অন্যান্য

ঐতিহাসিক সত্যের আলোকপাত: ফেরাউন ও রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে কোরআনের ভবিষ্যদ্বাণী

ধর্মীয় গ্রंथে ইতিহাস কখনো কখনো প্রতীকী ভাষায় তুলে ধরা হয়। কিন্তু কোরআনের কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা নিখুঁতভাবে পরবর্তী সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। ফেরাউনের দেহ সংরক্ষণ কোরআনে বলা হয়েছে— “আজ আমি তোমার দেহকে সংরক্ষণ করবো, পরবর্তী যুগের জন্য নিদর্শন হিসেবে।” মিশরের ফেরাউন মুমিনাহ ছিল অজানা, কিন্তু ১৮৯৮ সালে মমি আবিষ্কার হলে— •শরীর অক্ষত •লাল সাগরে ডুবে মৃত্যুর প্রমাণ •কোরআনের বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয় রোমানদের পরাজয়–বিজয় ভবিষ্যদ্বাণী সূরা রূম–এ বলা হয়— “রোমানরা পরাজিত হলেও শীঘ্রই বিজয়ী হবে।” ইতিহাস দেখায়— •পারসিকদের কাছে রোমানরা পরাজিত হয়েছিল •ঠিক নয় বছরের মাথায় তারা আবার বিজয় অর্জন করে এ ঘটনাটি কোরআনের বর্ণনার সাথে বিস্ময়করভাবে মিলে যায়। লোহা—মহাজাগতিক উৎস থেকে আগত কোরআনে বলা হয়েছে— “লোহা নাযিল করেছি”—অর্থাৎ আনা হয়েছে। বিজ্ঞান দেখায়— •    পৃথিবীর কেন্দ্রের লোহা উল্কাপিণ্ড থেকে এসেছে •    সুপারনোভার বিস্ফোরণে লোহা উৎপন্ন হয় •    স্পেস ডাস্ট হয়ে পৃথিবীতে পড়ে এটি সপ্তম শতকের জ্ঞানের বাইরে। ফুটনোট: ১. British Museum Egyptology Papers ২. Roman–Persian War Chronicles ৩. Journal of Astrophysics   লেখক : এম. ইমরান, বিশ্লেষক ও গবেষক

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা শুরু

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাস্তবায়ন পরিষদ ও সংগঠন ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।   বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য ৩ দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদের চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা ও সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রবিবার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। আগামী রবিবার থেকে সকল শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে। উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
আরও ৩৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনের পাশাপাশি আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আসনের প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ডা. আব্দুস সালাম, দিনাজপুর-৫ আসনে এ কে এম কামরুজ্জামান, নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং নাটোর-৩ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সেলিম রেজা, যশোর-৫ আসনে এম ইকবাল হোসেন, নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম, খুলনা-১ আসনে আমির এজাজ খান, পটুয়াখালী-১ আসনে মোহাম্মদ শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-৩ আসনে জয়নাল আবেদীন এবং ঝালকাঠি-১ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওহাব আখন্দ ওয়ালিদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ জিন্নাহ কবির এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. কামরুজ্জামান বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।   ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিরুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এম এম জাহাঙ্গীর হোসেন, গাজীপুর-১ আসনে মজিবুর রহমান, রাজবাড়ী-২ আসনে হারুন অর রশিদ, ফরিদপুর-১ আসনে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার, মাদারীপুর-২ আসনে জাহান্দার আলী খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাসির হোসেন চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নুরুল ইসলাম বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ভেজাল গুড় খেলেই হতে পারে যেসব জটিল রোগ

বাংলার শীতের কথা বললে মাথায় আসে পিঠা-পুলি, গরম চা, আর সেইসঙ্গে গুড়ের মিষ্টি স্বাদ। পৌষ মাসে বাজারে পিঠার মৌসুম শুরু হয়। ঘরবাড়িতে পিঠা তৈরি হয়, ছোট-বড় সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। পিঠার স্বাদ নিখুঁত করতে গুড়ের ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু সবাই কি জানে, সেই গুড় সব সময় খাঁটি হয় না? বেশিরভাগ সময় আমরা ভেজাল গুড় ব্যবহার করি, যা দেখতে সাধারণ গুড়ের মতোই লাগে, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। বাজারে নানা ধরনের গুড় পাওয়া যায়—খেজুর গুড়, তাল গুড়, আখের গুড়। তবে এসব গুড়ে কৃত্রিম উপাদান ও রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয়, যা শরীরে নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আমাদের অজান্তেই পুরো পরিবার সেই ভেজাল গুড় ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ভেজাল গুড় খেলে লিভার, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা থেকে শুরু করে এমনকি ক্যান্সারের মতো গুরুতর অসুখও হতে পারে। ডা. রুদ্রজিৎ পাল, কলকাতার একজন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভেজাল গুড় শুধু স্বাদকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, এটি স্বাস্থ্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই মৌসুমে গুড় কেনার আগে সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ ভেজাল গুড়ে কী থাকে? ভেজাল গুড়ে থাকে অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম উপাদান, গুড়কে ঘন ও আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য রাসায়নিক। কখনো কখনো ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব লিভারের সমস্যা: নিয়মিত ভেজাল গুড় খেলে লিভারের কাজ প্রভাবিত হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: শরীরের নার্ভ সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব। ক্যান্সারের ঝুঁকি: দীর্ঘদিন ভেজাল গুড় খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে। পেটের সমস্যা: গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে। ভেজাল গুড় চেনার সহজ কিছু উপায় স্বাদে পার্থক্য: খাঁটি গুড় মিষ্টি হয়, ভেজাল গুড় খুব মিষ্টি নয় এবং মাঝে মধ্যে লবণাক্ত স্বাদ থাকে। পানি পরীক্ষা: এক গ্লাস পানিতে সামান্য গুড় দিয়ে মিশান। খাঁটি গুড় ধীরে ধীরে মিশে যাবে, ভেজাল গুড় গ্লাসের তলায় জমে থাকবে। দৃঢ়তা ও রঙ: খাঁটি গুড় প্রাকৃতিক, নরম ও মসৃণ হয়। খুব গাঢ় বা চকচকে কালচে রঙ থাকলে সতর্ক হওয়া ভালো। আরও কিছু সতর্কতা - পরিচিত ও বিশ্বস্ত দোকান থেকে গুড় কিনুন। - গুড় সংরক্ষণ করতে ঠান্ডা, শুকনো জায়গা বেছে নিন। - শিশু ও বয়স্কদের জন্য খাঁটি গুড় ব্যবহার করা নিরাপদ। শীতের মজা যেন স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, তাই একটু সচেতনতা ও সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহী
হঠাৎ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিতে বিপাকে পড়লো শিশু শিক্ষার্থীরা

শিক্ষকদের কর্মসূচির কারণে দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। তিন দফা দাবি আদায়ে সহকারী শিক্ষকরা গতকাল বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। ফলে সারাদেশের বহু বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের রাতে হঠাৎ কর্মসূচির ঘোষণা আসায় অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিষয়টি জানতে না পেরে গতকাল পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়ে বিপাকে পড়েন। তবে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের কিছু স্কুলে বিচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।   তিন দফা দাবি আদায় এবং কয়েকজন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সহকারী শিক্ষকরা সারা দেশের বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিইও) কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। এতে অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর আগে দুই দিনের কর্মবিরতির মধ্যেও দেশের অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষার আয়োজন করেন কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকরাও সহযোগিতা করেন। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় গত মঙ্গলবার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমানসহ ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। এরপর রাতেই শিক্ষকরা লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত থমকে গেছে। হঠাৎ স্কুল বন্ধ ও পরীক্ষা না হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কর্মবিরতি শিশুদের পড়াশোনায় বড় ধরনের বিঘ্ন তৈরি করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ছোটদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে তারা ছিটকে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। রাশেদা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ স্কুল বন্ধ হলে ছোট ক্লাসের বাচ্চারা পড়াশোনা থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায়। বাসায় তো তারা ঠিকভাবে পড়তে চায় না। শিক্ষকদের দাবি থাকতে পারে, কিন্তু ক্ষতিটা শেষ পর্যন্ত আমাদের বাচ্চাদেরই হয়।’ আরেকজন অভিভাবক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘পরীক্ষা হচ্ছে না। বাচ্চারাও দুশ্চিন্তায় আছে। সরকার ও শিক্ষকদের দ্রুত আলোচনায় বসে সমাধান করতে হবে।’ এদিকে বরগুনার আমতলীর আঙ্গুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলের তালা ভেঙে পরীক্ষা নেন। দেশের আরও কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক নেতারা বলেন, তিন দফা দাবিতে আশ্বাস পাওয়া গেলেও ২২ দিনেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউন শুরু হয়েছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে নিজ নিজ বাসায় থাকবেন। তবে প্রথম দিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অবহিত করতে প্রতি বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক উপস্থিত হন। সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো— ১. বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা ২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করা ৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আপাতত দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে অসম্মতি জানিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে, যা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করে আসছেন সহকারী শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে ১০ম গ্রেডে থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে আছেন।   এদিকে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনরত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি স্থগিত করে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন, ফলে সেসব বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
আঙুলের ডগায় পরিচয়ের চাবিকাঠি: কোরআন ও আধুনিক ফরেনসিক বিজ্ঞান

মানুষের আঙুলের ছাপ। আজ এটি পরিচয়ের সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। কিন্তু কোরআনে শতাব্দী আগেই বলা হয়েছিল— “আমি মানুষের আঙুলের ডগা পর্যন্ত পুনর্গঠন করতে সক্ষম।” এই উক্তি আজ বিজ্ঞানসম্মতভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট কেন অনন্য? আধুনিক forensic science দেখায়— •    পৃথিবীতে কোনো দুই মানুষের আঙুলের ছাপ এক নয় •    যমজ সন্তানেরও নয় •    আঙুলের ডগায় ৪০টির বেশি অনন্য প্যাটার্ন থাকে •    মৃত্যুপরবর্তী অবস্থাতেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তযোগ্য আঙুলের ডগার এই অনন্যতা ১৯শতকেও অজানা ছিল। সপ্তম শতকে তো কল্পনাই অসম্ভব। ফিঙ্গারপ্রিন্ট: অপরাধ বিজ্ঞান বিপ্লব •    অপরাধী শনাক্ত •    জীবিত–মৃতদেহ শনাক্ত •    বর্ডার সিকিউরিটি •    মিলিটারি আইডেন্টিফিকেশন সবই আজ আঙুলের ডগা ভিত্তিক। কেন কোরআনের উল্লেখ বিশেষ? কারণ— •    আঙুলের ডগা মানব শরীরের অন্যতম ক্ষুদ্রতম অংশ •    এতে পরিচয়ের তথ্য সংরক্ষিত •    আধুনিক বায়োমেট্রিকস–এর ভিত্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোরআনের বর্ণনা আধুনিক forensic identification system-এর সাথে উল্লেখযোগ্য সামঞ্জস্য রাখে। ফুটনোট: ১. FBI Forensic Handbook ২. Journal of Identity Science   লেখক : এম. ইমরান, বিশ্লেষক ও গবেষক

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার ৫ টিপস

ল্যাপটপ এখন আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ। পড়াশোনা, কাজ, মুভি দেখা বা শুধু ইউটিউবে ঘুরে বেড়ান থেকে সবকিছুই ল্যাপটপেই চলে। অনেক সময় আমরা এটার দিকে খুবই অবহেলা করি, অথচ ঠিকমতো যত্ন নিলে ল্যাপটপ অনেক দিন ভালো থাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু সহজ টিপস, যা আপনার ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সাহায্য করবে। কয়েকটি সহজ টিপস কাজ করার সময় ল্যাপটপকে কুশন বা বালিশের ওপর রাখবেন না আমি আমার বন্ধুদের প্রায়ই দেখি, ল্যাপটপ সোফা বা বিছানায় রেখে কাজ করছে। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্ষতি হয়। বেশিরভাগ ল্যাপটপের ফ্যান নিচে থাকে, আর যখন আপনি এটিকে কম্বল বা কুশনের ওপর রাখেন, তখন গরম বাতাস বের হতে পারে না। এতে ল্যাপটপ আরও গরম হয় এবং দ্রুত নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার ৫ টিপস নীরবে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে যে ১২ অভ্যাস সবসময় আপডেট করুন অনেক সময় সফটওয়্যার ঠিকভাবে কাজ না করার কারণ হলো আপনি তার আপডেটগুলো এড়িয়ে গেছেন। আমি জানি আপডেট সময় নেয় এবং বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো বাগ ঠিক করে এবং ডিভাইসকে ভালোভাবে চলতে সাহায্য করে। ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন কি-বোর্ডের মধ্যে ধুলো-ময়লা খুব সহজেই ঢুকে যায়, আর সেখান থেকে ভেতরের অংশেও চলে যেতে পারে। নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার করলে ধুলো কম জমবে এবং ল্যাপটপও বেশি দিন ভালো থাকবে। ল্যাপটপ বন্ধ করে রাখুন! ল্যাপটপকে একটু বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। আপনি যদি সবসময় চালু রাখেন, এমনকি স্লিপ মোডেও অনেক কাজ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। তাই মাঝে মধ্যে পুরোপুরি বন্ধ করে রাখলে ল্যাপটপের আয়ু বাড়ে। মানুষ যেমন বিশ্রাম চায়, ল্যাপটপও তেমনই। সহজ কিছু আপগ্রেড করুন অনেক ল্যাপটপে প্রয়োজন হলে RAM বাড়ানো বা ব্যাটারি বদলানো যায় খুব সহজেই। ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে যেগুলো দেখে নিজেই করতে পারবেন। আর যদি প্রযুক্তিতে খুব স্বচ্ছন্দ না হন, তাহলে স্থানীয় মেরামত বা রিইউজ নেটওয়ার্কে গিয়ে সাহায্য নিতে পারেন। কেন ল্যাপটপ বেশি দিন টিকিয়ে রাখা জরুরি? ই-ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য এখন বড় সমস্যা। তাই শুধু নতুন ল্যাপটপ কিনে ফেলা সহজ সমাধান নয়। বেশিরভাগ সময় বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো এমন দেশে পাঠানো হয়, যেখানে বর্জ্য নিষ্পত্তির নিয়ম-কানুন খুব শিথিল। সেখানে যারা এসব বর্জ্য নিয়ে কাজ করেন, তারা ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক থেকে নিজেদের রক্ষা করার মতো প্রশিক্ষণ পান না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ টন ই-ওয়েস্ট বাড়ছে। বিশ্বে মোট প্রায় ১.৪ মিলিয়ন টন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনা হয় এবং প্রায় একই পরিমাণ ফেলে দেওয়া হয়। WRAP-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৪০% ই-ওয়েস্ট ল্যান্ডফিলে যায় এবং ১০% এরও কম পুনরায় ব্যবহার করা হয়, যদিও বেশিরভাগই ব্যবহারযোগ্য বা মেরামতযোগ্য থাকে। সূত্র : Computer Aid

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
হঠাৎ চুল পড়ে যাচ্ছে কোন ভিটামিনের অভাবে

প্রতিদিন কিছু চুল পড়বেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়লে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে, যেমন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বংশগত কারণ, বয়স, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ও কিছু ভিটামিনের অভাব। তবে যেসব ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে ও তার প্রতিকার সম্পর্কে। ভিটামিন ডি চুলের নতুন ফলিকল তৈরির জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডি–এর অভাবে শুধু হাড় ক্ষয় হয় না, চুলও পাতলা হয়ে যায় ও পেকে যায়। তাই ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য রোদে যাওয়া দরকার। ডায়েটে ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার (যেমন ডিম, মাছ, দুধ, পালংশাক ইত্যাদি) যোগ করতে হবে। বায়োটিন বায়োটিন বা বি৭ কে বলা হয় চুলের ভিটামিন। কেরাটিন তৈরিতে বায়োটিন প্রয়োজনীয়। এর অভাবে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়। ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে বায়োটিন থাকে। বেশি চুল পড়লে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। আয়রন আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে ও শরীরে যেমন অক্সিজেন বহন করে তেমনি চুলের গোড়ায়ও অক্সিজেন নিয়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়। নারীদের ক্ষেত্রে আয়রনের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। তাই চুল ভলো রাখতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, কচুশাক, কলিজা, ডুমুর ইত্যাদি খেতে হবে। ভিটামিন বি১২ আয়রনের মতো বি১২ আরও একটি উপাদান, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এটিও চুলের ফলিকলকে নিউট্রিশন দেয় ও চুল পড়া কমায়। ভিটামিন সি চুলের কোলাজেন তৈরিতে ভিটামিন সি–এর ভূমিকা বেশি। আয়রন শোষণ করতেও ভিটামিন সি প্রয়োজন। এই ভিটামিনের অভাবে চুল ভঙ্গুর হয়ে ঝরে যায়। ভিটামিন সি যেকোনো টক–জাতীয় ফলে পাওয়া যায় যেমন লেবু, আমলকি, মালটা ইত্যাদি। চুল পড়া কমাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে চুল পড়া কমাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবেমডেল: নীলাঞ্জনা, ছবি: কবির হোসেন ভিটামিন ই অনেকেই চুল ভালো রাখতে ভিটামিন ই খেয়ে থাকেন বা চুলে লাগান। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, স্ট্রেস কমায়, চুলে রক্ত চলাচল বাড়ায় ও চুল পড়া কমায়। জিংক জিংকের অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায় ও চুলের কেরাটিন কমে যাওয়ায় চুল ভেঙে যায়। বাদাম–জাতীয় খাবারে জিংক পাওয়া যায়। প্রোটিন চুলের মূল কাঠামো তৈরিতে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাছ, মাংস, ডিমে প্রোটিন পাওয়া যায়। চুল পড়া কমাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এরপরও যদি চুল পড়া না কমে, তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯১ জনে, আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬ হাজার ৬৭ জন।   চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে, মোট ১০৪ জন। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। অগাস্টে ৩৯ জন, জুলাইয়ে ৪১ জন, জুনে ১৯ জন, মে মাসে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং জানুয়ারিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আক্রান্তের দিক থেকে জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১,৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জুন মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫,৯৫১ জনে দাঁড়ায়, অগাস্টে ১০,৪৯৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৫,৮৬৬ জন, অক্টোবরে ২২,৫২০ জন এবং নভেম্বরে ২৪,৫৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।   ক্রমাগত সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই বৃদ্ধি দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
জটিলতায় সেশনজট—আটকে গেল সাত কলেজের দেড় লাখ শিক্ষার্থী

সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও প্রশাসনিক জটিলতায় সাত কলেজের দেড় লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। ভয়াবহ সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন তারা। প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। অন্যদিকে পালটা কর্মসূচি হিসেবে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি ও ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে ঢাকা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। ইডেন কলেজকে শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত করার দাবিতে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বাতিলের দাবিতে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা তিন দিন ধরে আন্দোলন করছেন।   ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথমবর্ষের সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী এক বছরেও ক্লাস না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। দ্রুত ক্লাস শুরু না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রুপের অনড় অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, ২০১৭ সালে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত ছিল অপরিণামদর্শী এবারও তাড়াহুড়া করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। শিক্ষকরা মনে করেন, একটি অধিভুক্তিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করলেই সহজ সমাধান মিলত। এদিকে যখন দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ছয় মাসের ক্লাস শেষ করে নতুন ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সাত কলেজ এখনো ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষকরা তা মানছেন না। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো, কর্তৃত্ব ও কর্মপদ্ধতি কোনোটাই স্পষ্ট নয়। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষক জানান, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি আইনসঙ্গত নয়, তাই তাদের পক্ষে প্রথম বর্ষের ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠছে, প্রস্তুতি ছাড়াই কেন ভর্তি শুরু হলো এ দায় কার? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কলেজগুলো চলছে অন্তর্বর্তী প্রশাসকের মাধ্যমে একটি দুর্বল কাঠামোয়, আর এর প্রধান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। আগস্টে ভর্তি পরীক্ষা হলেও নভেম্বরের শেষ নাগাদও ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়নি যা পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করেছে। সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেলকে ঘিরে। ৪০ শতাংশ অনলাইন ও ৬০ শতাংশ সশরীর ক্লাস, বিভাগভিত্তিক একাধিক কলেজে পাঠদান এবং অনেক বিষয়ে কাটছাঁট এসব নিয়ে শিক্ষক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সাত কলেজের শিক্ষকরা আবারও কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো চূড়ান্ত না হওয়ায় ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। দ্রুত সমাধান না হলে দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরে স্থায়ীভাবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত হয়েছে। আজ দেশব্যাপী সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি এবং ৬ ডিসেম্বর দেশব্যাপী কলেজ শিক্ষকদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের টোটাল শাটডাউনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ইডেন কলেজকে শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দুই দিনের মধ্যে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর আলটিমেটামও দিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ইডেন মহিলা কলেজ নারীদের শিক্ষা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক তাই এর স্বাতন্ত্র্য ও নিরাপদ পরিবেশ রক্ষায় কোনো আপস করা যাবে না। সব পদে শিক্ষা ক্যাডার রাখার দাবি শিক্ষকদের সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং’ পদ্ধতি বাতিল এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষা ভবন চত্বরে সমাবেশ করে তাঁরা জানান, কলেজগুলোর স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রেখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে শিক্ষা ক্যাডারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।   ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা বলেন, খসড়া অধ্যাদেশে প্রস্তাবিত ‘স্কুলিং’ পদ্ধতি বাতিল করা জরুরি। সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব পদেই শিক্ষা ক্যাডারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতি বজায় রাখতে হবে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে দলটি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির সদয় বার্তা ও শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।   বিএনপি জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মোদির সৌজন্যমূলক বার্তা দলটির কাছে গভীরভাবে প্রশংসনীয়। তাদের মতে, এই শুভেচ্ছা ও সমর্থনের প্রকাশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রতিফলন। এর আগে সোমবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। মোদি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনজীবনে দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য খালেদা জিয়া সম্মানিত, এবং প্রয়োজনে ভারত সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষকদের জন্য ৭২ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ শুরু

বাংলাদেশ জাপানি ভাষা শিক্ষক সমিতি (জালটাব)-এর উদ্যোগে দেশব্যাপী জাপানি ভাষা শিক্ষকদের জন্য ৭২ ঘণ্টার মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।    জাপান ফাউন্ডেশনের অনুদানসহ এই হাইব্রিড প্রোগ্রামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩৬ জন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এবং জাপান দূতাবাসের পরিচালনায় প্রশিক্ষণটি শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সোমবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সম্মেলনে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাপান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব কিওহেই ইয়ামামোটো, জাপান ফাউন্ডেশনের জাপানি ভাষা বিশেষজ্ঞ টেকেও উজাওয়া এবং টময়ুকি ফুকুই। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে জালটাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।   ‘পরীক্ষা বন্ধ রাখলে শাস্তির মুখোমুখি হবেন শিক্ষকরা’ প্রশিক্ষণের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনসারুল আলম, কুনিয়াকি ওকাবায়াশি এবং ড. মো. মনির উদ্দিন। জালটাবের সভাপতি প্রফেসর ড. আনসারুল আলম জানান, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাপানি ভাষা শিক্ষকরা আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি এবং শিক্ষণ কৌশল সম্পর্কে আরও দক্ষ হবেন। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি ভাষার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এমন প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন করে দেশে ভাষা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে”।   উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত জালটাব দেশের জাপানি ভাষা শিক্ষকদের একটি সংগঠিত প্ল্যাটফর্ম। এই সংগঠন ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্তরের কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে, যা জাপানি সংস্কৃতি ও ভাষার প্রসারে অবদান রাখছে। প্রশিক্ষণটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
স্কুলে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির তারিখ জানা গেল

দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। রোববার (৩০ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আবেদন করা যাবে। এরপর ১১ ডিসেম্বর লটারি হবে। লটারিতে নির্বাচিতরাই ভর্তির সুযোগ পাবে। মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ৪ হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৬০টি। গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি স্কুলের ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ২৪৪ জন। তারা পছন্দক্রম দিয়েছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৮টি। অন্যদিকে, বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৯৮ হাজার ৭৬২ শিক্ষার্থী। তারা পছন্দক্রম দিয়েছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬২টি। এরপর আর আবেদন জমা পড়ার নতুন তথ্য জানায়নি মাউশি।  

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ১ ডিসেম্বর রাতে দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়েও কথা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের আপডেট চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ শিগগিরই জানাবেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো বাধা নেই এবং প্রয়োজনে অল্প সময়েই ট্রাভেল পাস প্রদান করা সম্ভব।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
থাইরয়েড ক্যানসারের ৫টি নীরব লক্ষণ

গলার ঠিক নিচে প্রজাপতির মতো আকৃতির যে ছোট গ্রন্থিটি রয়েছে, সেটিই থাইরয়েড। শরীরের হার্ট রেট, রক্তচাপ, তাপমাত্রা থেকে শুরু করে পুরো মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখে এই ক্ষুদ্র অঙ্গটি। কিন্তু যখন এর কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে, তখনই দেখা দেয় থাইরয়েড ক্যানসার।   সমস্যা হলো এই ক্যানসারের লক্ষণগুলো সাধারণ অসুস্থতার মতোই হওয়ায় অনেকেই মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছরও বুঝতে পারেন না যে শরীরের ভেতরে নীরবে এক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। যাদের লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ সময় এসবকে অ্যাসিডিটি, ভাইরাল সংক্রমণ, থাইরয়েড ইনফ্লামেশন বা স্রেফ গলার সাধারণ সমস্যা ভেবে ভুল করা হয়। ফলে দেরিতে হয় রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো লক্ষণগুলো নজরে আনতে পারলে থাইরয়েড ক্যানসার খুব সহজেই শনাক্ত ও চিকিৎসা করা সম্ভব। তাই নিচের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি লক্ষণ দীর্ঘদিন থাকলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত— ১) গলার সামনে গাঁট বা ফোলাভাব থাইরয়েড ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো গলার ঠিক সামনের দিকে একটি গাঁট বা অস্বাভাবিক ফোলাভাব দেখা দেওয়া। এটি সাধারণত ব্যথাহীন হয়, এজন্য অনেকেই সর্দিজনিত লিম্ফ নোড ভেবে ভুল করেন। তবে গাঁটটি যদি শক্ত হয়, স্থায়ী থাকে এবং সময়ের সঙ্গে বড় হতে থাকে, তাহলে অবহেলা করা বিপজ্জনক। ২) গলায় বা কানের দিকে ব্যথা গলার সামনে চাপ, ধরা ধরা ব্যথা বা অস্বস্তি, যা কখনো কানের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূক্ষ্ম লক্ষণ। এটি সাধারণ পেশির ব্যথার মতো নয়; বরং থাকে দীর্ঘসময়। ৩) স্বরভঙ্গ বা কণ্ঠস্বর পরিবর্তন থাইরয়েড গ্রন্থি স্বরযন্ত্রের খুব কাছাকাছি হওয়ায় কোনো টিউমার তৈরি হলে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে এবং কণ্ঠস্বর বদলে যেতে পারে। ঠান্ডা-কাশি বা চিৎকার ছাড়া তিন সপ্তাহের বেশি স্বরভঙ্গ থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করা জরুরি। ৪) গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি বা শ্বাস নিতে হালকা সমস্যা এসবই হতে পারে টিউমার বড় হওয়ার লক্ষণ। টিউমার খাদ্যনালি বা শ্বাসনালির ওপর চাপ ফেললে এ সমস্যা দেখা দেয়, যা অনেকেই অ্যাসিডিটি বা গলার প্রদাহ ভেবে এড়িয়ে যান। ৫) স্থায়ী শুকনো কাশি কোনো সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জি ছাড়াই দীর্ঘসময় শুকনো কাশি থাকা থাইরয়েড ক্যানসারের আরেকটি সম্ভাব্য লক্ষণ। টিউমার শ্বাসনালির ওপর চাপ দিলে বা থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে এই কাশি দেখা দিতে পারে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬১০

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু জ্বরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬১০ জন নতুন রোগী। এতে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ জনে এবং মোট শনাক্ত রোগী সংখ্যা হয়েছে ৯৫ হাজার ১২ জন।   স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২২ জন, ঢাকা বিভাগে ৮১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০২ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন রয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা দুজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। এ সময়ে ৫৯৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে চলতি বছর মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৬১৮ জনে।   তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ২০২৪ সালে দেশে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জনের।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির জরুরি নির্দেশনা : না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।   মাউশির সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে ১ ডিসেম্বর সকালে জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা এবং ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা চলবে। এ ছাড়া, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সব সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে এসব পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে যে, পরীক্ষা গ্রহণে কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তার শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
খালেদা জিয়ার অক্সিজেন লাগছে , প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসিইউ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। টানা পাঁচ দিন তিনি সিসিইউতেই আছেন। তবে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।   চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে ৮-১০লিটার অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আইসিইউর কিছু সাপোর্ট সিসিইউতেই সরবরাহ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থার হালকা অবনতি হয়েছে। আইসিইউতে নেওয়া হয়নি। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই আইসিইউ সাধারণ আইসিইউর মতো নয়। এখানে সব ধরনের সাপোর্ট রয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ড এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ম্যাডামকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনফেকশনের (সংক্রমণ) শঙ্কায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়৷ উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কন্ডিশন ট্রাভেল করার মতো হলে সিদ্ধান্ত হবে। সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।   এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডে নতুন করে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও যুক্ত হয়েছেন। যেখানে তিনি গত জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন আলোচনা করে নতুন করণীয় ঠিক করছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনস হপকিনস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের বৈঠকে অংশ নেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
টানা সাত দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা সাত দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে উত্তরের এ সীমান্তজেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ওঠানামা করছে।   সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগের দিন রবিবার রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি, শুক্রবার ১৩ দশমিক ২, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ০ এবং বুধবার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস—প্রতিদিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। টানা ঠান্ডা আবহাওয়া ও উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাসে এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। যদিও সকালে ঝলমলে রোদ দেখা মিলছে, তবে এতে শীতের দাপট কমেনি। দিনের তুলনায় বিকেল ও রাতের দিকে শীত আরও জেঁকে বসছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বহির্বিভাগে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরাই বেশি ভিড় করছেন; যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, টানা সাত দিন ধরে এখানেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এ সময় আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় পঞ্চগড়ে স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কম থাকে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত
আজ বিশ্ব এইডস দিবস

বিশ্ব এইডস দিবস প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে এ দিবসটি এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতা এবং এই রোগে মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য হলো বাধা অতিক্রম করা, এইডস প্রতিক্রিয়া রূপান্তর করা।   এইডস হলো হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি দ্বারা সৃষ্ট একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ভাইরাসটি টি-কোষ আক্রমণ করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে এবং পর্যায়ক্রমে দেহ বিভিন্ন সংক্রমণ ও জটিল রোগ প্রতিরোধে অক্ষম হয়ে পড়ে। যখন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে যায়, তখনই এইডসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান কারণ হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ যৌনসম্পর্ক, দূষিত রক্ত বা রক্তজাত পণ্য গ্রহণ, মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে একই সুচ পুনঃব্যবহার, এবং আক্রান্ত মা থেকে গর্ভাবস্থা, প্রসব কিংবা বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে দৈনন্দিন সামাজিক আচরণ যেমন আলিঙ্গন, হাত মেলানো, একই টয়লেট বা থালাবাসন ব্যবহার করা কিংবা মশা বা পোকামাকড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। গবেষণায় ধারণা করা হয়, ১৯২০ এর দশকে পশ্চিম আফ্রিকার শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের মধ্যে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। শিকার করা এবং মাংস খাওয়ার মাধ্যমে এই আন্তঃপ্রজাতি সংক্রমণ শুরু হয়। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ভাইরাসটি আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এবং পরে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে, যদিও দীর্ঘ সময় ধরে এটি চিকিৎসকদের নজরের বাইরে ছিল। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১২,৪২২ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এবং এ সময়ে ২,২৮১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৬,৮৬৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৩৮ এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯৫ জন। সাধারণ জনগোষ্ঠীতে সংক্রমণের হার ০.১ শতাংশের নিচে থাকলেও কিছু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীতে এ হার তুলনামূলকভাবে বেশি। উন্নত চিকিৎসা ও সচেতনতার কারণে মৃত্যুহার কমছে।   বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে এইডসকে একটি মানবিক ও জনস্বাস্থ্য বিষয় হিসেবে দেখা হয়। ধর্মীয় নেতারা বৈষম্যহীন আচরণ, সঠিক তথ্য প্রচার এবং আক্রান্তদের সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন। আজ রক্ত সঞ্চালনের আগে বাধ্যতামূলক রক্ত পরীক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে গেছে। এইচআইভি/এইডস বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতা এবং নিরাপদ জীবনধারা অনুসরণই এই ভাইরাস প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতা তাদের চিকিৎসা ও সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ সহজ করে তোলে।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
আদা-রসুন খাওয়া কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর?

রান্নাঘরে প্রায় সব সময় পাওয়া যায় দুটি উপাদান, রসুন আর আদা। আমাদের অনেকেই এগুলো স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করি; কিন্তু জানেন কি, এগুলো আমাদের শরীরের জন্যও খুব উপকারী? প্রাচীনকাল থেকে মানুষ এই দুই উপাদানকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।   আধুনিক গবেষণাও বলছে, রসুন ও আদার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। আলাদাভাবে যেমন কাজ করে, দুটি একসঙ্গে খেলে উপকার আরও বেশি। হেলথলাইনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রসুন ও আদা একসঙ্গে খেলে শরীরকে যে ধরনের উপকার হয়, তা হলো:   ব্যথা ও প্রদাহ কমায় : দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা রোগের কারণ হতে পারে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন আর আদার জিঞ্জারল ও শগাওল শরীরের ক্ষতিকর প্রদাহ সৃষ্টিকারী প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, একসঙ্গে খেলে প্রদাহ আরও কমে। কোষকে রক্ষা করে : শরীরে অতিরিক্ত ‘রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন স্পিসিজ’ কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রসুন ও আদা এ ধরনের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা ম্যালন্ডায়ালডিহাইড নামের ক্ষতিকর যৌগ কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম বাড়ায়।   মস্তিষ্কের কাজ বৃদ্ধি করে : নিয়মিত রসুন খাওয়া বয়স্কদের স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমাতে পারে। আদা স্মৃতি ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আদা মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে এবং স্নায়ুর প্রদাহ কমায়।   হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : রসুন রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তের চিনি কমাতে সাহায্য করে। আদাও রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। তাই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আদা-রসুন খাওয়াকে হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী মনে করেন।   ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে : আদা রক্তে চিনি কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। রসুনও রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী, তবে সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে ডাক্তারকে পরামর্শ নেওয়া জরুরি।   কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে : গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি রসুন খেলে কোলন, স্তন, ফুসফুস ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। আদাও ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে এগুলো চিকিৎসার বিকল্প নয়।   রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : রসুনে থাকা অ্যালিসিন এবং আদার প্রদাহরোধী উপাদান শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণেও আদা-রসুন উপকারী।   রসুন ও আদা একসঙ্গে বা আলাদাভাবে খাওয়া প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। তবে যারা নিয়মিত ওষুধ খান বা বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তারা উচ্চমাত্রার সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ 0
Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

Top week

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয়

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ 0