জাতীয়

শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিকভাবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড মনে করছে এই মুহূর্তে তার ফ্লাই করা ঠিক হবে না। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাকে বিদেশে নেয়া হবে।

 

ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাই বলে দিবে কখন তাকে বিদেশে নেয়া হবে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুচিকিৎসা, এবং নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শারীরিক ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। চিকিৎসকসহ সবাই তার সুস্থতা চায়। 

 

তিনি জানান, তারেক রহমান সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করছেন। চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে বিলম্ব হচ্ছে । চিকিৎসা সমন্বয়ে জুবাইদা রহমান অংশ নিচ্ছন। ওনার পরিবারের সদস্য, দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে যথাযথভাবে বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে। 

 

সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দয়া করে কেউ গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত আশাবাদী। বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া আছে। যখন বোর্ড মনে করবে তাকে নিরাপদে ফ্লাই করানো যাবে তখনই নেয়া হবে। এ বিষয়ে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করছেন। ওনার চিকিৎসা সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্টাফরা সর্বোচ্চ সহযোগীতা করছেন বলেও জানান তিনি।

 

উল্লেখ্য, গত ১৩ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। পাকস্থলির জটিলতার কারণে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের এন্ডোস্কোপি করা হয়। শুরুতে কিছুটা রক্তক্ষরণ হলেও পরে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। 

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

চিনি আমদানি বন্ধ, আগে দেশি কলের চিনি বিক্রি হবে: শিল্প উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করা আপাতত বন্ধ। দেশের চিনিকলের উৎপাদিত চিনি আগে বিক্রি হবে। আজ শনিবার সকালে নাটোর উত্তরা গণভবনের উন্নয়নমূলক সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন এ উপদেষ্টা। চিনি নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করা আপাতত বন্ধ। কারণ, আমাদের দেশের চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত যে চিনি জমা রয়েছে, সে চিনি আগে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করছি। এটা চলমান রয়েছে। চিনিতে লাভ খুব দ্রুত আসে না। আমাদের দেশের চিনিকলগুলো ব্রিটিশ আমলের তৈরি। সারা দেশের যে চাহিদা, তার ছোট অংশ আমরা স্থানীয়ভাবে পূরণ করতে পারি। সক্ষমতা শুধু চিনির ওপর না থেকে চিনির সঙ্গে সঙ্গে অন্য কিছু উৎপাদনের চিন্তা করছে সরকার।’ শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভর্তুকি দিয়ে চালানো চিনিকল চালানো সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি। তাই আমাদের সময়ে বা আগামী সরকারের সময় ভালো খবর আসবে। দেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি।’ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে উত্তরা গণভবনকে তৈরি রাখা। সভা কখন হবে তার নির্ধারিত তারিখ নেই। প্রত্যেক সরকারের আমলে সাধারণত একটি সভা হয়। বা তার চেয়ে বেশি হয়। দীর্ঘদিন এ গণভবনটি অবহেলিত ছিল। তাকে আমরা তৈরি করলাম।’ এ সময় পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ-মাদ্রাসায় অনার্স শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার

নির্বাচনের তফসিল নিয়ে সভা রোববার

সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব: পাটওয়ারী

ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : কায়কোবাদ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অচিরেই তারেক রহমান সুস্থভাবে বাংলাদেশে ফিরবেন। শনিবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলার পীর কাশিমপুর রাইছাতুন নেছা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। কায়কোবাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে, সন্তানকে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছিল। তিনি কখনো আপস করেননি। আল্লাহ তাকে মুক্ত করেছেন — এর পেছনেই নিশ্চয় কোনো কারণ আছে। তার জন্য সারা মুরাদনগরে পাঁচ শতাধিক কোরআন খতম করা হয়েছে। তার বিকল্প নেই। জামায়াতের প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোরআনের শাসন কায়েমের কথা বলে আগে সেটা নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে হয়। তিনি পাঁচ বছর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন — মুরাদনগরের জন্য কিছুই করেননি। একটি টিউবওয়েল পর্যন্ত স্থাপন করেননি। জনতার রায়ই বলবে তার অবস্থান। নিজের বিষয়ে কায়কোবাদ বলেন, আমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সিগনেচার দিতে হয়নি, আদালতে যেতে হয়নি — আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আখতারুজ্জামান ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী।  

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

ছবি: সংগৃহীত

'এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ইস্যু নয়, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ডাক্তারদের সিদ্ধান্তের ওপর'

ছবি: সংগৃহীত

পোস্টাল ভোট: তফসিলের দিন থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন

ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিকভাবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড মনে করছে এই মুহূর্তে তার ফ্লাই করা ঠিক হবে না। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাকে বিদেশে নেয়া হবে।   ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাই বলে দিবে কখন তাকে বিদেশে নেয়া হবে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুচিকিৎসা, এবং নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শারীরিক ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। চিকিৎসকসহ সবাই তার সুস্থতা চায়।    তিনি জানান, তারেক রহমান সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করছেন। চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে বিলম্ব হচ্ছে । চিকিৎসা সমন্বয়ে জুবাইদা রহমান অংশ নিচ্ছন। ওনার পরিবারের সদস্য, দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে যথাযথভাবে বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।    সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দয়া করে কেউ গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত আশাবাদী। বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া আছে। যখন বোর্ড মনে করবে তাকে নিরাপদে ফ্লাই করানো যাবে তখনই নেয়া হবে। এ বিষয়ে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করছেন। ওনার চিকিৎসা সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্টাফরা সর্বোচ্চ সহযোগীতা করছেন বলেও জানান তিনি।   উল্লেখ্য, গত ১৩ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। পাকস্থলির জটিলতার কারণে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের এন্ডোস্কোপি করা হয়। শুরুতে কিছুটা রক্তক্ষরণ হলেও পরে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। 

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে কি না সিদ্ধান্ত রাতে

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে ১১ ডিগ্রিতে

ডেঙ্গুতে এ বছর প্রাণ গেল ৭০ শিশুর

0 Comments