খবর৭১:মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মড়রা গ্রামের বেতশিল্পীদের তৈরী জিনিসপত্রের চাহিদা বর্তমানে নেই বললেই চরে। এসব তৈরীকৃত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারায় তারা দীর্ঘদিন ধরে অর্ধাহারে-আহারে রয়েছেন। এখন তারা কোন উপায়ন্ত খুঁজে না পেয়ে পেটের তাগিদে নিজ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। জানা যায়, শাস্তোগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, দেউন্দি সড়ক ও লালচাঁন্দ চা বাগানের মধ্যবর্তী স্থানে মড়রা গ্রামটি অবস্থিত । ওই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা মান্দাতার আমল থেকে বেত দিয়ে উড়া, খাছা, চাটাই, কুলা, ডরি, ফারন, গোলাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরী করে আসছেন। তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, প্রাচীন আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বেত দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরী করতেন। প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে তারা বাকী তৈরী জিনিসগুলো শাহজীবাজার, সুতাং বাজার, ডাইভার বাজার, দাউদনগর বাজার, পুরান বাজার, হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। তাদের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওই পরিবারগুলো বাঁেশের বেত দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরী করে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন। আগের তুলনায় জিনিসগুলো বিক্রি থেকে তেমন একটা লাভ হয় না। তারপরও পূর্ব পুরুষের পেশা নিয়োজিত থেকে ওই পরিবারের লোকজন সৎপথে জীবিকা নির্বা করে আসছেন। তারা জানায় আধুনিকতার ছোয়ায় বেতের তৈরী জিনিসপত্রগুলো কদর কমে গেছে বর্তমানে। বাঁশের দামও বেড়ে গেছে অনেক । সে তুলনায় তৈরী জিনিসপত্র বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। কেউ এগিয়ে আসছেনা বেতশিল্পটি রক্ষায়। অভাব অনটন থেকে মুক্তি পেতে পরিবারের লোকেরা দিন-রাতক শ্রম দিয়ে বেতের জিনিসপত্র তৈরী করছেন। কিন্তু এরপরও তাদের পেটে দুমুথো ভাত জুটছে না ঠিকমত। অভাব আর অনটনে দিন যাচ্ছে তাদের পরিবারের। এতে অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় প্রবেশ করেছেন। দিন দিন বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে বেতশিল্প।
খবর৭১/জি: