সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল, বাড়তি সতর্কতা জারি

মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংস্থাটির সর্বস্তরে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।   রোববার (৯ নভেম্বর) সংস্থাটির পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।   আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল ভবন, ডিপো এলাকা, মেট্রোরেল স্টেশন, ডিএমটিসিএল-এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হলো।   একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানদের এ নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।   ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, ছুটি বাতিল সম্পর্কিত দুটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। একটি চিঠিতে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আরেকটি চিঠিতে ডিএমটিটিসিএলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।   তারা জানান, মেট্রোরেলের সব অবকাঠামো কেপিআইভুক্ত। সম্প্রতি রাজধানীতে আন্দোলনসহ প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

১ ঘন্টা আগে
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্তও স্থগিত!

সরকারি আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। তারা জানিয়েছেন, চলমান কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি একসঙ্গে চলবে। পাশাপাশি সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে শিক্ষক নেতারা আবারও চূড়ান্ত বৈঠকে বসবেন।   রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা প্রথমে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।    বৈঠকে উপস্থিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছিলেন, বৈঠকে তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে— সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বাস দেয় যে, অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষয়গুলো জানানো হবে এবং  দ্রুততম সময়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছি। শুধুমাত্র শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী চলবে।     তবে, এরপরই বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। শহীদ মিনারে অবস্থান করা শিক্ষক এবং শিক্ষক নেতারাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।    সবশেষ বিষয়টি নিয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কোথাও কর্মবিরতি স্থগিতের কোনো পোস্ট দিইনি। কেউ ভুলভাবে প্রচার করে থাকতে পারে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।   তিনি আরও বলেন, আগামীকাল লক্ষাধিক শিক্ষক কেন্দ্রীয় অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। শিক্ষকদের ঐক্য ও উপস্থিতিই আমাদের শক্তি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।   এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। পরে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং আজ (রোববার) থেকে সারাদেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়। এতে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত থাকেন।   প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।   চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করলেও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম থেকে ১২তম করার প্রস্তাব দেয়। এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।

২ ঘন্টা আগে
২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক, ২১ জনই নতুন মুখ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুদিনে ২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শনিবার ১৫ জেলায় ও রোববার ১৪ জেলায় ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।    একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় কথা রয়েছে। নির্বাচনকালীন ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে আগামী নির্বাচনে তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।   তবে, শেষ পর্যন্ত ডিসিদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রাখা হলে নির্বাচনে তাদের ভূমিকা হবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটি বিবেচনায় নিয়ে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।   ৮ ডিসির পদে রদবদল  ২৯ জনের মধ্যে ৮ জন ডিসির পদে রদবদল আনা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ৬ জন এবং রোববার রাতের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও দুজন ডিসিকে রদবদল করা হয়েছে।   এর মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালী, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জ, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুর, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকা, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধা ও খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার ডিসির পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।    অন্যদিকে, নড়াইলের ডিসি শারমিন আক্তার জাহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল ছালামকে নড়াইলে ডিসি করা হয়েছে।   ২১ জনই নতুন মুখ ২৯ জেলার ডিসির মধ্যে ২১ জনই নতুন মুখ। শনিবার রাতে ৯ জন এবং রোববার রাতের প্রজ্ঞাপনে রয়েছে ১২ জন নতুন মুখ।   এর মধ্যে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরা, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাট, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়া এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।     অন্যদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদকে ঝিনাইদহ, খুলনার ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো. ইউসুপ আলীকে জামালপুর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম মোল্লাকে কিশোরগঞ্জ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিন উদ্দিনকে ঝালকাঠি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব মো. আরিফ-উজ-জামানকে গোপালগঞ্জ জেলার ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী মো. সায়েমুজ্জামানকে পঞ্চগড়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. আল-মামুন মিয়াকে জয়পুরহাট, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুর রহমানকে ময়মনসিংহ, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানাকে মানিকগঞ্জ এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারকে চাঁদপুরের ডিসি করা হয়েছে।     এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ডিসিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। মূলত, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৯ জেলায় ডিসি পদে নতুন করে পদায়ন হয়েছে। 

২ ঘন্টা আগে
নভেম্বরের ৮ দিনে প্রবাসীরা ৭৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন

চলতি নভেম্বরের প্রথম ৮ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৭৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এতে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।   রোববার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি জানান, গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আরিফ হোসেন খান আরও বলেন, ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। এর আগে অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগস্ট ও জুলাইয়ে এসেছে যথাক্রমে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।   উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মোট ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স—যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।

৭ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক, ২১ জনই নতুন মুখ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুদিনে ২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শনিবার ১৫ জেলায় ও রোববার ১৪ জেলায় ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।    একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় কথা রয়েছে। নির্বাচনকালীন ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে আগামী নির্বাচনে তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।   তবে, শেষ পর্যন্ত ডিসিদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রাখা হলে নির্বাচনে তাদের ভূমিকা হবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটি বিবেচনায় নিয়ে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।   ৮ ডিসির পদে রদবদল  ২৯ জনের মধ্যে ৮ জন ডিসির পদে রদবদল আনা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ৬ জন এবং রোববার রাতের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও দুজন ডিসিকে রদবদল করা হয়েছে।   এর মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালী, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জ, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুর, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকা, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধা ও খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার ডিসির পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।    অন্যদিকে, নড়াইলের ডিসি শারমিন আক্তার জাহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল ছালামকে নড়াইলে ডিসি করা হয়েছে।   ২১ জনই নতুন মুখ ২৯ জেলার ডিসির মধ্যে ২১ জনই নতুন মুখ। শনিবার রাতে ৯ জন এবং রোববার রাতের প্রজ্ঞাপনে রয়েছে ১২ জন নতুন মুখ।   এর মধ্যে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরা, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাট, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়া এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।     অন্যদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদকে ঝিনাইদহ, খুলনার ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো. ইউসুপ আলীকে জামালপুর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম মোল্লাকে কিশোরগঞ্জ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিন উদ্দিনকে ঝালকাঠি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব মো. আরিফ-উজ-জামানকে গোপালগঞ্জ জেলার ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী মো. সায়েমুজ্জামানকে পঞ্চগড়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. আল-মামুন মিয়াকে জয়পুরহাট, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুর রহমানকে ময়মনসিংহ, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানাকে মানিকগঞ্জ এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারকে চাঁদপুরের ডিসি করা হয়েছে।     এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ডিসিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। মূলত, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৯ জেলায় ডিসি পদে নতুন করে পদায়ন হয়েছে। 

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্তও স্থগিত!

সরকারি আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। তারা জানিয়েছেন, চলমান কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি একসঙ্গে চলবে। পাশাপাশি সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে শিক্ষক নেতারা আবারও চূড়ান্ত বৈঠকে বসবেন।   রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা প্রথমে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।    বৈঠকে উপস্থিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছিলেন, বৈঠকে তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে— সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বাস দেয় যে, অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষয়গুলো জানানো হবে এবং  দ্রুততম সময়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছি। শুধুমাত্র শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী চলবে।     তবে, এরপরই বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। শহীদ মিনারে অবস্থান করা শিক্ষক এবং শিক্ষক নেতারাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।    সবশেষ বিষয়টি নিয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কোথাও কর্মবিরতি স্থগিতের কোনো পোস্ট দিইনি। কেউ ভুলভাবে প্রচার করে থাকতে পারে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।   তিনি আরও বলেন, আগামীকাল লক্ষাধিক শিক্ষক কেন্দ্রীয় অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। শিক্ষকদের ঐক্য ও উপস্থিতিই আমাদের শক্তি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।   এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। পরে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং আজ (রোববার) থেকে সারাদেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়। এতে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত থাকেন।   প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।   চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করলেও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম থেকে ১২তম করার প্রস্তাব দেয়। এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।

ছবি : সংগৃহীত
নভেম্বরের ৮ দিনে প্রবাসীরা ৭৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন

চলতি নভেম্বরের প্রথম ৮ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৭৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এতে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।   রোববার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি জানান, গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আরিফ হোসেন খান আরও বলেন, ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। এর আগে অক্টোবর মাসে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগস্ট ও জুলাইয়ে এসেছে যথাক্রমে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।   উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মোট ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স—যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।


শ্রদ্ধা কাপুর I ছবি: সংগৃহীত
অ্যানিমেশন সিনেমায় শ্রদ্ধা কাপুর

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর এবার পা রাখছেন ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিনেমায়। আসন্ন সিক্যুয়েল ‘জুটোপিয়া ২’-তে হিন্দি সংস্করণে কণ্ঠ দেবেন তিনি প্রিয় খরগোশ পুলিশ অফিসার জুডি হপস চরিত্রে।   সংবাদটি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে ‘জুটোপিয়া ২’-এর এক মনোমুগ্ধকর পোস্টার, যেখানে দেখা গেছে শ্রদ্ধা কাপুর ও জুডিকে একসঙ্গে। অভিনেত্রী নিজেও ইনস্টাগ্রামে সেই পোস্টটি শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। পোস্টটি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘জুটোপিয়া ২’ হিন্দিতে অসাধারণ জুডি হপসের কণ্ঠস্বর হিসেবে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সে একজন সাহসী, প্রাণবন্ত, উৎসাহী কাটলেট এবং ছোটবেলা থেকেই খুব সুন্দর। আমরা আপনাদের জন্য এক নতুন চমক নিয়ে আসতে চলেছি। সাথেই থাকুন। ডিজনি পরিবারের নতুন সদস্য হিসেবে শ্রদ্ধাকে স্বাগত জানিয়ে নির্মাতা বলেন, শ্রদ্ধার আকর্ষণ, উদ্যম ও উষ্ণতায় জুডি হপসকে হিন্দি সংস্করণে আরও বেশি আপন করে তুলবে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ডিজনি প্রকাশ করে ‘জুটোপিয়া ২’-এর ট্রেলার, যা প্রথম সিনেমার নয় বছর পর ফিরিয়ে আনে এই প্রিয় জুটিকে। ট্রেলারে দেখা যায়, আবারও রসিকতা ও আবেগে ভরা সম্পর্কের গল্প—জুডি হপস ও বুদ্ধিদীপ্ত শিয়াল নিক ওয়াইল্ডের (যার কণ্ঠ দিয়েছেন জেসন বেটম্যান)। নতুন ছবিতে জুডি থাকছে আগের মতোই জুটোপিয়া পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী অফিসার, আর নিকও তার সঙ্গী, এক সময়ের ধূর্ত প্রতারক থেকে এখন তার সহযোগী। গল্পে দেখা যাবে, তারা একসঙ্গে এক রহস্যময় মামলার তদন্তে নামছে, আর সেইসঙ্গে তাদের সম্পর্কেও দেখা দেবে রোমান্টিক মোড়ের আভাস। ট্রেলারের শুরুতেই দেখানো হয়, ‘অমিল জুটিদের থেরাপি সেশন’, যেখান থেকে শুরু হয় এক নতুন রাউন্ডের বিশৃঙ্খলা, হাস্যরস আর রঙিন জুটোপিয়া শহরের অ্যাডভেঞ্চার।   জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত ‘জুটোপিয়া ২’ দর্শকদের উপহার দেবে হাসি, আর রোমাঞ্চের নিখুঁত এক সংমিশ্রণ। ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর

ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল, বাড়তি সতর্কতা জারি

মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা ও সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংস্থাটির সর্বস্তরে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।   রোববার (৯ নভেম্বর) সংস্থাটির পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।   আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল ভবন, ডিপো এলাকা, মেট্রোরেল স্টেশন, ডিএমটিসিএল-এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হলো।   একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানদের এ নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।   ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, ছুটি বাতিল সম্পর্কিত দুটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। একটি চিঠিতে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আরেকটি চিঠিতে ডিএমটিটিসিএলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।   তারা জানান, মেট্রোরেলের সব অবকাঠামো কেপিআইভুক্ত। সম্প্রতি রাজধানীতে আন্দোলনসহ প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
এক মাস নিয়মিত হলুদ খেলে শরীরে যা ঘটে

বাঙালি রান্নায় হলুদ এক অনিবার্য উপকরণ। তরকারিতে রঙ, গন্ধ আর স্বাদের ছোঁয়া দিতে যেমন দরকার, তেমনি রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণও। আয়ুর্বেদ ও ঘরোয়া চিকিৎসায় হলুদ বহু বছর ধরে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু টানা এক মাস প্রতিদিন হলুদ খেলে শরীরে কী ঘটে—সে তথ্য জানিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া।   নিয়মিত হলুদ খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, হজম ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ব্যায়ামের পর মাংসপেশির ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। এর প্রধান উপাদান কারকিউমিন (Curcumin) প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। খালি পেটে বেশি হলুদ খেলে পেট জ্বালা, গ্যাস বা বমিভাব হতে পারে। এটি রক্ত পাতলা করে, ফলে যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খান তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত গ্রহণে লিভারের ক্ষতি, ত্বকে অ্যালার্জি এবং শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিনের রান্নায় অল্প পরিমাণে হলুদ ব্যবহারই সবচেয়ে ভালো। চাইলে গরম দুধ বা চায়ে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও খাওয়া যায়। তবে সাপ্লিমেন্ট নিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।   হলুদ নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ভেতর-বাহির দুই দিক থেকেই উপকার দেয়। তবে পরিমিত মাত্রায় না খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দলে ডাক পেলেন কিউবা মিচেল

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে। হংকংয়ের বিপক্ষে ঢাকায় হারা ও সেখানে ড্র করার পর বাংলাদেশের সকল আশা শেষ হয়েছে। নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে অনুশীলন সেশনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা রক্ষণভাগ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মতামত দিয়েছেন।   কোচ বলেছেন, “রক্ষণ নিয়ে আমরা বেশ খুশি। হংকং ম্যাচে কিছু ভুল হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করেছি। হংকং পুরো ম্যাচে বেশি সুযোগ পায়নি। রক্ষণে ভালো কাজেরই ফল এটি। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে আরও কাজ হচ্ছে।”   ভারতও প্রবাসী ফুটবলারের সংস্কৃতি নেমেছে, যা এক যুগ আগে বাংলাদেশ শুরু করেছিল। কোচ বলেন, “ভারত নতুন দুই খেলোয়াড় এনেছে, যা চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে আমাদের প্রস্তুতির ধরনে বড় পরিবর্তন আসছে না।”   এদিকে বসুন্ধরা কিংসের ইংল্যান্ড প্রবাসী খেলোয়াড় কিউবা মিচেলকে জাতীয় দলে ডাক দেওয়া হয়েছে। কোচের মন্তব্য, “আমরা কিউবার প্রতিভা ভালোভাবে জানি। তাকে আরও কিছু ম্যাচ খেলার জন্য আগে দলে নেয়া হয়নি। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ইব্রাহিম ও রহমত চোট পাওয়ায় মোরশেদ এবং কিউবাকে ডেকেছি। এটি তাদের জন্য সুযোগ, বিশেষ করে কিউবার জন্য।”   কোচ আরও বলেন, “কিউবা ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। তার হাতে বেশি অনুশীলনের সময় নেই, নেপাল ম্যাচের আগে সাতটি সেশন হবে। আশা করি সে আমাদের প্রত্যাশিত স্তরে পৌঁছাবে এবং সুযোগ পাবে।”

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • হকি
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আন্তর্জাতিক

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দিনেও বিমান চলাচলে বিপর্যয়, বাতিল হাজারো ফ্লাইট
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0

\যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনেও দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে।   ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) নির্দেশে শুক্রবারের পর শনিবারও বিমান চলাচলে সীমিতকরণ কার্যকর থাকে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোনো বিমানবন্দরে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট বিমানবন্দর, যেখানে একাই ১২০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া আটলান্টা, শিকাগো, ডালাস, ডেনভার ও অরল্যান্ডো বিমানবন্দরেও ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। শার্লট ও নিউয়ার্ক (নিউ জার্সি) বিমানবন্দরে কর্মীসংকটের কারণে আকাশপথের ট্রাফিক আরও মন্থর হয়ে পড়ে। এফএএ জানিয়েছে, ধাপে ধাপে বিমান চলাচল কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ৪ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হয়েছে, যা মঙ্গলবার থেকে আরও বাড়ানো হবে। শুক্রবার নাগাদ ফ্লাইট কমানোর হার প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সতর্ক করেছেন, সরকারি শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে এবং আরও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কাজ বন্ধ রাখলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ফ্লাইট কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।   বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লাইট বাতিলের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব কেবল বিমান চলাচলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং থ্যাংকসগিভিং ছুটির ভ্রমণ, পর্যটন খাত এবং পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

ছবি : সংগৃহীত
বিদেশ থেকে চুপিসারে সৈন্য সরালো ভারত
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0

ভারত তার বিদেশে থাকা একমাত্র সামরিক ঘাঁটি থেকে নীরবে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকার কৌশলগত গুরুত্বসম্পন্ন দেশ তাজিকিস্তানে থাকা এই ঘাঁটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ ছিল। তবে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা জনসম্মুখে ব্যাখ্যা ছাড়াই দেশটি সম্প্রতি সেখান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।   ২০০২ সালের দিকে ভারত তাজিকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ‘ফারখোর বিমানঘাঁটি’ পুনর্গঠন করে ব্যবহার শুরু করে। আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে গোয়েন্দা নজরদারি এবং সম্ভাব্য সামরিক সহায়তার উদ্দেশ্যে এই ঘাঁটি ভারতের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পাকিস্তান ও চীনের প্রভাব মোকাবিলায় এটি ছিল দিল্লির একটি কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত।   তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিস্থিতি বদলে গেছে। আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পুনরুত্থান এবং তাজিকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাঁটির কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। একই সঙ্গে ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ফলে মধ্য এশিয়ায় অবস্থান ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা ততটা নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।   এ ছাড়া, তাজিকিস্তানে ভারতের উপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া ও চীনের অস্বস্তি ছিল। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতেই ভারত ঘাঁটি থেকে চুপিসারে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।   যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পররাষ্ট্র দফতর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি, বিশ্লেষকদের ধারণা—এই পদক্ষেপ ভারতের বৈদেশিক প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করাই এখন ভারতের নতুন কৌশল হতে পারে।  

ছবি : সংগৃহীত
চুক্তি হলো না, ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি সংলাপ
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৮, ২০২৫ 0

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শান্তি সংলাপ ভেস্তে গেছে। কোনোপ্রকার চুক্তি বা লিখিত সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়ে গেছে সংলাপ।   পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। পুরো ব্যাপারটিকে ‘অচলাবস্থা’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।   “একটা পরিপূর্ণ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আমাদের সংলাপ অনির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই”, সাক্ষাৎকারে বলেছেন খাজা মুহম্মদ আসিফ।   গত বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে তৃতীয় দফা সংলাপে বসেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিরা। এই সংলাপের পর শান্তি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু আকাঙিক্ষত সেই চুক্তি হয়নি, সংলাপও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে।   পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে সংলাপের টেবিলে আনতে ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে কাতার এবং তুরস্ক। সাক্ষাৎকারে দুই দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসিফ বলেছেন, “আমরা সন্ত্রাসের মূলোৎপাটনের জন্য আফগানিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছিলাম এবং কাতার-তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরা আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। এজন্য তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। এমনকি আফগান প্রতিনিধিরাও আমাদের অবস্থানের সঙ্গে সম্মত হয়েছিলেন।”   “কিন্তু যখনই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রসঙ্গ এলো, তখন তারা পিছিয়ে গেলেন। তারা চান, তাদের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে যেন আমরা আস্থা রাখি। এটা কীভাবে সম্ভব? কোনো আন্তর্জাতিক আলোচনা কী সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়া হয়?”   প্রতিবেশী এবং একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র আফগানিস্তানের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তিক্ততা চলছে পাকিস্তানে। বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী কাবুল দখল এবং সরকার প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে শুরু হয়েছে এ অবস্থা।   দুই দেশের মধ্যে তিক্ততার প্রধান কারণ পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। কট্টর ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠীটির ধারাবাহিক হামলায় গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার সামরিক ও বেসামরিক মানুষ। সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বেশ কয়েক বছর আগে এই গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।   তবে এতে টিটিপির কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং কাবুলে তালেবান সরকার অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দিনকে দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে গোষ্ঠীটি। পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়া টিটিপির প্রধান ঘাঁটি অঞ্চল। টিটিপির প্রধান লক্ষ্য খাইবার পাখতুনখোয়াকে পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন করে বর্তমান আফগানিস্তানের আদলে একটি কট্টর ইসলামপন্থি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমানে টিটিপি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি।   খাইবার পাখতুনখোয়ার সঙ্গে সীমান্ত আছে আফগানিস্তানের। কাবুলে আসীন তালেবান সরকার নিয়মিত টিটিপিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদত দিচ্ছে বলে ২০২১ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার অভিাযোগ করেছে ইসলামাবাদ, তবে কাবুল বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।   গত ৯ অক্টোবর রাতে কাবুলে বিমান অভিযান চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে নিহত হন টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ. দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ক্বারি সাইফুল্লাহ মেহসুদসহ টিটিপির বেশ কয়েক জন সম্মুখ সারির নেতা।   এ অভিযানের ২ দিন পর ১১ অক্টোবর খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি সেনা চৌকিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায় আফগান সেনাবাহিনী। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে এই সংঘাত। পাক সেনাবাহিনীর আন্ত:বিভাগ সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)-এর তথ্য অনুসারে, সংঘাতে আফগান সেনাবাহিনীর ২ শতাধিক এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ২৩ জন যোদ্ধা নিহত হন।   চার দিন সংঘাতের পর গত ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এই বিরতির মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় সংলাপে বসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিরা। পরে ২৫ অক্টোবর সংলাপের ভেন্যু স্থানান্তর করা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে।   মধ্যস্থতাকারী দুই দেশের কর্মকর্তারাও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তাদের যদি ন্যূনতম আশা থাকতো, তাহলে তারা আমাদের সেখানে অবস্থান ও সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলতেন। কাবুলের কারণে তারাও হতাশ।”   খাজা আসিফ বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট এবং দৃঢ়। আমাদের একমাত্র চাওয়া ছিল যে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য যেন আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার না করে। কাবুল আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি।”   “এখন যদি ভবিষ্যতে কখনও আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে হামলার কোনো ঘটনা ঘটে, আমরা তার সমুচিত জবাব দেবো।”   সূত্র : জিও নিউজ

ছবি : সংগৃহীত
চুক্তি ছাড়াই ভেস্তে গেল পাকিস্তান–আফগানিস্তান শান্তি সংলাপ
খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৮, ২০২৫ 0

ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শান্তি সংলাপ কোনোপ্রকার চুক্তি বা লিখিত সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বহু প্রত্যাশিত এই সংলাপ শেষ পর্যন্ত অচলাবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।   এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটি পরিপূর্ণ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আমাদের সংলাপ অনির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছেছে, এর আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। গত বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় দফা পাকিস্তান–আফগানিস্তান শান্তি সংলাপ। এই আলোচনার পর একটি শান্তি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ফলে সংলাপও কার্যত প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।   পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে আনতে কাতার ও তুরস্কের পক্ষ থেকে ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। এ জন্য দুই দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাজা আসিফ বলেন, আমরা সন্ত্রাসের মূলোৎপাটনের জন্য আফগানিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছিলাম, এবং কাতার ও তুরস্ক আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। এমনকি আফগান প্রতিনিধিরাও শুরুতে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, কিন্তু যখনই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রসঙ্গ আসে, তখন তারা পিছিয়ে যায়। তারা চান আমরা তাদের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতেই ভরসা রাখি। কোনো আন্তর্জাতিক সংলাপ কীভাবে লিখিত চুক্তি ছাড়া হতে পারে?   একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান–আফগানিস্তান সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও গভীর হয়। এই তিক্ততার অন্যতম কারণ তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। কট্টর ইসলামপন্থি এই সংগঠনের হামলায় গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে নিহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। যদিও পাকিস্তান টিটিপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, কাবুলে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে গোষ্ঠীটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।   গত অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কাবুলে বিমান অভিযান চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে হত্যা করে। এর পরপরই আফগান বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়, যা কয়েক দিন স্থায়ী হয় এবং উভয় পক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।   পরবর্তীতে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে গেলেও শান্তি সংলাপের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আমাদের একমাত্র চাওয়া ছিল  আফগানিস্তানের ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানে হামলার জন্য ব্যবহার না হয়। কিন্তু কাবুল আমাদের সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো হামলা হয়, আমরা তার সমুচিত জবাব দেব।  

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ
জাতীয়

অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী