বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন নির্দেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এরআগে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসাপাতালের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভাকেয়ারের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ৭টা ৫ মিনিটে সেখানে পৌঁছেন তিনি।
ফিরোজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৬ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিপস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করেন চিকিৎসকরা।
এরও আগে গত বছরের ১০ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর ৯ আগস্ট আবারো তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ছিলেন। এরমধ্যে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।