সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
শীতকালে কেন বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি

শীতকালে শরীরে কিছু অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন দেখা দেয়, যা স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে স্ট্রোকজনিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এ সময়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তচাপের বেশি পার্থক্য স্ট্রোকের অন্যতম কারণছবি: পেক্সেলস কেন শীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে শীতকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলো—   রক্তনালি সংকোচন ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর স্বাভাবিকভাবেই তাপ ধরে রাখতে চায়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ত্বকের কাছাকাছি রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে আসে। রক্তনালি সংকুচিত হলে রক্ত চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হয়, ফলে রক্তচাপ দ্রুত বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তচাপের বেশি পার্থক্য স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি ঠান্ডা তাপমাত্রায় রক্ত স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ঘন এবং আঠালো হয়ে যায়। রক্ত ঘন হওয়ার কারণে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বেড়ে যায়। ইসকেমিক স্ট্রোকের (যেখানে রক্তনালিতে জমাট বাঁধে) ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ঝুঁকির কারণ। ভিটামিন ডির অভাব শীতকালে সূর্যের আলোর অভাব হওয়ায় শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা যায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডির অভাব উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যা পরোক্ষভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ঠান্ডার কারণে অনেকেই এ সময় শারীরিক কার্যকলাপ কমিয়ে দেন। ব্যায়ামের অভাব রক্ত সঞ্চালনকে ধীর করে দেয় এবং স্থূলতা ও অন্যান্য হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সংক্রমণের প্রভাব শীতকালে ফ্লু বা নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়। এসব সংক্রমণ শরীরের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শীতকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এসব বিষয় মেনে চলুন—   উষ্ণ থাকুন: শরীরকে যতটা সম্ভব উষ্ণ রাখুন। বাইরে বের হলে গরমকাপড়, টুপি, মাফলার ব্যবহার করুন। ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তবে নিয়মিত তা পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। সক্রিয় থাকুন: ঠান্ডার অজুহাতে ব্যায়াম বন্ধ করবেন না। বাড়ির ভেতরে হালকা শরীরচর্চা বা রুটিন মেনে দিনের উষ্ণ সময়ে জগিং করুন। পর্যাপ্ত পানি খান: শীতকালে নিয়মিত পানি খেয়ে শরীর আর্দ্র রাখুন। শীতে সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কার্যকরভাবে কমানো সম্ভব।

৫১ মিনিট আগে
বাজারে কমছে নতুন আলুর দাম, কেজি ৩০-৩৫ টাকা

বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুতে ১৫-২০ টাকা দাম কমেছে। ফলে অনেকটা পুরোনো আলুর কাছাকাছি পর্যায়ে এ দাম চলে এসেছে। অন্যদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ এলেও পণ্যটির দাম চড়া রয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু আকারে ছোট হলে দাম আরও কমে যায়, কেজি বিক্রি হয় ২৫-৩০ টাকায়। অন্যদিকে এখন বাজারে প্রতি কেজি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতারা জানান, বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকেরা জমি থেকে নতুন আলু তোলা শুরু করেন। ২০-২৫ দিন আগে যখন বাজারে নতুন মৌসুমের আলু আসা শুরু করেছিল, তখন প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। পরে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ দাম কমতে থাকে। গত সপ্তাহে বাজারে এক কেজি নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকার আশপাশে। আর আগের সপ্তাহে এ দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ নতুন আলুর সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন নতুন ও পুরোনো আলুর দাম প্রায় সমান হয়ে যাবে। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে আলুর দাম বেশ কম রয়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ায় এর মাসখানেকের মধ্যেই আলুর দাম পড়ে যায়। তখন ২০-৩০ টাকা কেজি ছিল। এরপর বছরের অধিকাংশ সময়ে ২০-২৫ টাকার আশপাশে আলু বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি বছর আলুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।

৫৫ মিনিট আগে
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তাঁর এই ভাষণ সম্প্রচারিত হবে।   প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

৫৯ মিনিট আগে
cর দাম হু হু করে কেন বাড়ছে, ভবিষ্যতে এটি কী কাজে লাগবে

রুপার দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদহারে কাটছাঁটের আগেই সর্বোচ্চ দাম উঠে গেছে মূল্যবান ধাতুটির। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পেও রুপার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৯ ডিসেম্বর স্পট মার্কেটে রুপার দাম প্রথমবারের মতো আউন্সপ্রতি ৬০ ডলার ছুঁয়েছে। স্পট মার্কেট হলো একধরনের বাজার, যেখানে মূল্যবান ধাতু তাৎক্ষণিকভাবে কেনাবেচা করা হয়। চলতি সপ্তাহে সোনার দামও বেড়েছে। এ বছরের শুরুতে সোনার দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কারণ ছিল বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ। বিনিয়োগকারীদের একটি প্রবণতা হলো যখন সুদহার কমে এবং বাজারে মার্কিন ডলারের মানে পতন হয়, তখন সোনা বা রুপার মতো মূল্যবান ধাতুতে নিজেদের অর্থ সরিয়ে আনে তারা। ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের প্রধান সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ কমিয়েছে। সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ইয়েও হি চুয়া বলেন, সুদহার কমলে ব্যবসায়ীরা সাধারণত রুপার মতো সম্পদ কিনে রাখেন। কারণ, তখন ব্যাংকে রাখা অর্থ বা স্বল্পমেয়াদি বন্ডের সুবিধা কমে আসে। ফলে রুপাসহ বিভিন্ন ধাতুর দাম বেড়ে যায়। এগুলোকে নিরাপদ সঞ্চয় হিসেবে মনে করা হয়। বিগত কয়েক মাসে সোনার দাম প্রথমবারের মতো আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংকের বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার ওং বলেন, সোনার মূল্যবৃদ্ধির একটি প্রভাব হিসেবে রুপার মূল্যবৃদ্ধিকে দেখা যেতে পারে। কারণ, বিনিয়োগ করার জন্য কম দামের বিকল্প খুঁজছেন বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছর সোনার দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর একটা কারণ হলো, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপক হারে সোনা কিনেছে। এ বছর প্ল্যাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও বেড়েছে। রুপার মূল্যবৃদ্ধির পেছনের আরেকটি কারণ হিসেবে প্রযুক্তিশিল্পে এই ধাতুর চাহিদা বৃদ্ধির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কসমস মারিনাকিস বলেন, রুপা শুধু বিনিয়োগ করার মতো সম্পদ নয়, এটি এখন শিল্পে ব্যবহারযোগ্য ধাতু হিসেবে কাজে লাগছে। সোনা ও তামার চেয়ে রুপা ভালো বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। এ কারণে এই ধাতু বৈদ্যুতিক গাড়ি ও সৌর প্যানেল তৈরির কাজে লাগছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী দিনে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়বে। এতে গাড়ির ব্যাটারি তৈরির জন্য আরও রুপার প্রয়োজন পড়বে, ফলে ধাতুটির চাহিদা বেড়ে যাবে। তবে দ্রুত রুপার জোগান বৃদ্ধি করা দুষ্কর। কারণ, যেসব খনি থেকে মূলত সিসা, তামা ও সোনা আহরণ করা হয়, সেসব খনি থেকে উপজাত হিসেবে রুপা পাওয়া যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে রুপার ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেও ধাতুটির দাম বাড়ছে। শুল্কের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রুপা সঞ্চয় করে রাখা হচ্ছে। এতে বাকি বিশ্বে রুপার সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশ্বের তিন ভাগের দুই ভাগ রুপা যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করে থাকে। সেগুলো শিল্প ছাড়াও অলংকার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। শিক্ষক কসমস মারিনাকিস বলেন, রুপার ঘাটতির কারণে যেন শিল্পপণ্য উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সে জন্য ধাতুটির সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন শিল্পমালিকেরা। এর ঝাঁঝে রুপার দাম বাড়ছে। আগামী মাসগুলোতেও ধাতুটির দাম বেশি থাকবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

৫৯ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয়
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তাঁর এই ভাষণ সম্প্রচারিত হবে।   প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত।
মোদির পোস্টে ‘ভারতের বিজয় দিবস’, বাংলাদেশের নাম নেই একবারও

বাংলাদেশ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই সংগ্রামে যুক্ত হয়। এর ফলে ভারত ১৬ ডিসেম্বরকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসেবেও পালন করে। তবে ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো মূল বিজয় ছিল বাংলাদেশেরই, কারণ এই দিনেই দেশটি তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি। মোদি লিখেছেন, ‘বিজয় দিবসে আমরা আমাদের সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছি, যাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল। তাদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের দেশকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহূর্ত তৈরি করেছে। সেনাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’ এর আগে ভারতের সেনাবাহিনীও বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি পোস্ট প্রকাশ করে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘বিজয় দিবস শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়—এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক।’ পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। ‘এটি ছিল সেই বিজয়, যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী একসঙ্গে লড়াই করেছে। এই যৌথ সংগ্রাম বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে চূড়ান্ত স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছে। এই বিজয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র নতুন করে অঙ্কন করেছে এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। পোস্টে আরও বলা হয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরো জাতির ওপর যে নৃশংসতা, নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা চালিয়েছিল, এই যুদ্ধ তার অবসান ঘটিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
দেশে ফেরার আগে ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে শেষ কর্মসূচিতে তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দেশে ফেরার আগে এটিই হবে যুক্তরাজ্যে তার সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক কর্মসূচি। এ উপলক্ষে তিনি লন্ডনের মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।   মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তারেক রহমান। আগামী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সূত্র জানায়, ২৪ ডিসেম্বর লন্ডনের কিংস্টনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হলে পথে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাবেন। জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বরের এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালনের জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম. এ. মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম. আহমেদ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, পূর্বনির্ধারিতভাবে অনুষ্ঠানটি সোমবার হওয়ার কথা থাকলেও তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি দেওয়ায় এটি মঙ্গলবার বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন তারেক রহমান। সময় স্বল্পতার কারণে কমিউনিটি ও সুধীজনদের সঙ্গে আলাদা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না। তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার সময় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান বাংলাদেশে তার শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে অবস্থান করছিলেন। জানা গেছে, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য ডা. জোবাইদা রহমান ২৪ ডিসেম্বরের আগেই লন্ডনে ফিরে তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিতে পারেন। এছাড়া তারেক রহমানের কন্যা ডা. জাইমা রহমান তার সঙ্গে দেশে ফিরবেন—এটি নিশ্চিত। পরিবারের সদস্যদের বাইরে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যে দলের প্রবীণ নেতা মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, তারেক রহমানের একান্ত সচিব আব্দুর রহমান সানি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের সমন্বয়ক কামাল উদ্দীন এবং বিএনপির মিডিয়া টিমের সিনিয়র সদস্য সালেহ শিবলী। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারাও তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে এবং সফরসঙ্গী হতে লন্ডনে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।


সংগৃহীত ছবি
নারী চিকিৎসকের হিজাব টেনে খুলে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে আসা এক মুসলিম নারী চিকিৎসকের হিজাব টেনে খুলে দেওয়ার ঘটনায় ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারকে ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় আয়োজিত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) বিভাগের এক নারী চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন নিতিশ কুমার। এ সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় হিজাব সরাতে বলেন। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিতিশ কুমার নিজেই হাত বাড়িয়ে তার হিজাব টেনে খুলে দেন, ফলে তার মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। ভিডিওতে মঞ্চের পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সরকারি অনুষ্ঠানে একজন নারীর ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় পোশাকের প্রতি এমন আচরণে মুখ্যমন্ত্রীর মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। ঘটনাটিকে ‘জঘন্য’ ও ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হলেও বাস্তবে পর্দাশীল মুসলিম নারীর হিজাব প্রকাশ্যে খুলে দেওয়া নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতি চরম অবহেলারই বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন—রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন আচরণ করলে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তা কোথায় দাঁড়ায়? এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নিতিশ কুমার একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক জনসভায় এক নারীর সঙ্গে তার আচরণ নিয়ে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সে সময় দলের এক সংসদ সদস্য তাকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি উল্টো তাকে ধমক দেন। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের পাশাপাশি নারী মর্যাদা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ক্ষমতার আচরণ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
বিজয় দিবস উপলক্ষে পুলিশের ট্রাফিক নির্দেশনা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে।    সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহন চালকদের অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি : সংগৃহীত
বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা ও সেনাবাহিনীর বিশেষ অনুষ্ঠান

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করেছে। সকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের ৬টি গান থেকে এই বিশেষ তোপধ্বনি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল অর্পণ করে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বাজে করুণ সুর। শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সেনা কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে সর্বোচ্চসংখ্যক জাতীয় পতাকা নিয়ে প্যারাশুটিং প্রদর্শন করে একটি বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সকাল ১১টা থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শন করবে এবং একটি বিশেষ বিজয় দিবস ব্যান্ড শো আয়োজন করা হবে। এছাড়া ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার দেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতাকাবাহী স্কাইডাইভ প্রদর্শন করবে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পতাকা-প্যারাশুটিং প্রদর্শনী হিসেবে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করবে।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় হামলায় অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া সেই ‘নায়ক’ কে?
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে সংঘটিত ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার যে ভিডিও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে দেখা যাওয়া সাহসী পথচারীর পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। তার নাম আহমেদ আল আহমেদ, বয়স ৪৩ বছর। এই দুঃসাহসিকতার জন্য তিনি ইতোমধ্যে ‘নায়ক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার সময় আহমেদ সরাসরি হামলাকারীর দিকে ছুটে যান এবং তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। পরে সেই অস্ত্র হামলাকারীর দিকেই তাক করে তাকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি অস্ত্র নিচু করে এক হাত উঁচু করেন, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুঝতে পারে তিনি হামলাকারী নন। দুই সন্তানের জনক এবং পেশায় ফলের দোকানের মালিক আহমেদ বর্তমানে সিডনির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পরিবার জানিয়েছে, হাতে ও বাহুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাকে চার থেকে পাঁচবার গুলি করা হয়েছে। রোববার রাতে বন্ডাই বিচে এ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। হামলার সময় সেখানে হানুকাহ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এটিকে ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আহমেদের এক চাচাতো ভাই জানান, তিনি শতভাগ একজন নায়ক। তার হাতে ও বাহুতে দুটি গুলির আঘাত রয়েছে এবং বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। পরিবার আশা প্রকাশ করেছে, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আহমেদের সাহসিকতায় গর্বিত তার বাবা মোহামেদ ফাতাহ ও মা মালাকেহ হাসান। তারা বলেন, মানুষজনের ওপর হামলা হতে দেখে তাদের ছেলে এক মুহূর্তও দ্বিধা করেননি। তার কাছে কোনো জাতিগত বা ধর্মীয় বিভেদ নেই—অস্ট্রেলিয়ায় সবাই সমান নাগরিক বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। জানা গেছে, আহমেদ ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তার পরিবার সম্প্রতি সিরিয়া থেকে সিডনিতে এসে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার ইদলিবে বড় হয়েছেন। তার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, আহমেদের এই সাহসিকতা শুধু তার পরিবার নয়, পুরো গ্রাম ও সম্প্রদায়কে গর্বিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত দুই হামলাকারী ছিলেন বাবা ও ছেলে, যাদের বয়স যথাক্রমে ৫০ ও ২৪ বছর। ৫০ বছর বয়সি হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আর ২৪ বছর বয়সি হামলাকারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, হামলাকারীরা একটি ছোট পদচারী সেতুর কাছ থেকে গুলি চালাচ্ছিল। আহমেদ প্রথমে একটি পার্ক করা গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নেন, এরপর হঠাৎ বেরিয়ে এসে এক হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার পর তাকে মাটিতে ফেলে দেন। পরে ওই হামলাকারী আবার সেতুর দিকে পালিয়ে গিয়ে আরেকটি অস্ত্র তুলে নেয় এবং গুলি চালাতে থাকে। আহমেদের এই সাহসী ভূমিকার কারণে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলেও তার সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে। সবাই একবাক্যে তাকে একজন সত্যিকারের নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে পরাজয়ের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র - পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস
মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে—এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পেন্টাগনের এক অতি গোপন মূল্যায়নে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণভিত্তিক। সাম্প্রতিক এক যুদ্ধ মহড়ায় দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কও অচল করে দিতে সক্ষম। এই অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ নথির নাম ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’। পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিপরীতে, চীন তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত উৎপাদনযোগ্য অস্ত্র তৈরি করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর সুবিধা অর্জন করেছে। নথিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন মার্কিন সামরিক সম্পদ অকার্যকর করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর আগেই চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম বিচক্ষণতার’ সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে এই নথির সারসংক্ষেপ যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এক কর্মকর্তা জানান, চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সামরিক কৌশলের বিপরীতে একাধিক বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পরিবর্তন মানতে রাজি নয়। যদিও চীন এখনো আক্রমণের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে—২০২৭ সালের আশপাশে তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে, যা চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই দশকে চীন বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, যা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই মার্কিন বিমানবাহী রণতরীসহ উন্নত সামরিক সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যুদ্ধ মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক রণতরীগুলোর অনেকটাই চীনা হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরীটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও চীনা হামলার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলা হয়েছে—আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বড় যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের শিল্প সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আর আগের মতো নেই। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বেইজিং ও মস্কোর তুলনায় ওয়াশিংটন দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—অতিরিক্ত ব্যয়বহুল ও সীমিতসংখ্যক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা। বর্তমানে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সব বিভাগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে, যদিও উভয় দেশের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রায় সমান। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

দীর্ঘদিনের দর-কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলো ইউক্রেন। তবে, বড় ধরনের হামলা হলে জোটের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে ৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।   আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার পেছনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় সামরিক জোট ন্যাটো'তে কিয়েভের যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে।   রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না ইউক্রেন। কারণ—এমনটি হলে রুশ সীমান্তে বাড়বে পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি। হুমকির মুখে পড়বে তাদের প্রভাব ও নিরাপত্তা।   অবশেষে, এবার মস্কোর সেই শর্ত মানতে রাজি হলো কিয়েভ। যার মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রক্রিয়া। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্লিনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসেন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভোলেদেমির জেলেনস্কি।   সামরিক জোটে যোগ দেয়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর থেকে আর্টিকেল ফাইভের মত নিরাপত্তা পাবার নিশ্চয়তা পেয়েছে কিয়েভ। পূর্ণ ন্যাটো সদস্য না হলেও, এর ফলে বড় কোনো আক্রমণের মুখে জোটের সদস্য দেশগুলো থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা পাবে তারা।    তবে এ ঘোষণায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে সংশয়। পশ্চিমা বিশ্বের এমন আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটির জনগণ।

ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় হামলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলন আহমেদ, পেলেন 'হিরো' উপাধি
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0

একের পর এক গুলির শব্দ সিডনির এই সমুদ্র সৈকত জুড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটছে মানুষ। এরইমাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আততায়ীর হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয় এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয় এই ভিডিওটি।   অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির বন্ডাই বিচে ধর্মীয় উৎসব পালন করছিলেন দেশটির অন্তত হাজারখানিক ইহুদী নাগরিক। তবে হঠাৎই কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায় সেখানে। আনুমানিক ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে অস্ত্রধারীরা। তাতে হতাহত হয়েছেন অনেকেই। গুলি, হট্টগোল আর চিৎকারের শব্দে সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হয় বনডি সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ।   এ পরিস্থিতিতেও অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। তার নাম আহমেদ আল আহমেদ। স্থানীয় এক ফলের দোকানের মালিক সে। একজন মুসলিম হয়েও ইহুদীদের জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ায় স্থানীয়দের কাছে বাস্তব জীবনের হিরো হয়ে ওঠেন তিনি।   অনেকের জীবন বাঁচালেও আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেয়ার পর তার শরীরে অস্ত্রোপচার চালানো হয় বলে সেভেন নিউজকে জানান আহমেদের চাচাতো ভাই মুস্তোফা।   মুস্তফা জানান, আগে কখনও অস্ত্র চালানোর অভিজ্ঞতা ছিলো না আহমেদের। তবুও, দুই সন্তানের জনক আহমেদ কিভাবে এতো সাহসী হয়ে উঠলেন জানেন না তিনি।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী