নিজস্ব প্রতিবেদক গোদাগাড়ীঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আগাছানাশক প্রয়োগে বোরো ধানের চারা মরে যাচ্ছে। গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের বিড়ইল,শেীরামপুর,রৈাগীতলা,বলিয়াডাং,দাদৌড়,মধুমাঠ,বিজয়নগর ও আই হাই এলাকায় বোরো জমিতে আগাছানাশক প্রয়োগ করলে ৩০০ বিঘা জমির বোরো ধান সম্পর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব এলাকার কৃষকেরা জানান এসিআই এ্যাগ্রো কোম্পানীর জাম্প নামক আগাছানাশক বোরো ধানে প্রয়োগ করলে ঘাসের সঙ্গে ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবহার করে কোন লাভ হচ্ছে না। বিজয়নগর বøকে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোসেন বলেন জাম্প নামক আগাছানাশক প্রয়োগে ধানের চারা গোড়া ও শিকড়ে পচন ধরেছে। নতুন করে চারার কুশি তৈরী হচ্ছে না। পচন রোধে কৃষকেরা অন্য কীটনাশক ব্যবহার করে। কিন্ত পচন রোধ না হওয়ায় ধানের চারা মরে যাচ্ছে।উপজেলার বিড়ইলের কৃষক ইসারুল হক বলেন স্থানীয় কীটনাশকের দোকান থেকে সংগ্রহ করে ১২ বিঘা জমির বোরো ধানে জাম্প নামক আগাছানাশক প্রয়োগ করে। দুইদিন পর জমির ঘাস সঙ্গে ধান মরা শুরু করে। এতে করে এক সপ্তহের ব্যবধানে সম্পর্ণ বোরো ধানের চারা মরে যায়। প্রতি বিঘা বোরো ধান চাষে কৃষক এসারুলের খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। উপজেলার শ্রীরাম পুরের কৃষক আব্দুর রহিমের ৪ বিঘা, আইনালের ৩ বিঘা,বলিয়াডাংয়ের মাজারুলের ৫বিঘাসহ এ এলাকার শতাধিক কৃষকের ৩০০বিঘা জমির বোরো ধান আগাছানাশক প্রয়োগের কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গোদাগাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন জাম্প নামক আগাছানাশক বোরো ধানে প্রয়োগের আগে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহন করেনি কৃষকরা। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করে সার্বিক বিষয়ে রিপোট দেয়া হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে।এ প্রসঙ্গে এসিআই এ্যগ্রো কোম্পানীর বিজনেস ম্যানেজার বি এম সাইফুল্লাহ বলেন জমিতে ধানের চারা রোপনের এক সপ্তাহের মধ্যে জাম্প নামক আগাছানাশক প্রয়োগ করতে হয়। কিন্ত সঠিক সময়ে না মেনে ও মাত্রারিক্ত প্রয়োগের কারণে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। এসিআইয়ের মাঠ পর্যাযে কর্মকর্তারা কারণ নির্ণয় ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরী করছে। জাম্প নামক আগাছানাশক প্রয়োগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্থিকভাবে সহায়তা করবে এসিআই এ্যগ্রো কোম্পানী।
খবর৭১/জি: