ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ভাষণে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত এই তরুণ নেতা ছিলেন প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তার জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু প্রতিবাদই নয়, বরং দেশপ্রেম, ধৈর্য ও অটল দৃঢ়তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। দেশবাসীর প্রতি শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সকল নাগরিকের প্রতি তার আন্তরিক অনুরোধ— সবাই যেন ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সরাসরি শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশ বর্তমানে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। শহীদ হাদি ছিলেন এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী ধাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখার স্বপ্ন ছিল তার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই স্বপ্ন আজ অপূর্ণ রয়ে গেছে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব এখন সমগ্র জাতির কাঁধে ন্যস্ত। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে সবাইকে ধৈর্য, সংযম, সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়। ভাষণের শেষাংশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই শোকের মুহূর্তে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে যেকোনো ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল থাকাই হবে শহীদ হাদির প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা - ৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগামী ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন। ওইদিন দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে বলা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এবং ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ফাতিমা তাসনিম। এদিকে রাতেই নিজেদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যুর তথ্য জানায় ইনকিলাব মঞ্চ। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’ একই তথ্য জানানো হয়েছে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজেও। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন মহল তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানাতে চায় বিএনপি। এজন্য চলছে অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে বৈঠক হয়েছে। মূলত তিনি বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে কীভাবে আসবেন সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’ এছাড়া পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন অভ্যর্থনার জায়গাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’ এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশ করতে গেলে যে উপস্থিতি হবে, সেটা হবে ঐতিহাসিক। সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যরা আপ্রাণ কাজ করছেন।’ সূত্রে জানা যায়, লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার মাটিতে পা রাখতে পারেন ১৭ বছর নির্বাসিত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এদিকে, তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোনো কারণে পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই মায়ের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠবেন তিনি। দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অফিস করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বরের রোডের কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সংস্কার কাজও প্রায় শেষ।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ভাষণে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত এই তরুণ নেতা ছিলেন প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তার জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু প্রতিবাদই নয়, বরং দেশপ্রেম, ধৈর্য ও অটল দৃঢ়তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। দেশবাসীর প্রতি শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সকল নাগরিকের প্রতি তার আন্তরিক অনুরোধ— সবাই যেন ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সরাসরি শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশ বর্তমানে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। শহীদ হাদি ছিলেন এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী ধাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখার স্বপ্ন ছিল তার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই স্বপ্ন আজ অপূর্ণ রয়ে গেছে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব এখন সমগ্র জাতির কাঁধে ন্যস্ত। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে সবাইকে ধৈর্য, সংযম, সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়। ভাষণের শেষাংশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই শোকের মুহূর্তে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে যেকোনো ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল থাকাই হবে শহীদ হাদির প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।
ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা একের পর এক জুলাই গণ অভ্যুত্থানকারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং তার দলের অনুসারীরা যদি জামিন পায় এটা জামিনের কোনো নিয়মনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের শেষ কর্মদিবস ছিল। আমি উনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলাম। জাতির একটা অত্যন্ত সন্ধিক্ষণে উনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। উনি আমাদের যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান আছে, সেটার যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণ করার জন্য বিচার বিভাগীয় যে সংস্কারগুলো ছিল সেই সংস্কারগুলোর ক্ষেত্রে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন।’ আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেই আইনগুলোই করেছি সবকিছুর পেছনে উনার সমর্থন ছিল। আমাদের বিভিন্ন সময় যে বিভিন্ন কনসার্ন ছিল, তা ব্যক্ত করেছি। একটা বিষয় আপনাদের বলে নেই- এখন প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। যেমন ধরেন- হাইকোর্টের কোন কোন বেঞ্চ অস্বাভাবিক জামিন দিয়ে দিচ্ছে। এটা নিয়ে আমি আমার কনসার্নের কথা প্রধান বিচারপতিকে এর আগে দেখা করে জানিয়েছিলাম। আজকেও জানিয়েছি। আমি আপনাদের প্রকাশ্যে বলে গেলাম এর আগে যতবার দেখা হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, উনি কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, যে বেঞ্চগুলো থেকে চার ঘণ্টায় আটশ’ জামিন দেওয়া হয়েছিল। তিনি (প্রধান বিচারপতি) তাদেরকে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন। উনি উনার মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারপর এই জামিনের প্রকোপ কিছুটা কমেছে, কিন্তু তা এখন অব্যাহত আছে। যে অস্বাভাবিক জামিন- যেখানে একজন ভয়ঙ্কর ব্যক্তি যিনি জামিন পেয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যারা নায়ক আছে তাদের ওপর হামলা করতে পারেন। এই ধরনের জামিন যখন হয় তখন আমরা প্রচন্ড সংকিত আতঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করি। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের হাইকোর্টের ওপর কোনরকম কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। নিয়ন্ত্রণ থাকার কথাও না। হাইকোর্টের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। উনার কাছে আগেও এ ব্যাপার উৎকণ্ঠা জানিয়েছিলাম। আজকে আবারও জানিয়েছি এবং আমি আশা করি ভবিষ্যতে নতুন যে প্রধান বিচারপতি আসবে তার সঙ্গে আমার প্রথম যখন মিটিং হবে সেখানে আমি উনাকে বলব যে, আজকে যে ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট নেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক আমাদের জুলাই গণ অভ্যুত্থানকারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং তার দলের অনুসারীরা যদি জামিন পায় এটা জামিনের কোন নিয়মনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। কারণ আমাকে পটেনশিয়ালি খুন করতে পারে এমন একজনকে যদি কোন বিচারক জামিন দেয় তাহলে এই খুনের দায় দায়িত্ব উনার উপর পড়ে কিনা সেটা ওনাদেরকে বিবেচনা করা উচিত। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন একটা দিকে গিয়েছে যে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য আমাদের যেকোন এক্সটেন্টে যাকে যা বলার এটা আবার বলতে হবে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আমাদের যে নতুন প্রধান বিচারপতি হবেন ওনার সঙ্গে প্রথম মিটিংয়ে আমি এই ব্যাপারে বলব যে সমস্ত ক্ষেত্রে আইনগতভাবে জামিন প্রাপ্য অধিকার সেটা জামিন দিবে। বিচারকরা অবশ্যই দিবে। কিন্তু যেই অপরাধী বা যেই ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়ে আপনাকে, আমাকে খুন করতে পারে বলে আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সে জামিন পেতে পারে না। আমরা এই ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কোয়ালিফাইড সবচেয়ে সৎ একজন প্রধান বিচারপতিকে আমরা পেয়েছিলাম। এটাও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটা অর্জন। আগামীতেও আমরা বিচার বিভাগে এ রকম দক্ষ অভিভাবকের নেতৃত্বে বিচার বিভাগে যে সমস্ত অনিয়ম আছে বা যে সব ব্যাপারে প্রশ্ন আছে সেগুলো দূর করার ব্যাপারে কাজ করে যাব।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৪ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ও নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরাও ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৪ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ জন পুরুষ ভোটার ও ২৯ হাজার ৬৩৭ জন নারী ভোটার রয়েছেন। প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২২ হাজার ৪০১ জন। এছাড়া কাতারে ৪৪ হাজার ৫৪৩ জন, ওমানে ৩২ হাজার ৭৪১ জন, মালয়েশিয়ায় ৩১ হাজার ৪৯৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ হাজার ২৮৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ হাজার ৩২ জন, যুক্তরাজ্যে ১৭ হাজার ৭৮ জন, সিঙ্গাপুরে ১৬ হাজার ৮৫৭ জন, কুয়েতে ১৬ হাজার ১০৯ জন, ইতালিতে ১২ হাজার ৯১৫ জন ও কানাডায় ১০ হাজার ৮২১ জন নিবন্ধন করেছেন। অপরদিকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’অ্যাপের মাধ্যমে আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেশে অবস্থানরত ৫২ হাজার ৯৯৪ জন বাংলাদেশি ভোটার ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট, এই ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন। জেলা অনুযায়ী নিবন্ধন: পোস্টাল ভোট বিডি’অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ কুমিল্লা জেলায় ৫০ হাজার ৯৩৬ জন। এছাড়া ঢাকা জেলায় ৪৩ হাজার ৮৮১জন, চট্টগ্রামে ৪২ হাজার ৬৬ জন, নোয়াখালীতে ২৯ হাজার ৫২৩ জন ও সিলেটে ২১ হাজার ৫৭৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। নির্বাচনী আসন অনুযায়ী নিবন্ধন: অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফেনী-৩ আসনে ৭ হাজার ৯১৭ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৭ হাজার ৩৩৩ জন, নোয়াখালী-১ আসনে ৭ হাজার ১৩১ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৬ হাজার ৮৩০ জন ও নোয়াখালী-৩ আসনে ৬ হাজার ৫৭৬ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের বিষয়ে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান বাসসকে বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের নিবন্ধন এখন যেভাবে চলছে, আমরা আশাবাদী পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সংখ্যা কমপক্ষে ৫ লাখ হবে। এছাড়া দেশের মধ্যে ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট (আইসিপিভি) অন্তত ১০ লাখ হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, সাইবার চ্যালেঞ্জসহ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, যতদ্রুত সম্ভব প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পৌছানোর কার্যক্রম শুরু করব। তিনি আরো জানান, ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিংয়ে খরচ পড়বে মাত্র ২২ টাকা। যেখানে প্রবাসীদের জন্য এই খরচ হবে গড়ে ৭০০ টাকা। নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিতদের নিবন্ধন ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে 'পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক বার্তায় বলা হয়েছে, 'ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বরে মধ্যে পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে মাধ্যমে নিবন্ধন করুন।' আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের নিবন্ধন ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর: পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ইসি বার্তায় বলা হয়েছে, ''ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করুন।' ইসির অপর এক বার্তায় বলা হয়েছে, 'পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা প্রদান করুন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা প্রদান করুন। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারগণের নিকট প্রেরণ করা সম্ভব হবে না। সরকারি চাকরিজীবীদের নিবন্ধন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত: নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এ বিষয়ে ইসি’র এক বার্তায় বলা হয়, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-২০২৬ উপলক্ষ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবী ও আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণকে ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট (আইসিপিভি)-এর মাধ্যমে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ এ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। গত ১৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানাতে চায় বিএনপি। এজন্য চলছে অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে বৈঠক হয়েছে। মূলত তিনি বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে কীভাবে আসবেন সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’ এছাড়া পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন অভ্যর্থনার জায়গাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’ এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশ করতে গেলে যে উপস্থিতি হবে, সেটা হবে ঐতিহাসিক। সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কমিটির সদস্যরা আপ্রাণ কাজ করছেন।’ সূত্রে জানা যায়, লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার মাটিতে পা রাখতে পারেন ১৭ বছর নির্বাসিত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এদিকে, তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানেরও। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। কোনো কারণে পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই মায়ের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠবেন তিনি। দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অফিস করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বরের রোডের কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সংস্কার কাজও প্রায় শেষ।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী সংশোধিত শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী টিউশন ফি নিতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ.জেড. মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে “বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা (সংশোধিত)” অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি ফি এবং টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪ এর তফসিল ক, খ ও গ অনুযায়ী নির্ধারিত হারে টিউশন ফি সংগ্রহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও ঘন কুয়াশার দেখা মেলেনি। এরপর সকাল গড়াতেই আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা যায়, তবে শীতের দাপট তাতে কমেনি। এ অবস্থায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই কার ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সপ্তাহখানেক আগে ভারত যাবে টাইগাররা। সেখানে মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষও। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জানান, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে ২ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। সংবাদমাধ্যমকে ফাহিম বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ২৮ জানুয়ারি আমরা ব্যাঙ্গালুরু যাবো। নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের সাথে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব।’ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথে জায়গায় পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও ইতালি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি লিটনদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা সময় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৭ ফেব্রুয়ারি, নেপালের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। প্রতিটি গ্রুপ পর্ব থেকে দুটি করে দল সুপার এইটে জায়গা করে নেবে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে অংশ নিতে ২৮ জানুয়ারি ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। তার আগে দেশেই ২-৩ দিনের জন্য ছোটখাটো একটি ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির।
এ এইচ এম বজলুর রহমান
আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো' ২০২৫ এর পর্দা উন্মোচন হল। কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটিসহ বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন প্রযুক্তির খোঁজ,পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ২৬তম আন্তর্জতিক কেবল টিভি শো। কেবল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফাকচারার্স আয়োজিত এই মেগা মেলায় সার্ক অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেবল অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড শো হিসেবে স্বীকৃত। বুধবার শুরু হওয়া তিনদিনের এই মেলা চলবে শনিবার ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরমা আইল্যান্ডের মিলন মেলার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এ বছর নতুন প্রযুক্তি এবং শিল্প সহায়ক যন্ত্রপাতি নিয়ে ৯০টি স্টল রয়েছে। যেখানে কেবল কানেকশন, ব্রডব্যান্ড, নেটওয়ার্কিং, সার্ভিলেন্স, ওটিটি'র মত টেকনোলজিক্যাল আপডেট সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির নানা প্রদর্শনী থাকছে। ভারতের দিল্লী, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহারসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কেবল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার, এমএসও এবং ব্রডকাস্টাররা এবারের মেলায় যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের প্রচুর কেবল অপারেটররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে বাণিজ্য বাংলাদেশ সরকারের সবুজ সংকেত না থাকায় একই সঙ্গে ভিসা জটিলতায় এবারের মেলায় স্টল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে মেলায় যোগ দিয়েছে প্রায় ৬০ জন কেবল অপারেটরের একটি প্রতিনিধি দল। কেবল টিভি পরিষেবা ও ব্যবসার জন্য নতুন যে সমস্ত প্রযুক্তি এসেছে, স্টলে ঘুরে ঘুরে তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ক্রয় করছেন। আইসিএনসিলের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া জানিয়েছেন, এটি ভারতের সর্ববৃহৎ কেবল টিভি শো। যেখানে কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি সব কিছু একসঙ্গে নিয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি বলেন, যখনই কোনো টেকনোলজি আপডেট হয়, তখন মানুষই লাভবান হন। ফলে এই প্রদর্শনী মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবা দেয়ার লক্ষ্যেই করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকায় তিনিও আফসোস করেন তবে তার প্রত্যাশা, দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে। বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানান, ভারতের ভিসা নীতির জটিলতার কারণে এই বছর কয়েক'শ কেবল অপারেটররা আসতে পারেননি। বিগত বছরে এই কেবল টিভি শো অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর অনেকের যোগদান করার কথা ছিল। আগামী দিনে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
ব্রাজিলের একটি শহরে প্রবল বাতাসে ধসে পড়েছে রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ‘স্ট্যাচু' ভাঙার দৃশ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় স্ট্যাচুটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতীকী হিসেবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকাটি স্থাপন করে।
মার্কিন সিনেটে পাস হলো রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৭৭-২০ ভোটে পাস হয় বিলটি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে মূলত চীন-রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা করতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধান রাখা হয়েছে। এর আওতায় আগামী দুই বছরে ইউক্রেনকে ৪শ' করে মোট ৮শ' মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে ওয়াশিংটন। আরেক মিত্র ইসরায়েল পাবে ৬শ' মিলিয়ন ডলারের সহায়তা। বাজেটে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সিজার আইনও বাতিল করা হবে। এছাড়া, তাইওয়ানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার। কমানো হবে ইউরোপ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা। প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে সামরিক সদস্যদের বেতন। উল্লেখ্য, এনডিএএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অতি বিরল আইনগুলোর একটি, যা সাধারণত দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়ে থাকে। তবে এ বছরের প্রক্রিয়াটা ছিল তুলনামূলক জটিল। এবার ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগের ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ওপর হামলার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হামলাকারী। তদন্ত কর্মকর্তা কিংবা ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই এক হামলাকারীকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে খবর প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, নাভিদ আকরাম নামের আসল হামলাকারী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আর তার বাবা অপর হামলাকারী সাজিদ আকরাম একজন ভারতীয় নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান সাজিদ আকরাম নামের ওই ব্যক্তি। তার পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন। ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রচার করায় হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এক হামলাকারীর সাথে নাম মিলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অন্য এক নিরাপরাধ পাকিস্তানির ছবি। এতে চরম হয়রানি শিকার হন নাভিদ আকরাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। একে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানান, দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়ে দেয় যে হামলাকারীদের একজন পাকিস্তানি। এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছিল না। তবে আমরা জানি, পাকিস্তানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু শত্রু দেশ এ কাজ করেছে। ২৭ বছর আগে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর, মাত্র ৬ বার নিজ দেশে গিয়েছিল প্রাণ হারানো হামলাকারী সাজিদ। তবে সেখানে থাকা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল খুবই সীমিত। আর তার উগ্রবাদী মানসিকতা সম্পর্কেও জানতো না তারা- জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।