বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারা আশাবাদী এবং ধীরে ধীরে তিনি সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে শারীরিক অবস্থার দিক থেকে আগের অবস্থার সঙ্গে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিচালনা করছে। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। বয়সজনিত কারণ এবং দীর্ঘদিন অনিয়মিত চিকিৎসার ফলে তার শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে তিনি বর্তমানে কিছুটা কঠিন সময় পার করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিয়মিতভাবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সার্বিক তদারকি করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসজনিত সমস্যার কারণে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। এসব কারণে বর্তমানে তাকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো তৈরি হয়নি। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রতিদিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখছেন এবং চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সপ্তাহখানেক আগে ভারত যাবে টাইগাররা। সেখানে মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষও। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জানান, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে ২ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। সংবাদমাধ্যমকে ফাহিম বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ২৮ জানুয়ারি আমরা ব্যাঙ্গালুরু যাবো। নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের সাথে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব।’ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথে জায়গায় পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও ইতালি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি লিটনদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা সময় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৭ ফেব্রুয়ারি, নেপালের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। প্রতিটি গ্রুপ পর্ব থেকে দুটি করে দল সুপার এইটে জায়গা করে নেবে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে অংশ নিতে ২৮ জানুয়ারি ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। তার আগে দেশেই ২-৩ দিনের জন্য ছোটখাটো একটি ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির।
বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের মুখোমুখি হয়ে তাকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন হালের হার্টথ্রব কার্তিক আরিয়ান। তবে তা কোনো বিবাদে নয়, বরং নির্মল হাসিখুশিতে ভরা এক আড্ডায়। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’ (কেবিসি)-র মঞ্চে সম্প্রতি অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডে। সেখানেই অমিতাভকে একগুচ্ছ ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বিপাকে ফেলেন কার্তিক। সনি টিভির পক্ষ থেকে শেয়ার করা ওই পর্বের প্রমোতে দেখা যায়, জেন-জি তারকাদের সঙ্গে দারুণ মেজাজে আছেন অমিতাভ। কার্তিককে ‘ওজি বয়’ এবং অনন্যাকে ‘আল্টিমেট ট্রেন্ড সেটার’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। আড্ডার এক পর্যায়ে কার্তিক অমিতাভকে ‘কোরিয়ান হার্ট’ সাইন তৈরি করা শেখান। তবে আসল মজা শুরু হয় যখন কার্তিক তার ‘র্যাপিড ফায়ার’ রাউন্ড শুরু করেন। কার্তিকের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি কি কখনো জয়া জির কাছ থেকে লুকিয়ে কিছু খেয়েছেন?’ প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ মুখে কিছু না বললেও, তার চপল ভঙ্গি আর জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটার অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল উত্তরটি ‘হ্যাঁ’। এরপরই কার্তিক জানতে চান, ‘স্যার, জয়া বচ্চন কি আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড জানেন?’ মজার ছলে তিনি জবাব দেন, ‘আমি কি পাগল যে তাকে এসব বলে দেব!’ বর্ষীয়ান এই অভিনেতার এমন রসিকতায় স্টুডিওতে হাসির রোল ওঠে। বর্তমানে কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডে ব্যস্ত রয়েছেন তাদের আসন্ন সিনেমা ‘তু মেরি ম্যায় তেরা, ম্যায় তেরা তু মেরি’-র প্রচারণা নিয়ে। রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার এই ছবিটি আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি বক্স অফিসে কার্তিকের দুর্দান্ত সাফল্যের ধারা এই ছবির মাধ্যমেও বজায় থাকে কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এক ওভারে এক রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রশিদ খান, টম ব্যান্টন ও গজনফরকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা এই পেসার। ফিজ এমন সময়ে জাদুকরি এক ওভার উপহার দিলেন, যখন আগের দিন আইপিএল নিলামে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ফিল্ডার ক্যাচ ফেলার পর শেষ বলে ছক্কা হজম করায় 'দ্য ফিজ'-এর বোলিং ফিগার যদিও খুব একটা দীপ্তিময় নয়, তবু এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হলো না। তার দল হেরেছে ৭ রানে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ১১ রান দিয়ে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। তবে এরপর ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে কামিন্দু মেন্ডিস ও ব্যান্টনকে দেন ৬ রান। ১৮তম ওভারে ১ রান দিয়ে এই বাঁহাতি পেসার যখন ৩ উইকেট নিলেন, মনে হচ্ছিল, চিরচেনা মোস্তাফিজের দেখা মিলেছে। তবে শেষ ওভারে গচ্ছা দেন ১৬ রান। ব্যাট হাতেও মোস্তাফিজের সুযোগ হয়েছিল মাঠে নামার। তখন তার দলের প্রয়োজন ছিল ৫ বলে ১৬ রানের। তবে ফিজ ১ রান করেই রানআউট হন। ৭ রানে হারতে হয় দুবাই ক্যাপিটালসকে। এর আগে, আইএল টি-টোয়েন্টিতে ৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। নিজের অভিষেক আসরে প্রথম পাঁচ ম্যাচ শেষে ফিজের উইকেট হলো ৯টি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারা আশাবাদী এবং ধীরে ধীরে তিনি সুস্থতার পথে এগোচ্ছেন। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে শারীরিক অবস্থার দিক থেকে আগের অবস্থার সঙ্গে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিচালনা করছে। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। বয়সজনিত কারণ এবং দীর্ঘদিন অনিয়মিত চিকিৎসার ফলে তার শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে তিনি বর্তমানে কিছুটা কঠিন সময় পার করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিয়মিতভাবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সার্বিক তদারকি করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসজনিত সমস্যার কারণে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। এসব কারণে বর্তমানে তাকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো তৈরি হয়নি। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান প্রতিদিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখছেন এবং চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন হাদির খোঁজখবর নেন। পরে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোনে হাদির সর্বশেষ চিকিৎসা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। ফোনালাপে তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এদিকে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমী (৩০) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকায় অবস্থিত জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তারা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। হাজারীবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রুমী পারিবারিকভাবে মানসিক চাপে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) অভিযোগ দাখিলের তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। ওবায়দুল কাদের ছাড়া আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দীন নাসিম, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলি আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম ও সম্পাদক শেখ ওয়ালি হাসান ইনান। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আগষ্টের আন্দোলন দমন ও হত্যাযজ্ঞসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের উস্কানি ও নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দমন নিপিড়ন চালায় বলেও অভিযোগ আনা হয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি মনোনিত প্রার্থীদের মধ্যে আজও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০ জনের সাথে মতবিনিময় করবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখে গেছে, সকাল থেকে প্রার্থীরা আসতে শুরু করেছে। সকাল ১১টায় শুরু হবে বৈঠক। দুপুরে তাদের সাথে যুক্ত হবেন তারেক রহমান। মূলত নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে এই অনুষ্ঠানে। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আজ দ্বিতীয় দিন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম দফায় ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। সব মিলিয়ে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে সামনে এসেছে দলটির প্রার্থীদের নাম।
চীনের সাথে চলমান উত্তেজনার মাঝেই ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে তাইওয়ান। তবে, এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি প্যাকেজটি। কংগ্রেসে পাঠানোর পর এটি চাইলে আটকাতে পারবেন আইনপ্রণেতারা। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। চলতি বছরের অগাস্টে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সাথে সাক্ষাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না চীন। তবে, এমন প্রতিশ্রুতির পরও অনেকটা স্রোতের বিপরীত গতিতে গিয়ে তাইওয়ানের কাছে এই মেগা ওয়েপনস ডিলে সন্মতি দিলো ওয়াশিংটন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের জন্য অনুমোদন করেছে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি। এই অস্ত্র প্যাকেজটি দ্বীপটিকে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে দাবি করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রয়ে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এইচআইএমএআরএস রকেট সিস্টেম, জাভেলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র, আলটিয়াস লুটারিং মুনিশন ড্রোন এবং অন্যান্য সরঞ্জামের অংশাদি। দেশটির মন্ত্রণালয় বলেছে, 'যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার ক্ষমতা বজায় রাখতে, দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরক্ষার সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে, বিশেষত কমিউনিজম প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে এবং সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংঘাত (যেমন গাজা, ইউক্রেন যুদ্ধ) তাদের অস্ত্রশিল্পকে আরও লাভজনক করেছে, যা যুদ্ধের সময় মুনাফা করার ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যদিও এর পেছনে কৌশলগত কারণও রয়েছে। মাইক্রোচিপ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাইওয়ানকে। তাই কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দেশটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বৈশ্বিক প্রভাবে বিস্তারে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই এগিয়ে থাকার প্রবণতা দেখিয়ে আসছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে, তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র বলে দাবি করেছেন বিশ্লেষকরা। মূলত, তাইওয়ানকে নিজ দেশের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। এছাড়াও এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আগুনে অনেকটা 'ঘি' ঢালার মতো মন্তব্য করেছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায় তাকাইচি। গত নভেম্বরের প্রথমদিকে জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছিলেন, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে তাহলে জাপান নিজের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে এর মোকাবিলা করতে পারে। তার এমন মন্তব্যের পর বেইজিংয়ের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে, ওসাকার চীনা কনসাল জেনারেল এক সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করে এক্স–এ মন্তব্য করেছেন, ‘যে নোংরা মাথা ঢোকানোর চেষ্টা করে, তা কেটে ফেলতেই হবে।’ টোকিও মন্তব্যটিকে ‘চরম অনুপযুক্ত’ বলে আখ্যায়িত করে। পরে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। এ ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই তাকাইচি বলেন, তার মন্তব্য ‘কাল্পনিক’ ছিল এবং ভবিষ্যতে পার্লামেন্টে এমন মন্তব্য থেকে তিনি বিরত থাকবেন। তবে, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন হলে আবারও চীন-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ওপর হামলার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হামলাকারী। তদন্ত কর্মকর্তা কিংবা ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই এক হামলাকারীকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে খবর প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, নাভিদ আকরাম নামের আসল হামলাকারী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আর তার বাবা অপর হামলাকারী সাজিদ আকরাম একজন ভারতীয় নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান সাজিদ আকরাম নামের ওই ব্যক্তি। তার পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন। ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রচার করায় হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এক হামলাকারীর সাথে নাম মিলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অন্য এক নিরাপরাধ পাকিস্তানির ছবি। এতে চরম হয়রানি শিকার হন নাভিদ আকরাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। একে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানান, দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়ে দেয় যে হামলাকারীদের একজন পাকিস্তানি। এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছিল না। তবে আমরা জানি, পাকিস্তানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু শত্রু দেশ এ কাজ করেছে। ২৭ বছর আগে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর, মাত্র ৬ বার নিজ দেশে গিয়েছিল প্রাণ হারানো হামলাকারী সাজিদ। তবে সেখানে থাকা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল খুবই সীমিত। আর তার উগ্রবাদী মানসিকতা সম্পর্কেও জানতো না তারা- জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
এ এইচ এম বজলুর রহমান
আন্তর্জাতিক কেবল টিভি শো' ২০২৫ এর পর্দা উন্মোচন হল। কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটিসহ বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন প্রযুক্তির খোঁজ,পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ২৬তম আন্তর্জতিক কেবল টিভি শো। কেবল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফাকচারার্স আয়োজিত এই মেগা মেলায় সার্ক অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেবল অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড শো হিসেবে স্বীকৃত। বুধবার শুরু হওয়া তিনদিনের এই মেলা চলবে শনিবার ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরমা আইল্যান্ডের মিলন মেলার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এ বছর নতুন প্রযুক্তি এবং শিল্প সহায়ক যন্ত্রপাতি নিয়ে ৯০টি স্টল রয়েছে। যেখানে কেবল কানেকশন, ব্রডব্যান্ড, নেটওয়ার্কিং, সার্ভিলেন্স, ওটিটি'র মত টেকনোলজিক্যাল আপডেট সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির নানা প্রদর্শনী থাকছে। ভারতের দিল্লী, হরিয়ানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহারসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কেবল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার, এমএসও এবং ব্রডকাস্টাররা এবারের মেলায় যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের প্রচুর কেবল অপারেটররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে বাণিজ্য বাংলাদেশ সরকারের সবুজ সংকেত না থাকায় একই সঙ্গে ভিসা জটিলতায় এবারের মেলায় স্টল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে মেলায় যোগ দিয়েছে প্রায় ৬০ জন কেবল অপারেটরের একটি প্রতিনিধি দল। কেবল টিভি পরিষেবা ও ব্যবসার জন্য নতুন যে সমস্ত প্রযুক্তি এসেছে, স্টলে ঘুরে ঘুরে তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ক্রয় করছেন। আইসিএনসিলের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়া জানিয়েছেন, এটি ভারতের সর্ববৃহৎ কেবল টিভি শো। যেখানে কেবল টিভি, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি সব কিছু একসঙ্গে নিয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি বলেন, যখনই কোনো টেকনোলজি আপডেট হয়, তখন মানুষই লাভবান হন। ফলে এই প্রদর্শনী মানুষকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষেবা দেয়ার লক্ষ্যেই করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকায় তিনিও আফসোস করেন তবে তার প্রত্যাশা, দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে। বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানান, ভারতের ভিসা নীতির জটিলতার কারণে এই বছর কয়েক'শ কেবল অপারেটররা আসতে পারেননি। বিগত বছরে এই কেবল টিভি শো অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর অনেকের যোগদান করার কথা ছিল। আগামী দিনে আরও বেশি আপডেট টেকনোলজির ব্যবহারে যুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
ব্রাজিলের একটি শহরে প্রবল বাতাসে ধসে পড়েছে রেপ্লিকা ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ‘স্ট্যাচু' ভাঙার দৃশ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় স্ট্যাচুটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতীকী হিসেবে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকাটি স্থাপন করে।
মার্কিন সিনেটে পাস হলো রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ৭৭-২০ ভোটে পাস হয় বিলটি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অনুমোদন পাওয়া বিলটিতে মূলত চীন-রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা করতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধান রাখা হয়েছে। এর আওতায় আগামী দুই বছরে ইউক্রেনকে ৪শ' করে মোট ৮শ' মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেবে ওয়াশিংটন। আরেক মিত্র ইসরায়েল পাবে ৬শ' মিলিয়ন ডলারের সহায়তা। বাজেটে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সিজার আইনও বাতিল করা হবে। এছাড়া, তাইওয়ানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার। কমানো হবে ইউরোপ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা। প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে সামরিক সদস্যদের বেতন। উল্লেখ্য, এনডিএএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের অতি বিরল আইনগুলোর একটি, যা সাধারণত দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়ে থাকে। তবে এ বছরের প্রক্রিয়াটা ছিল তুলনামূলক জটিল। এবার ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগের ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ওপর হামলার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই হামলাকারী। তদন্ত কর্মকর্তা কিংবা ক্যানবেরা কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই এক হামলাকারীকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে খবর প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, নাভিদ আকরাম নামের আসল হামলাকারী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আর তার বাবা অপর হামলাকারী সাজিদ আকরাম একজন ভারতীয় নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান সাজিদ আকরাম নামের ওই ব্যক্তি। তার পাসপোর্টসহ এ সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে প্রশাসন। ভারতীয় নাগরিককে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রচার করায় হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। এক হামলাকারীর সাথে নাম মিলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অন্য এক নিরাপরাধ পাকিস্তানির ছবি। এতে চরম হয়রানি শিকার হন নাভিদ আকরাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। একে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানান, দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়ে দেয় যে হামলাকারীদের একজন পাকিস্তানি। এ দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছিল না। তবে আমরা জানি, পাকিস্তানকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু শত্রু দেশ এ কাজ করেছে। ২৭ বছর আগে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর পর, মাত্র ৬ বার নিজ দেশে গিয়েছিল প্রাণ হারানো হামলাকারী সাজিদ। তবে সেখানে থাকা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল খুবই সীমিত। আর তার উগ্রবাদী মানসিকতা সম্পর্কেও জানতো না তারা- জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।