সর্বশেষ

সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীর বিকাশে পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধুলার ভারসাম্য দরকার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিক্ষা ও ক্রীড়া একে অপরের পরিপূরক। একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশে যেমন গঠনমূলক শিক্ষা প্রয়োজন, তেমনি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ক্রীড়া চর্চা অপরিহার্য।   বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ক্রীড়া সমিতির ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস বলেন, শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বগুণ গড়ে তোলে। ক্রীড়া চর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া নৈপুণ্যে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।   প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই ক্রীড়া উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ স্মরণিকা ‘চৌকস’ প্রকাশের উদ্যোগকেও তিনি স্বাগত জানান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।   তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় পর্যায়ে এ বৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব জাগ্রত করবে।   প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হোক এই কামনা করি।  

১০ মিনিট আগে
ফেসবুক ব্যবহারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য কড়াকড়ি নির্দেশনা

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা মূল্যায়নের মতো সংবেদনশীল তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।   বুধবার (২২ অক্টোবর) মাউশি থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।   নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মতামত প্রচার করতে পারবেন না যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে বা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।   সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং এর আগে এইচএসসি খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলো প্রশাসনের নজরে আসে। উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজস্ব ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও স্কুল-কলেজ প্রশাসনকে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে।   অধিদপ্তর মনে করে, দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া সামাজিকমাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি এখন বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।   এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য অনেক বেশি ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বহীন ব্যবহার এসব তথ্যকে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।  

১৫ মিনিট আগে
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ জানা যাবে ১৩ নভেম্বর

  জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য ধার্য করা হয়েছে। সেদিন আদালত জানাবেন সংক্ষিপ্ত কত দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে। এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, এ মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে জবাব দেওয়া হবে, যদিও কিছু অংশ ইতোমধ্যেই উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, চিফ প্রসিকিউটর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে। ওই দিন বিকেল সোয়া ৩টার পর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন। টানা তিনদিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষে নিজের মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার যুক্তিতর্ক চলে। এদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন। এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর টানা পঞ্চম দিনে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। পরে সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন তাকে নিরপরাধ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন। এই মামলায় প্রসিকিউশন ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় তারা কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি। গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। এ ছাড়া সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।  

২৭ মিনিট আগে
ইতিহাসে এ প্রথম আইসল্যান্ডে ধরা পড়ল মশা

বরফে ঢাকা শীতপ্রধান দেশ আইসল্যান্ডে এবার বসন্তে দেখা গেছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি—মশা। ইতিহাসে এ প্রথম দেশটিতে মশা ধরা পড়েছে। স্থানীয় কীটতত্ত্ববিদ বিয়র্ন হ্যালটাসন প্রজাপতি পর্যবেক্ষণের সময় দুটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ মশা ধরেন। পরে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন, এগুলো ‘কুলিসেটা অ্যানুলাটা’ প্রজাতির মশা, যা ঠান্ডা আবহাওয়াতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম। এত দিন পর্যন্ত আইসল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকা—এই দুই অঞ্চলই ছিল মশামুক্ত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার সেই অবস্থাও বদলে যাচ্ছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এ বছর আইসল্যান্ডে কয়েকবার রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা গেছে। মে মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে বিরল। উষ্ণতার এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মশার টিকে থাকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, এই মশাগুলো কেবল পথ হারিয়ে এসেছে, নাকি সত্যি সত্যিই আইসল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসতি গড়তে শুরু করেছে। যদি স্থায়ীভাবে বসতি গড়তে শুরু করে, তবে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় সংকেত হতে পারে। সূত্র : বিবিসি

১ ঘন্টা আগে
জাতীয়
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ জানা যাবে ১৩ নভেম্বর

  জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য ধার্য করা হয়েছে। সেদিন আদালত জানাবেন সংক্ষিপ্ত কত দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে। এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, এ মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে জবাব দেওয়া হবে, যদিও কিছু অংশ ইতোমধ্যেই উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, চিফ প্রসিকিউটর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে। ওই দিন বিকেল সোয়া ৩টার পর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন। টানা তিনদিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষে নিজের মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার যুক্তিতর্ক চলে। এদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন। এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর টানা পঞ্চম দিনে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। পরে সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন তাকে নিরপরাধ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন। এই মামলায় প্রসিকিউশন ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় তারা কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি। গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। এ ছাড়া সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।  

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ফেসবুক ব্যবহারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য কড়াকড়ি নির্দেশনা

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা মূল্যায়নের মতো সংবেদনশীল তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।   বুধবার (২২ অক্টোবর) মাউশি থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।   নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মতামত প্রচার করতে পারবেন না যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে বা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।   সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং এর আগে এইচএসসি খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলো প্রশাসনের নজরে আসে। উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজস্ব ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও স্কুল-কলেজ প্রশাসনকে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে।   অধিদপ্তর মনে করে, দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া সামাজিকমাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি এখন বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।   এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য অনেক বেশি ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বহীন ব্যবহার এসব তথ্যকে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।  

সংগৃহীত ছবি
নভেম্বর থেকে খুলছে সেন্ট মার্টিন, রাতযাপনে নতুন নিয়ম

প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন আগামী নভেম্বর মাস থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। তবে নভেম্বরে পর্যটকরা শুধুমাত্র দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন; রাতযাপন নিষিদ্ধ থাকবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের অনুমতি দেওয়া হবে।   এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাতযাপনের অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে বুধবার (২২ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ২০২৩ সালে প্রণীত ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নির্দেশিকা’ অনুসারে এ নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা হয়েছে।   প্রজ্ঞাপনে দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১২টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযানকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ভ্রমণ পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।   সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে দ্বীপে রাতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।   এ ছাড়া সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল—বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।   এর আগে গত মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ বাস্তবায়ন বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ই-টিকেটিং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।  


ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীর বিকাশে পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধুলার ভারসাম্য দরকার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিক্ষা ও ক্রীড়া একে অপরের পরিপূরক। একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশে যেমন গঠনমূলক শিক্ষা প্রয়োজন, তেমনি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত ক্রীড়া চর্চা অপরিহার্য।   বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ক্রীড়া সমিতির ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস বলেন, শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বগুণ গড়ে তোলে। ক্রীড়া চর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া নৈপুণ্যে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।   প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই ক্রীড়া উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ স্মরণিকা ‘চৌকস’ প্রকাশের উদ্যোগকেও তিনি স্বাগত জানান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।   তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় পর্যায়ে এ বৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব জাগ্রত করবে।   প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হোক এই কামনা করি।  

ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও উন্নতি সোবহানা-জ্যোতিদের

নারী বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সোবহানা মোস্তারি। ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে উন্নতি করেছেন র‍্যাংকিংয়েও। নারী ওয়ানডে ব্যাটারদের র‍্যাংকিংয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ৫৭তম স্থানে আছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।   মোস্তারি ছাড়াও ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। দুই ধাপ এগিয়ে ২৯তম স্থানে উঠে এসেছেন সুপ্তা, যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২ ধাপ এগিয়ে জ্যোতির অবস্থান এখন ৩৪ তম।   এদিকে পুরুষদের ক্রিকেটেও উন্নতি করেছেন বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটার। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৪ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৯ রান করেন রিশাদ। বোলিংয়েও ১০ ওভারে ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ১৩ বলে ২৬ রান করার পর ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছিলেন রিশাদ।   আইসিসি থেকে বড় সুখবর পেলেন রিশাদ ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন রিশাদ। বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬৫ ধাপ এগিয়ে ৬৮তম স্থানে এবং ৪৩০ রেটিং পয়েন্ট তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়েও ৮৭ ধাপ এগিয়ে ৩৭তম স্থানে আছেন তিনি।   ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ ধাপ এগিয়ে ১৮তম এবং অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠেছেন। নাসুম আহমেদ ১৬ ধাপ এগিয়ে ৭১তম, তানভীর ইসলাম দুই ধাপ এগিয়ে ৯৬তম। স্পিননির্ভর পিচে ভালো করলেও পেসাররা পিছিয়ে পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ৪ ধাপ পিছিয়ে ৩৮তম, শরিফুল ৩ ধাপ পিছিয়ে ৬১তম এবং তানজিম সাকিব ৬ ধাপ পিছিয়ে ৭৩তম স্থানে।

ছবি : সংগৃহীত
কানাডায় ভারতীয় গ্যাংয়ের তাণ্ডব, এবার পাঞ্জাবি গায়ককে গুলি

কানাডায় ফের ভারতীয় গ্যাংস্টারদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এবার তাদের টার্গেটে পড়েছেন জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক তেজি কাহলন। গায়কের পেটে গুলি লেগেছে এবং তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে   হামলার দায় স্বীকার গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার, হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্যাংস্টার রোহিত গোদারা ও তার সহযোগীরা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে গুলিবর্ষণের দায় স্বীকার করেন। তাদের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহের অভিযোগে তেজিকে সতর্ক করতেই এ হামলা চালানো হয়। পোস্টে লেখা ছিল— আমরা কানাডায় তেজি কাহলনের ওপর গুলি চালিয়েছি। তার পেটে গুলি লেগেছে। যদি সে বুঝে যায়, ভালো। না বুঝলে পরের বার আমরা তাকে শেষ করব। ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে, রোহিতের সহযোগী মাহেন্দ্র সরণ দিলনা, রাহুল রিনাউ, এবং ভিকি ফলওয়ান এই হামলায় জড়িত ছিলেন। পাঞ্জাবি সংগীতের জনপ্রিয় মুখ, তেজি কাহলন পাঞ্জাবি সংগীতজগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নাম। তার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে— ‘মিঠি জেল’, ‘ঝুমার’, ‘৮ কিতিয়ান’, ‘টাইম চাক দা’ এবং ‘গিদ্দা’ বিশেষভাবে জনপ্রিয়। তবে কেন তিনি গ্যাংস্টারদের লক্ষ্যবস্তু হলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়; বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।   কানাডায় গ্যাং সহিংসতা বাড়ছে, ঘটনার পর কানাডার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে ভারতীয় গ্যাংস্টারদের প্রভাব ও সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কয়েকদিন আগেই ভারতের কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি চালায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। গত কয়েক মাসে একাধিকবার গুলি চলে সেই ক্যাফেতে। এই ঘটনায় গোল্ডি ধিল্লোঁ ও কুলবীর সিধু দায় স্বীকার করেছিলেন।   এর মধ্যেই আবার তেজি কাহলনের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটল, যা কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত
মিরপুরের কালো পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট

মিরপুরের কালো মাটির উইকেট নিয়ে পুরো সিরিজেই চলছে আলোচনা। স্পিনারদের আনুকূল্যের জন্য বিখ্যাত এই উইকেট এবার সাহায্যটা যেন একটু বেশিই করছে। ফলে আলোচনাটাও হচ্ছে বেশি।   এতটাই যে সিরিজের মাঝপথে দুই দল স্পিনার ঢুকিয়েছে দলে। বাংলাদেশের নাসুম সফল ছিলেন, তবে উইন্ডিজের আকিল হোসেইন তাকেও ছাপিয়ে গেছেন। সুপার ওভারে দলের নায়ক বনে গেছেন।   তবে প্রথম ম্যাচটায় তিনি স্কোয়াডে ছিলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসে খেলা দেখছিলেন। মিরপুরের কালো উইকেট দেখে তার কী মনে হচ্ছিল? সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমি ম্যাচটা (শুরু থেকে) দেখছিলাম না। টিভি চালিয়েই ভাবলাম, টিভিটা নষ্ট হয়ে গেছে। পিচটা এত কালো! আমি ভাবছিলাম রঙ জ্বলে গেছে হয়তো। পরে বুঝলাম না, এটা আসলেই কালো মাটি।   প্রথম ম্যাচে তিনি দলে ছিলেন না। সে প্রসঙ্গে আকিল বলেন, ‘আমার মধ্যে ওইরকম কোনো চিন্তা আসেনি। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে, সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের কাজ। আমি শুধু উপভোগ করতে চাই, যতটুকু পারি ভালো খেলতে চাই, বাকি সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই ছেড়ে দিই।   মিরপুরের এমন স্পিন-বান্ধব উইকেট ক্রিকেটের জন্য ভালো কি না, সে প্রশ্নে তিনি রসিক ভঙ্গিতে বলেন, ‘আজ আমরা একটা রেকর্ড করলাম—৫০ ওভার স্পিনে! আপনি বলুন, দুনিয়ার কোথায় এমন দেখেছেন? দারুণ ম্যাচ ছিল, রোমাঞ্চকরও বটে, কিন্তু এইটুকুই বলব।  

নিউজ ক্লিপস

খেলাধুলা

  • অন্যান্য খেলা
  • ফুটবল
  • ক্রিকেট

জনপ্রিয় সংবাদ

মতামত

আমাদের অনুসরণ করুন

ট্রেন্ডিং

হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

অক্টোবর ২২, ২০২৫
আন্তর্জাতিক
বিনোদন
অন্যান্য
সর্বশেষ

জাতীয়
বিশ্ব
অর্থনীতি
সারাদেশ
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রবাসী
খেলা
অর্থনীতি