জাতীয়

অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করতে চাই : ওসমান হাদির ভাই

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের প্রত্যাশা নয়, বরং একটি অসমাপ্ত বিপ্লবকে পরিপূর্ণতা দেওয়াই মূল লক্ষ্য—এমন মন্তব্য করেছেন ওসমান হাদির ভাই। সাম্প্রতিক এক রাজনৈতিক বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তিগত সুবিধা কিংবা অর্থনৈতিক প্রাপ্তির জন্য নয়, আদর্শিক লড়াইকে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ থেকেই তাদের পথচলা।


তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহু ত্যাগ, সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী অধ্যায় রয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই আন্দোলনের লক্ষ্য পূর্ণতা পায়নি। সেই অসমাপ্ত অধ্যায়গুলোকে সামনে রেখে আজকের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। তার ভাষায়, আমরা কারও কাছে টাকা চাইতে আসিনি, অনুদান চাইতে আসিনি। আমাদের দাবি একটাই—দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং যে বিপ্লব শুরু হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ করা।


ওসমান হাদির ভাই আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনগণ ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও ন্যায্যতার প্রশ্নে বঞ্চিত। এই বাস্তবতায় অর্থ নয়, প্রয়োজন ঐক্য, সাহস ও আদর্শে অটল থাকার মানসিকতা। তিনি দাবি করেন, প্রকৃত পরিবর্তন কখনোই অর্থের জোরে আসে না; আসে মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে।
বক্তব্যে তিনি রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিভ্রান্তি, হতাশা কিংবা স্বার্থপরতার জায়গা থেকে সরে এসে মূল লক্ষ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আন্দোলনের পথ সহজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যে বিপ্লব জনগণের স্বার্থে হয়, তা দমন করে থামিয়ে রাখা যায় না।


তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস জানাতে হবে এবং তাদের সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যার ভিত্তিতে আগের আন্দোলনগুলো গড়ে উঠেছিল। তার মতে, এই সংগ্রাম কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য।


বক্তব্যের শেষাংশে ওসমান হাদির ভাই বলেন, আমরা পিছিয়ে যেতে রাজি নই। প্রয়োজনে ত্যাগ আরও বাড়বে, কিন্তু অসমাপ্ত বিপ্লব শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই থামবে না। তার এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা দেখা গেছে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়‌নি, দীপু হত্যার প্রতিবাদ করা হয়েছে : দি‌ল্লি

নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে দিল্লির বাংলাদেশ মিশনে উগ্র ভারতীয়দের দ্বারা আক্রমণের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।   দিল্লির বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা নিয়ে রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।   তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। প্রকৃতপক্ষে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেয় এবং বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষার দাবি তোলে।   হাইকমিশনের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে বাংলাদেশ মিশনে ভারতীয় নাগরিকদের প্রবেশের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, এ ঘটনায় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা বা নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব ঘটনার দৃশ্যমান প্রমাণ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।   আন্তর্জাতিক প্রটোকল ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, নিজ ভূখণ্ডে অবস্থিত বিদেশি মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান রণধীর জয়সওয়াল।   বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ভারত দীপু চন্দ্র দাসের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।

আক্তারুজ্জামান ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0

বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা নিয়ে দিল্লির বক্তব্য ‘প্রত্যাখ্যান’

ছবি : সংগৃহীত

ভোটের দিনে অপরাধ দমনে ইসির নতুন কৌশল

ছবি : সংগৃহীত

বিএনপিকে যে পরামর্শ দিলেন গণমাধ্যম কর্তাব্যক্তিরা

ছবি : সংগৃহীত
হাসিনা-কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত রোববার (২১ ডিসেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আদালতের এই আদেশ দুদক-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়। দুদকের পক্ষে আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মো. শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎস ভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে টাকার পরিবর্তে মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) দেওয়া হয়, যার ফলে তারা ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। তুলনায় ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। এ ঘটনায় দুদক ১২ অক্টোবর মামলার মাধ্যমে ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নামীয় আসামিরা দেশত্যাগ করলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধ করা প্রয়োজন বলে আদালত সিদ্ধান্ত নেয়।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করতে চাই : ওসমান হাদির ভাই

ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ছবি : সংগৃহীত

তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আটক বিএসএফ সদস্য। ছবি : সংগৃহীত
সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক বিএসএফ সদস্য

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।   রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে দহগ্রাম–আঙ্গরপোতা সীমান্ত এলাকার একটি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ পিলার ডিএএমপি ১/৭ এস সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্যের নাম কনস্টেবল বেদ প্রকাশ। তিনি ভারতের অর্জুনবাড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। বিজিবি সূত্র জানায়, আঙ্গরপোতা বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় তাকে শনাক্ত করে দ্রুত আটক করে এবং ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শটগান, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সূত্র আরও জানায়, ঘটনাটি নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ চলছে। আটক বিএসএফ সদস্যকে কেন্দ্র করে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকজন গরু পারাপারকারীর উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় অর্জুনবাড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০০ গজ ঢুকে পড়ে। পরে টহলরত বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওই বিএসএফ সদস্যকে আটক করে। বর্তমানে আটক ভারতীয় বিএসএফ সদস্য দহগ্রাম ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে রয়েছেন। দহগ্রাম ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, ভারতবেষ্টিত হওয়ায় দহগ্রাম এলাকায় মাঝেমধ্যে এ ধরনের সীমান্ত উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। অতীতেও নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীন জানান, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

হাদির হত্যাকারীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম : ইনকিলাব মঞ্চের

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স

ছবি : সংগৃহীত

প্রবাসীদের জন্য সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট বিতরণ শুরু

0 Comments