বিশ্ব

টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে কমছে পাম তেলের দাম

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া, রিঙ্গিতের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া এবং মজুত বাড়ার আশঙ্কা—এই তিন কারণেই দামের ওপর বড় চাপ তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে জানুয়ারি সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ২২ রিঙ্গিত বা দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১০৩ রিঙ্গিতে (৯৭১ দশমিক ৩৫ ডলার)। এতে সাপ্তাহিক দরপতন দাঁড়ায় ০.১৫%।

সেলাঙ্গরভিত্তিক ব্রোকার প্রতিষ্ঠান পেলিনদুং বেস্তারির পরিচালক পারামালিঙ্গাম সুপ্রামানিয়াম বলেন, নভেম্বর মাসে সাধারণত চাহিদা কমে যায়। এর সঙ্গে রিঙ্গিতের দর শক্তিশালী হওয়া এবং মজুত বাড়ার সম্ভাবনা মিলেই দামে চাপ পড়েছে।

মালয়েশিয়া বিশ্বে অন্যতম বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। চলতি বছরে দেশটিতে উৎপাদন প্রথমবারের মতো দুই কোটি টন ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ার কারণে বছরের শেষে মজুত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতে পারে।

অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুত টানা আট মাস ধরে বাড়তে বাড়তে ছয় বছরেরও বেশি সময়ের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এ সময় রপ্তানি ১–১০ নভেম্বরের মধ্যে আগের মাসের তুলনায় ৯.৫% থেকে ১২.৩% কমেছে।

অন্যান্য ভোজ্যতেলের বাজারেও মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেল স্থির থাকলেও পাম অয়েল দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। তবে সিবিওটিতে সয়াবিন তেল দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

ভারতে ২০২৪–২৫ বিপণন বছরে পাম অয়েল আমদানি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, আর সয়াবিন তেল আমদানি রেকর্ড সর্বোচ্চে উঠেছে। চাহিদা কমার পেছনে দামের ব্যবধানকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছে দেশটির শিল্প সংগঠনগুলো।

এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের চাহিদা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালে বিশ্বে কয়লার চাহিদা রেকর্ডে পৌঁছাতে পারে : আইইএ

২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী কয়লার ব্যবহার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। বুধবার প্রকাশিত আইইএর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর কয়লার চাহিদা ০.৫ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৮.৮৫ বিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। শিল্প খাত চাঙ্গা করতে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগত সহায়তাও এ বৃদ্ধির একটি কারণ। আইইএ জানায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্পায়নের ফলে চীন ও ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তবে চীনে চাহিদা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কয়লা মানবসৃষ্ট কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উৎস হলেও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ায় দশকের শেষ দিকে এর চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে পারে। আইইএ আরও জানায়, ভারতে ভালো বর্ষার কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার কমেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও সরকারি নীতিগত সহায়তার কারণে কয়লার চাহিদা আবারও বাড়ছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

বন্ডি বিচে হামলায় নিহতদের প্রথম অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আজ

আরও সাতটি দেশ ও ফিলিস্তিনিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ ট্রাম্পের

ইরান যেন পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে: মোসাদ প্রধান

যুক্তরাজ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল বছরের রেকর্ড

স্যাঁতস্যাঁতে ও মেঘলা আবহাওয়ার জন্য পরিচিত যুক্তরাজ্য ২০২৫ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল বছর উপভোগ করেছে। বুধবার দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এ কথা জানায়। যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে গড়ে ১ হাজার ৬২২ ঘণ্টা সূর্যের আলো রেকর্ড করা হয়েছে, যা ইতোপূর্বে ২০০৩ সালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সংস্থাটি জানায়, বসন্তকালে ‘ব্যতিক্রমধর্মী’ পরিমাণ রোদ ও গ্রীষ্মজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে পরিষ্কার আকাশ এই রেকর্ড গড়তে সহায়তা করেছে। আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ঘন ঘন উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবের কারণে মেঘের পরিমাণ কমে যায় এবং দেশের অনেক অংশে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া দেখা যায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।  দীর্ঘ সময় পরিষ্কার আকাশ থাকার ফলে, ২০২৫ সালকে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল হিসেবে ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সেপ্টেম্বর মাসে জানায়, গ্রীষ্মকালীন মাসগুলোতে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬.১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০১৮ সালের আগের রেকর্ড ১৫.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছাড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে আরও ঘন ঘন ও তীব্র আবহাওয়াজনিত পরিবর্তন ঘটছে। তবে বুধবারের বিবৃতিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে আকাশে সূর্যের অবস্থানের পরিমাণে কোনো নির্দিষ্ট প্রবণতার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।’ সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, ১৯৮০-এর দশক থেকে যুক্তরাজ্যে সামগ্রিকভাবে সূর্য দেখা দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। যদিও “এই প্রবণতার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।   আবহাওয়া অফিস জানায়, ‘এটি প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলেও হতে পারে, তবে বায়ুমণ্ডলে অ্যারোসল কমে যাওয়াও একটি কারণ হতে পারে।’

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইইউ’র নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

থাই নির্বাচনে থাকসিনের ভাতিজাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনয়ন

ভেনেজুয়েলা থেকে নরওয়ে যাওয়ার পথে আহত নোবেলজয়ী মাচাদো

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কিশোর নিহত

গাজার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রামাল্লা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আম্মার ইয়াসের মোহাম্মদ তামারা (১৬) নামের এক কিশোর বুকে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী বেথলেহেমের দক্ষিণ-পূর্বে তুকু শহরে অভিযানের সময় তাকে গুলি করে।’ এএফপি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা এক বিবৃতিতে জানায়, তুকু এলাকায় একটি ‘সংঘর্ষ’ হয়েছে। সেখানে তাদের সৈন্যদের ওপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, সৈন্যরা দাঙ্গা ছত্রভঙ্গ করতে শক্তি প্রয়োগ করে এবং পরে একজন উসকানিদাতাকে শনাক্ত করে গুলি চালালে তিনি নিহত হন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘটনাটি পর্যালোচনাধীন রয়েছে। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল পশ্চিম তীর দখল করে আছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর থেকে সেখানে সহিংসতা বেড়েছে। গত অক্টোবর মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও হামলা থামেনি। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনা বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হামাসের সদস্যদের পাশাপাশি বহু বেসামরিক মানুষও রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি আক্রমণ বা ইসরাইলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৪৪ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সেনা ও বেসামরিক উভয়ই রয়েছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

হংকংয়ের জিমি লাইকে মুক্তি দিতে শি জিনপিংকে অনুরোধ ট্রাম্পের

প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক চোরাচালানকারী জাহাজে মার্কিন হামলায় নিহত ৮

ইরিত্রিয়ায় নির্বিচারে আটক ১০ হাজার ব্যক্তির মুক্তি দাবি করেছে জাতিসংঘ

0 Comments