অন্যান্য

নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে দলটি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির সদয় বার্তা ও শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।

 

বিএনপি জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মোদির সৌজন্যমূলক বার্তা দলটির কাছে গভীরভাবে প্রশংসনীয়। তাদের মতে, এই শুভেচ্ছা ও সমর্থনের প্রকাশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রতিফলন।

এর আগে সোমবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। মোদি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনজীবনে দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খালেদা জিয়া সম্মানিত, এবং প্রয়োজনে ভারত সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

অন্যান্য

আরও দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
কেন হঠাৎ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি প্রার্থী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।   মাসুদুজ্জামান মাসুদ জানান, বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর শহর-ও-দরবাসীর কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা এবং পরিবারের অনুরোধে তিনি নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমি নারায়ণগঞ্জ শহর-বন্দরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থী। একজন সমাজকর্মী হিসাবে আজীবন তাদের পাশে থাকব।” মাসুদ আরও উল্লেখ করেন, ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় পরিবারের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। এই কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো তার জন্য একমাত্র নিরাপদ উপায় ছিল। তিনি জানান, প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানানোর জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি, তাই সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রথমবারের মতো জানানো হলো। মাসুদুজ্জামান মাসুদ আশা প্রকাশ করেন, নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনে বিএনপির যেকোনো প্রার্থী বিজয় নিশ্চিত করতে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন। গত সেপ্টেম্বর মাসুদ বিএনপিতে যোগ দেন এবং যোগ দেওয়ার পরই মনোনয়ন পান। তবে ভোটের লড়াই শুরুর আগেই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা তোলেন। অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ওসমান পরিবারের প্রভাব দেখা গেছে; শামীম ওসমানের ভাই নাসিম ওসমান একাধিকবার এই আসনের এমপি ছিলেন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0

শীতকালে কেন বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি

যে ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন সর্দি হয়

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ফেরার আগে ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে শেষ কর্মসূচিতে তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে: জামায়াত আমির

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, অতীতের বস্তাপচা ও অচল রাজনীতিকে পায়ের নিচে ফেলে দিতে হবে। সেই রাজনীতি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং পিছিয়ে দিয়েছে। এই রাজনীতির পাহারাদাররা এখন সময়ের ভারে অচল হয়ে পড়েছে।   মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে যুব র‍্যালি ম্যারাথন ‘রাজপথে বিজয়ে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখন এমন রাজনীতির প্রয়োজন, যা দেশ, জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়াবে। যে রাজনীতি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। যে রাজনীতি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, মামলাবাজি, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কোনো দলের নয়— এটি ১৮ কোটি মানুষের বিজয়ের দুয়ার খুলে দেবে। অতীতের রাজনীতি বাংলাদেশকে সামনে নয়, বরং পেছনের দিকে টেনেছে। সেই রাজনীতি স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা সেই রাজনীতির সমাপ্তি চাই এবং নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করতে চাই। আওয়ামী লীগের শাসনামল প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা একটি পরিবার, একটি গোষ্ঠী ও একটি দলের স্বার্থে সাজানো হয়েছিল। সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে দেশকে শ্মশান বাংলায় পরিণত করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে রূপান্তর করা হয়েছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের কারণেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে এবং তখন দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর একটি দল মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে নেয়। বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়, মৌলিক মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। রক্ষী বাহিনীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, রক্ষী বাহিনীর নামে জল্লাদ বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশজুড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিদেশ থেকে আসা ত্রাণ আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল, যার পরিণতি ছিল ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ— যেখানে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ঢাকায় লাশ দাফনের ভার নিতে হয়েছিল আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে। এটাই তথাকথিত সোনার বাংলার বাস্তব চিত্র। আওয়ামী লীগের বারবার ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একাধিকবার ক্ষমতায় এসে তারা দেশকে দিয়েছে ছোপ ছোপ রক্ত আর কাড়ি কাড়ি লাশ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতায় এলেও চেয়ারে বসেই পুরোনো চেহারায় ফিরে যায়। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা— সবই সেই ধারাবাহিকতার অংশ। সুবর্ণচরের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে একজন নারীর ওপর বর্বরতা চালানো হয়েছে। খুন, ধর্ষণ ও আয়নাঘরের রাজনীতির কারণেই তাদের পালাতে হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। ওসমান হাদির ওপর হামলা তারই প্রমাণ। তিনি আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করেন। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোনো দলীয় বিজয় চাই না, চাই ১৮ কোটি মানুষের বিজয়। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দিয়েই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা চাই না, কিন্তু কোনো দলকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কালো টাকার বিনিময়ে মানুষ কেনার দিন শেষ। তিনি বলেন, যুবসমাজের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। যুবকরাই সব বাধা ভেঙে শান্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।   অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিজয় দিবস শুধু স্মরণের নয়, নতুন শপথ নেওয়ার দিন। পুরোনো রাজনীতির কবর রচনা করে বাংলাদেশকে নতুন পথে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নিতে হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত

তিন বিষয়ে মহাব্যস্ত বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

লা টোয়া জ্যাকসনের নতুন ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড

ছবি : সংগৃহীত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। তাঁর রোল নম্বর ২৪১৩৬৭১। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন এবং ৯১ দশমিক ২৫ নম্বর অর্জন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন, যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী (১ দশমিক ৭৯ শতাংশ)। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন ২ জন। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন (৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন (৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ)। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে ভর্তি হতে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা–২০২৬ অনুসরণ করে পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ফলাফল দেখার নিয়ম ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘MBBS Result 2025–2026’ লিংকে ক্লিক করে নিজের ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর প্রদান করতে পারবেন। এরপর ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলে ফলাফল দেখা যাবে। ফলাফল ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মেধাতালিকা পিডিএফ আকারেও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

মেডিকেল–ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি : সংগৃহীত

তারেক রহমানকে যেভাবে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

ছবি : সংগৃহীত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানা যাবে

0 Comments