খবর৭১ঃভাগ্যবদলে স্বপ্নের দেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌ ডুবিতে দুই তালতো ভাই হাফিজ মো. শামীম আহমদ ও তার ভাইয়ের শ্যালক কামরান হোসেন মারুফ মারা গেছেন।
হাফিজ মো. শামীম আহমদের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভুকশিমইল গ্রামে এবং কামরান আহমদের বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে কদুপুর গ্রামে। নিহত দুজনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভুকশিমইল গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, মৃত আবদুল খালিকের সাত পুত্র সন্তানের মধ্যে সবছোট ছেলে হাফিজ মো. শামীম আহমদ।
হাফিজ মো. শামীম আহমদের মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে আকাশ বাতাস। মা রাজনা বেগম তার সবছোট ছেলেকে হারিয়ে বিলাপ করছেন। তিনি জানান, বাবারে শেষবারের মতো আমার ছেলের মুখটা দেখতাম চাই।
পারিবারিকভাবে জানা গেছে, আজ থেকে পাঁচ মাস আগে (জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে) পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সে লিবিয়ায় চলে যায়। গত কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে জানায়, সে লিবিয়াতে রয়েছে এবং সেখান থেকে সে ফ্রান্সে যাবে।
পরিবারের লোকজন আরও জানান, গত মঙ্গলবার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে শামীম জানায়, সে বুধবারে ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিবে। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শনিবার বিকালে হাফিজ মো. শামীম আহমদের বড় ভাই ছাত্রলীগ সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ সিলেট থেকে ফোন দিয়ে জানান, এ মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর।
নিহত কামরান আহমদ ছাত্রলীগ সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের আপন শ্যালক। ফলে দুই পরিবার একইসঙ্গে শোকের মাতম চলছে।
উল্লেখ্য, লিবিয়া থেকে ৫১ বাংলাদেশি ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন। এর মধ্যে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।