সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
শাকিব নিজেই জানালেন হানিয়ার সঙ্গে একটা মুভির কথা হচ্ছে

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নতুন সিনেমায় নায়িকা হিসেবে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে—এমন গুঞ্জনই এখন জোরালো। সম্প্রতি একটি ভ্লগে নিজেই এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন শাকিব খান।   গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাই তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি নতুন ভ্লগ প্রকাশ করেন। রাজধানীর বনানীতে একটি প্রতিষ্ঠানের নতুন আউটলেট উদ্বোধনে শাকিব খান উপস্থিত ছিলেন, সেখানেই রাফসানের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে হানিয়া আমিরের প্রসঙ্গ। একপর্যায়ে রাফসানকে উদ্দেশ করে শাকিব বলেন, ‘তোমার একটি ভ্লগ দেখলাম আমার ফিউচার হিরোইন হানিয়া আমিরের সঙ্গে।’ পাশ থেকে তখন কেউ জানতে চান, হানিয়া আমির কি তার সঙ্গে সিনেমা করছেন? উত্তরে শাকিব খান স্পষ্টভাবেই বলেন, ‘হ্যাঁ, একটা মুভির কথা হচ্ছে।’ তবে কোন সিনেমায় হানিয়া অভিনয় করতে পারেন, সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি শাকিব। বর্তমানে তিনি ‘সোলজার’ ছবির কাজ করছেন, যেখানে তার বিপরীতে আছেন তানজিন তিশা ও জান্নাতুল ঐশী। এ ছাড়া শাকিবকে দেখা যাবে ‘প্রিন্স: ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায়, যেখানে নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা যাচ্ছে।   হানিয়া আমিরকে শাকিব খানের বিপরীতে দেখার গুঞ্জন নতুন নয়। গত সেপ্টেম্বরে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসে এক অনুষ্ঠানে হানিয়া বলেছিলেন, ‘তোমরা শাকিব খানকে অনেক বেশি পছন্দ করো, তাই আমারও পছন্দ শাকিব খান।’ এরপর থেকেই নতুন যৌথ প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়। এবার শাকিবের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই জল্পনা যেন আরও শক্ত হলো।

১৭ মিনিট আগে
স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার স্বামী

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে রহিমা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার স্বামী ইমরান হোসেনকে (৪০)। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনাবাড়ীর ‘একতা ভিলা’র পঞ্চম তলায় স্ত্রী ও ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন ইমরান হোসেন। দুজনেরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর ইমরান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, নাকি ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত তা তদন্ত করছে পুলিশ। কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন জানান, মরদেহের কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইমরান। পুলিশ রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ইমরানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।   ওসি আরও জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইমরানের জ্ঞান ফিরলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

৩০ মিনিট আগে
ক্ষমতায় গেলে ফারাক্কা ও পানিবণ্টন ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীতে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করতে পারলে পদ্মা ও তিস্তা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন এবং ফারাক্কা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে, যেখানে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না।   শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি দেশই তার স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে সফল হওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন-সংক্রান্ত বৈধ অধিকার আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এদিকে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে একটি বড় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের। পদ্মার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিতের দাবিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২ নভেম্বর মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ জেলা পর্যায়ের বড় সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।   এ আয়োজনের সমন্বয় করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ। তাকে সহযোগিতা করছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।

৩৬ মিনিট আগে
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় সমর্থন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে সংস্থাটি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।   ইইউ একটি বিবৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে তারা স্বাগত জানায়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বকেও তারা ইতিবাচকভাবে দেখছে। সংস্থাটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিতে পূর্বের মতোই সমর্থন ও কারিগরি সহযোগিতা পেতে থাকবে। ডব্লিউটিওর উপমহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা অব্যাহতভাবে পাবে এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও উপকৃত হবে।   তিনি জানান, ডব্লিউটিও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। এ ছাড়া এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) এর মাধ্যমে যে সুবিধা বাংলাদেশ পেয়ে থাকে, এলডিসি উত্তরণের পরও আরও পাঁচ বছর তা বজায় থাকবে।

৪৩ মিনিট আগে
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়
জামায়াতসহ ১২ দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তৃতীয় দিন হিসেবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামীসহ ১২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১৫ নভেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।   আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংলাপের প্রথম পর্ব শুরু হয়ে চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। প্রথম পর্বে অংশ নেবে ছয়টি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট,বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল। দিনের দ্বিতীয় পর্বেও দুই ঘণ্টা ধরে ছয়টি দল অংশ নেবে আলোচনায়। এ পর্বে আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটি (জাগপা)। ইসি প্রধান এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিনে ১২টি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে, রোববারও আরও ১২টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।   নির্বাচন কমিশনে বর্তমানে অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। ধাপে ধাপে সংলাপের সময়সূচি ও দলগুলোর নাম জানিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ক্ষমতায় গেলে ফারাক্কা ও পানিবণ্টন ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীতে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করতে পারলে পদ্মা ও তিস্তা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন এবং ফারাক্কা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে, যেখানে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না।   শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি দেশই তার স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে সফল হওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন-সংক্রান্ত বৈধ অধিকার আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এদিকে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে একটি বড় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের। পদ্মার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিতের দাবিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২ নভেম্বর মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ জেলা পর্যায়ের বড় সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।   এ আয়োজনের সমন্বয় করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ। তাকে সহযোগিতা করছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।

ছবি : সংগৃহীত
গণভোটের সামনে বাংলাদেশ : প্রত্যাশা, সংশয় ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

  বাংলাদেশ এক নতুন ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি একই দিনে আয়োজন করা হচ্ছে বহুল আলোচিত গণভোট, যার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারপ্রস্তাবগুলো নিয়ে জনগণের চূড়ান্ত মতামত যাচাই করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যে প্রশ্ন ঘোষণা করেছেন, সেটি মাত্র একটি হলেও এর ভেতর অব্যক্ত রয়েছে রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন, সাংবিধানিক কাঠামোর রূপান্তর, রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য এবং জনগণের ভবিষ্যৎ-আকাঙ্ক্ষার অসংখ্য সূক্ষ্ম জটিলতা। প্রশ্নটি হলো, জনগণ জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলোর প্রতি সম্মতি দেবে কি না। এই একটি প্রশ্নের মধ্যেই গুঁজে রাখা হয়েছে চারটি বড় প্রস্তাব, যেগুলোর প্রতিটিই স্বাধীনভাবে একটি সাংবিধানিক সংস্কার বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গণভোটে সেগুলোকে একত্র করে উপস্থাপন করায় ভোটারের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি হয়ে উঠেছে আরও জটিল। প্রস্তাবগুলোকে বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, সংস্কারের ইচ্ছা থাকলেও প্রশ্নগুলো যে সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে, সে নিশ্চয়তা নেই। প্রথম প্রস্তাবটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠনের বিষয়ে। এখানে শব্দবন্ধগুলো জনগণের পরিচিত হলেও ‘জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া’—এই অংশটি বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। কারণ সাধারণ ভোটার তো বটেই, অনেক সচেতন নাগরিকও সনদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানেন না। সনদটি পুরোপুরি প্রচারিত হয়নি; তার পদ্ধতি, দায়িত্ব ও প্রয়োগ কাঠামোও অনেকাংশে অস্পষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে ‘হ্যাঁ’ ভোট মানে আসলে কোন প্রক্রিয়াকে অনুমোদন-এটা কি গ্রামের কৃষক থেকে শহরের শিক্ষক পর্যন্ত সবাই বুঝতে পারবেন? গণভোটের প্রশ্ন যদি মানুষের অজ্ঞানতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে গণতন্ত্র সেখানে দুর্বলই হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের পরিকল্পনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত বহন করে। উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুই কক্ষ নীতি ও আইন প্রণয়নে ভারসাম্য রক্ষার ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ হবে ১০০ সদস্যের, এবং দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সেই সদস্য সংখ্যা নির্ধারিত হবে। এতে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে—এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় দ্বিকক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া কতটা সহজ হবে? আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, ক্ষুদ্র বিষয়েও মতের অমিল দূর করা কঠিন। একটি উচ্চকক্ষ ও একটি নিম্নকক্ষের মধ্যে নীতিগত বা মতাদর্শগত অমিল দেখা দিলে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হলে ভবিষ্যতে সাংবিধানিক পরিবর্তন আরও দীর্ঘ ও কঠিন প্রক্রিয়ায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু সাধারণ ভোটার কি দ্বিকক্ষের এই জটিল কাঠামো, এর ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে অবগত? ‘উচ্চকক্ষ’ বা ‘দ্বিকক্ষ’—এসব শব্দ সাধারণ মানুষের কাছে এখনো বিমূর্ত। তারা যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন কি জানবেন তাদের ভোটের প্রভাব কোথায় গিয়ে পড়বে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর নেই। তৃতীয় প্রস্তাবে রয়েছে সবচেয়ে বিস্তৃত সংস্কারের তালিকা—নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং আরও নানা কাঠামোগত রূপান্তর। শুনতে নিঃসন্দেহে এটি একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নীলনকশার মতো। কিন্তু এর বাস্তব প্রয়োগও প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো এসব বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। কিন্তু জনগণের ভোটের ওপর দাঁড়ানো নির্বাচিত সরকারকে এভাবে আগেই বাধ্যবাধকতার কাঠামোর মধ্যে বেঁধে ফেলা কি গণতন্ত্রের মানসিকতার সঙ্গে যায়? আবার বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার বা সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন এটিকে অনেকেই ক্ষমতার ভারসাম্যের অংশ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু সাধারণ ভোটার কি গ্রহণ করবেন? যাকে তারা কম পছন্দ করে ভোট দেয়নি, তাকেই আবার গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে? আরও বড় সমস্যা হলো, জুলাই সনদের ওই ৩০টি প্রস্তাব জনগণ কতটা জানেন? শহরের উচ্চশিক্ষিত ভোটার হয়তো খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করতে পারবে, কিন্তু গ্রামীণ বা কম-শিক্ষিত ভোটার কি জানবে এসবের সুফল-কার্যকারিতা? যদি তারা না জেনেই ভোট দেন, তাহলে গণভোট কার্যত জনগণের চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে। চতুর্থ প্রস্তাবটি সবচেয়ে বিমূর্ত। এতে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যান্য সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে। প্রশ্ন হলো—এই ‘অন্যান্য সংস্কার’ কী? কে নির্ধারণ করবে? কোন দলের প্রতিশ্রুতি কার্যকর হবে? জনগণ কি এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে? ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ভোটার আসলে কোন অজানা সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মতি দিচ্ছেন? এই অস্পষ্টতা গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বরং আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এখানেই গণভোটের বাস্তব সংকটগুলো সামনে আসে। প্রথমত, সাংবিধানিক পরিভাষা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়। দ্বিকক্ষ, সংস্কার পরিষদ, অনুমোদন প্রক্রিয়া—এসব শব্দ যেন এক ধরনের প্রশাসনিক গোলকধাঁধা। দ্বিতীয়ত, এক প্রশ্নে চারটি ভিন্নমুখী কাঠামোগত প্রস্তাবের প্রতি হ্যাঁ বা না বলতে বলা হচ্ছে। যদি কোনো ভোটার দুটি বিষয়ে সম্মত এবং দুটি বিষয়ে অসম্মত হন, তাহলে তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেবেন? রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষও এখানে বিভ্রান্ত হবেন, প্রান্তিক জনগণের কথা তো বাদই দিলাম। তৃতীয়ত, জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট হওয়া যেমন সুবিধাজনক, তেমনি এতে রাজনৈতিক প্রভাবের আশঙ্কা প্রবল হয়ে ওঠে। নির্বাচন প্রচারণার উত্তাপে গণভোটের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার প্রবণতা গণভোটেও একইভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া সংবিধানের ১৪২(১) অনুযায়ী সংবিধানের নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তনের জন্য সংসদের অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি গণভোট ডাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংসদ গঠনের আগেই গণভোট আয়োজন কতটা সংবিধানসম্মত—এ বিষয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। সবকিছুর শেষে মূল সত্যটি হলো—গণভোট তখনই অর্থবহ হয়, যখন জনগণ জানে তারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রস্তাবগুলো যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ অনেকাংশে সংকুচিত হয়ে গেছে। গণভোটকে সফল করতে হলে এখন প্রয়োজন স্বচ্ছ ব্যাখ্যা, বোধগম্য ভাষা এবং ব্যাপক গণশিক্ষা। গ্রামীণ ভোটার থেকে শহরের তরুণ—সবার কাছে স্পষ্টভাবে পৌঁছাতে হবে প্রস্তাবগুলো কী, কেন প্রয়োজন, এবং এর ফল কী হবে। জুলাই সনদ ও গণভোট চাইলে নতুন রাজনৈতিক দিগন্ত খুলে দিতে পারে। কিন্তু যদি জনগণের বোঝাপড়া ছাড়া এটি কেবল রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়, তাহলে গণভোট পরিণত হবে সংখ্যার খেলা—যেখানে জনগণের কণ্ঠ নয়, প্রাধান্য পাবে কেবল রাজনৈতিক শক্তির হিসাব।


ছবি : সংগৃহীত
স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার স্বামী

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে রহিমা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার স্বামী ইমরান হোসেনকে (৪০)। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনাবাড়ীর ‘একতা ভিলা’র পঞ্চম তলায় স্ত্রী ও ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন ইমরান হোসেন। দুজনেরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর ইমরান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, নাকি ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত তা তদন্ত করছে পুলিশ। কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন জানান, মরদেহের কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইমরান। পুলিশ রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ইমরানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।   ওসি আরও জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইমরানের জ্ঞান ফিরলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় সমর্থন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে সংস্থাটি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।   ইইউ একটি বিবৃতিতে জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে তারা স্বাগত জানায়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বকেও তারা ইতিবাচকভাবে দেখছে। সংস্থাটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিতে পূর্বের মতোই সমর্থন ও কারিগরি সহযোগিতা পেতে থাকবে। ডব্লিউটিওর উপমহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা অব্যাহতভাবে পাবে এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও উপকৃত হবে।   তিনি জানান, ডব্লিউটিও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে। এ ছাড়া এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) এর মাধ্যমে যে সুবিধা বাংলাদেশ পেয়ে থাকে, এলডিসি উত্তরণের পরও আরও পাঁচ বছর তা বজায় থাকবে।

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণ

 রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এ ধর্মীয় সমাবেশ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।   মহাসম্মেলনের সংগঠকরা জানান, অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে এই আয়োজন হলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক পরিসরে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ পাঁচ দেশের শীর্ষ আলেমরা অংশগ্রহণ করেছেন। শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। মঞ্চে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেম ও রাজনীতিবিদরা। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষ পায়ে হেঁটে, ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস এবং মেট্রোরেলে সমাবেশস্থলে যোগ দেন।   মহাসম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির, মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ।

শাকিব খান ও হানিয়া আমির। ছবি : সংগৃহীত
শাকিব নিজেই জানালেন হানিয়ার সঙ্গে একটা মুভির কথা হচ্ছে

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নতুন সিনেমায় নায়িকা হিসেবে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে—এমন গুঞ্জনই এখন জোরালো। সম্প্রতি একটি ভ্লগে নিজেই এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন শাকিব খান।   গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাই তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি নতুন ভ্লগ প্রকাশ করেন। রাজধানীর বনানীতে একটি প্রতিষ্ঠানের নতুন আউটলেট উদ্বোধনে শাকিব খান উপস্থিত ছিলেন, সেখানেই রাফসানের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে হানিয়া আমিরের প্রসঙ্গ। একপর্যায়ে রাফসানকে উদ্দেশ করে শাকিব বলেন, ‘তোমার একটি ভ্লগ দেখলাম আমার ফিউচার হিরোইন হানিয়া আমিরের সঙ্গে।’ পাশ থেকে তখন কেউ জানতে চান, হানিয়া আমির কি তার সঙ্গে সিনেমা করছেন? উত্তরে শাকিব খান স্পষ্টভাবেই বলেন, ‘হ্যাঁ, একটা মুভির কথা হচ্ছে।’ তবে কোন সিনেমায় হানিয়া অভিনয় করতে পারেন, সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি শাকিব। বর্তমানে তিনি ‘সোলজার’ ছবির কাজ করছেন, যেখানে তার বিপরীতে আছেন তানজিন তিশা ও জান্নাতুল ঐশী। এ ছাড়া শাকিবকে দেখা যাবে ‘প্রিন্স: ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায়, যেখানে নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা যাচ্ছে।   হানিয়া আমিরকে শাকিব খানের বিপরীতে দেখার গুঞ্জন নতুন নয়। গত সেপ্টেম্বরে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসে এক অনুষ্ঠানে হানিয়া বলেছিলেন, ‘তোমরা শাকিব খানকে অনেক বেশি পছন্দ করো, তাই আমারও পছন্দ শাকিব খান।’ এরপর থেকেই নতুন যৌথ প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়। এবার শাকিবের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই জল্পনা যেন আরও শক্ত হলো।

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
কিয়েভে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা, একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়া ভোররাতে ব্যাপক সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছে। একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আগুন ধরে যায়, সড়কে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ। এখনও হামলা চলমান।   কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ ও এক গর্ভবতী নারী। পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর কিয়েভজুড়ে সক্রিয় হয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রশাসন জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনায় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে। শহরের বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহেও সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বহু ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়—অগ্নিকাণ্ড, ভেঙে পড়া ভবন, ধ্বংসস্তূপ এবং আতঙ্কিত মানুষের ছুটোছুটি। অনেকে শহর ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো জানান, রুশ বাহিনী আবাসিক ভবনগুলোকে টার্গেট করছে। প্রায় প্রতিটি জেলাতেই বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মেয়র ক্লিচকো আরও বলেন, হামলায় শহরের হিটিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি জেলায় তাপ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ-পানির সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।   এদিকে উদ্ধারকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে আগুন নেভানো ও আহতদের সহায়তায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে কর্মকর্তাদের ধারণা, বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই এ হামলা চালানো হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি। ট্রাম্পের ওপর নির্মিত ৬ পর্বের একটি প্রামান্যচিত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হচ্ছিল ট্রাম্প সহিংসতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে ক্ষমা চাইলেও ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থাটি।   এ ঘটনায় ট্রাম্পের আইনজীবী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তবে বিবিসির দাবি তারা ট্রাম্পের মানহানি হওয়ার মতো কিছু খুঁজে পায়নি।   বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ জানিয়েছেন, তারা হোয়াইট হাউজে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ওই প্রামাণ্যচিত্রে তার বক্তব্য যেভাবে কাটা ও সাজানো হয়েছিল, সেটির জন্য তারা দুঃখিত। একই সঙ্গে তারা বলেছে— এই প্রামাণ্যচিত্র আর কোনো প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে না।   পরে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিবিসিকে নোটিশ দিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রত্যাহার, প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা এবং সৃষ্ট ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিলেন। না হলে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলারের মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ, প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পকে নিয়ে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” বক্তব্য দেখানো হয়েছে।   এই ঘটনায় বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টার্নেস পদত্যাগ করেছেন। টার্নেস বলেছেন, বিবিসি নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব আমার কাঁধেই।

ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসী গ্রহণ থেকে অব্যাহতি চাইতে পারে জার্মানি
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

  ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন আশ্রয়নীতি অনুযায়ী, ইইউতে আসা আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টনের কথা রয়েছে।   অর্থাৎ প্রতিটি দেশকে আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণ করতে হবে, না হলে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে। কিন্তু অন্তত আগামী বছর পর্যন্ত আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণের এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি চাইতে পারে জার্মানি।   ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ। এতে বলা হয়েছে, দেশটি ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।    গত সেপ্টেম্বরে জার্মান পার্লামেন্টে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জার্মানিতে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার কমেছে। ২০২৪ সালের শেষে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, সংখ্যাটি কমে এখন হয়েছে ৩৫ লাখ।   শরণার্থীর এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে জার্মানিতে বিভিন্ন মর্যাদায় বসবাসের অনুমতি পাওয়া আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীরা। নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থী থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে যারা দেশটিতে আছেন, তাদেরকেও রাখা হয়েছে এই তালিকায়। ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।   ডিপিএ-এর হাতে আসা নথিটি মূলত ইইউর অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার মাগনুস ব্রুনারের তথাকথিত ‘সংহতি পুল’ সম্পর্কিত বিশ্লেষণ। এই নথিতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, জার্মানি যুক্তি দেখাতে পারে যে তারা ইতোমধ্যেই বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের দায়িত্ব অন্য ইইউ রাষ্ট্রগুলোর হওয়া উচিত ছিল।   ইইউর আশ্রয় সংস্কারের অংশ হিসেবে গঠিত এই পুলের লক্ষ্য হলো অভিবাসন ইস্যুতে তীব্র চাপের মুখে থাকা বা সম্মুখসারির দেশগুলোর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে আনা।   এদিকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন ও আশ্রয় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর অভিবাসন চাপ মোকাবিলায় বিশেষ সহায়তা পাবে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ গ্রিস, সাইপ্রাস, স্পেন ও ইতালি। মঙ্গলবার ইউরোপীয় কমিশন সংহতি ব্যবস্থার মূল দাবিদার হিসেবে এ চারটি দেশের নাম ঘোষণা করেছে।   সামনের বছরগুলোতে বিপুল সংখ্যক আগমন বা গ্রহণ ব্যবস্থা নিয়ে চাপের মুখে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস।   সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো উত্থাপন করা অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণটিকে ইইউর নতুন আশ্রয়নীতি বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দায়িত্বগুলো আরও ন্যায্যভাবে বণ্টন ও ভারসাম্যপূর্ণ করা।   এখন ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলো এসব বিষয় বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ইনফোমাইগ্রেন্টস

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে আটক ৬ শতাধিক অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ আদালতের
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৩, ২০২৫ 0

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে আটক ৬ শতাধিক ব্যক্তিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন এক ফেডারেল বিচারক। মানবাধিকার সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে।   অবশ্য আদালতের এই রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।   সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানে আটক ৬১৫ জনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন এক ফেডারেল বিচারক। বুধবার দেওয়া এই রায়ের পর আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যেই তাদের মুক্তি দিতে হবে।   যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন জাস্টিস সেন্টার (এনআইজেসি) ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)–এর দাখিল করা মামলার রায়ে মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক জেফ্রি কামিংস এই আদেশ দেন। এই মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের “অপারেশন মিডওয়ে ব্লিটজ” নামে পরিচালিত অভিযানে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আইসিই বেআইনিভাবে বহু মানুষকে আটক করেছে।   এসিএলইউ ও এনআইজেসি জানায়, গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করছে সংগঠনটি।   বিচারক কামিংসের নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক আটকাদেশ নেই এবং যারা সমাজের জন্য কোনো বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করেন না, তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।   এনআইজেসি–এর আইনজীবী মার্ক ফ্লেমিং বলেন, “মোট ৬১৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন। কারণ অনেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছেন।”   অবশ্য মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তর এই রায়ের তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে।   সংস্থার মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রতিটি ধাপে কিছু কর্মীসুলভ বিচারক, আশ্রয়প্রদানকারী রাজনীতিক ও সহিংস দাঙ্গাকারীরা আইন প্রয়োগে বাধা দিয়েছে। এখন একজন ‘অ্যাক্টিভিস্ট বিচারক’ ৬১৫ অবৈধ অভিবাসীকে মুক্তি দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন।”   অবশ্য স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না সেটা এখনও জানায়নি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীরা শুক্রবার পর্যন্ত সময় চেয়ে রায়ের স্থগিতাদেশের আবেদন করেছেন।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী