খবর৭১:ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ‘আফটার শক’ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারর ঘটনার পর থেকে রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেশ কয়েকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এদিকে বড় ভূমিকম্প ও সুনামিতে দ্বীপটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০৮ এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০০ জন। এছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবারের শক্তিশালী ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পরেই আছড়ে পড়ে ৩ মিটার উচু (১০ ফুট) সুনামি। এতে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট আর ভাঙা ব্রিজ পেরিয়ে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুতপো পারু নাগরোহো জানিয়েছেন, সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী পালু, ডোঙ্গালা ও অন্যান্য কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় তিন মিটার উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল ওই সব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। বলা হয়, এটি ‘রিং অব ফায়ার’ এর ওপর অবস্থিত। ‘রিং অব ফায়ার’ হলো ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের লাইন যাকে কেন্দ্র করে পুরো প্রশান্ত বৃত্ত ঘূর্ণায়মান।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে সাগরে ভূমিকম্পের পর এক সুনামিতে ভারতীয় মহাসাগরের আশপাশের দেশে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়। এর মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়াই মারা যায় ১ লাখ ২০ হাজার লোক।
খবর৭১/জি