সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ২০, ২০২৫ 0
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রীকে ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ও বরিশাল বিভাগীয় ধর্ষণ প্রতিরোধ মঞ্চের নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই নেত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যা চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে।

 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মামলাটি এফআইআর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম।

এজাহারের বরাতে ওসি জানান, বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনের ওই নেত্রীর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে ওই নেতার (২৪) পরিচয় হয়। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নেতা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন স্থানে ওই নেত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোডের আবাসিক হোটেল হক ইন্টারন্যাশনালের ৪০৪ নম্বর রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা মোবাইলে ধারণ করেন তিনি।

পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একাধিকবার বিয়ের কথা বললেও অভিযুক্ত নেতা আজ না কাল বলে সময় ক্ষেপণ করে।

সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে বিয়ে করবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন অভিযুক্ত নেতা। তরুণী এর প্রতিবাদ করায় হেলমেট দিয়ে তার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করেন তিনি। মাথা সরিয়ে নিলে তা গিয়ে নেত্রীর ঠোঁটে লাগে। এতে ঠোঁট ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়।

এর আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেত্রী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। এমনকি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে নিজেকে শেষ করে ফেলার হুমকিও দেন ওই নেত্রী।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নেতাকে একাধিকবার কল করলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় একমাত্র ওই নেতাকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নেতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পতিত আওয়ামী লীগের আমলে ধারালো অস্ত্র হাতে তার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক বনে যান তিনি। এমনকি বরিশালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনেও ছিলেন তিনি। ওই সময় অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সারাদেশ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
যেসব কারণে হঠাৎ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হতে পারে

নির্দিষ্ট কিছু কারণে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়াটা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় আগাম কোনো সতর্কতা বা নোটিশ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটে। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এর কারণ জানতে চাইলে আপনি অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন, যেমন: "আমি কি কিছু ভুল করেছি?", "অথবা অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে কিনা?" তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়ার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ থাকে। আসুন, জানি কেন ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে এবং এ থেকে কিভাবে রক্ষা পেতে পারেন।   ১. অন্যের পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যদি আপনি অন্য কারো নাম বা ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালান, তা ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতির লঙ্ঘন। সেলিব্রিটি বা পরিচিত ব্যক্তির নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা হলে, অভিযোগ আসলে ফেসবুক দ্রুত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। ২. ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর নাম ব্যবহার ফেসবুক চায় ব্যবহারকারীরা তাদের আসল নাম ব্যবহার করুক। ভুয়া বা অবাস্তব নাম ব্যবহার করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে সাধারণ ডাকনাম বা নামের সংক্ষিপ্ত রূপ গ্রহণযোগ্য। ৩. ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ ফেসবুকের Community Standards (কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস) যদি ভঙ্গ করেন, তবে প্রথমে পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। বারবার নিয়ম ভাঙলে, অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সহিংসতা, ঘৃণামূলক বক্তব্য বা আত্মহানির বিষয়গুলোর প্রতি ফেসবুক এখন অনেক বেশি সতর্ক। ৪. আপত্তিকর বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য গালাগালি, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বা অন্যকে হেনস্থা করা নিয়মিত হলে, প্রথমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এবং পরে একাধিক রিপোর্টের পর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ৫. বয়স ১৩ বছরের কম হওয়া ফেসবুক ব্যবহারের জন্য বয়স কমপক্ষে ১৩ বছর হতে হবে। যদি প্রমাণিত হয় যে আপনি ১৩ বছরের কম, তবে কোনো রিভিউ ছাড়াই অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করা হয়। শিশুদের জন্য ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে রয়েছে Messenger Kids। ৬. অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক হয়ে যায়, তবে অপরিচিত ব্যক্তি আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিয়ম ভাঙতে পারে। এতে আপনার অজান্তে অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। তবে ফেসবুক হ্যাকড অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য সাহায্য প্রদান করে, তবে দেরি হলে এটি কঠিন হয়ে যায়। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়া থেকে বাঁচার উপায় আসল নাম ও তথ্য ব্যবহার করুন নিয়মিত Community Standards অনুসরণ করুন সন্দেহজনক লিংক এড়িয়ে চলুন টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখুন আপত্তিকর পোস্ট বা মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন ফেসবুক শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়, এটি আমাদের স্মৃতি, যোগাযোগ এবং পরিচয়ের বড় একটি অংশ। তাই অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হলে তা অনেক বড় ধাক্কা হতে পারে। তবে, ফেসবুকের নিয়মগুলো মেনে সচেতনভাবে ব্যবহার করলে এই সমস্যা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

যে এলাকায় ৭ দিন বিদ্যুৎ বিল আদায় বন্ধ থাকবে

প্রতীকী ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ট্রেন। পুরোনো ছবি

ঢাকা-কক্সবাজারসহ ৬টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রুমিন ফারহানা। ছবি : সংগৃহীত
রুমিন ফারহানা নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন।   শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। রুমিন ফারহানা বলেন, আমি যা বলি, আমি তা-ই করি। আমার এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, মার্কা যা-ই হোক, নির্বাচন করব আমি সরাইল-আশুগঞ্জ থেকেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের অধিকাংশ আসনে যখন মনোনয়ন নিয়ে উৎসব চলছে, সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ এখনও জানেন না তাদের এমপি প্রার্থী কে। এ জন্য এই এলাকায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৭ বছর আমার ভূমিকা মানুষ জানেন। আমার বাবার অপূর্ণ স্বপ্নপূরণ করতেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। আপনারা পাশে থাকলে বাংলাদেশ জয় করতে পারি। তিনি জানালেন, সরাইল ও আশুগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সংসদে গেলে কাজ করবেন। আগামী ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রকৃত ভোট দিতে পারেনি এবং এখন সরকার ২০২৬ সালের জন্য ভালো নির্বাচন দাবি করছে। বুধবার পর্যন্ত বিএনপি দুই দফায় ২৭২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এখনও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। রুমিন ফারহানা এ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ২০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টা

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা । ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

গ্রেপ্তার মারুফ খান। ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুরে আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মারুফ খান গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাসহ সারা দেশের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য এই পূর্বাভাস কার্যকর থাকবে।   পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টাতেও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।   বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ পুরস্কার

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু ও শেষ কবে

ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুরে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

0 Comments