সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছাবে শুক্রবার বিকেলে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছাড়বে এবং আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, শহীদ হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই ঘটনায় মোটরসাইকেল থেকে দুজন দুর্বৃত্ত তাকে কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান শহীদ শরিফ ওসমান হাদি।

৭ মিনিট আগে
হাদির জানাজার সময় ঘোষণা করলো ইনকিলাব মঞ্চ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছাড়বে এবং সম্ভাব্য সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।   ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানায়। সংগঠনটি জানিয়েছে, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। শরিফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৬ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান শরিফ ওসমান হাদি।   চট্টগ্রাম: দুই নম্বর গেইটে সড়ক অবরোধ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামে উত্তাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দুই নম্বর গেইটে জুলাই আন্দোলনের কর্মী ও সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ বিক্ষোভকারী দুই নম্বর গেইট মোড়ে জড়ো হয়ে সড়কের মাঝখানে অবস্থান নেন। এতে নগরীর ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ীতে মহাসড়ক অবরোধ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনি আখড়া ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্লকেড কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সায়দাবাদ থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। সিলেট: সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সিলেটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। রাত সাড়ে ১১টার পর নগরীর চৌহাট্টাস্থ বিজয় চত্বরে জড়ো হয়ে তারা স্লোগানসহ সড়কে বসে বিক্ষোভ করেন। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ পটুয়াখালীর জুলাই আন্দোলনকারীদের, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই ব্লকেড কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা ও কুয়াকাটাগামী যানবাহনগুলো আটকে থাকে। গাজীপুর: বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ ওসমান হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ি ও টঙ্গীর কলেজ গেইটসহ বিভিন্ন স্থানে ডুয়েট শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এই বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

৫০ মিনিট আগে
ধানমন্ডি ৩২-এ বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন, হাদির হত্যার প্রতিবাদ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা রাজধানীতে ফেটে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরনো বাড়ির কাছে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে দমন-বিরোধী অসন্তোষ প্রকাশ করেন।   বিক্ষুব্ধ জনতা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগছে’—এর মতো স্লোগান দেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশেপাশে তারা বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ চালান। এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকরাও। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। রাতের দিকে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে যোগ দেন এবং জোরালো স্লোগান দেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে মারা যান শরিফ ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ঢেউ রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

১ ঘন্টা আগে
শরিফ ওসমান বিন হাদি। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়
হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছাবে শুক্রবার বিকেলে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছাড়বে এবং আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, শহীদ হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই ঘটনায় মোটরসাইকেল থেকে দুজন দুর্বৃত্ত তাকে কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান শহীদ শরিফ ওসমান হাদি।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা । ছবি : সংগৃহীত
ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান শরিফ ওসমান হাদি।   চট্টগ্রাম: দুই নম্বর গেইটে সড়ক অবরোধ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামে উত্তাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দুই নম্বর গেইটে জুলাই আন্দোলনের কর্মী ও সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ বিক্ষোভকারী দুই নম্বর গেইট মোড়ে জড়ো হয়ে সড়কের মাঝখানে অবস্থান নেন। এতে নগরীর ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ীতে মহাসড়ক অবরোধ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনি আখড়া ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্লকেড কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সায়দাবাদ থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। সিলেট: সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সিলেটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। রাত সাড়ে ১১টার পর নগরীর চৌহাট্টাস্থ বিজয় চত্বরে জড়ো হয়ে তারা স্লোগানসহ সড়কে বসে বিক্ষোভ করেন। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ পটুয়াখালীর জুলাই আন্দোলনকারীদের, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই ব্লকেড কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা ও কুয়াকাটাগামী যানবাহনগুলো আটকে থাকে। গাজীপুর: বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ ওসমান হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিববাড়ি ও টঙ্গীর কলেজ গেইটসহ বিভিন্ন স্থানে ডুয়েট শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এই বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

রিফ ওসমান হাদি। ছবি : সংগৃহীত
হাদির জানাজার সময় ঘোষণা করলো ইনকিলাব মঞ্চ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছাড়বে এবং সম্ভাব্য সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।   ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল পেজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানায়। সংগঠনটি জানিয়েছে, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। শরিফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


ছবি : সংগৃহীত
উত্তাল জাবি : হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি শিক্ষার্থীদের

জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়তলা মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন হল সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন। সমাবেশে জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হাদি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল— ‘আমার ভাই শহীদ কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি লড়াই করে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’ এবং ‘ওই হাসিনা দেইখা যা, রাজপথে তোর বাপেরা’। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক আহসান লাবিব বলেন, “আজ আমরা এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে আসিনি। আমরা এসেছি প্রতিবাদ জানাতে এবং প্রতিরোধের ঘোষণা দিতে। আমাদের ভাই ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি চলমান দমন-পীড়ন ও আধিপত্যবাদী রাজনীতিরই অংশ। তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—হাদির রক্ত বৃথা যাবে না। যারা ভেবেছে একজনকে হত্যা করলে আন্দোলন থেমে যাবে, তারা ভুল করেছে। এক হাদির জায়গায় হাজার হাদি জন্ম নেবে। এই মৃত্যু প্রমাণ করে, জুলাইয়ের বিপ্লব এখনো শেষ হয়নি; লড়াই এখনো চলমান। আহসান লাবিব অভিযোগ করে বলেন, হাদির হত্যাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি। সরকার ব্যর্থ, প্রশাসন নীরব। এই ব্যর্থতার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু খুনিরাই নয়, তাদের আশ্রয়দাতা ও মদদদাতাদের বিরুদ্ধেও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।   সমাবেশে জাতীয় ছাত্রশক্তি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে হাদি যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সেই সংগ্রাম থামবে না। এই লড়াই কোনো ব্যক্তির নয়; এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও ভবিষ্যতের লড়াই।

ছবি : সংগৃহীত
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ও ফার্মগেটে অবস্থিত ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সামনে উপস্তিত হন। এ সময় তারা প্রথম আলো ও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে কিছু লোকজন অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। সেখানকার কাগজপত্র, কম্পিউটার নীচে ফেলে দেন। এছাড়া কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগও করেন। একই সময়ে ডেইলি স্টার ভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে।

হাদির মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে টঙ্গীতে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এনসিপির নেতা–কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ১১টা ২০ মিনিটে টঙ্গীর কলেজগেট সফি উদ্দিন রোড সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। রাত ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে। পরে রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে ধীরে ধীরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এদিকে, ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টঙ্গীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর । ছবি : সংগৃহীত
ধানমন্ডি ৩২-এ বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন, হাদির হত্যার প্রতিবাদ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা রাজধানীতে ফেটে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরনো বাড়ির কাছে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে দমন-বিরোধী অসন্তোষ প্রকাশ করেন।   বিক্ষুব্ধ জনতা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগছে’—এর মতো স্লোগান দেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশেপাশে তারা বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ চালান। এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকরাও। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। রাতের দিকে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে যোগ দেন এবং জোরালো স্লোগান দেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে মারা যান শরিফ ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আন্দোলন ও প্রতিবাদের ঢেউ রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো ২০২৫ শুরু কলকাতায়, কোয়াবের ৬০ অতিথির অংশগ্রহণ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো' ২০২৫ এর পর্দা উন্মোচন হল। কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটিসহ বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন প্রযুক্তির খোঁজ,পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ২৬তম আন্তর্জতিক কেবল টিভি শো। কেবল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফাকচারার্স আয়োজিত এই মেগা মেলায় সার্ক অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেবল অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড শো হিসেবে স্বীকৃত।   বুধবার শুরু হওয়া তিনদিনের এই মেলা চলবে শনিবার ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরমা আইল্যান্ডের মিলন মেলার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এ বছর নতুন প্রযুক্তি এবং শিল্প সহায়ক যন্ত্রপাতি নিয়ে ৯০টি স্টল রয়েছে। যেখানে কেবল কানেকশন, ব্রডব্যান্ড, নেটওয়ার্কিং, সার্ভিলেন্স, ওটিটি'র মত টেকনোলজিক্যাল আপডেট সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির নানা প্রদর্শনী থাকছে।   ভারতের দিল্লী, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহারসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কেবল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার, এমএসও এবং ব্রডকাস্টাররা এবারের মেলায় যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের প্রচুর কেবল অপারেটররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে বাণিজ্য বাংলাদেশ সরকারের সবুজ সংকেত না থাকায় একই সঙ্গে ভিসা জটিলতায় এবারের মেলায় স্টল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে মেলায় যোগ দিয়েছে প্রায় ৬০ জন কেবল অপারেটরের একটি প্রতিনিধি দল। কেবল টিভি পরিষেবা ও ব্যবসার জন্য নতুন যে সমস্ত প্রযুক্তি এসেছে, স্টলে ঘুরে ঘুরে তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ক্রয় করছেন।   আইসিএনসিলের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া জানিয়েছেন, এটি ভারতের সর্ববৃহৎ কেবল টিভি শো। যেখানে কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি সব কিছু একসঙ্গে নিয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে।   তিনি বলেন, যখনই কোনো টেকনোলজি আপডেট হয়, তখন মানুষই লাভবান হন। ফলে এই প্রদর্শনী মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবা দেয়ার লক্ষ্যেই করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকায় তিনিও আফসোস করেন তবে তার প্রত্যাশা, দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে।   বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানান, ভারতের ভিসা নীতির জটিলতার কারণে এই বছর কয়েক'শ কেবল অপারেটররা আসতে পারেননি। বিগত বছরে এই কেবল টিভি শো অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর অনেকের যোগদান করার কথা ছিল। আগামী দিনে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।

ছবি : সংগৃহীত
ব্রাজিলে ধসে পড়লো রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

ব্রাজিলের একটি শহরে প্রবল বাতাসে ধসে পড়েছে রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ‘স্ট্যাচু' ভাঙার দৃশ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।    মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে।   সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় স্ট্যাচুটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।   উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতীকী হিসেবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকাটি স্থাপন করে।

ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন সিনেটে ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল পাস
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

মার্কিন সিনেটে পাস হলো রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৭৭-২০ ভোটে পাস হয় বিলটি।   প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।   অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে মূলত চীন-রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা করতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধান রাখা হয়েছে। এর আওতায় আগামী দুই বছরে ইউক্রেনকে ৪শ' করে মোট ৮শ' মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে ওয়াশিংটন। আরেক মিত্র ইসরায়েল পাবে ৬শ' মিলিয়ন ডলারের সহায়তা।   বাজেটে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সিজার আইনও বাতিল করা হবে। এছাড়া, তাইওয়ানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার।   কমানো হবে ইউরোপ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা। প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে সামরিক সদস্যদের বেতন।   উল্লেখ্য, এনডিএএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অতি বিরল আইনগুলোর একটি, যা সাধারণত দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়ে থাকে। তবে এ বছরের প্রক্রিয়াটা ছিল তুলনামূলক জটিল।   এবার ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগের ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।

ছবি : সংগৃহীত
বন্ডাই বিচে হামলাকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত, দাবি পুলিশের
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ওপর হামলার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হামলাকারী। তদন্ত কর্মকর্তা কিংবা ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই এক হামলাকারীকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে খবর প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় গণমাধ্যম।   তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, নাভিদ আকরাম নামের আসল হামলাকারী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আর তার বাবা অপর হামলাকারী সাজিদ আকরাম একজন ভারতীয় নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান সাজিদ আকরাম নামের ওই ব্যক্তি। তার পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন।   ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রচার করায় হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এক হামলাকারীর সাথে নাম মিলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অন্য এক নিরাপরাধ পাকিস্তানির ছবি। এতে চরম হয়রানি শিকার হন নাভিদ আকরাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।   হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। একে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানান, দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।   পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়ে দেয় যে হামলাকারীদের একজন পাকিস্তানি। এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছিল না। তবে আমরা জানি, পাকিস্তানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু শত্রু দেশ এ কাজ করেছে।     ২৭ বছর আগে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর, মাত্র ৬ বার নিজ দেশে গিয়েছিল প্রাণ হারানো হামলাকারী সাজিদ। তবে সেখানে থাকা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল খুবই সীমিত। আর তার উগ্রবাদী মানসিকতা সম্পর্কেও জানতো না তারা- জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী