যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশ থেকে আশেপাশের দেশগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা দিতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ১৩ আগস্ট চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে স্টারলিংক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ) হিসেবে ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ভারত ও নেপালসহ অন্যান্য দেশে সেবা দিতে ব্যান্ডউইডথ নিতে চায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্টারলিংকের চারটি গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি গাজীপুরে এবং বাকি দুটি রাজশাহী ও যশোরে অবস্থিত। এই স্টেশনগুলো থেকে স্টারলিংক জিওস্টেশনারি এবং নিম্ন কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট–সেবা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করলে দূরবর্তী দেশগুলোতে সেবা দেওয়ার সময় খরচ কমবে এবং মানও উন্নত হবে।
চিঠিতে স্টারলিংক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পপ থেকে সিঙ্গাপুর ও ওমানের সঙ্গে আইপিএলসি সংযোগ স্থাপন করতে চায় এবং ‘আনফিল্টারড’ (নিয়ন্ত্রণহীন) আইপি ট্রানজিট ব্যবহার করবে। তবে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের ট্রাফিক স্থানীয় আইআইজি ও আইপি ট্রানজিটের মাধ্যমে রাউট হবে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ সংযোগ বা নিরাপত্তার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
স্টারলিংক জানিয়েছে, আনফিল্টারড আইপি বাংলাদেশের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ফাইবারঅ্যাটহোম ও সামিট কমিউনিকেশনস থেকে নেওয়া হবে। এই দুই প্রতিষ্ঠানেরই ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেব্ল (আইটিসি) ও আইআইজি লাইসেন্স আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রধানত সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভরশীল। স্টারলিংক হলে দেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা গেলে, ভুটান ও নেপালের মতো দেশে সেবা দেওয়া সুবিধাজনক হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি হিসেবে দেখছেন, ট্রানজিট হিসেবে নয়। স্টারলিংক যদি ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করতে চায়, তবে বিষয়টি সরকারের কাছে নেওয়া হবে। তার আগে কারিগরি দিক যাচাই করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী সাবমেরিন কেবল এবং আইটিসি মাধ্যমে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইডথ আছে, তাই অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা সম্ভব হলে তা লাভজনক হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শুধু নিজস্ব ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবে না, বরং আশেপাশের দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
কিছু ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের ব্যাটারি মাঝে মাঝে ফুলে যেতে পারে, যেমন স্মার্টফোন। এতে ব্যাটারির ভেতরের চাপ বেড়ে গিয়ে ডিভাইসের কাভার বা বাইরের আবরণ ফেটে যেতে পারে। পাশাপাশি ভেতরের রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ডিভাইস ব্যবহারযোগ্য থাকে না। ফলে ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে হয় এবং ফুলে ওঠা ব্যাটারিটি নিরাপদভাবে ফেলে দিতে হয়। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট পকেট-লিন্ট অবলম্বনে এ আলোচনায় স্মার্টফোন ব্যাটারি ফুলে ওঠার কারণ ও কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়, তা তুলে ধরা হলো— স্মার্টফোন ব্যাটারি কেন ফুলে যায়? অধিকাংশ স্মার্টফোনে লিথিয়াম আয়ন পলিমার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। বাইরে থেকে এগুলো শক্ত ব্লকের মতো দেখায়। কিন্তু ভেতরে থাকে পাতলা ধাতু ও প্লাস্টিকের স্তর, যা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে আবৃত এবং একটি অ্যালুমিনিয়াম থলিতে ভরা। এরপর থলিতে ইলেকট্রোলাইট জেল ঢালা হয় এবং এটি ভ্যাকুয়াম প্যাক করা ও সিল করা হয়। সিলটি বাতাস লাগা থেকে রক্ষা করে, তাই সাধারণত ব্যাটারি নষ্ট হলেও কোনো তরল পদার্থ বের হয় না। ফোন ব্যবহার বা চার্জ দেয়ার সময় ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইটের খুব সামান্য অংশ কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত হয়। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং ব্যাটারির বয়স বাড়ার অংশ। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ দ্রুত ঘটে, ফলে ব্যাটারি ফুলে ওঠে। ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার চারটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত চার্জ, অতিরিক্ত তাপ, দীর্ঘ সময় ব্যাটারি শূন্য শতাংশে থাকা ও সরাসরি ক্ষতি হওয়া, যেমন শটসার্কিট। ব্যাটারি ফুলে যাওয়া রোধে করণীয় ব্যাটারি ফুলে যাওয়া যদিও বিরল ঘটনা, তবে সাবধানতা অবলম্বনে ক্ষতি নেই। অতিরিক্ত তাপ এড়িয়ে ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। ফোনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরাসরি রোদে রাখা যাবে না। ফোন বেশি গরম হয়ে গেলে এটি বন্ধ করতে বা স্লিপ মোডে রাখতে হবে। এছাড়া সার্টিফায়েড চার্জার ব্যবহার করাও জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড বা সার্টিফায়েড অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করলে শুধু ব্যাটারি নয়, গোটা ফোনের কার্যকারিতাও ভালো থাকে। অনেকে ফোনের ব্যাটারি একদম শেষ হলে চার্জে দেন। এ অভ্যাস বদলাতে হবে। পাশাপাশি ব্যাটারির সুরক্ষায় এমন সব ফিচারও বন্ধ করতে হবে যা ফোন সুইচ অফ থাকলেও ব্যাটারি খরচ করে, যেমন ডিজিটাল কার কি। এছাড়া ফোন হাত থেকে ফেলে দেয়া, চাপ দেয়ার মতো কাজেও ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শক্তিশালী কেস ব্যবহার করলে ব্যাটারি ক্ষতির আশঙ্কা প্রায় নেই। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, কোনো অবস্থায়ই ফুলে যাওয়া ব্যাটারি সাধারণ আবর্জনার সঙ্গে ফেলা যাবে না। এটি ই-ওয়েস্ট রিসাইকেল কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া উচিত অথবা ব্যাটারিটি আগুন-প্রতিরোধী কোনো পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। —পকেট-লিন্ট অবলম্বনে
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট। ওই তারিখের পর আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স বা টেকনিক্যাল সহায়তা দেওয়া হবে না এই জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ২০১৫ সালে বাজারে আসা উইন্ডোজ ১০ প্রায় এক দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি। তবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা কাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যেই তারা উইন্ডোজ ১১-কে প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলছে। 🔹 কী ঘটবে মেয়াদ শেষের পর উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা ২০২৫ সালের অক্টোবরের পরও তাদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সিস্টেমে নতুন কোনো আপডেট আসবে না। এর ফলে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে, কারণ নতুন ভাইরাস বা হ্যাকার আক্রমণ ঠেকাতে মাইক্রোসফট আর কোনো সুরক্ষা প্যাচ দেবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত নিরাপত্তা আপডেট বন্ধ হলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, র্যানসমওয়্যার বা হ্যাকিং ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। 🔹 বিকল্প সুযোগ ও নতুন পরিকল্পনা মাইক্রোসফট জানিয়েছে, যেসব ব্যবহারকারীর পিসি উইন্ডোজ ১১-এর ন্যূনতম হার্ডওয়্যার মানদণ্ড পূরণ করে, তারা সহজেই নতুন সংস্করণে আপগ্রেড করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি Extended Security Updates (ESU) নামে একটি বিশেষ সেবা চালু করছে, যার আওতায় ২০২৫ সালের পর আরও এক বছর (অর্থাৎ ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত) শুধু নিরাপত্তা আপডেট দেওয়া হবে। তবে এই সেবা সব দেশে বা অঞ্চলে বিনামূল্যে নাও পাওয়া যেতে পারে। ইউরোপ ও কিছু উন্নত বাজারে এটি বিনা খরচে পাওয়া যাবে, কিন্তু অন্যান্য অঞ্চলে এর জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হতে পারে। 🔹 বিকল্প অপারেটিং সিস্টেমের দিকে ঝুঁকছে অনেকেই যাদের পুরনো কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১ চালানোর উপযুক্ত নয়, তারা বিকল্প হিসেবে লিনাক্স বা ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বেছে নিচ্ছেন। এসব প্ল্যাটফর্ম তুলনামূলকভাবে হালকা, বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও উন্নত। 🔹 কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ করে সিস্টেম আপগ্রেডের পরিকল্পনা নিন। একই সঙ্গে হার্ডওয়্যার সামঞ্জস্যতা যাচাই করে উইন্ডোজ ১১-এ রূপান্তর অথবা বিকল্প কোনো নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করা উচিত। দীর্ঘ ১০ বছর পর মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার যুগের সমাপ্তি ঘটছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, “এটি প্রযুক্তির স্বাভাবিক অগ্রগতি”—আর নতুন প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেমই হবে ভবিষ্যতের নিরাপদ ডিজিটাল ভিত্তি।
ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ। ছোট বড় সবাই এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। আর সেজন্য গ্রাহকদের সুবিধার্থে নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় সংস্থাটি। এবারও ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে দারুণ খবর নিয়ে এসেছে তারা। অ্যাপটি ব্যবহারে আর প্রয়োজন পড়বে মোবাইল নম্বরের! ভাবছেন, ব্যাপারটা ঠিক কী? মেটার সূত্র জানিয়েছে, আগামীতে মোবাইল নম্বর না থাকলেও যোগাযোগ করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে। কিভাবে মেটা সূত্রে জানা গেছে, গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নতুন এই ফিচারের নিয়ে আসার ভাবনা। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে মোবাইল নম্বর থাকা আবশ্যক। তবে আগামীতে আর এর প্রয়োজন পড়বে না! জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামের মতো করেই সাজানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাকাউন্টে থাকবে ইউনিক ইউজার নেম। আর সেই ইউজার নেম দিয়েই খুঁজে পাবেন যে কাউকে। বর্তমানে বিটা ইউজাররা পরীক্ষামূলকভাবে এই ফিচারের সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, কাজ হোক বা ব্যক্তিগত আলোচনা—সব কিছুতেই মোটের ওপর ভরসা হোয়াটসঅ্যাপ। তাই অ্যাপকে আরো আকর্ষণীয় করার লক্ষ্য প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকে সংস্থা। কয়েকদিন আগেই ট্রান্সলেট ফিচার এনেছে সংস্থা। এবার যে কোনো মেসেজ সরাসরি অনুবাদ করে দেবে অ্যাপই। যে মেসেজ ভাষার কারণে বুঝতে পারছেন না, সেটিতে লং প্রেস করতে হবে। তাহলেই পাবেন ‘ট্রান্সলেট’ অপশন। তাতে ক্লিক করলেই পাবেন একাধিক ভাষার অপশন। যে ভাষায় চান সেটাতে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে অনুবাদ।