বিশ্ব

বিহারে অনেকটা এগিয়ে এনডিএ জোট

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0

ভারতের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ভোট গণনার প্রাথমিক আভাসে এনডিএ জোট অনেকটাই এগিয়ে আছে। বেশ পিছিয়ে বিরোধী মহাজোট।

বিহার বিধানসভার মোট আসন ২৪৩টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২২ আসন। ভোট গণনার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এনডিএ জোট এগিয়ে থাকা আসনসংখ্যার দিক দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা পেরিয়ে গেছে।

বিহারে ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ দফায় ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি।

১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১২২টি আসনে। এ দফায় ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশের বেশি। দুই দফা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে।

স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। দ্য হিন্দু বলছে, ভোট গণনার প্রাথমিক আভাসে ১০৮ আসনে এগিয়ে এনডিএ জোট। বিরোধী মহাজোট এগিয়ে ৪১ আসনে। অন্যরা এগিয়ে ২৬ আসনে।

অন্যদিকে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, প্রাথমিক আভাসে ১৬০ আসনে এগিয়ে এনডিএ জোট। আর ৭৯ আসনে এগিয়ে বিরোধী মহাজোট।

দুই দফার ভোটের পর বুথফেরত জরিপ আভাস দিয়েছিল, বিহারে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। প্রতিটি জরিপেই দেখা যায়, এনডিএ জোট বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতে চলছে। এখন ভোট গণনার প্রাথমিক আভাসে একই ইঙ্গিত মিলছে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

শাবক দত্তক নিয়েছে মেরু ভালুক মা

কানাডার গবেষকরা মেরু ভালুকের বিরল দত্তক গ্রহণের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্য পরিবেশে একটি স্ত্রী মেরু ভালুক নিজের গর্ভের নয় এমন একটি শাবকের যত্ন নিচ্ছে। মন্ট্রিয়াল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানী ইভান রিচার্ডসন বলেন, মেরু ভালুকের মধ্যে শাবক দত্তক নেওয়ার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। তবে, গত ৪৫ বছরে আমাদের গবেষণা এলাকায় এ ধরনের ১৩টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছি। ম্যানিটোবার চার্চিল এলাকায় ওয়েস্টার্ন হাডসন বে বরাবর বার্ষিক মেরু ভালুকের অভিবাসনের সময় দত্তক নেওয়া শাবকের যত্ন নিতে থাকা একটি ভালুকের সেই দৃশ্য ধারণ করা হয়।  এলাকাটি ‘বিশ্বের মেরু ভালুকের রাজধানী’ নামে পরিচিত। গবেষকরা এর আগে বসন্তকালে ওই মা ভালুকটির মুখোমুখি হন, যখন সে তার প্রসূতি গুহা ছেড়ে বের হচ্ছিল। তখন তার সঙ্গে ছিল মাত্র একটি শাবক, যার কানে ট্যাগ লাগানো ছিল। এএফপিকে রিচার্ডসন জানান,  কয়েক সপ্তাহ আগে গবেষকরা একই মা ভালুকের দেখা পান। তবে, এবার তার সঙ্গে ছিল দ্বিতীয় একটি শাবক, যার কানে কোনো ট্যাগ ছিল না। তিনি আরও বলেন, পরে তথ্য পর্যালোচনা করে, আমরা বুঝতে পারি যে—ওই মা ভালুক একটি দ্বিতীয় শাবক দত্তক নিয়েছে। গবেষকদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বরফে ঢাকা বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে দুই শাবক, আর তাদের পেছনে পায়চারি করছে মা ভালুক।  একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি শাবক তাড়াহুড়ো করে অন্যদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। দুই শাবকের বয়স বর্তমানে ১০ থেকে ১১ মাস এবং তারা সম্ভবত প্রায় আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের সঙ্গেই থাকবে। গবেষকদের কাছে এখনো দত্তক নেওয়া শাবকটিকে জন্ম দেওয়া মায়ের পরিণতি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তবে রিচার্ডসনের মতে, মাতৃত্বসুলভ সুরক্ষা পাওয়া শাবকটির প্রাপ্তবয়স্ক বয়স পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এটা সত্যিই একটি হৃদয়ছোঁয়া ঘটনা যে স্ত্রী ভালুকটি শাবকটির দেখভাল করছে এবং এতে শাবকটির বেঁচে থাকার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। রিচার্ডসন বলেন, এই স্ত্রী মেরু ভালুকগুলো অসাধারণ মা। তারা স্বভাবগতভাবেই সন্তান লালন-পালনের জন্য প্রস্তুত থাকে। যদি কোনো একা শাবক কান্নাকাটি করতে করতে ঘুরে বেড়ায়, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে নেয়।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্র ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন

অসলো ত্যাগ করেছেন ভেনেজুয়েলার নোবেল বিজয়ী মাচাদো

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় আহত ২৬

ছবি : সংগৃহীত
ইউএইতে রমজান কবে শুরু, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ

নতুন বছরকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং মাসটি ২৯ অথবা ৩০ দিন স্থায়ী হতে পারে।   সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানান, রমজান ২৯ দিনের হলেও ইউএইর সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ৩০তম দিনটি ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ফলে ঈদুল ফিতরে টানা চার দিনের ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সম্ভাব্যভাবে ঈদের ছুটি ১৯ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত হতে পারে। জ্যোতির্বিদদের পূর্বাভাসে ঈদুল ফিতর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ২০ মার্চ। এদিকে, ২০২৬ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষেও দীর্ঘ ছুটি পাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। সরকারি ছুটি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আরাফাত দিবস হতে পারে ২৬ মে এবং ঈদুল আজহা শুরু হতে পারে ২৭ মে। এ ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত চলতে পারে। সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হলে বাসিন্দারা সর্বোচ্চ ছয় দিনের টানা ছুটি উপভোগ করার সুযোগ পেতে পারেন। তবে অন্যান্য ইসলামি ছুটির মতোই ইউএইতে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির দিন ঘোষণা করবে। সূত্র: গালফ নিউজ

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালে বিশ্বে কয়লার চাহিদা রেকর্ডে পৌঁছাতে পারে : আইইএ

বন্ডি বিচে হামলায় নিহতদের প্রথম অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আজ

আরও সাতটি দেশ ও ফিলিস্তিনিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ ট্রাম্পের

ইরান যেন পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে: মোসাদ প্রধান

ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া মঙ্গলবার বলেছেন, ইরান যাতে তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে না পারে ইসরাইলকে তা ‘নিশ্চিত’ করতে হবে। ইরান-ইসরাইলের ১২ দিনব্যাপী যুদ্ধ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর তিনি এই মন্তব্য করলেন। জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়। জেরুজালেমে মোসাদ এজেন্টদের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার্নিয়া বলেন, ‘পারমাণবিক বোমা তৈরির ভাবনা এখনো তাদের হৃদয়ে রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের যে মারাত্মক ক্ষতি করেছি, তা যেন আর কখনোই সচল হতে না পারে, সেই দায়িত্ব আমাদেরই পালন করতে হবে।’ ২০২৬ সালের জুনে বিদায় নিতে যাওয়া এই গোয়েন্দা প্রধান যুদ্ধের শুরুতে ইসরাইলের আকস্মিক হামলার প্রশংসা করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ওই হামলার মাধ্যমেই বোঝা গেছে ইরানে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের কত গভীর অনুপ্রবেশ ছিল। বার্নিয়া বলেন, ‘আয়াতুল্লাহর শাসনব্যবস্থা হঠাৎ টের পায় যে, ইরান পুরোপুরি উন্মোচিত এবং সেখানে আমরা গভীরভাবে ঢুকে পড়েছি।’ তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইরান বিশ্বকে আবারও ধোঁকা দিতে চায় এবং আরেকটি ত্রুটিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা অতীতেও এমন কোনো খারাপ চুক্তি হতে দেইনি এবং ভবিষ্যতেও দেব না।’ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে তেহরান সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ইসরাইল ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। ওমানের মধ্যস্থতায় গত এপ্রিলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ জুন ইরানের ওপর ইসরাইলের আকস্মিক হামলার ফলে সেই আলোচনা থমকে যায়। ওই হামলার সূত্র ধরেই ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনো অস্পষ্ট। পেন্টাগন জানিয়েছে, হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে। তবে মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতি মাত্র কয়েক মাসের। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘স্বপ্ন দেখতেই থাকুন।’

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

যুক্তরাজ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল বছরের রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইইউ’র নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

থাই নির্বাচনে থাকসিনের ভাতিজাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনয়ন

0 Comments