খবর৭১ঃ ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের যোগ্যতা ও মানবণ্টন ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দের সমন্বয়ের গঠিত আহবায়ক কমিটির সভা শেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষণা দেন।
জানা যায়, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ আবেদন করতে ৭ পয়েন্ট লাগবে। ব্যবসায় সাড়ে ৬ এবং মানবিকে উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ৬ থাকতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনে কোন ফি নেওয়া হবে না। পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে যারা দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হবে তারা ৫০০টাকা আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের অপশন দেয়া হবে সে কোথায় বসতে চায়। তার কাছের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ২০টি অপশন থাকবে। ২০টি অপশন অনুযায়ী তাদেরকে ঐ কেন্দ্রে বসতে দেয়া হবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কোনও শিক্ষার্থীকে আবেদনের যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করতে চাই না। আমরা চাই এবার যেন সবাই আবেদন করতে পারে। সেজন্য আবেদনের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
এবার মানবণ্টনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০, রসায়নে ২০, জীববিজ্ঞান, গণিত এবং আইসিটি মিলে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। জীববিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিতের মধ্যে যে কোনও দুটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। আর বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানে ২৫ নম্বর, বিজনেস অর্গানাইজেশন ও ম্যানেজমেন্টে ২৫, আইসিটিতে ২৫, বাংলায় ১৩ এবং ইংরেজি বিষয়ে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। আর মানবিক বিভাগে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
সভায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়া বাকি ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন