রাজনীতি

ছবি : সংগৃহীত
আরও ৩৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনের পাশাপাশি আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আসনের প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ডা. আব্দুস সালাম, দিনাজপুর-৫ আসনে এ কে এম কামরুজ্জামান, নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং নাটোর-৩ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সেলিম রেজা, যশোর-৫ আসনে এম ইকবাল হোসেন, নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম, খুলনা-১ আসনে আমির এজাজ খান, পটুয়াখালী-১ আসনে মোহাম্মদ শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-৩ আসনে জয়নাল আবেদীন এবং ঝালকাঠি-১ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওহাব আখন্দ ওয়ালিদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ জিন্নাহ কবির এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. কামরুজ্জামান বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।   ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিরুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এম এম জাহাঙ্গীর হোসেন, গাজীপুর-১ আসনে মজিবুর রহমান, রাজবাড়ী-২ আসনে হারুন অর রশিদ, ফরিদপুর-১ আসনে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার, মাদারীপুর-২ আসনে জাহান্দার আলী খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাসির হোসেন চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নুরুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে দলটি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির সদয় বার্তা ও শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।   বিএনপি জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মোদির সৌজন্যমূলক বার্তা দলটির কাছে গভীরভাবে প্রশংসনীয়। তাদের মতে, এই শুভেচ্ছা ও সমর্থনের প্রকাশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রতিফলন। এর আগে সোমবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। মোদি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনজীবনে দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খালেদা জিয়া সম্মানিত, এবং প্রয়োজনে ভারত সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ১ ডিসেম্বর রাতে দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়েও কথা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের আপডেট চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ শিগগিরই জানাবেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই এবং প্রয়োজনে অল্প সময়েই ট্রাভেল পাস প্রদান করা সম্ভব।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
খালেদা জিয়ার অক্সিজেন লাগছে , প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসিইউ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। টানা পাঁচ দিন তিনি সিসিইউতেই আছেন। তবে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।   চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে ৮-১০লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসিইউর কিছু সাপোর্ট সিসিইউতেই সরবরাহ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থার হালকা অবনতি হয়েছে। আইসিইউতে নেওয়া হয়নি। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই আইসিইউ সাধারণ আইসিইউর মতো নয়। এখানে সব ধরনের সাপোর্ট রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ম্যাডামকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনফেকশনের (সংক্রমণ) শঙ্কায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়৷ উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কন্ডিশন ট্রাভেল করার মতো হলে সিদ্ধান্ত হবে। সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।   এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডে নতুন করে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও যুক্ত হয়েছেন। যেখানে তিনি গত জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন আলোচনা করে নতুন করণীয় ঠিক করছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনস হপকিনস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের বৈঠকে অংশ নেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতসহ সমমনা জোটের সমাবেশে সরকারের প্রতি কড়া সতর্কবার্তা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন সমমনা আটটি রাজনৈতিক দলের প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানান এবং একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের মতে, একই দিনে দুটি নির্বাচন হলে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা জনগণের ম্যান্ডেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তারা সতর্ক করে বলেন, গণভোট অবশ্যই নির্বাচনের আগে আলাদা দিনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।   বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনে অযৌক্তিক বদলি, নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা এবং একাধিক দলের গোপন তৎপরতা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন। তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ভিন্নমতের দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাই ভবিষ্যতে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করা হয় যেখানে দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। সমাবেশে জোট সম্প্রসারণের কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, নতুন রাজনৈতিক দলগুলো এই আটদলীয় জোটে যোগদানের আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং জোটের পরিধি ক্রমেই বাড়বে। বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু দল সংস্কারবিরোধী অবস্থান নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। অনেক বক্তা ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, ভবিষ্যতের সরকার হবে তৌহিদি জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী, যেখানে প্রশাসন, সংসদ ও বিচারব্যবস্থা ন্যায় ও সুশাসনের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। শহীদদের আদর্শ বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তারা বলেন, আলাদা দিনে গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আদালতে তলব বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের করা আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে তলব করেছে। আদালত তাকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।   এর আগে, ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, একটি টকশোতে ফজলুর রহমান বলেছেন যে তিনি ট্রাইব্যুনালকে মানেন না এবং দাবি করেন, এটি শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছে, অন্য কোনো বিচার এখানে হতে পারে না। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধসহ ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট পিস এর বিচার করতে সক্ষম। তিনি বলেন, বর্তমানে ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করছে, যেখানে ফজলুর রহমান কেবল যুদ্ধাপরাধের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিকোণ দেখাচ্ছেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যাচ্ছেন না, প্রশ্ন তুললেন পদত্যাগকারী আরিফ

আসছে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।   ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভ্যুত্থানের দল এনসিপিতে তাদের যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে আগে জোর আলোচনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে। সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু আসিফ ও মাহফুজ দুজনেরই সেই দলে যোগদানের পথ এখন প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন সূত্র জানায়, তারা বিএনপি ত্যাগ করা আসনগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন। এদিকে অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়েও আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন না এই প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য পদত্যাগ করা এনসিপির এক সংগঠক, আরিফুল ইসলাম তালুকদার। এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, আসিফ মাহমুদ কেন এনসিপিতে যেতে পারছে না? পোস্টে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন এনসিপির নীতিনির্ধারণী পরিষদ প্রকৃত আদর্শ থেকে সরে গেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দলের নীতি নির্ধারণের মূল ক্ষেত্রটি এখন ধর্মবিদ্বেষী একটি চক্রের দখলে। তিনি জানান, ২৮ নভেম্বর তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার দাবি, তাকে ফোনে পরোক্ষভাবে দল বা ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি ধর্মকেই বেছে নিয়েছেন।   আরিফুল ইসলাম তালুকদার জানান, আগামীকাল ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার বিকাল ৩টায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন, যেখানে তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরবেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
অন্য ধর্মের মানুষও জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে অংশ নেবেন : জামায়াতে আমির

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য ধর্মের নাগরিকরাও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। রাজধানীর ভাষানটেকে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।   তিনি উল্লেখ করেন, দেশের মানুষ পুরোনো ও নেতিবাচক রাজনৈতিক ধারা আর চায় না। পরিবর্তনের নামে প্রতারণা কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার আর মেনে নেবে না জনগণ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, চাঁদাবাজি বন্ধ করা, এবং নারী-পুরুষ সবার মর্যাদা, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার। জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যাদের কর্মসূচি ও নেতৃত্বে আস্থা রাখবে, তারাই জনগণের সমর্থন পাবে। জনগণ যদি জামায়াতকে বেছে নেয়, তবে সকল রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানানো হবে। তিনি জানান, সুযোগ পেলে তাদের সরকার পরিচালনার মূলনীতি হবে আল্লাহভীতি ও সততা। জনগণকে তাদের অধিকার দাবি করে নিতে হবে না সরকারই তা তাদের ঘরে পৌঁছে দেবে। তিনি মদিনাভিত্তিক ন্যায়নিষ্ঠ শাসনব্যবস্থার উদাহরণ টেনে বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এমন একটি আদর্শিক সমাজ গঠনই তাদের লক্ষ্য। অনেকে জামায়াতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে অভিযোগ তোলেন যে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাদের হাতে নিরাপদ নন এই প্রসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াতের কোনো নেতা কখনো অন্য ধর্মাবলম্বীর ওপর নিপীড়ন বা লুটতরাজ করেছেন এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারলে তা প্রকাশ করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে তাদের সরকারের অধীনে সবাই নিরাপদ থাকবে, এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষও জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।   শেষে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না। তারা আন্দোলন করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, জীবন দিয়েছে কিন্তু কখনো দেশ ত্যাগ করেনি, কারণ তারা এই দেশকে ভালোবাসে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আ.লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান

রাজধানীর ডেমরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডেমরা থানা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এসে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একযোগে বিএনপিতে যোগদান করেন।   এতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম রেজা সেলিম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুজ্জামানের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পাশাপাশি উভয় দলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নির্বাচনে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় প্রকাশ করেন। মাওলানা শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত দিনে আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। পরে আওয়ামী লীগের চাপের মুখে দীর্ঘ সময় তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্মান ও বিশ্বাসে আমি বিমোহিত। এস এম রেজা সেলিম, আনিসুজ্জামান এবং নবীউল্লাহ নবীর প্রতি আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে আমি আবারও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।   ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম রেজা সেলিম ও যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুজ্জামান বলেন, বিএনপি কখনো ধ্বংসাত্মক বা প্রতিশোধমূলক রাজনীতি করে না। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ লালন করি এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছি। ঢাকা-৫ আসনের নেতা নবী উল্লাহ নবী এমন একজন বড়মনের মানুষ, যিনি সকলকে নিয়ে একসঙ্গে রাজনীতি করতে চান। তাই আজ আওয়ামী লীগের একটি বিশাল অংশ বিএনপিতে যোগদান করেছে এবং আমরা তাদের সাদরে বরণ করেছি।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ১৪ দলের কার্যালয় : বর্তমান পরিস্থিতি

ভাঙা আসবাবপত্রের সঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বই, ব্যানার, লিফলেট সবই লণ্ডভণ্ড। ঢাকার তোপখানা রোডে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বর্তমান দৃশ্য এটি। গত ১২ নভেম্বর রাতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও ভাঙচুরের পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।   জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও এখন সুনসান। দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাসানুল হক ইনুসহ অনেকেই কারাবন্দি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হামলা, মামলা ও মবের আশঙ্কায় দলটি মাঠের রাজনীতিতে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। দলের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ১২টির বেশি অফিস দখল হয়ে গেছে। অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাও রয়েছে। তবুও নিজেদের মতো করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। অফিস খোলা থাকলেও দলীয় ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলেছে জাতীয় পার্টি–জেপি। একই পরিস্থিতি ১৪ দলের অন্য শরিকদের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল বলেন, ১৪ দল এখন বাস্তবে আর সক্রিয় নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পরিস্থিতি এমন অবস্থায় তাদের কার্যালয় দখলের প্রয়োজন কেন হলো, যখন তারা সরকারের পক্ষে কোনো মিছিল-মিটিংয়েও অংশ নেননি। সাম্যবাদী দল, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণ আজাদী লীগ ও গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য তৎপরতাও এখন সীমিত। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষমতাসীন দলটির সহযোগী ছিল এমন অনেক সংগঠন এখন নানা সংকটে পড়েছে কোথাও কার্যালয় দখল, কোথাও শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি। এমন অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ৪৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটভুক্ত নিবন্ধিত ৬টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। একাধিক রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, অতীত ভূমিকা বিশেষ করে নির্বাচনে সমর্থন ও জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ের অবস্থানের কারণে এসব দলকে সংলাপ বা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার দাবি উঠেছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, যারা অতীতে মানুষের প্রাণহানির পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সংলাপ হওয়া উচিত নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলি জানান, অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার পথকে সুসংহত করতে আসন্ন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় তাদের সংলাপে ডাকার প্রয়োজন নেই, তবে যেসব দল নিষিদ্ধ নয়, তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে সবার প্রতি সমান আচরণ জরুরি। এদিকে, যেসব দলকে সংলাপে ডাকা হয়নি, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও স্পষ্ট করেনি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রয়োজন মনে করলে পুনরায় আলোচনার জন্য দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।   জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক সংস্কার আলোচনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়। এটি নিশ্চিত করাই আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি–জামায়াতকে ঘিরে জোটের নতুন বলয় : কারা কার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে?

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক মাঠে জোট পুনর্গঠন ও মেরুকরণ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন জোটের সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। এনসিপি, এবি পার্টিসহ সাতটি দল নতুন জোটের আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে। সব মিলিয়ে তফসিলের আগেই অন্তত তিন ধরনের জোটের আকার ফুটে উঠছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর জোট, জামায়াতের সমন্বয়ে ইসলামি ধ্যানধারার জোট এবং বাম ঘরানার আলাদা উদ্যোগ।   ভোট যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পৃথক পৃথক নির্বাচনি জোট গঠনের তৎপরতাও তত বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় ছিল, বিএনপি হয়তো জামায়াতকে আসন ছাড় দিতে পারে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে জামায়াতই বিএনপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে। তবুও বৃহত্তর জোট গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য বাম-ডান, মধ্যমপন্থি ও ইসলামপন্থি অনেক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। অন্যদিকে জামায়াতও সাতটি ইসলামি দলকে নিয়ে নির্বাচনি সমঝোতার পথে এগোচ্ছে। পাশাপাশি বামঘরানার কয়েকটি দলের সমন্বয়ে নতুন একটি জোট গঠনের কথাও শোনা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে জোটই হতে পারে ফল নির্ধারণের প্রধান উপাদান। ছোট দলগুলোর কিছু ভোটই অনেক আসনে জয়–পরাজয়ের হিসাব পাল্টে দিতে পারে। তাই কারা কার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, কত আসনে ছাড় পাওয়া যাবে এসব প্রশ্ন এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে একটি বৃহৎ জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো ছাড়াও সরকারবিরোধী অন্যান্য দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে আলোচনা চলছে। তরুণদের দল এনসিপির সঙ্গেও আসন সমঝোতা নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে বিষয়টি কতদূর অগ্রসর হবে, তা এখনই নিশ্চিত নয়। এনসিপির অংশ কিছু নেতা জোটে আসার প্রতি আগ্রহ দেখালেও দলগতভাবে তারা সংস্কারভিত্তিক অ্যালায়েন্সের কথাই বলছে। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে প্রথমে এনসিপির নানান কর্মসূচিতে মিল দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না। বরং জামায়াত এখন ইসলামি সাতটি দলকে নিয়ে একটি আটদলীয় সমন্বয় গড়ে তুলেছে। তারা ‘এক আসনে এক প্রার্থী’ নীতির ওপর ভিত্তি করে জরিপ চালিয়ে প্রার্থী মনোনয়নের পরিকল্পনা করছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, তারা আনুষ্ঠানিক জোট গঠন করবে না; বরং নির্বাচনি সমঝোতার মধ্য দিয়েই এগোবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বিভিন্ন ইসলামপন্থি ও দেশপ্রেমিক দল। বর্তমানের আটদলীয় সমন্বয় ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হতে পারে। এদিকে এবি পার্টি, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দলকে নিয়ে নতুন একটি জোট ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। সবদল সম্মত হলে তফসিল ঘোষণার আগেই এই জোট আত্মপ্রকাশ করতে পারে। বিএনপিও তাদের বৃহৎ জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বিভিন্ন ইসলামপন্থি দল, বাম শক্তি, উদার গণতান্ত্রিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং আলেম সমাজের প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এজন্য দলটির নেতারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বাম ঘরানার দলগুলোর মধ্যেও জোট পুনর্গঠনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। ছয়টি বাম দল বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিস্তৃতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি নতুন করে বাম শক্তির আরেকটি জোট গঠনেরও উদ্যোগ রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও।   রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার জোটের প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন হবে, কারণ সব দলকেই নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ফলে বড় দলগুলোকে শরিকদের আসন ছাড় এবং জোট গঠনের ব্যাপারে আরও সতর্ক ও সময়সাপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি ৬৫ জনকে সুখবর দিল

জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে ৬৫ জন নেতা–কর্মীর ওপর থেকে বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। বিভিন্ন সময়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা বাতিল করে শনিবার রাতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকলেই শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।   বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া ৬৫ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. ইন্দোনেশিয়া সিটু; নরসিংদীর আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সচিব মো. আব্দুর কাইয়ুম সরকার; সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল–মামুন; ধর্মপাশার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল; ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ–বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোহন মিয়া বাচ্চু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দেওয়ার হোসেন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আব্দুল আলীম ইয়াছিন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. ইয়াকুব; সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ–প্রচার সম্পাদক আব্দুর রকিব তুহিনসহ অন্যরা। এ ছাড়া রাজশাহী, গাজীপুর, পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, বরগুনা, ঝিনাইদহ, দিনাজপুর, ফেনী, শেরপুর, খুলনা, ঝালকাঠি, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, নওগাঁ, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার আরও বহু নেতার ওপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পটুয়াখালীর মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন মৃধার স্থগিতাদেশও বাতিল করা হয়েছে।   বিএনপি জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকলকে পুনরায় প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাদের দায়িত্ব ও পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচনে জোটের নতুন সমীকরণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট দীর্ঘদিন সমমনাদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিল। একসময় জামায়াতে ইসলামীও বিএনপির জোটসঙ্গী ও সমমনা রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী জোট গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।   নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। দল গঠনের পর থেকেই জল্পনা ছিল, এনসিপি আগামী নির্বাচনে কোন পথে যাবে। শেষ পর্যন্ত আমার বাংলাদেশ পার্টি, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নিয়ে জোট গঠন করা হচ্ছে। একই সময়ে বাম রাজনৈতিক দলগুলোও বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় আছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও বামদলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিতে চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এভাবেই রাজনৈতিক জোটের নতুন হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পর প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মূল ব্যস্ততা নির্বাচনি জোট নিয়ে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করলে বিজয় নিশ্চিত হবে এই হিসাব নিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করছে। নির্বাচন সামনে রেখে জোটের সমীকরণ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপির সঙ্গে থাকা দলগুলো নিয়ে বৃহৎ জোট গঠন করতে চাইছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে সমমনা দলগুলোর জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে। সমমনাদের কোন আসনে প্রার্থী করা হবে, তা এখন আলোচনার বিষয়। বিএনপির সঙ্গে থাকা দলগুলো হলো গণতন্ত্র মঞ্চ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও গণফোরাম। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপি বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে। যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিল, তাদের নিয়ে একটি বৃহৎ জোটের দিকে এগোচ্ছে দলটি। তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনি লড়াই পার করার লক্ষ্য রয়েছে। একই সময়ে একসময় বিএনপির সঙ্গে জোটভুক্ত এবং পরবর্তীতে সমমনা রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজপথে থাকা জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে কিছু দলের পক্ষে একক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আটটি রাজনৈতিক দল এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে, যা জামায়াত জোট না বলে নির্বাচনি সমঝোতা হিসেবে উল্লেখ করছে। এতে জামায়াতের সঙ্গে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট এবং নেজামে ইসলাম পার্টি। নির্বাচন ঘিরে ভবিষ্যতে আরও কিছু দল যুক্ত হতে পারে। এই সমঝোতায় প্রতিটি দলের পক্ষে একজন প্রার্থী থাকবে। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দল অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবে না, বরং নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতায় থাকবে। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি কোন জোটে যাবে, তা নিয়েই চলছে নানা সমীকরণ। এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে না। বিএনপি ও জামায়াত দুটো দলকেই তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বৃহত্তর স্বার্থে এবং উদার গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাসী যেসব দল আছে, তাদের সঙ্গে যুগপৎ যাত্রা হতে পারে। এনসিপির জোট প্রসঙ্গে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন জোট ঘোষণা করা হবে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য জোট ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ নভেম্বর। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সদস্যসচিব খান মুহাম্মদ মোরসালিন বলেন, ‘আমরা কোনো জোট করছি না, তবে আদর্শগত মিল থাকলে যুগপৎ যাত্রা সম্ভব। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এবারের নির্বাচনে দল ও মার্কার পাশাপাশি সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে যোগ্য প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। মুক্তিকামী গণতন্ত্রকে সামনে রেখে লড়াই চালানো হবে। সেই লড়াইতে উপযুক্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা থাকা দলগুলোর সঙ্গে আমাদের ঐক্য জরুরি। বামপন্থি দলগুলোর বৃহত্তর জোট চলতি মাসেই আত্মপ্রকাশ করতে পারে। যুক্তফ্রন্টের আদলে বাম ঘরানার কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলিত হয়ে নতুন জোট গঠন করছে। ২৯ নভেম্বর এই জোট আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। ‘একসঙ্গে আন্দোলন এবং নির্বাচন’ লক্ষ্য নিয়ে এই জোট ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।   গত বছরের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বামপন্থি দলগুলো জোট গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ছয়টি বামদল নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং বাংলাদেশ জাসদ বৃহত্তর জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তা। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলো হলো বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী)।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
রাতে দলীয় সিদ্ধান্তে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি ৫৬ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ের ৫৬ নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুর, বরগুনা, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নাটোর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, গাজীপুর, সিলেট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার বেশ কয়েকজন সাবেক পদধারী এই তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাদার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. আছাদ মাতুব্বরের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করে তাকে প্রাথমিক সদস্য পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আবেদনের ভিত্তিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
অমুসলিম ও উপজাতি প্রতিনিধি যোগ হতে পারে জামায়াতে

 আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী তালিকায় আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন ও চমক। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শরিক দল, নারী, অমুসলিম, জুলাই আন্দোলনের নেতা, ছাত্র প্রতিনিধি, উপজাতি জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ উদ্দেশ্যে জামায়াতের নির্বাচনি টিম তালিকা চূড়ান্তের কাজ করছে।   সাম্প্রতিক এক সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছিলেন, দলটি সব ইসলামপন্থিকে এক ছাতার নিচে আনতে প্রয়োজনে ১০০ আসন ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিল। তবে পরবর্তীতে ৮ দলীয় শরিকদের অবস্থান বদলে গেছে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে যে প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তিনি যেই দলেরই হোন না কেন। বিজয় নিশ্চিত করাই এখন তাদের লক্ষ্য। জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, শরিক দলগুলো এখন আর আসন ভাগাভাগির আলোচনায় নেই। সবার লক্ষ্য এক জয়ী হওয়া এবং ইসলামপন্থিদের বিজয় নিশ্চিত করা। তিনি জানান, শরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দলটি বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় বড় আকারের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। শরিকদের জন্য আসন ছাড় ছাড়াও অন্তত চারজন সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরকে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের তিনজন নির্বাচিত ভিপি, দুজন জিএসসহ জুলাই আন্দোলনের কয়েকজন তরুণ নেতাকেও দলটি প্রার্থী করার চিন্তা করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কয়েকজন শীর্ষ নেতার জন্যও আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। জুলাই আন্দোলনের সময় মন্দির পাহারা, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জামায়াতের প্রতি আস্থা বেড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় অমুসলিম সম্প্রদায় থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। এমনকি একজন উপজাতি প্রার্থীও থাকতে পারেন সম্ভাব্য তালিকায়। আগে প্রকাশিত তালিকায় কোনো নারী প্রার্থী না থাকলেও চূড়ান্ত তালিকায় একাধিক নারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এসব নারী অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত, সমাজে সুপরিচিত এবং বিভিন্ন পেশায় সক্রিয়।   সব মিলিয়ে জামায়াতে ইসলামীর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় যে বড় ধরণের চমক আসছে, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বড় পরিবর্তনের আভাস

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। দলের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানায়, ঘোষিত ২৩৭ জনের তালিকা থেকে ২৫ থেকে ৩০টি আসনে সংশোধন আনা হতে পারে। যে সব হেভিওয়েট ও সিনিয়র নেতার নাম তালিকায় ছিল না, তাদের মধ্য থেকে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনকে নতুন করে যুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলের কমপক্ষে ২০ জন নেতার নামও চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্তমান তালিকা থেকে বেশ কয়েকজন বাদও পড়তে পারেন।   তালিকা ঘোষণার পর বেশ কিছু আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ না হলেও মনোনয়নবঞ্চিত অনেক নেতা ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ এবং বঞ্চনার বেদনায় ফুঁসছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, রেল-সড়ক অবরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এসব পরিস্থিতি দলের তৃণমূলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানা গেছে। দলের সিনিয়র নেতারা জানান, এবার মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত আন্দোলনে ভূমিকা, মাঠের কার্যক্রম এবং তৃণমূলে জনপ্রিয়তা বিবেচনায় প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ‘এক পরিবারে একজন’ নীতি অনুসরণ করায় অনেক নেতার আত্মীয়স্বজনও মনোনয়ন পাননি। এতে তাদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় ৮৪ জন একেবারেই নতুন মুখ, যারা আগে কোনো সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনের বাবা বা মা অতীতে সংসদ সদস্য ছিলেন। নারী প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছেন ৪ জন। তবে তালিকা ঘোষণার পরই একটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু আসনে শরিকদের প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। মাসের মধ্যেই এসব আসন বণ্টনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট নেতারা জানিয়েছেন।   প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই ঘোষিত ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূলের ঐক্য নষ্ট হয় এমন আচরণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের পুনর্মূল্যায়ন ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে, যা যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেতে পারে।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ২০, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
গাছে কাঁঠাল রেখে গোপে তেল নির্বাচন ঘিরে গোপন তৎপরতার ইঙ্গিত জামায়াত আমিরের

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে গোপনে মাসল ও ব্যাগ মানি ব্যবহার করে অন্যের ভোট হাইজ্যাকের চেষ্টা চলছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যুবকদের ভোট নিয়ে কাড়াকাড়ি কেউ করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেবে আমরা শুধু তোমাদের পাশে থেকে লড়াই করবো, সাহস দেবো এবং শক্তি দেবো।   মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রীতি সমাবেশে তিনি এ বক্তব্য দেন। এতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন। সাম্প্রতিক আলোচিত মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্বজনহারা পরিবারগুলো কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে। লাইভে বিচার সম্প্রচার হওয়ায় তিনি একে ন্যায়বিচারের মানদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, যেন যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং কারো প্রতি কোনো অবিচার না ঘটে। চাঁদাবাজি বন্ধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চাঁদার জ্বালায় দেশের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। ক্ষমতায় গেলে কোনো চাঁদাবাজের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি দাবি করেন, চাঁদামুক্ত বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য অর্ধেকে নেমে আসবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরবে। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। দুর্নীতিকে তিনি দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, সমাজের রন্ধ্রে–রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। এই দুর্নীতি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই থামবে না। তিনি বলেন, দেশের অর্থব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে ব্যাংক, বীমা, কর্পোরেশন ও শিল্পখাত লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত। জনগণের সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভ্য সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, তবে কারো প্রভুত্ব মেনে নেওয়া হবে না। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মতো স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। নারীদের কর্মজীবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারীদের কর্মঘণ্টা কমানোর বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, একজন নারী শুধু কর্মী নন, তিনি মা—সমাজ ও সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিলে পরিবার ও সমাজ উভয়ই উপকৃত হবে। পাশাপাশি নারীদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।   সমাবেশে যুবকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমাকে ভোট দেবে কি দেবে না সেটা তোমাদের ব্যাপার, তবে তোমাদের অধিকারের জন্য লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ক্ষমতায় গেলে ফারাক্কা ও পানিবণ্টন ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীতে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করতে পারলে পদ্মা ও তিস্তা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন এবং ফারাক্কা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে, যেখানে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না।   শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি দেশই তার স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে সফল হওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন-সংক্রান্ত বৈধ অধিকার আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। এদিকে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে একটি বড় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের। পদ্মার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিতের দাবিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২ নভেম্বর মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ জেলা পর্যায়ের বড় সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।   এ আয়োজনের সমন্বয় করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ। তাকে সহযোগিতা করছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
চরমোনাই পীরের কড়া হুঁশিয়ারি

চরমোনাই পীর সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছে- ক্ষমতাপ্রেমিকদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করি, যা শুনে দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক ছড়িয়েছে। বক্তৃতায় পীর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিক শাসন ও দায়িত্বহীন রাজনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে কড়া সুরে বিরোধিতা করে এমন উক্তি করেন বলে অনেকে জানাচ্ছেন; তার সমর্থকরা মন্তব্যটিকে চরম নেতিবাচক শক্তির প্রতীকী সমালোচনার ভাষা হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও অধিকাংশ নেতী অংশ ও নাগরিকরা এটি নিন্দার মধ্যে রেখেছেন।   বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানুষের অধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের কিছু সংগঠন এই ধরনের হিংসাত্মক ভাষার নিন্দা জানিয়েছে এবং সামাজিক অস্থিরতা উসকে দিতে পারে এমন প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। আইনজীবি ও সংবিধানপ্রণেতারা মনে করাচ্ছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকলেও প্রকাশিত বক্তব্যে যদি কাউকে হেয় করা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপ উৎসাহিত করার চেষ্টা থাকে তবে তার দায়-দায়িত্ব খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অপরদিকে পীরের অনুসারীরা বলেছেন, উক্তিটি আদতে প্রতীকী এবং সমাজে জমে থাকা অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ মাত্র; তারা দাবি করেছেন মন্তব্যের উদ্দেশ্য ভিন্নভাবে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। সামাজিক মাধ্যম ও বিশ্লেষণচক্রগুলোতে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হওয়ায় শান্তি রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বানও উঠেছে বিশেষত এমন সময়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। ঘটনাস্থল ও বক্তৃতার সময় ও প্রসঙ্গে যে-পাঠ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়েও বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বিরোধিতার পারস্পরিক মিলছে; সুতরাং ঘটনাটির যে কোনও আইনগত বা সামাজিক পরিণতি নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও সামাজিক প্রতিক্রিয়ার ওপর।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
বুধবার বিভাগীয় শহরে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় শিবিরের বিক্ষোভ কর্মসূচি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি প্রদান এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।   ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার (১২ নভেম্বর) সারাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে সংগঠনটি। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। কিন্তু সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে সময়ক্ষেপণ করছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।   তিনি আরও বলেন, গণহত্যার বিচারে ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতার সুযোগে আওয়ামী লীগ আবারও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। নিষিদ্ধ এই দলের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের সভাপতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পন্নের দাবি জানান।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
হেফাজত আমিরের ঘোষণা: জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   তিনি বলেন, আমি অতীতেও বহুবার এই আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনো সেই ঐক্যের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাই আমার পরামর্শ হলো ইসলাম ও ইসলামের মূলধারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত কখনো গ্রহণ করবেন না। বাবুনগরী আরও বলেন, আমাদের দেশের মসজিদ, মাদ্রাসা, দাওয়াত-তাবলিগ, তাসাউফ ও সুলুকের কাজ যেন কোনো বিদেশি চাপ বা অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা এমন এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি, যখন একদিকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের ওপরও নানামুখী আঘাত আসছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য এক অশনি সংকেত। তিনি চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদার মূলভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ, এবং সাহাবায়ে কিরাম ও সালফে সালেহীনের পথ অনুসরণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসলামের এই বিশুদ্ধ ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন মতবাদ প্রচার করছে।   সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দাওয়াতুল ইহসান বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আবদুল আউয়াল। এতে পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা ইলিয়াস গুম্মান, হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, উজানীর পীর মাওলানা মাহবুবে এলাহী, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ ও মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানীসহ অন্যান্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

খবর৭১ ডেস্ক, নভেম্বর ০৯, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0