সর্বশেষ

যেভাবে প্রার্থী বাছাই করল বিএনপি

আক্তারুজ্জামান নভেম্বর ০৪, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪০টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। অবশিষ্ট ২৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে পরে।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যদি জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়, তবে আসন বণ্টনে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

 

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের পর দলীয় নেতারা জানান, প্রার্থী বাছাইয়ে তিন ধাপের যাচাই-বাছাই ও জরিপের ফলাফলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে সারাদেশে ৩০০ আসনে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক অবস্থান ও নির্বাচনী সক্ষমতা যাচাইয়ে তিন দফা জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরপর ওই জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং স্থায়ী কমিটির তিন নেতা— নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

 

এই পাঁচ নেতা প্রায় এক মাস ধরে দলীয় পর্যায়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ও সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা তৈরি করেন। পরবর্তীতে জরিপের ফলাফল ও মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাই করে ২৬০টি আসনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

 

সোমবার বেলা ১২টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার পর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়, আর বাকি ২৩টি আসন নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় তা স্থগিত রাখা হয়।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছি।”

 

স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা জানান, “২৬০টি আসনের তালিকা নিয়ে আলোচনায় ২৩৭টিতে ঐকমত্য হয়। বাকি আসনগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ঘোষিত তালিকা থেকে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।”

 

দলীয় নেতাদের মতে, এবারের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপি অতীতের তুলনায় বেশি গবেষণাভিত্তিক ও সংগঠিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছে, যাতে মাঠপর্যায়ের সক্রিয় নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচনী দল গঠন করা যায়।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সর্বশেষ

আরও দেখুন
বাঁ থেকে- মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. এম জুবায়দুর রহমান, ওমর ফারুক খান ও বায়োজিত সরকার। ছবি : সংগৃহীত
স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মান্না ও ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের চেষ্টার অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।   বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচকে অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না। গত ১১ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল ওহাব জানান, সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, ইনচার্জ (সিআইডি–২) মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়া জোনাল ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও নীতি সহায়তা কমিটির সদস্যসচিব বায়োজিত সরকার। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে বিক্রির লক্ষ্যে চুক্তি হয়। চুক্তির দিনই ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় এবং বাকি ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি দেওয়া হয়। তবে পরে জানা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ১৯ আগস্ট গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ৭ নম্বর আসামি ১ ডিসেম্বর তাদের স্বাক্ষর জাল করে একটি ভুয়া বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি করেন, যেখানে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের সিদ্ধান্ত দেখানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ওই জাল রেজুলেশনকে বৈধ দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতপশিলের আবেদন করেন। যোগসাজশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে মিথ্যা কাগজপত্র ব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে পুনঃতপশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করা হয়। মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ঋণ পরিশোধের জন্য ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়ার পরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতপশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া জোনাল হেড সিকদার শাহাবুদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি এখনো অবগত নন। বিস্তারিত জানতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহফুজ ইকবাল কালবেলাকে জানান, আদালতের আদেশের অনুলিপি তারা পেয়েছেন এবং বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
শরিফ ওসমান হাদি ও ডা. মো. আব্দুল আহাদ। ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন ডা. আহাদ

ছবি : সংগৃহীত

পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৩৬ জেলায় ভর্তুকি পণ্য পরিবেশকের নিয়োগ দিচ্ছে টিসিবি

ছবি: সংগৃহীত
হামলাকারীরা দুইবার প্রাইভেট কার বদল করে সীমান্ত পার হয়

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দুই সন্দেহভাজন ময়মনসিংহ সীমান্ত হয়ে ভারতে চলে গেছে বলে ধারণা করছে তদন্ত সংস্থা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পার হওয়ার সময় কারা তাদের সহযোগিতা করেছে তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।   হাদির বড় ভাই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থায় নতুন করে কোনো অবনতি হয়নি। বর্তমানে শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্টবিট ও হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল। সিংগাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হাদির চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসকরা নিউরোসার্জারি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিমের মাধ্যমে তার ব্রেন, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সচল রাখার চেষ্টা করছেন। হামলায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা ঘটনার পরপরই মিরপুর থেকে আশুলিয়া, গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহে পৌঁছায়। সেখানে তাদের অন্য একটি প্রাইভেট কারে নিয়ে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠানো হয়। তদন্তকারীরা মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ও সহযোগিতা খুঁজছে।   পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় ১২ ডিসেম্বর হাদিকে গুলি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি সত্ত্বেও মস্তিষ্কে আঘাত ও ব্রেন স্টেমের চাপ থাকায় চিকিৎসা চলমান। পুলিশ জানাচ্ছে, রিমান্ডে থাকা আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

অযত্নে নষ্ট হচ্ছে গাজীপুর সাফারি পার্ক

ছবি: সংগৃহীত।

হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদি

ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ৩৬ বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় ওড়িশা রাজ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব নতুন নাগরিকের হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রতীক। তিনি জানান, এই আইনের মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার মানুষদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণের মাধ্যমে ওড়িশায় সিএএর আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ জনে। বর্তমানে রাজ্যে আরও প্রায় ১১০০টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওড়িশার জনশুমারি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৫ জনই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কার্যকর হওয়া বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই বিধান অনুসারেই এই নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এদিকে একই আইনের আওতায় আসামে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আসামের শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। আইনজীবী ও সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানান, ওই নারী পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় শ্রীভূমি জেলার এক যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয় এবং তিনি ভারতেই বসবাস শুরু করেন। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। যদিও তার পরিবার এখনো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাস করে, তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। সিএএর বিধি কার্যকর হওয়ার পর গত বছর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। ধর্মানন্দ দেব আরও জানান, সিএএর আওতায় আসামে তিনিই প্রথম নারী যিনি নাগরিকত্ব পেলেন। পাশাপাশি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে এই প্রথম কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ধারা ও ৬বি ধারার অধীনে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হন।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

ওসমান হাদির সিঙ্গাপুর যাত্রা নিয়ে জানা গেল নতুন তথ্য

ছবি: সংগৃহীত

হাদিকে গুলি : ভারতে গিয়ে সেলফি তুললেন মাসুদ

ফাতিমা তাসনিম জুমা ও শরিফ ওসমান বিন হাদি। ছবি : সম্পাদিত

ওসমান হাদিকে বিদেশ নেওয়ার তথ্য জানালেন জুমা

0 Comments