সর্বশেষ

দুই আসনে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের সমঝোতা

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে দুইটি আসনে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। রোববার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সেখানেই আসন সমঝোতার ভিত্তি তৈরি হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।


বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্য সমঝোতার আওতায় পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে সম্মত হয়েছে বিএনপি। এ দুই আসনে বিএনপি প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থীরা নিজ দলের প্রতীক ‘ট্রাক’ ব্যবহার করেই ভোটের মাঠে থাকবেন।
সমঝোতার বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, বিএনপির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা মোট ১০টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আলোচনার প্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে আপাতত দুইটি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব উঠে এসেছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার গণ অধিকার পরিষদের নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে এবং সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনের পরই সমঝোতা বিষয়ে দলীয় অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সমঝোতাকে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও আসনে সমঝোতার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সর্বশেষ

আরও দেখুন
ছবি : সংগৃহীত
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ

দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে রোববার সন্ধ্যায় আবারও উগ্রপন্থীদের একটি দল বিক্ষোভ করেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা অল্প সময় অবস্থান করে স্লোগান দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এর আগের দিন শনিবার রাতেও একই স্থানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতের ঘটনার খবর রোববার দুপুরের দিকে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও শুরুতে ভারত বা বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। পরে বিকেলের দিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে দিল্লির চানক্যপুরী এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বেষ্টনি অতিক্রম করে একদল হিন্দু চরমপন্থী ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়স্বাল দাবি করেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে একদল যুবক বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস সংক্রান্ত একটি ঘটনার প্রতিবাদে স্লোগান দেয়। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তারা নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ভারতের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। তিনি এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন বেড়েছে। দুই দেশেই এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন—এমন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভারতবিরোধী প্রচারণা নতুন করে গতি পায়। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত নয়টার দিকে একদল উগ্রপন্থী হাইকমিশনের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেয় এবং হাইকমিশনারকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। কিছুক্ষণ পর তারা এলাকা ত্যাগ করে। ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

দুই আসনে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের সমঝোতা

ছবি : সংগৃহীত

নতুন রাষ্ট্র ভাবনায় গণমাধ্যমের সংস্কার অপরিহার্য : মাহফুজ আনাম

ছবি : সংগৃহীত

ঢাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও

ছবি : সংগৃহীত
দেশের ৮ বিভাগে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন

দেশের সকল বিভাগের জন্য গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ শাখা সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র সহকারী সচিব আশেকুর রহমানের স্বাক্ষর আছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ১৩ অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের ৮টি বিভাগের জন্য গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলো। এই ট্রাইব্যুনালগুলো অবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন গঠিত ট্রাইব্যুনালগুলো এবং তাদের অধিক্ষেত্র হলো: ১. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ ঢাকা বিভাগ। ২. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, সিলেট – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ সিলেট বিভাগ। ৪. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, ময়মনসিংহ – ময়মনসিংহ বিভাগ। ৫. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, রাজশাহী – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ রাজশাহী বিভাগ। ৬. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, রংপুর – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ রংপুর বিভাগ। ৭. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, খুলনা – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ খুলনা বিভাগ। ৮. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল, বরিশাল – মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বরিশাল বিভাগ। সরকারের এই উদ্যোগকে গুম প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালগুলো নাগরিকদের গুম সংক্রান্ত অভিযোগ ও মামলাগুলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব পালন করবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার রক্ষায় একটি নতুন সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

গণমাধ্যমে হামলা জাতির জন্য লজ্জাজনক : সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি : সংগৃহীত

বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও অগ্নিসংযোগে অস্থিতিশীল দেশ

ছবি : সংগৃহীত

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন লক্ষ্য করে উগ্র সংগঠনের বিক্ষোভ

ছবি : সংগৃহীত
বগুড়া–৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া–৬ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, বগুড়া–৬ আসন বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী আসন। এই আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। ফলে এই আসনে তার নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদের আস্থা ও সমর্থন সুস্পষ্ট। মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের সময় উপস্থিত নেতারা বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশ একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হলে সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব প্রয়োজন, যা তারেক রহমানের মধ্যে বিদ্যমান। তারা আরও বলেন, বগুড়া–৬ আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লড়াইয়ে এই আসন থেকে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে প্রস্তুত।   এ সময় নেতাকর্মীরা জানান, মনোনয়ন ফরম উত্তোলন শুধু একটি আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের অংশ। তাদের মতে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণ তাদের পছন্দের নেতৃত্বকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপগুলো দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্পন্ন করা হবে। বগুড়া–৬ আসনে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের খবরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে এবং তারা এটিকে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে : সালাহউদ্দিন

ছবি : সংগৃহীত

ফেরি ডুবে ৫ যান ধলেশ্বরী নদীতে, ৩ জন নিহত

ছবি : সংগৃহীত

একদিনেই ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে

0 Comments