আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলার দায়ে আব্দুল কাদেও (৩৮)। রোববার (১৩মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আদিতমারী ডিগ্রী কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার আব্দুল কাদের ওই এলাকার সুরজুল ওরফে সুরুজ আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১০/১২ বছর আগে একই উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের সফিয়ার রহমানের মেয়ে শরিফার সাথে বিয়ে হয় আব্দুল কাদের। বিয়ের পর থেকে কারনে অকারনে স্ত্রীকে মারপিট করে বাস শ্রমিক কাদের। শনিবার (১২ মে) রাতে বাড়ি ফিরলে ঘরের দরজা খুলতে দিতে বিলম্ব করেন স্ত্রী শরিফা বেগম। এ কারনেই স্ত্রীর সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে কাদের শরিফাকে বেধম মারপিট করেন। এ সময় স্বামীর মারপিট থেকে বাঁচতে দৌড়ে পাশে কাদেরের চাচার বাড়িতে আতœরক্ষা করেন শরিফা। পরদিন রোববার (১৩মে) সকালে খবর পেয়ে শরিফার মা ছকিনা বেগম এসে মেয়েকে নিয়ে জামাইয়ের বাড়িতে রাখতে গেলে মায়ের সামনে শরিফাকে তার স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও ভাসুররা মিলে মারপিট করে। এ সময় মাছ কাটা বটি দিয়ে শরিফার বাম পায়ে আঘাত করে কাদের। এতে তার পায়ের রগ কেটে যায়। প্রতিবেশীরা মিলে শরিফার মা তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে কাদের নিতে দেননি। অবশেষে খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন এবং শরিফাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী হাসপাতাল পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শরিফার বাবা সফিয়ার রহমান বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলে রাতে পুলিশ শরিফার স্বামী আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেন।
হাসপাতালের মেঝেতে থাকা শরিফা জানান, স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে একটু বিলম্ব করায় মারপিট করে। সোমবার পুনরায় তার মায়ের সামনেই বটি দিয়ে পায়ে কোপ দেন কাদের। এমন নির্যাতন বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় সহায় করতে হয়েছে বলে দাবি করেন শরিফা বেগম।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, খবর পেয়ে আহত শরিফাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ অভিযোগে তার স্বামী কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খবর৭১/এস: