সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
বায়ু দূষণের ছোবলে দক্ষিণ এশিয়া, বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক

দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল জনপদ আজ এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটের মুখে। এক সময়ের উর্বর এই অঞ্চলটি এখন বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুস্তরে ঢাকা পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের এই অঞ্চলে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। 🌫️   বায়ু দূষণ এখন আর শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর দূষণের কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। একই সঙ্গে এতে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সীমান্তপারের দূষণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘পরিবর্তনের নিশ্বাস: ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে (আইজিপি-এইচএফ) পরিষ্কার বাতাসের সমাধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলটি বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস। এখানে রান্না ও গরমের জন্য কঠিন জ্বালানি পোড়ানো, ফিল্টারবিহীন জীবাশ্ম জ্বালানি ও জৈববস্তু পোড়ানো, অদক্ষ যানবাহনের ব্যবহার এবং শিল্প দূষণ বড় ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া কৃষকদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো, অপরিকল্পিত সার ব্যবস্থাপনা এবং পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য পোড়ানোর কারণেও দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এসব উৎস থেকেই এই অঞ্চলের বাতাস ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। প্রতিবেদনে পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করতে সমাধানগুলোকে তিনটি মূল ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উৎসস্থলেই নির্গমন কমানো। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। তৃতীয়ত, কার্যকর নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বাজারভিত্তিক উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি বহুখাতভিত্তিক অগ্রগতি বজায় থাকে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশগত অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, এই প্রতিবেদনটি দেখায় যে সমাধানগুলো বাস্তবায়নের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি সমন্বিত ও প্রমাণভিত্তিক রোডম্যাপ, যা পরিষ্কার প্রযুক্তি গ্রহণে পরিবার, কৃষক ও উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করবে। সমাধান বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য প্রতিবেদনে চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রাপ্যতা, পরিবেশবান্ধব আচরণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং ক্লিন এনার্জি ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামো উন্নয়ন।   দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ অনুশীলন ব্যবস্থাপক অ্যান জেনেট গ্লোবার বলেন, পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করতে স্থানীয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ধারাবাহিক সহযোগিতা অপরিহার্য। সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই দূষণ কমিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং সবার জন্য নিরাপদ বাতাস নিশ্চিত করা সম্ভব। 🌱

১২ মিনিট আগে
ডিজিএফআই কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে জেআইসি সেল গুম মামলার বিচার শুরু

জেআইসি সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, শাইখ মাহদীসহ অন্যান্য সদস্যরা। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। অন্য আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর। তবে ওই দিন কোনো আদেশ না দিয়ে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তীতে আজকের দিন নির্ধারণ করেন। একই সময়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুম—এই চারটি কারণে অব্যাহতির আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানান। শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম ও মো. আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা শুনানিতে অংশ নেন। এ মামলায় প্রসিকিউশন পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৬ জনকে গুম করে অমানবিক নির্যাতনের শিকার করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। এর আগে, ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের জন্য স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ পেলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ৩ ডিসেম্বর দায়িত্ব প্রত্যাহার করেন। পরে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়।   এরও আগে, ৮ অক্টোবর মামলায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

২৬ মিনিট আগে
হিম বাতাসে কাঁপছে দেশ, শীত নিয়ে নতুন বার্তা

হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও ঘন কুয়াশার দেখা মেলেনি। এরপর সকাল গড়াতেই আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা যায়, তবে শীতের দাপট তাতে কমেনি। এ অবস্থায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই কার ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

৫০ মিনিট আগে
নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত

গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ মাসে সারাদেশে মোট ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৪ জন নারী ও ৭১ জন শিশু রয়েছে।   রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী প্রাণ হারান। এছাড়া ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অন্যদিকে, ৪৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের মাস অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪ দশমিক ২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১ জনে। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যানবাহনভিত্তিক নিহতের হিসাব তুলে ধরে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন। বাসের যাত্রী নিহত ২৪ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহনের আরোহী ২২ জন এবং প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের আরোহী ১৪ জন। থ্রি-হুইলার যাত্রী নিহত হয়েছেন ৮৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ৩১ জন এবং রিকশা ও বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন ৯ জন। দুর্ঘটনাস্থল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৩১টি দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৭১টি শহরের সড়কে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী, ১২২টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৫৯টি পেছন থেকে আঘাত এবং ৭টি অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে। বিভাগভিত্তিক হিসেবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শেরপুর ও পঞ্চগড় জেলায়, যেখানে ৯টি দুর্ঘটনায় ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও ঝুঁকিপূর্ণ মানসিকতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টার অভাব, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহনে চাঁদাবাজি। সুপারিশে বলা হয়েছে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ জোরদার করতে হবে এবং চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে রোড ডিভাইডার স্থাপন এবং গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   এছাড়া রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমানো, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

৫৭ মিনিট আগে
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়
ডিজিএফআই কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে জেআইসি সেল গুম মামলার বিচার শুরু

জেআইসি সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, শাইখ মাহদীসহ অন্যান্য সদস্যরা। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন— লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। অন্য আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর। তবে ওই দিন কোনো আদেশ না দিয়ে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তীতে আজকের দিন নির্ধারণ করেন। একই সময়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুম—এই চারটি কারণে অব্যাহতির আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানান। শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম ও মো. আমির হোসেনসহ অন্যান্যরা শুনানিতে অংশ নেন। এ মামলায় প্রসিকিউশন পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৬ জনকে গুম করে অমানবিক নির্যাতনের শিকার করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। এর আগে, ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের জন্য স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ পেলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ৩ ডিসেম্বর দায়িত্ব প্রত্যাহার করেন। পরে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়।   এরও আগে, ৮ অক্টোবর মামলায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারা আশাবাদী এবং ধীরে ধীরে তিনি সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে শারীরিক অবস্থার দিক থেকে আগের অবস্থার সঙ্গে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিচালনা করছে। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। বয়সজনিত কারণ এবং দীর্ঘদিন অনিয়মিত চিকিৎসার ফলে তার শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে তিনি বর্তমানে কিছুটা কঠিন সময় পার করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিয়মিতভাবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সার্বিক তদারকি করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসজনিত সমস্যার কারণে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। এসব কারণে বর্তমানে তাকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো তৈরি হয়নি।   অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রতিদিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখছেন এবং চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন।

ছবি : সংগৃহীত
বায়ু দূষণের ছোবলে দক্ষিণ এশিয়া, বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ : বিশ্বব্যাংক

দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল জনপদ আজ এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটের মুখে। এক সময়ের উর্বর এই অঞ্চলটি এখন বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুস্তরে ঢাকা পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের এই অঞ্চলে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। 🌫️   বায়ু দূষণ এখন আর শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর দূষণের কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। একই সঙ্গে এতে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সীমান্তপারের দূষণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘পরিবর্তনের নিশ্বাস: ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে (আইজিপি-এইচএফ) পরিষ্কার বাতাসের সমাধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলটি বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস। এখানে রান্না ও গরমের জন্য কঠিন জ্বালানি পোড়ানো, ফিল্টারবিহীন জীবাশ্ম জ্বালানি ও জৈববস্তু পোড়ানো, অদক্ষ যানবাহনের ব্যবহার এবং শিল্প দূষণ বড় ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া কৃষকদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো, অপরিকল্পিত সার ব্যবস্থাপনা এবং পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য পোড়ানোর কারণেও দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এসব উৎস থেকেই এই অঞ্চলের বাতাস ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। প্রতিবেদনে পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করতে সমাধানগুলোকে তিনটি মূল ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উৎসস্থলেই নির্গমন কমানো। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। তৃতীয়ত, কার্যকর নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বাজারভিত্তিক উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি বহুখাতভিত্তিক অগ্রগতি বজায় থাকে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশগত অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, এই প্রতিবেদনটি দেখায় যে সমাধানগুলো বাস্তবায়নের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি সমন্বিত ও প্রমাণভিত্তিক রোডম্যাপ, যা পরিষ্কার প্রযুক্তি গ্রহণে পরিবার, কৃষক ও উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করবে। সমাধান বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য প্রতিবেদনে চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রাপ্যতা, পরিবেশবান্ধব আচরণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং ক্লিন এনার্জি ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামো উন্নয়ন।   দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ অনুশীলন ব্যবস্থাপক অ্যান জেনেট গ্লোবার বলেন, পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করতে স্থানীয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ধারাবাহিক সহযোগিতা অপরিহার্য। সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই দূষণ কমিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং সবার জন্য নিরাপদ বাতাস নিশ্চিত করা সম্ভব। 🌱


নভেম্বরে সড়কে
নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত

গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ মাসে সারাদেশে মোট ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৪ জন নারী ও ৭১ জন শিশু রয়েছে।   রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী প্রাণ হারান। এছাড়া ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অন্যদিকে, ৪৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের মাস অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪ দশমিক ২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১ জনে। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যানবাহনভিত্তিক নিহতের হিসাব তুলে ধরে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন। বাসের যাত্রী নিহত ২৪ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহনের আরোহী ২২ জন এবং প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের আরোহী ১৪ জন। থ্রি-হুইলার যাত্রী নিহত হয়েছেন ৮৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ৩১ জন এবং রিকশা ও বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন ৯ জন। দুর্ঘটনাস্থল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৩১টি দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৭১টি শহরের সড়কে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী, ১২২টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৫৯টি পেছন থেকে আঘাত এবং ৭টি অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে। বিভাগভিত্তিক হিসেবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শেরপুর ও পঞ্চগড় জেলায়, যেখানে ৯টি দুর্ঘটনায় ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও ঝুঁকিপূর্ণ মানসিকতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টার অভাব, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহনে চাঁদাবাজি। সুপারিশে বলা হয়েছে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ জোরদার করতে হবে এবং চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে রোড ডিভাইডার স্থাপন এবং গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   এছাড়া রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমানো, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত
মনোনীত প্রার্থীদের সাথে আজও বিএনপির বৈঠক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি মনোনিত প্রার্থীদের মধ্যে আজও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০ জনের সাথে মতবিনিময় করবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।   আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখে গেছে, সকাল থেকে প্রার্থীরা আসতে শুরু করেছে। সকাল ১১টায় শুরু হবে বৈঠক। দুপুরে তাদের সাথে যুক্ত হবেন তারেক রহমান।   মূলত নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে এই অনুষ্ঠানে। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আজ দ্বিতীয় দিন।   ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম দফায় ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।   সব মিলিয়ে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে সামনে এসেছে দলটির প্রার্থীদের নাম।

ছবি : সংগৃহীত
হিম বাতাসে কাঁপছে দেশ, শীত নিয়ে নতুন বার্তা

হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও ঘন কুয়াশার দেখা মেলেনি। এরপর সকাল গড়াতেই আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা যায়, তবে শীতের দাপট তাতে কমেনি। এ অবস্থায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই কার ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়—অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

বাংলাদেশ দল। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বকাপের আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশের, চূড়ান্ত প্রতিপক্ষ

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সপ্তাহখানেক আগে ভারত যাবে টাইগাররা। সেখানে মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষও।   বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জানান, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে ২ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। সংবাদমাধ্যমকে ফাহিম বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ২৮ জানুয়ারি আমরা ব্যাঙ্গালুরু যাবো। নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের সাথে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব।’ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথে জায়গায় পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও ইতালি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি লিটনদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা সময় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৭ ফেব্রুয়ারি, নেপালের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। প্রতিটি গ্রুপ পর্ব থেকে দুটি করে দল সুপার এইটে জায়গা করে নেবে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে অংশ নিতে ২৮ জানুয়ারি ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। তার আগে দেশেই ২-৩ দিনের জন্য ছোটখাটো একটি ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির।  

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো ২০২৫ শুরু কলকাতায়, কোয়াবের ৬০ অতিথির অংশগ্রহণ
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো' ২০২৫ এর পর্দা উন্মোচন হল। কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটিসহ বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন প্রযুক্তির খোঁজ,পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ২৬তম আন্তর্জতিক কেবল টিভি শো। কেবল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফাকচারার্স আয়োজিত এই মেগা মেলায় সার্ক অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেবল অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড শো হিসেবে স্বীকৃত।   বুধবার শুরু হওয়া তিনদিনের এই মেলা চলবে শনিবার ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরমা আইল্যান্ডের মিলন মেলার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এ বছর নতুন প্রযুক্তি এবং শিল্প সহায়ক যন্ত্রপাতি নিয়ে ৯০টি স্টল রয়েছে। যেখানে কেবল কানেকশন, ব্রডব্যান্ড, নেটওয়ার্কিং, সার্ভিলেন্স, ওটিটি'র মত টেকনোলজিক্যাল আপডেট সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির নানা প্রদর্শনী থাকছে।   ভারতের দিল্লী, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহারসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কেবল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার, এমএসও এবং ব্রডকাস্টাররা এবারের মেলায় যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের প্রচুর কেবল অপারেটররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে বাণিজ্য বাংলাদেশ সরকারের সবুজ সংকেত না থাকায় একই সঙ্গে ভিসা জটিলতায় এবারের মেলায় স্টল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে মেলায় যোগ দিয়েছে প্রায় ৬০ জন কেবল অপারেটরের একটি প্রতিনিধি দল। কেবল টিভি পরিষেবা ও ব্যবসার জন্য নতুন যে সমস্ত প্রযুক্তি এসেছে, স্টলে ঘুরে ঘুরে তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ক্রয় করছেন।   আইসিএনসিলের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া জানিয়েছেন, এটি ভারতের সর্ববৃহৎ কেবল টিভি শো। যেখানে কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি সব কিছু একসঙ্গে নিয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে।   তিনি বলেন, যখনই কোনো টেকনোলজি আপডেট হয়, তখন মানুষই লাভবান হন। ফলে এই প্রদর্শনী মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবা দেয়ার লক্ষ্যেই করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকায় তিনিও আফসোস করেন তবে তার প্রত্যাশা, দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে।   বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানান, ভারতের ভিসা নীতির জটিলতার কারণে এই বছর কয়েক'শ কেবল অপারেটররা আসতে পারেননি। বিগত বছরে এই কেবল টিভি শো অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর অনেকের যোগদান করার কথা ছিল। আগামী দিনে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।

ছবি : সংগৃহীত
ব্রাজিলে ধসে পড়লো রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

ব্রাজিলের একটি শহরে প্রবল বাতাসে ধসে পড়েছে রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ‘স্ট্যাচু' ভাঙার দৃশ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।    মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে।   সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় স্ট্যাচুটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।   উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতীকী হিসেবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকাটি স্থাপন করে।

ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন সিনেটে ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল পাস
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

মার্কিন সিনেটে পাস হলো রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৭৭-২০ ভোটে পাস হয় বিলটি।   প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।   অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে মূলত চীন-রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা করতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধান রাখা হয়েছে। এর আওতায় আগামী দুই বছরে ইউক্রেনকে ৪শ' করে মোট ৮শ' মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে ওয়াশিংটন। আরেক মিত্র ইসরায়েল পাবে ৬শ' মিলিয়ন ডলারের সহায়তা।   বাজেটে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সিজার আইনও বাতিল করা হবে। এছাড়া, তাইওয়ানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার।   কমানো হবে ইউরোপ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা। প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে সামরিক সদস্যদের বেতন।   উল্লেখ্য, এনডিএএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অতি বিরল আইনগুলোর একটি, যা সাধারণত দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়ে থাকে। তবে এ বছরের প্রক্রিয়াটা ছিল তুলনামূলক জটিল।   এবার ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগের ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।

ছবি : সংগৃহীত
বন্ডাই বিচে হামলাকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত, দাবি পুলিশের
আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ওপর হামলার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হামলাকারী। তদন্ত কর্মকর্তা কিংবা ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই এক হামলাকারীকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে খবর প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় গণমাধ্যম।   তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, নাভিদ আকরাম নামের আসল হামলাকারী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আর তার বাবা অপর হামলাকারী সাজিদ আকরাম একজন ভারতীয় নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান সাজিদ আকরাম নামের ওই ব্যক্তি। তার পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন।   ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রচার করায় হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এক হামলাকারীর সাথে নাম মিলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অন্য এক নিরাপরাধ পাকিস্তানির ছবি। এতে চরম হয়রানি শিকার হন নাভিদ আকরাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।   হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। একে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানান, দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।   পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়ে দেয় যে হামলাকারীদের একজন পাকিস্তানি। এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছিল না। তবে আমরা জানি, পাকিস্তানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু শত্রু দেশ এ কাজ করেছে।     ২৭ বছর আগে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর, মাত্র ৬ বার নিজ দেশে গিয়েছিল প্রাণ হারানো হামলাকারী সাজিদ। তবে সেখানে থাকা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল খুবই সীমিত। আর তার উগ্রবাদী মানসিকতা সম্পর্কেও জানতো না তারা- জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী