জাতীয়

নিহতের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিবে জামায়াত

খবর৭১ ডেস্ক অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

 

জামায়াতের মুখপাত্র বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দিতে স্থানীয় ইউনিটগুলো কাজ করছে।

 

উল্লেখ্য, মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দল দীর্ঘ সময় ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

 

নিহতদের পরিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকেও সহায়তা পাচ্ছেন। তবে জামায়াতের এই আর্থিক সহায়তা পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ক্যাম্প ছেড়ে উন্নত দেশে যেতে চায় রোহিঙ্গারা

দীর্ঘায়িত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প জীবন। সব বয়সি রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বন্দি ও অমানবিক জীবনে প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তার চরম হতাশায় ভুগছে। নিজভূমে তো বটেই, সেটি যদি সম্ভব না হয় তাহলে উন্নত দেশে পুনর্বাসনের আশায় যেতে চায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা। নিজভূমি থেকে পালিয়ে আসার পর নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখনো অমীমাংসিত। তাই নিরুপায় হয়ে এই বেঁচে থাকা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। কবে তারা নিজভূমে ফিরে যেতে পারবে—এ প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছে না। ক্যাম্পে নিজ ভাষায় পড়াশুনা অথবা জীবন জীবিকার নানা আয়োজন আছে। তবুও সেটা বন্দি জীবনের মতোই। নিজভূমে ফেরা যখন অনিশ্চিত। অন্যের দানে চলা জীবন নিজভূমে না হোক, যেতে চায় পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে। এমন চাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেকের মাঝে। বৈধ বা অবৈধ যে পথেই হোক তারা যেতে চান উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশে। এ কারণে মাঝে মধ্যে সাগরপথে তারা পাড়ি জমায় মালয়েশিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে। পাচারকারী সিন্ডিকেটের খপ্পড়ে পড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবন হারাতে হচ্ছে। কানাডা নিউজিল্যান্ডসহ বেশকয়েকটি উন্নত দেশে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯৭ জন রোহিঙ্গা পুনর্বাসিত হয়েছে। রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন শুরু হলে এদের অনেকেই ফিরতে চান নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে। কানাডায় পুনর্বাসিত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, এখন যদি শান্তিপূর্ণভাবে আরাকানে চলে যেতে পারে, সবাই চলে যাবে। আমরাও চলে যাব আরাকানে। বছরে ১ ভাগও পুনর্বাসনের সুযোগ পায়নি। কক্সবাজারের উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ হারেজ (২৬)  প্রাণ বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ৪ সন্তান নিয়ে আশ্রয় নেন বাংলাদেশে। ক্যাম্পে মানবেতর দিন কাটালেও মিয়ানমারে তিনি ছিলেন রাজার হালে। জমি-জমা তো বটেই; ছিল গোয়াল ভরা গরু-মহিষ-ছাগলও। হারেজ এখন ফিরতে চান হারিয়ে আসা সেই জীবনে, চান নিজ ভিটায় ফিরতে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা খেলবে এরকম একটা মাঠ নেই, ভালো একটা রাস্তা পর্যন্ত নেই কোথাও। ক্যাম্পের জীবন আমাদের একটুও ভালো লাগে না। নিজ দেশে আমাদের বড় বড় জায়গা ছিল, ঘরবাড়ি ছিল। আর ছোট একটা ঝুপড়ি ঘরে আমাদের থাকতে হচ্ছে এখানে। গ্রীষ্মকালে গরমের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে যাই আবার বর্ষাকালে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে যায়। আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে চাই। শরণার্থী হয়ে এই বাংলাদেশে আমরা আর থাকতে চাই না। এই দেশে অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করে আয় করার সুযোগও আমাদের নেই। সরকারি সহায়তা নিয়ে আমাদের জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এরকম জীবন আমরা আর চাই না। আমরা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।’ কক্সবাজারের উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ জোহার একজন ব্লক মেম্বার। দুই ছেলের বয়স যথাক্রমে ৬ ও ৪ বছর। মেয়ের বয়স ১ বছর। তিনি বলেন, আমাদের যদি শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ভূমিতে পুনর্বাসন করলে আমরা চলে যাব। শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে শরণার্থীরা তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসিত হয়েছে, তবে সে সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে আগে তাদের নিজভূম আরাকানে ফেরত নিতে হবে। এটাই আমরা চেষ্টা করছি। তবে উন্নত জীবনের আশায় বৈধ বা অবৈধ পথে কিছু রোহিঙ্গা বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। তবে এটা করা হলে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনকে নিরুত্সাহিত করা হবে। আমরা চাই, ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজভূমে পুনর্বাসিত করা  হোক। উল্লেখ্য, প্রায় ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা বসবাস করছে কক্সবাজারের ৩৩টি ক্যাম্পে। প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন অনিশ্চয়তায় মাঝে মাঝেই অবৈধ পথে পালানোর সময় সলিল সমাধি  হয়ে খবরে শিরোনাম হন রোহিঙ্গারা।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযানে নামছে ডিএসসিসি

ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ.লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ছবি: সংগৃহীত
বদলি–শোকজের পর অনেক শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। কোথাও কোথাও বিদ্যালয়ে তালা লাগানোর ঘটনাও ঘটে। মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা সত্ত্বেও আন্দোলন চলতে থাকায় প্রাথমিক শাস্তি হিসেবে বহু শিক্ষককে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজনকে অন্য জেলায় বদলিও করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কারা আন্দোলনের নেপথ্যে ছিলেন বা উসকানি দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হবে।   গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অমান্য করলে চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু ওই রাতেই সহকারী শিক্ষকদের একটি অংশ পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৫ জনসহ মোট ৪২ সহকারী শিক্ষককে পাশের জেলায় বদলির আদেশ দেয়। এতে তারা আর নিজ জেলার কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদেরও শোকজ করা হয়েছে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটে নোয়াখালীতে, যেখানে ২৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে জেলার সব শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। শোকজে বলা হয়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক, কিন্তু শিক্ষকরা নির্দেশনা অমান্য করেছেন এবং পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি করেছেন। বিদ্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাও ‘দায়িত্বহীন আচরণ’ বলে উল্লেখ করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বদলি ও শোকজের পর বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী শিক্ষকরা বিবৃতি দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাউকে আন্দোলনে বাধ্য করা হয়েছে কি না এবং পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না তাও তদন্ত করা হবে। আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   শাস্তির বিধান সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী শৃঙ্খলাভঙ্গ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন শাস্তি তিরস্কার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বরখাস্ত পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। আইনে বলা আছে লঘু শাস্তির মধ্যে রয়েছে তিরস্কার, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন স্কেলে অবনমন এবং ক্ষতিপূরণ আদায়। গুরু শাস্তির মধ্যে রয়েছে নিম্ন পদে অবনমন, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং বরখাস্ত।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

রোববার লন্ডন নিতে পারে খালেদা জিয়াকে

ছবি: সংগৃহীত

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুন, দগ্ধ ১৫

ছবি: সংগৃহীত

চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের

ছবি: সংগৃহীত
কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বিমান

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর আবারো আলোচনায় এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম। ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটি ইজারাগ্রহীতা হিসেবে বিমানকে আংশিকভাবে দায়ী করেছে এবং সংস্থাটির কার্যক্রম শুধু ফ্লাইট পরিচালনায় সীমিত রাখার পাশাপাশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং দায়িত্ব দক্ষ অপারেটরের কাছে দেয়ার সুপারিশ করেছে।   বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বিমানকে পুরোপুরি সরিয়ে না দিয়ে বিকল্প অপারেটর যুক্ত করে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির দিকেই ঝুঁকছে সরকার।   তবে এ সুপারিশের সঙ্গে একমত নন বেশ কিছু এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটি দায়ী হলেও বিমানের ব্যবসা সীমিত করে দেওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। তাদের দাবি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে সেবা–সংকট বহুদিনের হলেও এর সমাধান হতে পারে দক্ষ বিকল্প অপারেটর যুক্ত করা; বিমানের কর্মকাণ্ড কমিয়ে দেয়া নয়।   বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি দেশের সব বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালেও দুই বছরের জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিমানের ওপর নীতিগতভাবে দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কার্গো পরিষেবা, বিএফসিসির মাধ্যমে ইন-ফ্লাইট ক্যাটারিং, পোল্ট্রি কমপ্লেক্স, এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ট্রেনিং সেন্টার (বিএটিসি) পরিচালনাসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু বাণিজ্যিক শাখা রয়েছে।   তদন্ত কমিটি যদিও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে বিমানকে সরিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছে, তবে অন্যান্য বাণিজ্যিক ইউনিট নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি।   বিমানের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন একচেটিয়া ক্ষমতা কোনো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেয়, তাই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় প্রতিযোগিতা আনার বিকল্প নেই।   বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবাকে কেন্দ্র করে অভিযোগও কম নয় যেমন: ব্যাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের অপেশাদারিত্ব, লাগেজ হারানো ও চুরি, চেকইন–চেকআউট ঝামেলা থেকে শুরু করে স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। সাম্প্রতিক এক জরিপে যাত্রীদের ৯৭ শতাংশই সেবার মানে অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। বিদেশী এয়ারলাইনসও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার হিসেবে বিমানের বিকল্প চায়। শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জরিপে দেখা গেছে, তৃতীয় টার্মিনালে ৯৩ শতাংশ এয়ারলাইনস একাধিক অপারেটর চায়।   এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম মনে করেন, “বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান—তার কোন ব্যবসা থাকবে, কোনটা থাকবে না এভাবে বেঁধে দেওয়া অযৌক্তিক। দায় থাকলে জবাবদিহি হবে, কিন্তু তার ব্যবসা সীমিত করে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”   তিনি আরও বলেন, “৫০ বছরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিকল্প অপারেটর তৈরি করা হয়নি, এটা একটা বড় ব্যর্থতা। বিমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে দোষী নয়; যারা পরিচালনা করেছেন তাদের জবাবদিহি করা প্রয়োজন। কার্যক্রম সীমিত করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।”

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

জার্মানি-নির্মিত কাতারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে ঢাকায়

এক জেলার ২৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে শোকজ

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

0 Comments