সেলিম হায়দার,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে সেখানকার প্রধান শিক্ষকের চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দীর্ঘ ২১ বছর পরিষদে থাকার পর মনোনয়ন ক্রয় করলেও এবার তা জমা পড়েনি নির্বাচন কমিশনে। এমনটি অভিযোগ এনে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ চেয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম লিয়াকত হোসেন। বৃহস্পতিবার তালা উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনর কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি নির্বাচনটি সাময়িক স্থাগিত করেছেন।
অভিযোগে জানাগেছে,তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী মার্চে। সে অনুযায়ী সেখানকার নির্বাচন কমিশন তফশীল ঘোষণাও করেন। তবে এবার প্রথম থেকেই একটি তঞ্চকতাপূর্ণ কমিটি গঠনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার দাশ নানামুখি ষড়যন্ত্র শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম লিয়াকত হোসেনকে এবার নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য প্রথম থেকেই উঠে পড়ে লাগে। যার ধারাবাহিকতায় বরাবরের মত এবারো সেখানকার আজীবন দাতা সদস্য লিয়াকত হোসেন মনোয়ন পত্র ক্রয় করলেও একটি অশুভ চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ তার মনোনয়ন পত্রটি নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেননি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে লিয়াকত হোসেন বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন যে,তার মনোনয়ন পত্রপি এবার জমা পড়েনি। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারী বিষয়টি অবহিত করে প্রধান শিক্ষককে দায়ী করে নির্বাচন বন্ধে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষাবোর্ড যশোরের মহাপরিচালক,মাউশির খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক,তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা,বিদ্যালয়ের সভাপতি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী এসএম লিয়াকত হোসেন বলেন,তিনি গত প্রায় ২১ বছর ধরে বিদ্যালয়টির আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবার তাকে নির্বাচনের বাইরে অর্থাৎ পরিচালনা পরিষদের বাইরে রাখার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার দাশ তার মনোনয়নপত্রটি কমিশনে জমা দেননি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার দাশের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,উপরি মহলের চাপ রয়েছে তার উপর। তার বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র চলছে।
এব্যাপারে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি নির্বাচন কমিশনের পক্ষাবলম্বন করে বলেন,দাতা সদস্য হিসেবে এস এম লিয়াকত হোসেন কোন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। এছাড়া এব্যাপারে তার কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ জমা হয়নি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম ফজলুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন,অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হচ্ছে। তার জানামতে লিয়াকত হোসেন মনোনয়নপত্র সংগহ্র করে তা জমা দিয়েছিলেন। সর্বশেষ তার মনোনয়ন জমা না হওয়ায় নির্বাচনের উপর স্থাগিতাদেশ চেয়ে তার নিকট একটি আবেদনপত্র জমা হয়েছে।
তালা উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি নির্বাচনটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: