সুদীপ্ত শামীম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাস্তার সরকারি গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ধুমাইটারী গ্রামের তিস্তা ঘাট থেকে পঞ্চানন্দ মাদ্রাসা পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশের ২৩৩ টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ বিক্রি করতে গোপনে টেন্ডার আহ্বান করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতে ২লাখ ৮৭ হাজার টাকা দরদাতার কাছে গাছ বিক্রি করা হয়। কিন্তু সর্বচ্ছো দরদাতার কাছ থেকে কৌশলে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে ২৩৩টি গাছের স্থলে ২৬৪টি গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়। দরদাতার কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৮ সৃজিত সংযোগ সড়ক স্ট্রিপ বনায়ন করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চর উত্তর ধুমাইটারী সমাজ কল্যাণ সমিতির সদস্যদের একটি চুক্তিনামা হয়। সে অনুযায়ী ১০ বছর পর উভয় পক্ষের সিদ্ধান্তে গাছগুলো কর্তনের কথা উল্লেখ থাকলেও সমিতির সদস্যদের না জানিয়ে ইউক্যালিপ্টাস গাছগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও সমিতির সভাপতি বিক্রি করেন।
ক্রেতা মোন্তাজ আলী বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা।’
সমিতির সভাপতি ওসমান গনী বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। শুনেছি চেয়ারম্যান রাস্তারগুলো ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
বিষয়টি সমাধান করতে ইউপি চেয়ারম্যান তার শ্যালক সুমনকে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে পাঠায়। এসময় চেয়ারম্যানের শ্যালক সাংবাদিকদের সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করে টাকা দিতে চাইলে সাংবাদিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কেন টাকা দিচ্ছে জানতে চাইলে সে বলেন, ‘রাস্তার গাছগুলো ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তাই আপনাদের চা খাওয়ার জন্য এটা দিতে চাচ্ছি।’
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গাছগুলো সরকারি ভ্যাটসহ সর্বচ্ছো ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা দরদাতাকে দেয়া হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান বলেন, ‘এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’