বিশ্ব

আফগানিস্তানে হাসপাতালে বোরকা পরে প্রবেশের নির্দেশ

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে নারী রোগী, সেবিকা ও কর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের আগে বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। খবর বিবিসির

সংস্থাটি জানায়, নতুন নিয়মের কারণে নারীদের চিকিৎসা নেওয়ার পথে বড় বাধা তৈরি হয়েছে, ফলে জরুরি রোগী ভর্তি ২৮ শতাংশ কমে গেছে। এমএসএফের আফগানিস্তান প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারা শাতো বলেন, এই বিধিনিষেধ নারীদের জীবন আরও কঠিন করে তুলছে, এমনকি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনেও অনেক নারী আসতে পারছেন না।

তবে তালেবান সরকারের মুখপাত্র এমএসএফের দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের খবর মিথ্যা। আমাদের অবস্থান হিজাব নিয়ে, বোরকা নয়।

যদিও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পর কিছু এলাকায় নিয়ম আংশিকভাবে শিথিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

এমএসএফ জানায়, হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালে নতুন নিয়ম চালুর পর থেকেই জরুরি বিভাগে রোগী আসা কমেছে। সংস্থার মতে, তালেবান সদস্যরা হাসপাতালে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বোরকা না পরা নারীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। অন্যদিকে মানবাধিকারকর্মীরা জানান, শুধু হাসপাতালে নয়—স্কুল, সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। হেরাতের এক নারী অধিকারকর্মী বলেন, এখন বাইরে বের হতে হলে নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক।

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এক আফগান কর্মী এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) বোরকা পুড়িয়ে প্রতিবাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

১৯৯০-এর দশকে প্রথম ক্ষমতায় থাকাকালেও তালেবান নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করেছিল। ২০২১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর তারা নারীদের ওপর ক্রমেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যাচ্ছে। ২০২২ সালে মুখঢাকা পোশাকের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তখন সেটিকে ‘পরামর্শ’ বলা হয়েছিল।

এমএসএফের মতে, এবারই প্রথম হেরাতে নির্দেশটি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সারা শাতো বলেন, গত কয়েক দিনে হাসপাতালে বোরকা পরা নারীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে।

বর্তমানে আফগানিস্তানে নারীদের কর্মক্ষেত্র, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবৈষম্য’ হিসেবে উল্লেখ করে এর অবসান দাবি করেছে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লটারি স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লটারি (ডিভি-১) কর্মসূচি স্থগিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র বিভাগ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এই লটারির মাধ্যমে দেশটিতে প্রবেশ করেছিল, এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।   ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ক্লডিও নেভেস ভ্যালেন্টে (৪৮) একজন পর্তুগিজ নাগরিক।  তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৩ ডিসেম্বর আইভি লিগের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি ভবনে ঢুকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান তিনি। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং নয়জন আহত হন।  এর দুই দিন পর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) এক অধ্যাপককে হত্যার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিস্টি নোয়েম লিখেছেন, ‘নেভেস ভ্যালেন্টে ২০১৭ সালে ডাইভারসিটি লটারি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রোগ্রামের (ডিভি-১) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন এবং গ্রিন কার্ড পান।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে আমি অবিলম্বে ইউএসসিআইএস(যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা)-কে ডিভি-১ প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিচ্ছি। এই ভয়াবহ কর্মসূচির মাধ্যমে যেন আর কোনো আমেরিকানের ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।’ ওই ব্যক্তির সমালোচনা করে নোম বলেন, ‘এই জঘন্য ব্যক্তিকে আমাদের দেশে কখনোই ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি।’ এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর নেভেস ভ্যালেন্টের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার কম-এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য প্রতি বছর ৫৫ হাজার স্থায়ী আবাসিক ভিসা বা গ্রিন কার্ড লটারি দেওয়া হয়।  এই লটারিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অথবা নির্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়। এছাড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ 0

ভিসা দেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করবে ভারত

ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানি বহিষ্কার

হোয়াইট হাউসে নতুন ফলক : বাইডেন ও ওবামার প্রতি তীব্র কটাক্ষ

ভোট কারচুপির অভিযোগে হন্ডুরাসে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

হন্ডুরাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি’র অভিযোগে বিদায়ী বামপন্থী দলের হাজার হাজার সমর্থক বুধবার রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দেশটিতে এখনও চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। তেগুসিগালপা থেকে এএফপি এ খবর জানায়। নির্বাচন কমিশন জানায়, হাজার হাজার ব্যালট পেপারে অসংগতি থাকায় ৩০ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে। এদিকে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কারচুপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে এই অসংগতি দূর করার প্রক্রিয়া শুরু হতেও বিলম্ব হয়েছে। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, রক্ষণশীল ব্যবসায়ী নাসরি আসফুরা ডানপন্থী টেলিভিশন উপস্থাপক সালভাদর নাসরাল্লার চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এদিকে, আসফুরাকে সমর্থন দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেগুসিগালপায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রোর প্রায় ৫০ হাজার সমর্থক অংশ নেন। তারা একে একটি ‘নির্বাচনী অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং ফলাফল পরিবর্তন ও এতে ট্রাম্পের বৈদেশিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। বিক্ষোভ চলাকালে কাস্ত্রো বলেন, ‘আমি আপনাদের এখানে ডেকেছি, যাতে কোনোভাবেই ভোটের নথিপত্র বা রেকর্ড জালিয়াতি করতে না পারে।’ কাস্ত্রোর লিব্রে পার্টি এবং নাসরাল্লার লিবারেল পার্টি উভয় দলই এখন ‘ভোট-বাই-ভোট’ বা প্রতিটি ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছে। তবে আসফুরার ন্যাশনাল পার্টি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটে তৃতীয় অবস্থানে থাকা লিব্রে পার্টির প্রার্থী রিক্সি মোনকাদা এই নির্বাচন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এই নির্বাচনকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ বলেও আখ্যা দেন। হন্ডুরাসের ন্যাশনাল ইলেকট্রোরাল কাউন্সিল (সিএনই) জানিয়েছে, চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য তাদের হাতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0

যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো ‘ইন্তিফাদা’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার

জাপানে অসাংবিধানিক জলবায়ু নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা

শাবক দত্তক নিয়েছে মেরু ভালুক মা

জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্র ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন

ট্রাম্প প্রশাসন আজ এক পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম প্রধান জলবায়ু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হবে।  ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক রিসার্চ (এনসিএআর) ১৯৬০ সালে বোউল্ডার কলোরাডোতে একটি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা ও শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা ভেঙে ফেলা হবে। হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক রাস ভোগট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানান, কেন্দ্রের জরুরি হিসেবে বিবেচিত যেকোনো কার্যক্রম অন্য কোনো সংস্থা বা স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে। ভোগট আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম বৃহত্তম জলবায়ু আতঙ্ক সৃষ্টিকারী উৎস। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, এনসিএআর ভেঙে ফেলার কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে এবং কেন্দ্রের মেসা ল্যাবরেটরি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এনসিএআর-এর বিশিষ্ট গবেষক কেভিন ট্রেনবার্থ ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ল্যাবরেটরি ভাঙার ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি বড় ক্ষতি হবে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অনারারি শিক্ষক ট্রেনবার্থ বলেন, কেন্দ্রটি উন্নত জলবায়ু বিজ্ঞান আবিষ্কারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরি জো বাইডেনের সময় প্রতিষ্ঠিত ক্লিন এনার্জি ও জলবায়ু উদ্যোগগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে কূটচাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণে এটিকে পৃথিবীর প্রতি সর্বকালের সর্ববৃহৎ প্রতারণা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0

অসলো ত্যাগ করেছেন ভেনেজুয়েলার নোবেল বিজয়ী মাচাদো

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় আহত ২৬

ছবি : সংগৃহীত

ইউএইতে রমজান কবে শুরু, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ

0 Comments