্রায় ৫০ মিনিট পর একই ভাষণে তিনি আরও বলেন, 'এবং আমরা লড়াই করবো। আমরা প্রাণপণ লড়াই করবো।'   তবে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে এই দুটি আলাদা বক্তব্য একত্রে জুড়ে প্রচার করা হয়। সেখানে দেখানো হয়, ট্রাম্প বলছেন, 'আমরা ক্যাপিটলের দিকে হেঁটে যাব এবং আমরা লড়াই করবো। আমরা প্রাণপণ লড়াই করবো।'   ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা নথি অনুযায়ী, ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমসংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।   ট্রাম্পের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, বিবিসি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও প্রতারণামূলক উপায়ে’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ কাটাছেঁড়া করে মানহানি করেছে।   ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, বিবিসি তার ৬ জানুয়ারি ২০২১-এর ভাষণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করে জনগণের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'তারা (বিবিসি) আমার কথাগুলো চুরি করেছে এবং পরিবর্তন করেছে।'   এরইমধ্যে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। স্বীকার করেছে, এভাবে সম্পাদনার ফলে একটি 'ভুল ধারণা' তৈরি হয়েছিল। এতে এমন মনে হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি 'সহিংসতা বা মারামারির আহ্বান জানিয়েছিলেন'। তবে, ক্ষতিপূরণের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে সংবাদমাধ্যমটি। দাবি, মানহানির কোনো ভিত্তি নেই।   গত মাসে সমালোচনার জেরে ভুল স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস। এতেও ক্ষোভ কমেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বিবিসি'কে বামপন্থি প্রোপাগান্ডা প্রতিষ্ঠান বলে আখ্যা দেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত
বেতন নিয়ে বিরোধের জেরে ৫ দিনের ধর্মঘটে ব্রিটেনের চিকিৎসকরা
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

বেতন-ভাতা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে পাঁচ দিনের ধর্মঘটে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা।  ব্রিটিশ সরকারের দেয়া সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এই ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা।    আগামীকাল বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হবে। আগামী সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট।    ব্রিটিশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন-এর অনলাইন জরিপে ৮৩ শতাংশ ডাক্তার সরকারী প্রস্তাব বাতিল করেছেন। এসোসিয়েশনের রেসিডেন্ট ডাক্টরস কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাক ফ্লেচার বলেছেন, 'দশ হাজারেরও বেশি ফ্রন্টলাইন ডাক্তার একসাথে ‘না’ বলেছেন। কাজের পরিবেশ নিয়ে সরকারের সর্বশেষ প্রস্তাবটি চিকিৎসকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, সমস্যার সমাধানে ইউনিয়ন এখনো আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানান ফ্লেচার।   তবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। বলেন, 'ধর্মঘটের কোনো প্রয়োজন নেই। রোগীদের নিরাপত্তার প্রতি বিএমএর চরম অবহেলারই প্রমাণ এই ধর্মঘট।' এই কর্মসূচিকে 'স্বার্থপর, দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।   এদিকে, সিজোনাল ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বিএমএকে ধর্মঘটের সময় পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলো সরকার।    ব্রিটেনের সরকারি তথ্য বলছে, ডিসেম্বরের শুরুতে ইংল্যান্ডে ফ্লুজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তির হার ৫০%'এর বেশি বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৬শ' ৬০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন; যা চলতি বছরের এই সময়ের জন্য রেকর্ড।    শুধুমাত্র ব্রিটেন-ই নয়; পুরো ইউরোপজুড়েই এবার ফ্লুর তীব্র প্রকোপ দেখা যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।   বিএমএ জানিয়েছে, তাদের ৫০ হাজারেরও বেশি সদস্যের মধ্যে ৬৫% ভোটে অংশ নেন। এরমধ্যে মোট ৮৩% সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত
মরক্কোতে আকস্মিক বন্যায় ৩৭ জনের মৃত্যু
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলীয় প্রদেশ সাফিতে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বর্ষণের ফলে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।     সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১৪ জন, যারমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় অঞ্চলটিতে। আর তাতেই বন্যায় ডুবে যায় অনেকের বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পানিতে ভেসে যায় বেশকয়েকটি যানবাহন।    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কাদামাটির স্রোতে গাড়ি ভেসে যাচ্ছে। রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সাফি শহরের পুরোনো এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় অন্তত ৭০টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।   বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বন্দরনগরী সাফির সঙ্গে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাফি-হ্রারা সংযোগকারী প্রাদেশিক সড়ক। বন্যার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস স্থগিত করেছে স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর পানি নামতে শুরু করলেও, মানুষ এখনো কাদামাটির ভেতর থেকে নিজেদের জিনিসপত্র উদ্ধারে ব্যস্ত। এদিকে আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবারও দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।   দীর্ঘ ৭ বছরের খরার পর মরক্কোতে এখন ভারী বৃষ্টি ও এটলাস পর্বতমালায় তুষারপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ২০২৪ সাল ছিল মরক্কোর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী